গণতন্ত্র-নির্বাচন নিয়ে বিদেশিদের পরামর্শ দরকার নেই: পররাষ্ট্রমন্ত্রী

গণতন্ত্র, মানবাধিকার ও নির্বাচন নিয়ে বিদেশি কূটনীতিকদের পরামর্শ সরকারের দরকার নেই বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন।
মঙ্গলবার (১১ অক্টোবর) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে ব্রুনাইয়ের সুলতানা হাসানাল বলকিয়াহের সফর উপলক্ষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন তিনি। এ ছাড়া অভ্যন্তরীণ ইস্যু নিয়ে বিদেশিদের প্রশ্ন না করতেও অনুরোধ করেছেন তিনি।
'সুষ্ঠু নির্বাচনের পরিবেশ না থাকা নিয়ে মার্কিন রাষ্ট্রদূত সম্প্রতি যে বক্তব্য দিয়েছেন সরকার তা যৌক্তিক মনে করে কি না। আর যদি তা মনে না করে তাহলে প্রতিবাদ জানাবেন কি না'- সাংবাদিকের এই প্রশ্নের জবাবে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, সাংবাদিকরা উনাকে প্রশ্ন করেন। আপনারা উনাদের কাছে না গেলেই তো হয়। আপনারা যদি যাবেনই তাহলে তাদের দেশ সম্পর্কে জানতে চান। আমেরিকায় কেন অল্প সংখ্যক মানুষ ভোট দেয় সেটা জিজ্ঞাসা করতে পারেন।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী দাবি করেন, আমেরিকায় ২৫-৩০ ভাগের বেশি মানুষ ভোট দেয় না। অথচ বাংলাদেশে ৭৮ শতাংশ ভোট কাস্ট হয়।
তিনি প্রশ্ন তুলেন, যুক্তরাষ্ট্রের উপ-নির্বাচনে দেড় থেকে দুই পারসেন্ট লোক ভোট দেয় কেন? তাদের ইয়াংরা রাজনীতিতে উৎসাহী নয় কেন? বাংলাদেশে যে একাত্তরে জেনোসাইড হলো, এখন মিয়ানমারে হচ্ছে, তা বন্ধে যুক্তরাষ্ট্রের ভূমিকা ছিল কি?
এসময় পররাষ্ট্রমন্ত্রী আরও বলেন, ৩০ লাখ মানুষের প্রাণের বিনিময়ে অর্জিত বাংলাদেশের জন্মই হয়েছে গণতন্ত্র এবং ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠার লড়াই করে। সুতরাং বাংলাদেশকে কারও এ নিয়ে শেখানোর দরকার নাই।
অবাধ, সুষ্ঠু এবং সহিংসতামুক্ত নির্বাচনে আওয়ামী লীগ সরকার প্রতিশ্রুতিবদ্ধ দাবি করে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আওয়ামী লীগ সব সময় গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের মাধ্যমেই ক্ষমতায় এসেছে। ২০০১ সালে হেরে যাওয়ার পর শেখ হাসিনা স্মুথ পাওয়ার ট্রান্সফারের নজির তৈরি করেছেন।
এরপর অন্য একজন সাংবাদিক প্রশ্ন করেন যে মার্কিন রাষ্ট্রদূত তো নির্বাচন নিয়ে অব্যাহতভাবে বলেই যাচ্ছেন, তার বক্তব্যের প্রতিবাদ তো সরকারের করা উচিত। এমন প্রশ্নের জবাবে পররাষ্ট্রমন্ত্রী প্রশ্নকারীর সাজেশনের জন্য ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, মার্কিন দূত ম্যাচিউর এনাফ। কূটনৈতিক শিষ্টাচার ফলো করেই তার বক্তব্য রাখা উচিত বলে মনে করে সরকার।
আরইউ/এসজি
