‘তারেক রহমানকে সামনাসামনি দেখিনি, দেখতেও চাই না’

সদ্য বাধ্যতামূলক অবসরে যাওয়া তথ্য ও সম্প্রচার সচিব মো. মকবুল হোসেন বলেছেন, কেন তাকে অবসরে পাঠানো হয়েছে সে বিষয়ে তিনি কিছুই জানেন না। সরকার যেকোনো সিদ্ধান্ত যে কারও ব্যাপারে নিতে পারে। তার ব্যাপারে নেওয়া সিদ্ধান্তকে তিনি মাথা পেতে মেনে নিয়েছেন।
সোমবার (১৭ অক্টোবর) দুপুরে সচিবালয়ে নিজের দপ্তরে রেখে যাওয়া প্রয়োজনীয় কাগজপত্র নিতে হাজির হয়েছিলেন রবিবার (১৬ অক্টোবর) বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠানো তথ্য ও সম্প্রচার সচিব। এই খবর পেয়ে সাংবাদিকরা তার কক্ষে যান এবং অবসরের কারণ সম্পর্কে তার বক্তব্য জানতে চাইলে তিনি এসব কথা বলেন।
তার বিরুদ্ধে নানা অভিযোগের কথা শোনা যাচ্ছে। এসব অভিযোগের ব্যাপারে তার দৃষ্টি আকর্ষণ করলে মকবুল হোসেন বলেন, ‘আমার পুরো পরিবার শুরু থেকেই বর্তমান সরকারের মতাদর্শের অনুসারী। আমি নয় বছর বয়স থেকে ছাত্রলীগের রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত হই। আমার বড় ভাই দীর্ঘ ৩৫ বছর আওয়ামী লীগের ভাইস প্রেসিডেন্ট। আমি কেন সরকারের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করতে যাব।’
তিনি বলেন, ‘আমি অনেকগুলো সংবাদপত্রে দেখলাম নয়াপল্টনে বিএনপি অফিসের উল্টোদিকে কোনো একটা অফিসে আমি নাকি নিয়মিত যাতায়াত করতাম। এইটা একদম ঠিক নয়। আমি ওই দিকে কখনো, কোনোদিনই যাইনি। সাংবাদিক ভাইদের বলব আপনারা সত্যটা লেখেন।’
লন্ডনে অবস্থানরত বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সঙ্গে যোগাযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে মকবুল হোসেন বলেন, প্রশ্নই উঠে না। আমি কখনোই তারেক রহমানকে সামনাসামনি দেখিনি। দেখতেও চাই না।’
তিনি বলেন, ‘আপনারা লন্ডনে বাংলাদেশ হাইকমিশনের প্রেস সেক্রেটারি আশিকুর রহমানের সঙ্গে কথা বললেই জানতে পারবেন আমি লন্ডনে গিয়ে কি করেছিলাম। এইটা জানা আপনাদের জন্য কোনো কঠিন কাজ না।’
এনএইচবি/এমএমএ/
