‘মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের কর্মকর্তার সঙ্গে কথা হয়েছে’
র্যাব ও সংস্থাটির সাবেক এবং বর্তমান সাত কর্মকর্তার উপর আমেরিকার নিষেধাজ্ঞার ব্যাপারে দেশটির পররাষ্ট্র দপ্তর থেকে পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে আশ্বস্ত করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. একে আব্দুল মোমেন।
রোববার (২ জানুয়ারি) দুপুরে সিলেটে একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন শেষে এ তথ্য জানান পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন বলেন,‘নিষেধাজ্ঞার খবর পাওয়ার পর মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তার সঙ্গে বিস্তারিত কথা হয়েছে। তিনি আমাকে আশ্বস্ত করেছেন। ওই কর্মকর্তা বাংলাদেশের গণতন্ত্রের ব্যাপারে ও মানবাধিকারের ব্যাপারে কথা বলেছেন। তখন আমি উনাকে বাংলাদেশের গণতন্ত্রের ঐতিহ্য ও মানবাধিকারের ব্যাপারে জানিয়েছি। বলেছি গণতন্ত্র হচ্ছে বাংলাদেশের মূল স্তম্ভ।’
ড. মোমেন বলেন, ‘ফোনে কথা বলার সময় বাংলাদেশের আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর উপর আসা হত্যা ও গুমের অভিযোগের বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়েছে। আমি তাদের বলেছি আমেরিকার তুলনায় আমাদের দেশে হত্যা ও গুমের ঘটনা খুবই কম।’
তিনি বলেন, “আমেরিকায় ব্যাপক গুম-খুনের ঘটনা থাকলেও এটাকে ‘ইন দ্যা লাইন অব ডিউটি’ হিসেবেই ধরা হয়। কিন্তু বাংলাদেশের অল্প কিছু ঘটনা নিয়ে দোষারোপ শুরু হয়।”
আলোচনার পর এসব প্রসঙ্গে বিস্তারিত উল্লেখ করে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরে চিঠি পাঠানো হয়েছে বলেও জানান পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
তিনি বলেন, ‘চিঠি পাঠানো হলেও বড়দিনের বন্ধের কারণে যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে এখনো কোনো উত্তর পাওয়া যায়নি। আশা করছি তারা উত্তর দেবে।’
এসএন