বুধবার, ১২ মার্চ ২০২৫ | ২৭ ফাল্গুন ১৪৩১
Dhaka Prokash

৭৬ শতাংশ বিশ্ববিদ্যালয়শিক্ষার্থী মানসিক সমস্যায় ভুগছে: জরিপ

বিশ্ববিদ্যালয়শিক্ষার্থীদের মধ্যে আত্মহত্যার প্রবণতা বাড়ার মূল কারণ হলো করোনা পরবর্তী পড়াশোনার চাপ, হতাশা ও সেশনজট। এ বিষয়টি শিক্ষার্থীদের মানসিক স্বাস্থ্যের উপর প্রভাব ফেলছে এবং শিক্ষা কার্যক্রমের চাপে অবসাদে ভুগছেন প্রায় ৭৬ শতাংশ বিশ্ববিদ্যালয়শিক্ষার্থী।

শনিবার (৮ অক্টোবর) এক ভার্চ্যুয়াল সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে এ তথ্য জানিয়েছে বেসরকারি সংস্থা ‘আঁচল ফাউন্ডেশন’।

সংস্থাটি জানিয়েছে, চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে সেপ্টেম্বর মাস পর্যন্ত আত্মহত্যা করেছেন ৪০৪ জন শিক্ষার্থী। এর আগে করোনার সময় ২০২০ সালের মার্চ থেকে ১৫ মাসে আত্মহত্যা করেছিলেন ১৫১ জন শিক্ষার্থী।

সংবাদ সম্মেলনে আরও বলা হয়, সংখ্যাগত তথ্য তারা বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত আত্মহত্যার সংবাদ থেকে সংকলিত করেছে। এর ভিত্তিতে তারা আত্মহত্যার পেছনের কারণ বুঝতে ‘মানসিক স্বাস্থ্যের ওপর একাডেমিক চাপের প্রভাব এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের আত্মহত্যার প্রবণতা’ শিরোনামে একটি জরিপ পরিচালনা করে।

এ জরিপে ৩৮টি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়, ৪৭টি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়, মাদ্রাসা ও জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় অধিভুক্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের মোট ১ হাজার ৬৪০ জন শিক্ষার্থী অংশ নেন। জরিপটিতে অংশগ্রহণকারী শিক্ষার্থীদের মধ্যে পুরুষ ও নারী শিক্ষার্থী ছিলেন যথাক্রমে ৪৪ ও ৫৬ শতাংশ। প্রায় ৬৮ শতাংশ শিক্ষার্থী পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের। এর মধ্যে ৪০ জন শিক্ষার্থী জানিয়েছেন, তাঁরা আত্মহত্যার চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়েছেন। আত্মহত্যার উপকরণ জোগাড় করেও শেষ মুহূর্তে পিছিয়ে এসেছেন।

জরিপে ৩৮টি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়, ৪৭টি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়, মাদ্রাসা ও জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় অধিভুক্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের মোট ১ হাজার ৬৪০ জন শিক্ষার্থী অংশ নেন।

জরিপে উঠে এসেছে, করোনা-পরবর্তী বর্তমান পরিস্থিতিতে শিক্ষার্থীরা পরীক্ষার সময় অতিরিক্ত পড়াশোনা এবং কম সময়ে শ্রেণিকক্ষে পাঠ্যক্রম শেষ করার জন্য এক ধরনের চাপের মধ্য দিয়ে যাচ্ছেন। এটা ৭৭ শতাংশ শিক্ষার্থীর শিক্ষাজীবন গভীরভাবে প্রভাবিত করেছে।

একইসঙ্গে একাডেমিক পরীক্ষাগুলোর মধ্যবর্তী সময় এবং মানসিক চাপ কাটিয়ে ওঠার সুযোগ কম থাকায় ৬৭ শতাংশ শিক্ষার্থী বিভিন্ন রকম মানসিক সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছেন। অন্যদিকে দীর্ঘ বিরতির পর শিক্ষার ক্ষেত্রে কিছুটা পরিবর্তন আসায় ৭৪ শতাংশ শিক্ষার্থীর মধ্যে আত্মবিশ্বাস আশঙ্কাজনক হারে কমে এসেছে।

শিক্ষাজীবনে বাধা সৃষ্টির ক্ষেত্রে অতিরিক্ত পড়াশোনা এবং সিলেবাস দ্রুত শেষ করার চাপে প্রায় ৬৭ শতাংশের জীবন প্রভাবিত হয়েছে বলেও জরিপে উঠে আসে।
জরিপে ৬৩ শতাংশ শিক্ষার্থী বলেছেন, তারা বিভিন্ন মেয়াদে সেশনজটের শিকার হয়েছেন। প্রায় ৪৩ শতাংশ শিক্ষার্থী জানিয়েছেন, তাঁরা ন্যূনতম এক বছর সেশনজটের শিকার হয়েছেন।

সংবাদ সম্মেলনে জরিপের ফলাফল তুলে ধরেন আঁচল ফাউন্ডেশনের গবেষক এবং নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞান ও সমাজবিজ্ঞান বিভাগের সহকারী অধ্যাপক আবদুল ওহাব।

সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশ সাইকোলজিক্যাল অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্লিনিক্যাল সাইকোলজি বিভাগের অবসরপ্রাপ্ত অধ্যাপক মো. মাহমুদুর রহমান বলেন, বেঁচে থাকার সংকট এখন বেড়ে গেছে।

কারও কারও কাছে দুঃখ–কষ্ট যখন অসহনীয় পর্যায়ে চলে যায়, তখন মৃত্যুকে শ্রেয় মনে হয়। এ ধরনের মানুষ যদি কারও সঙ্গে তাঁর কষ্টের কথাগুলো ভাগ করে নিতে পারেন, তাতে তাঁর কষ্ট কমে। এ কারণে অন্যের কষ্টের সময় পাশে দাঁড়াতে হবে। আত্মহত্যার বিরুদ্ধে সচেতনতা গড়তে হবে। পাশাপাশি প্রত্যেকের যেকোনো পরিস্থিতিতে খাপ খাওয়ানোর মতো দক্ষতা গড়ে তুলতে হবে।

তরুণ বয়সে প্রাণবন্ত থাকার কথা। তাহলে কোনো কোনো তরুণ কেন আত্মহত্যার পথ বেছে নিচ্ছেন, তার পেছনের কারণগুলো বের করে সমাধান করতে হবে।

মো. শাহনেওয়াজ খান, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা ও গবেষণা অনুষদের সহকারী অধ্যাপক সংবাদ সম্মেলনে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা ও গবেষণা অনুষদের সহকারী অধ্যাপক মো. শাহনেওয়াজ খান বলেন, তরুণ বয়সে প্রাণবন্ত থাকার কথা।

তাহলে কোনো কোনো তরুণ কেন আত্মহত্যার পথ বেছে নিচ্ছেন, তার পেছনের কারণগুলো বের করে সমাধান করতে হবে। অনেক শিক্ষার্থী তাঁদের মানসিক সমস্যার সময় প্রতিকারের জন্য কোথাও যেতে পারছেন না। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে কাউন্সেলরের অভাব রয়েছে। প্রতিষ্ঠানগুলো শিক্ষার্থীদের মানসিক সমস্যা নিরসনে পাশে দাঁড়াতে পারছে না।

সংবাদ সম্মেলনে আঁচল ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি তানসেন রোজ বলেন, মাত্র ৯ মাসে শিক্ষার্থীদের মধ্যে আত্মহত্যার প্রবণতা অনেক বেড়েছে। এটা উদ্বেগজনক।

শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের পড়াশোনার সঠিক পরিবেশ নিশ্চিত করা, শিক্ষকদের সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক তৈরি, মনখুলে কথা বলার মতো সামাজিক পরিবেশ তৈরির মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের সমস্যা মোকাবিলা করা সম্ভব, যোগ করেন তিনি।

গত ৯ মাসে আত্মহত্যা করা ৪০৪ শিক্ষার্থীর মধ্যে ২১৯ জনই স্কুলের। এ ছাড়া ৮৪ জন কলেজশিক্ষার্থী, ৫৭ জন বিশ্ববিদ্যালয়ের এবং মাদ্রাসার ৪৪ শিক্ষার্থী আত্মহত্যা করেছেন। এসব শিক্ষার্থীর মধ্যে ২৪২ জন নারী ও ১৬২ জন পুরুষ।

জরিপে বলা হয়ে, ৭৬ শতাংশ শিক্ষার্থী শিক্ষা কার্যক্রম নিয়ে চাপে জরিপের ফলাফল তুলে ধরে বলা হয়, প্রায় ৭৬ শতাংশ শিক্ষার্থী জানিয়েছেন, তারা করোনা পরবর্তী একাডেমিক শিক্ষা কার্যক্রমের চাপের কারণে বিভিন্ন ধরনের মানসিক ও গঠনমূলক সমস্যার সম্মুখীন হয়েছেন।

শিক্ষার্থীদের এসব মানসিক অবসাদের পেছনে দায়ী কারণগুলোর মধ্যে রয়েছে—দীর্ঘ বিরতির কারণে সৃষ্ট সেশনজট, পড়াশোনায় অনীহা, পরীক্ষার ফলাফল নিয়ে হতাশা ও শিক্ষাঙ্গনে পঠিত বিষয় বুঝতে না পারা।

এ ধরনের মানুষ যদি কারও সঙ্গে তার কষ্টের কথাগুলো ভাগ করে নিতে পারেন, তাতে তার কষ্ট কমে। এ কারণে অন্যের কষ্টের সময় পাশে দাঁড়াতে হবে। আত্মহত্যার বিরুদ্ধে সচেতনতা গড়তে হবে।

৪৭ শতাংশ শিক্ষার্থী বলেন, করোনার আগের তুলনায় পড়াশোনার প্রতি মনোযোগ কমে গেছে। ১০ শতাংশ শিক্ষার্থী বলেন, তাঁদের ঘন ঘন পরীক্ষার সম্মুখীন হতে হচ্ছে। এর সঙ্গে তাঁরা খাপ খাওয়াতে পারছেন না।

পরীক্ষার সময়ের চেয়ে সিলেবাসের আধিক্য সমস্যার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে ১২ শতাংশ শিক্ষার্থীর। প্রায় ২১ শতাংশ বলেছেন, স্বল্প সময়ে এত বড় কোর্স শেষ করার ফলে তারা পড়া বুঝতে ব্যর্থ হচ্ছেন। প্রায় ৭ শতাংশ বলেন, পড়াশোনার চাপের জন্য তারা পরিবারকে সময় দিতে পারছেন না। এটা তাদের মনোবেদনার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।

জরিপে অংশগ্রহণকারীদের ৫৮ শতাংশ বলেছেন, নিজস্ব শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্য নিয়ে অতিরিক্ত ভয় ও উদ্বেগ তাঁদের জীবন প্রভাবিত করেছে। পাশাপাশি দৈনন্দিন আচার-আচরণ ও ব্যবহারে পরিবর্তন যেমন মন খারাপ হওয়া, হঠাৎ ক্লান্তি আসা ইত্যাদি বিষয় নিয়ে শিক্ষাজীবনে প্রভাব পড়ার কথা বলেছেন প্রায় ৮১ শতাংশ শিক্ষার্থী। জরিপে উঠে এসেছে, করোনা–পরবর্তী বর্তমান পরিস্থিতিতে শিক্ষার্থীরা পরীক্ষার সময় অতিরিক্ত পড়াশোনা এবং কম সময়ে শ্রেণিকক্ষে পাঠ্যক্রম শেষ করার জন্য এক ধরনের চাপের মধ্য দিয়ে যাচ্ছেন। এটা ৭৭ শতাংশ শিক্ষার্থীর শিক্ষাজীবন গভীরভাবে প্রভাবিত করেছে।

এ ছাড়া, ডিজিটাল ডিভাইস যেমন মুঠোফোন, ল্যাপটপ ও ডেস্কটপের ওপর অতিরিক্ত আসক্তি ও নির্ভরতা শিক্ষাজীবনে নেতিবাচক প্রভাব ফেলছে বলে মত দিয়েছেন ৭১ শতাংশ শিক্ষার্থী। অনেকে নিজেকে গুটিয়ে নিয়েছেন। অভিভাবকদের অতিরিক্ত চাপও তাদের মানসিক স্বাস্থ্যের ওপর প্রভাব ফেলেছে। পরীক্ষার ফল ভালো না হওয়ার ভয়ে থাকেন তারা। আর প্রায় ৭৭ শতাংশ শিক্ষার্থী বলেছেন, ভবিষ্যৎ পেশাজীবন নিয়ে দুশ্চিন্তা এবং অনিশ্চয়তার কারণে মানসিক চাপে আছেন।

প্রায় ৭৫ শতাংশ শিক্ষার্থী বলেন, তারা নিজেদের মানসিক সমস্যাগুলো শেয়ার করার মতো শিক্ষক পান না।

এমএমএ/

Header Ad
Header Ad

ঈদের সম্ভাব্য তারিখ জানাল জ্যোতির্বিদ্যা গ্রুপ

ছবি: সংগৃহীত

পবিত্র রমজান মাসের প্রথম দশক পার হওয়ার পর সংযুক্ত আরব আমিরাতের দুবাই জ্যোতির্বিদ্যা গ্রুপ রোজার ঈদের সম্ভাব্য তারিখ প্রকাশ করেছে।

বুধবার (১২ মার্চ) খালিজ টাইমসের এক প্রতিবেদনে জানানো হয়, আরব আমিরাতে আগামী ৩০ মার্চ শাওয়াল মাসের চাঁদ দেখা যাবে। এর ফলে ৩১ মার্চ দেশটিতে ঈদুল ফিতর পালিত হতে পারে।

জ্যোতির্বিদ্যা কেন্দ্র জানিয়েছে, চাঁদ দেখার বিষয়টি স্থানীয় কমিটি অথবা অফিসিয়াল চাঁদ দেখা কমিটিকে জানাতে হবে। আমিরাতে ৩০ মার্চ সন্ধ্যায় চাঁদ দেখা যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

মধ্যপ্রাচ্যসহ আমিরাতে ৩১ মার্চ ঈদুল ফিতর পালিত হলে এবারের রমজান ৩০টি রোজা পূর্ণ হবে। এর আগে ২৮ ফেব্রুয়ারি সন্ধ্যায় রমজানের চাঁদ দেখা যাওয়ায় ১ মার্চ থেকে দেশটিতে রমজান মাস শুরু হয়।

খালিজ টাইমস জানিয়েছে, আমিরাতের চাঁদ দেখা কমিটি আগামী ২৯ মার্চ শাওয়াল মাসের চাঁদ অনুসন্ধান কার্যক্রম শুরু করবে। ওইদিন দেশটিতে ২৯তম রোজা পালিত হবে।

Header Ad
Header Ad

টাঙ্গাইলে রমজানে ব্যতিক্রমী উদ্যোগ, ১০ টাকায় ইফতার পাচ্ছেন সুবিধাবঞ্চিতরা

ছবি : ঢাকাপ্রকাশ

রমজান মাস উপলক্ষে টাঙ্গাইলের শিশুদের জন্য ফাউন্ডেশন ও যুবদের জন্য ফাউন্ডেশন এক ব্যতিক্রমী উদ্যোগ নিয়েছে। সমাজের অবহেলিত ছিন্নমূল ও সুবিধাবঞ্চিত মানুষদের জন্য মাত্র ১০ টাকায় ইফতার সামগ্রী সরবরাহ করা হচ্ছে।

বুধবার (১২ মার্চ) বিকেলে টাঙ্গাইল পৌর শহরের জেলা সদর রোডের ইসলামী পাঠাগারের সামনে এই ইফতার সামগ্রী বিতরণ করা হয়। ইফতারের মধ্যে রয়েছে খেজুর, মুড়ি, ছোলা, পিয়াজু, বেগুনি, আলুর চপ, জিলাপী ও এক বোতল খাবার পানি।

দরিদ্র মর্জিনা বেগম বলেন, “গরীব হওয়ায় ভালো ইফতার করতে পারি না। আজ ১০ টাকায় ইফতার কিনেছি। প্রতিদিন এমন আয়োজন করা উচিত।” শারীরিক প্রতিবন্ধী ভিক্ষুক আসলাম মিয়া জানান, “আমি প্রতিদিন ঠিকমত ইফতার করতে পারি না। এত খাবার ১০ টাকায় পেয়ে খুব খুশি।”

 

ছবি : ঢাকাপ্রকাশ

সংগঠনের প্রতিষ্ঠাতা মুঈদ হাসান তড়িৎ জানান, “সুবিধাবঞ্চিত মানুষেরা যেন বিনা সংকোচে ১০ টাকায় ইফতার কিনতে পারেন, এজন্যই আমাদের এই উদ্যোগ। ইতোমধ্যে আমরা ইফতার বিক্রি শুরু করেছি। শহরের বিভিন্ন পয়েন্টে এমন আয়োজন করার পরিকল্পনা রয়েছে।”

তিনি আরও জানান, মাদ্রাসা, এতিমখানা, দুর্গম চর ও বস্তিতেও ইফতার আয়োজন করা হবে এবং ঈদের আগে দুস্থ পরিবারের মাঝে ঈদ বাজার বিতরণ করা হবে। সমাজের বিত্তবানদের এই মহতী উদ্যোগে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান তিনি।

Header Ad
Header Ad

হজযাত্রীর সর্বনিম্ন বয়স নির্ধারণ করে দিল সরকার

ছবি: সংগৃহীত

সৌদি সরকারের হজ ও ধর্ম মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা অনুসারে, চলতি বছর ১৫ বছরের কম বয়সী কেউ হজে যেতে পারবেন না। এ সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছে বাংলাদেশের ধর্ম মন্ত্রণালয়।

বুধবার (১১ মার্চ) মন্ত্রণালয়ের উপসচিব মামুন আল ফারুকের সই করা এক বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য প্রকাশ করা হয়। এতে বলা হয়, সৌদি আরব হজ ও ওমরাহ মন্ত্রণালয় শিশুদের সুস্থতা ও নিরাপত্তার বিষয় বিবেচনা করে ২০২৫ সালের হজ মৌসুমে পবিত্র হজ পালনে সর্বনিম্ন বয়সসীমা ১৫ বছর নির্ধারণ করেছে। এটি হজযাত্রীর পাসপোর্টের জন্মতারিখ অনুযায়ী গণনা করা হবে।

এই নির্দেশনা সরকারি ও বেসরকারি উভয় মাধ্যমেই কার্যকর থাকবে এবং হজযাত্রী নিবন্ধন, হজ এজেন্সি ও হজ কার্যক্রমে সম্পৃক্ত ব্যাংকসহ সংশ্লিষ্ট সকলকে এটি মেনে চলতে হবে।

উপসচিব মামুন আল ফারুক বলেন, “সৌদি সরকারের নির্দেশনা আমাদের মেনে চলতে হয়। ১৫ বছরের উপরে কেউ হজে যেতে চাইলে তাকে অবশ্যই প্রাক নিবন্ধন ও নিবন্ধন প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে হবে। তবে এর নিচে বয়স হলে হজে যাওয়ার সুযোগ নেই।”

তবে, ১৫ বছর বয়সি নিবন্ধিত শিশু হজযাত্রী এবং প্রয়োজনে তাদের অভিভাবক হজযাত্রীর পরিবর্তে প্রাক-নিবন্ধিত হজযাত্রী প্রতিস্থাপনের সুযোগ রাখা হয়েছে।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

ঈদের সম্ভাব্য তারিখ জানাল জ্যোতির্বিদ্যা গ্রুপ
টাঙ্গাইলে রমজানে ব্যতিক্রমী উদ্যোগ, ১০ টাকায় ইফতার পাচ্ছেন সুবিধাবঞ্চিতরা
হজযাত্রীর সর্বনিম্ন বয়স নির্ধারণ করে দিল সরকার
আন্তর্জাতিক ক্রিকেটকে বিদায় জানালেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ
টাঙ্গাইলে মুখে লাল কাপড় বেঁধে শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ মিছিল, ধর্ষকের কুশপুত্তলিকা দাহ
নওগাঁয় আগামী শনিবার খাওয়ানো হবে ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল
অন্তর্বর্তী সরকারের কোনো নির্বাচনই বিশ্বাসযোগ্য হবে না: জিএম কাদের
মসজিদে তিন জনকে কুপিয়ে হত্যার প্রধান আসামি গ্রেফতার
লক্ষ্মীপুরে রোজা না রাখায় প্রকাশ্যে কান ধরিয়ে ওঠ-বস, নেটিজেনদের ক্ষোভ
বিদেশ থাকা সত্ত্বেও কেন শেখ হাসিনার দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা!
চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদায় বিদ্যুৎ স্পৃষ্টে নির্মাণ শ্রমিকের মৃত্যু
পাবনা-১ আসনে জামায়াতের প্রার্থী নিজামীপুত্র মোমেন, বাদ পড়লেন ডা. বাসেত
যুক্তরাষ্ট্রে হিন্দু মন্দিরে ভাঙচুর, ভারত ও মোদিকে গালি!
শুক্রবার এক লাখ রোহিঙ্গার সাথে ইফতার করবেন ড. ইউনূস ও গুতেরেস
কুবি শিক্ষকের বিরুদ্ধে প্রশ্নপত্র ফাঁসের অভিযোগ, পরীক্ষা স্থগিত
লাকিকে গ্রেফতারসহ পাঁচ দাবিতে শাহবাগে ইনকিলাব মঞ্চের মানববন্ধন
দৈনিক যায়যায়দিন পত্রিকার ডিক্লারেশন বাতিল
সারাদেশে বৃহস্পতিবার ২ ঘণ্টা বন্ধ থাকবে এনআইডি সেবা
আম্মার ভয়ে প্রেম করিনি, এখন আম্মাই বলে, তুমি খুঁজে আনো
টাঙ্গাইলে দৃষ্টি প্রতিবন্ধী কিশোরী ধর্ষণ: ১ লাখ টাকায় সালিশের রায়, অভিযুক্ত গ্রেফতার