১ ডিমে ফয়সাল এন্টারপ্রাইজের লাভ ৩ টাকা!

প্রতিটি ডিমের ক্রয় মুল্য ছিল ৯ টাকা ১০ পয়সা এবং বিক্রি করা হয়েছে ১১ টাকা ৮০ পয়সা। প্রতিটি ডিমে লাভ করা হয়েছে ২ টাকা ৭০ পয়সা।
এভাবে গত বুধবার (১৭ আগস্ট) কারসাজি করে বাজারে ডিমের দাম বৃদ্ধি করে ঢাকা জেলার সাভারের আশুলিয়া থানার বাইপাইল এলাকার আসিফের ডিমের আড়তসহ অনেক আড়তদার। বাধ্য হয়ে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর শনিবার (২০ আগষ্ট) তাদের জরিমানা করে।
ডিমের বাজার স্থিতিশীল করতে এ বাজার অভিযানে আসিফ ডিমের আড়ত ও এস জে অ্যাগ্রো ডিমের আড়তকে এক লাখ টাকা করে এবং ফয়সাল এন্টারপ্রাইজকে ২ লাখ ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
এই অভিযান পরিচালনা করেন ঢাকা জেলা কার্যালয়ের অফিস প্রধান মো. আব্দুল জব্বার মন্ডল ও প্রধান কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মো. হাসানুজ্জামান।
মো. আব্দুল জব্বার মন্ডল বলেন, ‘অভিযানের সময় দেখা যায় ডিম ক্রয়ের ক্যাশ মেমো সংরক্ষণ না করা, বিক্রির ক্যাশ মেমো প্রদান না করা, মূল্য তালিকা না টানানো, ক্রয় মুল্যের ভিত্তিতে নয় বরং চাহিদা অনুযায়ী ডিমের দাম নির্ধারণ করা হয়। ডিম, মুরগির দাম যৌক্তিক, স্বাভাবিক ও ভোক্তাগণের ক্রয় ক্ষমতার মধ্যে রাখার লক্ষ্যে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালকের নির্দেশনায় দেশব্যাপী এ অভিযান পরিচালনা করা হয়।
এরই অংশ হিসেবে ঢাকা জেলার সাভার উপজেলার আশুলিয়া থানার বাইপাইল এলাকার ডিমের আড়তে অভিযান পরিচালনা করা হয়। এ সময় কাগজপত্র যাচাই করে দেখা যায়, ৭ আগস্ট প্রতিটি ডিমের ক্রয় মূল্য ছিল ৯ টাকা ৪০ পয়সা এবং ২০ পয়সা লাভে বিক্রি হয়েছে ৯ টাকা ৬০ পয়সা দরে। ১৭ আগস্ট প্রতি ডিমে লাভ করেছে ২ দশমিক ৭০ টাকা।
উল্লেখ্য, ফয়সাল এন্টারপ্রাইজ ১৩ আগস্ট কাজী ফার্মে উৎপাদিত সব ডিম প্রস্তাবিত দরের চেয়ে বেশি দর হাঁকিয়ে নিলামের মাধ্যমে সব ডিম ক্রয় করে অতি মুনাফা লাভের আশায় বাজারে অস্থিরতা সৃষ্টি করে। তার প্রতিষ্ঠানে ডিম ক্রয় ও বিক্রির কোনো কাগজপত্র দেখাতে পারেনি।
এমনকি প্রতিষ্ঠানটির ট্রেড লাইসেন্স ৩০ জুন মেয়াদোত্তীর্ণ হয়েছে। এ সকল অপরাধে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত ফয়সাল এন্টারপ্রাইজের সকল প্রকার কার্যক্রম সাময়িকভাবে বন্ধ রাখা হয়েছে। আগামীকাল রবিবার সকাল ১০টায় অধিদপ্তরের প্রধান কার্যালয়ে সশরীরে উপস্থিত হয়ে কেন তাঁর প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে না তার ব্যাখ্যা দেওয়ার জন্য নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
এ ছাড়া উত্তরা পূর্ব ও উত্তরা পশ্চিম থানায় বাজার অভিযান পরিচালনা করা হয়। এ সময় উত্তরা পশ্চিম থানায় জোহরা মার্কেটে ও উত্তরা পূর্ব থানার বিড়িয়ার বাজারেও অভিযান পরিচালনা করা হয়। এ দুই অভিযানে ছয়টি প্রতিষ্ঠানকে জরিমানা করা হয়েছে। জনস্বার্থে এ ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে বলে ভোক্তা অধিদপ্তরের পরিচালক ও উপ-সচিব মোহাম্মদ মনজুর শাহরিয়ার জানান।
জেডএ/এমএমএ/
