সাংবাদিকরাই সংসদীয় কার্যক্রম সম্পর্কে জনগণকে জানিয়েছে: স্পিকার
পার্লামেন্ট জার্নালিস্ট অ্যাসোসিয়েশনের সাংবাদিকবৃন্দের লেখনীর মাধ্যমে সাধারণ মানুষ নিয়মিত সংসদীয় কার্যক্রম সম্পর্কে জানতে পারছেন বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী এমপি। তিনি বলেন, যারা অতীতে পার্লামেন্ট জার্নালিস্ট অ্যাসোসিয়েশনে কাজ করেছেন তারাও খুবই আন্তরিকভাবে সহযোগিতা করেছেন। অ্যাসোসিয়েশনে নারী সাংবাদিকদের অন্তর্ভুক্তি খুবই যুগোপযোগী বিষয়। এসময় পার্লামেন্ট জার্নালিস্ট অ্যাসোসিয়েশনের সকল সাংবাদিকবৃন্দের সুস্বাস্থ্য কামনা করেন স্পিকার।
সংসদ বিটে কর্মরত সাংবাদিকদের নিজ উদ্যোগে মঙ্গলবার (৪ জানুয়ারি) রাতে সংসদ ভবনস্থ মিডিয়া সেন্টারে 'শীতকালীন প্রীতিভোজ ২০২২' অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত হয়ে স্পিকার এসব কথা বলেন।
ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে করোনাকালে সকলের অর্থনৈতিক সুরক্ষা এবং মানুষের জীবন বাঁচানো সম্ভব হয়েছে। মুজিববর্ষ, মহান স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী ও বিজয় দিবস সফল ও স্বতঃস্ফূর্তভাবে দেশের মানুষ উদযাপন করেছে। মুজিববর্ষ উপলক্ষে সংসদে বিশেষ অধিবেশন আয়োজন ও স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীতে বিশেষ আলোচনা সংসদের দুটি ঐতিহাসিক মাইলফলক। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সুদক্ষ নেতৃত্বে স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীর বছরে স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উত্তরণ একটি ঐতিহাসিক ঘটনা। মাস্ক পরাসহ অপরাপর স্বাস্থ্যবিধি মেনে চললে চলমান করোনা সংকট মোকাবিলা করা সম্ভব হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন স্পিকার।
পার্লামেন্ট জার্নালিস্ট অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি উত্তম চক্রবর্তীর সভাপতিত্বে ও যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক নিখিল চন্দ্র ভদ্রের সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন পার্লামেন্ট জার্নালিস্ট অ্যাসোসিয়েশনের সহসভাপতি সাংবাদিক আসাদুজ্জামান সম্রাট, অর্থ সম্পাদক কাজী আফিফুজামান (কাজী সোহাগ), ডিআরইউ সভাপতি নজরুল ইসলাম মিঠু এবং সংসদ সচিবালয়ের পরিচালক মো. তারিক মাহমুদ। অনুষ্ঠানে বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমের প্রতিনিধিবৃন্দ ও তাদের পরিবারের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
এদিন সন্ধ্যা ৬টা থেকে সংসদ বিটে কর্মরত সাংবাদিকদের পদচারণায় মুখরিত হয়ে যায় সংসদ চত্ত্বর। সেখানে তৈরি করা হয় গরম গরম চিতই পিঠা আর ভাপা পিঠা। সাংবাদিকরা ছাড়াও সংসদ সচিবালয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা উপভোগ করেন আয়োজন। রাত সাড়ে ৮টা থেকে শুরু হয় খাওয়া-দাওয়া। হাঁসের টাটকা মাংস আর খিচুড়ির সঙ্গে ছিল বেগুণ ভাজা, আচাড় ও সবজি। সব শেষে সাদেক অ্যাগ্রো থেকে আনা গরম গরম রসগোল্লা। পুরো আয়োজনটি হয়ে ওঠে উৎসবমুখর।
টিটি/