রাজধানীর বিদ্যুৎ পরিস্থিতি সচল
রাজধানীর বিদ্যুৎ পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়েছে। জাতীয় গ্রিডে বিপর্যয়ের ফলে দুপুর ২টা ৫ মিনিটে ঢাকা, চট্টগ্রাম, সিলেটসহ বিভিন্ন এলাকায় বিদ্যুৎ চলে যায়। রাত ১০টার দিকে বিদ্যুৎ পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়।
বিদ্যুৎ চলে যাওয়ার চারঘণ্টা পর সন্ধ্যা ৬টার দিকে রাজধানীর উত্তরা, গুলশান, বারিধারা ও মিরপুরসহ কয়েক এলাকায় বিদ্যুৎ সরবরাহ শুরু হয়। তারপর ধীরে ধীরে অন্যান্য এলাকায়ও সরবরাহ বাড়ানো হয়।
সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টার দিকে ডিপিডিসির চেয়ারম্যান বিকাশ দেওয়ান বলেন, নারায়ণগঞ্জ ও পুরান ঢাকার কিছু এলাকায় বিদ্যুৎ সরবরাহ শুরু হয়েছে।
একই সময়ে রাজধানীর আরেকটি অংশের বিদ্যুৎ বিতরণ কর্তৃপক্ষ ঢাকা ইলেকট্রিক সাপ্লাই কোম্পানির (ডেসকো) ব্যবস্থাপনা পরিচালক আমির কাউসার আলীও একই কথা বলেন।
যেসব এলাকায় ৬টার পরে বিদ্যুৎ সরবরাহ শুরু হয়েছিল সেসব এলাকার কিছু কিছু জায়গায় কিছুক্ষণ পরে বিদ্যুৎ চলে যায়।
এর আগে বিকাল সাড়ে ৪টার দিকে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেন, সন্ধ্যা নাগাদ বিদ্যুৎ পরিস্থিতি স্বাভাবিক হবে। যদিও সন্ধ্যার পরও অন্ধকারে নিমজ্জিত ছিল রাজধানী ঢাকা।
সন্ধ্যা সাতটায় নসরুল হামিদ নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেইজে লিখেন, ঢাকা ও আশেপাশের অঞ্চলে দ্রুত বিদ্যুৎ রিস্টোর হচ্ছে।
বিদ্যুৎ সরবরাহ সচল হয়েছে- মিরপুর, মগবাজার, মাদারটেক, রামপুরা, গুলশান, উলন, বসুন্ধরা, ধানমন্ডি, আফতাবনগর, বনশ্রী, ধানমন্ডি (আংশিক), আদাবর, শেরে বাংলা নগর, তেজগাঁও, মিন্টুরোড, মতিঝিল, শ্যামপুর, পাগলা, পোস্তগোলাসহ বেশকিছু এলাকায়।
ইতিমধ্যে টাঙ্গাইল, কিশোরগঞ্জ, ময়মনসিংহ, জামালপুর, মানিকগঞ্জে বিদ্যুৎ সরবরাহ সচল হয়েছে। এবং ঢাকা, গাজীপুর, চট্টগ্রাম, সিলেট, নারায়ণগঞ্জ ও সিদ্ধিরগঞ্জের আংশিক এলাকায় সরবরাহ চালু হয়েছে। ঢাকায় লোড বেশি হবার কারণে সব লাইন সচল করতে কিছুটা দেরি হতে পারে।
পাওয়ার গ্রিডের ইঞ্জিনিয়ার ও টেকনিশিয়ানরা অক্লান্ত শ্রম দিচ্ছেন, দ্রুতই বিদ্যুৎ সরবরাহ সম্পূর্ণ স্বাভাবিক হবে। ধৈর্য ধারণের জন্য সবাইকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী।
জাতীয় গ্রিডের পূর্বাঞ্চলে (যমুনা নদীর এপার) বিদ্যুৎ বিপর্যয় দেখা দেওয়ায় আজ মঙ্গলবার (৪ অক্টোবর) বেলা ২টা ৫ মিনিটে রাজধানীসহ বিশাল এলাকায় একযোগে বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ হয়ে গেছে। এ একারণে রাজধানী ঢাকা, চট্টগ্রাম, কুমিল্লা ও সিলেট অঞ্চলের বিশাল এলাকায় বিদ্যুৎ ছিল না।
গ্রিড বিপর্যয় সম্পর্কে সংশ্লিষ্টরা বলছেন, নানা কারণে বিদ্যুতের গ্রিডে বিপর্যয় হতে পারে। এটি এক সেকেন্ডে হলেও তা পুনরায় চালু করার বিষয়টি জটিল ও দীর্ঘ প্রক্রিয়া।
তবে গ্রিড বিপর্যয়ের কারণ সম্পর্কে এখনো পাওয়া গ্রিড কোম্পানি অব বাংলাদেশ আনুষ্ঠানিকভাবে কিছু জানায়নি।
আরইউ/আরএ/