ময়মনসিংহে ইউপি নির্বাচনে নৌকা ২০, স্বতন্ত্র ৬টিতে জয়ী

ময়মনসিংহের গফরগাঁও ও নান্দাইলে পঞ্চম ধাপে ২৬টি ইউনিয়ন পরিষদে (ইউপি) শান্তিপূর্ণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। নির্বাচনে আওয়ামী লীগ ২০টিতে ও বাকি ৬টিতে স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন।
নান্দাইলের ১১টি ইউপির মধ্যে ৬টিতে আওয়ামী লীগ এবং ৫টিতে বিদ্রোহী ও স্বতন্ত্র প্রার্থীরা নির্বাচিত হয়েছেন।
এদিকে, জেলার গফরগাঁওয়ের ১৫ ইউপির ১১টিতে আওয়ামী লীগ প্রার্থীরা বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন। অন্য ৪টি ইউপির মধ্যে ১টিতে স্বতন্ত্র এবং ৩টিতে আওয়ামী লীগ প্রার্থীরা জয়ী হন।
নির্বাচন কর্মকর্তার কার্যালয় জানায়, রসুলপুর ইউপিতে স্বতন্ত্র প্রার্থী চশমা প্রতীকে মঈনুল হক, মশাখালীতে নৌকা প্রতীকে মোস্তফা কামাল মনি, টাংগাব ইউপিতে মোফাজ্জল হোসেন সাগর ও নিগুয়ারীতে তাজুল ইসলাম মৃধা চেয়ারম্যান পদে বিজয়ী হয়েছেন।
এর আগে গতকাল বুধবার সকাল ৮টা থেকে ভোটগ্রহণ শুরু হয়। বিরতিহীনভাবে চলে বিকাল ৪টা পর্যন্ত। কিছু কিছু কেন্দ্রে এজেন্ট বের করে দেওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ছাড়া এক চেয়ারম্যান প্রার্থীর ভোট বর্জনের খবর পাওয়া গেছে। নির্বাচনে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ভূমিকা ছিল প্রশংসনীয়।
২৬টি ইউপির মধ্যে নান্দাইলের চন্ডীপাশায় ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম) ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়। নান্দাইল উপজেলার আচারগাঁও ইউপির বিভিন্ন কেন্দ্রে সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত শান্তিপূর্ণভাবে ভোটগ্রহণ চলে। তবে বেলা ৩টার পর থেকে এজেন্ট বের করে দেওয়ার ঘটনা ঘটেছে।
ওই ইউপির আমোদাবাদ কেন্দ্রে দুই এজেন্ট নাছিমা বেগম ও মাকসুদা আক্তার খুকিকে বের করে দেয় আনারস প্রতীকের প্রার্থীর কর্মীরা। পরে পুলিশ এসে আবারও ওই দুই নারী এজেন্টকে কেন্দ্রে প্রবেশ করান।
মাকসুদা আক্তার খুকি বলেন, ‘সকালে নৌকার প্রার্থীর এজেন্টকে আনারস প্রতীকের প্রার্থীর লোকজন বের করে দিয়েছে। আমরা অভিযোগ করেও কোনো সমাধান পাইনি।’
আমোদাবাদ ভোট কেন্দ্রের প্রিসাইডিং অফিসার আসাদুজ্জামান বলেন, ‘আমার কেন্দ্রে সকাল থেকেই শান্তিপূর্ণ ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
মশাখালী ইউপি আনারস প্রতীকের চেয়ারম্যান প্রার্থী ফেরদৌস আলম নির্বাচনে কারচুপি এবং অনিয়মের অভিযোগে দুপুরে নির্বাচন বর্জনের ঘোষণা দেন। এ ছাড়া টাংগাব, নিগুয়ারী এবং উস্থি ইউনিয়নে আওয়ামী লীগ প্রার্থী ও তাদের কর্মী-সমর্থকদের বিরুদ্ধে এজেন্ট বের করে দেওয়াসহ ব্যালট পেপারে সিল মারার অভিযোগ করেন স্বতন্ত্র প্রার্থীরা।
পুলিশ সুপার আহমার উজ্জামান বলেন, নির্বাচনে ভোটগ্রহণ সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ করতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর বিপুলসংখ্যক সদস্য মোতায়েন করা হয়েছিল।
টিটি/
