কম সিসির গাড়ি ব্যবহারের আহ্বান জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রীর

জ্বালানি সাশ্রয়ে কম সিসির গাড়ী ব্যবহারের পরামর্শ দিয়েছেন জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন।
তিনি বলেন, ‘যে গাড়িতে বেশি জ্বালানি লাগে সে ধরনের গাড়ি ব্যবহার না করে কম জ্বালানি লাগে এমন গাড়ি ব্যবহার করতে পারলে আমাদের জ্বালানি সাশ্রয়ী হবে। এই ভালো প্র্যাকটিস যদি একবার করতে পারি তাহলে পরিবেশ দূষণ হবে না।’
বুধবার (২৪ আগস্ট) দুপুরে সচিবালয়ে গণমাধ্যম কেন্দ্রে সচিবালয় বিটের কর্মরত সাংবাদিকদের সংগঠন বাংলাদেশ সেক্রেটারিয়েট রিপোর্টাস ফোরাম (বিএসআরএফ) আয়োজিত এক চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে প্রতিমন্ত্রী এ কথা বলেন।
বিএসআরএফ সভাপতি তপন বিশ্বাসের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক মাসউদুল হকের সঞ্চালয়নায় অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন সংগঠনের অর্থ সম্পাদক শফিউল্লাহ সুমনসহ অন্যান্য নেতারা।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, গাড়ি ব্যবহারে সাশ্রয়ী হতে বলা হয়েছে। যাদের একাধিক গাড়ি রয়েছে তাদের একটি গাড়ি ব্যবহারের জন্য বলা হয়েছে। তা ছাড়া বিভিন্ন প্রজেক্টের গাড়ি জমা দিতে নির্দেশনা দেওয়া আছে। এ বিষয়ে আগের চাইতে এখন বেশি মনিটরিং হচ্ছে। এজন্য তিনি সকলের সহযোগিতা চান।
বিএসআরএফ সভাপতি তপন বিশ্বাসের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক মাসউদুল হকের সঞ্চালয়নায় অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন সানলাইফ ইনসিওরেন্স কোম্পানির উপ-ব্যবস্হাপনা পরিচালক (ডিএমডি) শাহাদাত হোসেন সোহাগ, বিএসআরএফ এর অর্থ সম্পাদক শফিউল্লাহ সুমনসহ অন্যান্য নেতারা।
অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ সেক্রেটারিয়েট রিপোর্টার্স ফোরামের (বিএসআরএফ) সদস্যদের জন্য গ্রুপ বীমা চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে। সানলাইফ ইনসিওরেন্স কোম্পানির সঙ্গে এই চুক্তির আওতায় বিএসআরএফ সদস্যরা আর্থিক সুবিধার আওতায় আসবেন।
চুক্তিতে সাক্ষর করেন।চুক্তির আওতায় বিএসআরএফ সদস্যরা গ্রুপ বীমার সুবিধা পাবেন। সংগঠনের অর্থ সম্পাদক শফিউল্লাহ সুমনসহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।
জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন তার বক্তব্যে বলেন, সংশ্লিষ্ট সবার সাথে আলোচনা করে সকাল ৮ থেকে সরকারি অফিস শুরুর সিদ্ধান্ত হয়েছে। প্রথম দিনে স্বত:স্ফুর্তভাবে সরকারি কর্মকর্তা কর্মচারিরা অফিসে এসেছেন। আমরা এই পদ্ধতিটা পর্যবেক্ষণ করছি। যখন অবস্থার উন্নতি হবে তখন আবার অফিস সূচি সমন্বয় করা হবে।
তিনি আরো বলেন, পরবর্তী সিদ্ধান্ত না আসা পর্যন্ত এই সময়সূচি কার্যকর থাকবে। তবে এটি স্থায়ী কোন সময়সূচি না। নতুন এই সিদ্ধান্তের ফলে বিদ্যুৎ সাশ্রয় হবে বলে মনে করেন তিনি।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, আমরা বলেছি আপাতত এটা করেছি পরবর্তী প্রজ্ঞাপন না দেওয়া পর্যন্ত। পরবর্তী সিদ্ধান্ত না আসা পর্যন্ত এই সময়সূচি কার্যকর থাকবে। তবে এটি স্থায়ী কোনো সময়সূচি না।
তিনি বলেন, নতুন এই সিদ্ধান্তের ফলে বিদ্যুৎ সাশ্রয় হবে। এখন দিনের সময়টা অনেক বড়। আমরা আলোটা পাচ্ছি অনেক আগে, সেক্ষেত্রে আমরা লাইটটাকে ব্যবহার করতে চাই। আপাতত আমাদের সেচ ব্যবস্থার ক্ষেত্রেও এটি লাগবে। এটা পরে আবার আমরা সমন্বয় করব।
এসএম/এমএমএ/
