জনগণের ভাগ্য পরিবর্তনে এগিয়ে যাব: প্রধানমন্ত্রী
পথ যত কণ্টকাকীর্ণই হোক, সে পথে এগিয়ে যাওয়ার দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। রোববার (২ জানুয়ারি) সকালে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে অর্থ মন্ত্রণালয়ের অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগ (ইআরডি) আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন। প্রধানমন্ত্রী গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি অংশ নেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘চলার পথ যত কণ্টকাকীর্ণ হোক, যত রক্তক্ষরণ হোক, সব পদদলিত করে বাংলাদেশের জনগণের ভাগ্য পরিবর্তনে এগিয়ে যাব, এটাই হচ্ছে আমার প্রতিজ্ঞা।’
স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উন্নয়নশীল দেশে উত্তরণের সুপারিশে অনুমোদন দিয়ে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদ বাংলাদেশকে স্বীকৃতি উদযাপন উপলক্ষ্যে এ অনুষ্ঠানে আয়োজন করে।
অনুষ্ঠানে জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী, অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল, মন্ত্রিসভার অন্যান্য সদস্য, বাংলাদেশের উন্নয়ন সহযোগী সংস্থাগুলোর প্রতিনিধিসহ রাজনীতিকরা অংশ নেন।
প্রসঙ্গত গত বছরের ফেব্রুয়ারিতে জাতিসংঘের সেন্টার ফর ডেভেলপমেন্টে পলিসি বাংলাদেশেকে এলডিসি থেকে উত্তরণের সুপারিশ করে। পরে জাতিসংঘের অর্থনৈতিক ও সামাজিক পরিষদ (ইসিওএসওসি) এ সুপারিশে সমর্থন করে। সর্বশেষ গত বছরের ২৪ নভেম্বর জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদ এলডিসি থেকে উত্তরণের সুপারিশের আনুষ্ঠানিক অনুমোদন দেয়।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘বাংলাদেশ আজকে স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উন্নয়নশীল দেশ। এটা হঠাৎ করে আসে না। সুষ্ঠ পরিকল্পনা আমরা নিয়েছি। প্রেক্ষিত পরিকল্পনা করেছি। আশু করণীয়, মধ্য মেয়াদী দীর্ঘ মেয়াদী পরিকল্পনা নিয়েছি। সুর্নিদিষ্ট লক্ষ্য স্থির করেছি এবং যার ফলেই আমরা পরিকল্পিতভাবে এগিয়েছি বলেই আজকে এই অর্জন করা আমাদের সম্ভব হয়েছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘উন্নয়নশীল দেশে উত্তরণকে টেকসই করতে আমরা একটি জাতীয় সরল উত্তরণ কৌশল অর্থ্যাৎ স্মুথ ট্রানজিশন স্ট্র্যাটেডি প্রণয়নের কাজ হাতে নিয়েছি। এই জাতীয় দলিলে উত্তরণের সম্ভাবনাগুলোকে কাজে লাগানোর পাশাপাশি ভবিষ্যতে চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় সব ধরনের দিকনির্দেশনাসহ কার্যকর কৌশল থাকতে হবে।’
এসএম/এসএ/