রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সংলাপ
আইন প্রণয়নের প্রস্তাব গণফোরামেরও
নির্বাচন কমিশন গঠনের লক্ষ্যে চলমান সংলাপের সপ্তম দিনে গণফোরামও রাষ্ট্রপতির কাছে যুগোপযোগী নতুন আইন প্রণয়নের প্রস্তাবনা দিয়েছে। গত ২০ ডিসেম্বর থেকে শুরু হওয়া এ সংলাপে এ পর্যন্ত যে নয়টি রাজনৈতিক দল অংশ নিয়েছে তাদের প্রায় সবাই আইন প্রণয়নের কথাই বলেছে।
রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সংলাপ শেষে সংবাদ মাধ্যমকে গণফোরামের নির্বাহী সভাপতি মোকাব্বির খান বলেন, ‘অতীতে যেভাবে নির্বাচন কমিশন গঠন করা হয়েছে, তা নিয়ে জনগণের মধ্যে হতাশা বিরাজ করছে। আইনি প্রক্রিয়া বাদ দিয়ে নির্বাচন কমিশন গঠন হলে তা জনগণের প্রত্যাশা পূরণে ব্যর্থ হয়। তারা সরকারের আজ্ঞাবাহ হয়ে যায়।’
রবিবার (২ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় গণফোরামের কার্যকরী সভাপতি মুকাব্বির খান এমপির নেতৃত্বে আট সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল রাষ্ট্রপতির সঙ্গে বঙ্গভবনের দরবার হলে আলোচনায় অংশ নেন।
সংলাপে দলের সভাপতি ড. কামাল হোসেনের না থাকা প্রসঙ্গে জানতে চাইলে মোকাব্বির সাংবাদিকদের বলেন, ‘জানেন তো উনি অসুস্থ। বিভিন্ন অনুষ্ঠানেই উনি যান না।’ ড. কামালের সম্মতি নিয়েই দলের বর্ধিত সভা করে সিদ্ধান্ত নিয়েই সংলাপে যোগ দিয়েছেন বলে তিনি জানান।
সংলাপ শেষে রাষ্ট্রপতির প্রেস সচিব জয়নাল আবেদীন জানান, গণফোরাম নেতৃবৃন্দ সংবিধানের ১১৮ (১) অনুচ্ছেদ অনুযায়ী নির্বাচন কমিশন আইন প্রণয়নসহ কয়েক দফা প্রস্তাবনা দিয়েছেন।
গণফোরাম নেতাদের বঙ্গভবনে স্বাগত জানিয়ে রাষ্ট্রপতি বলেন, ‘গ্রহণযোগ্য একটি নির্বাচন কমিশন যাতে গঠন করা যায়, সেজন্য রাজনৈতিক দলগুলোর সুচিন্তিত মতামত খুবই গুরুত্বপূর্ণ। নির্বাচন কমিশন গঠন একটি সাংবিধানিক দায়িত্ব। একটি গ্রহণযোগ্য নির্বাচন কমিশন গঠনের জন্য পরামর্শ গ্রহণের যথার্থতা রয়েছে।’ রাষ্ট্রপতি আশা প্রকাশ করেন, রাজনীতিবিদদের অনুকরণীয় কিছু করে যেতে হবে, যাতে পরবর্তী প্রজন্ম এখান থেকে শিক্ষা নিয়ে নিজেদের জন্য কিছু করে যেতে পারেন।
প্রেস সচিব জানান, গণফোরামের প্রতিনিধি দল নিরপেক্ষ ও শক্তিশালী নির্বাচন কমিশন গঠনে আইন প্রণয়নসহ কয়েকটি প্রস্তাব দিয়েছে।
গত ২০ ডিসেম্বর সংসদে বিরোধী দল জাতীয় পার্টির সঙ্গে সংলাপের মাধ্যমে এই সংলাপ শুরু হয়েছে।
এপি/