শনিবার, ৩০ নভেম্বর ২০২৪ | ১৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

শব্দ দূষণ ও যানজট থেকে নগরবাসীর মুক্তি কবে?

শব্দ দূষণ আর যানজটে অতিষ্ঠ নগরজীবন। রাস্তায় বের হলেই এই দুই যন্ত্রণার সঙ্গে লড়াই করতে হয় রাজধানীবাসীকে। সকাল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত রাজধানীর প্রতিটি সড়ক, অলিগলি সর্বত্র গাড়ির হর্ণের বিকট শব্দে কান ঝালাপালা হয় মানুষের। তার সঙ্গে যানজট সেই ভোগান্তি আর যন্ত্রণাকে কয়েক ধাপ বাড়িয়ে তুলে।

কিন্তু নগরীর এই দুই যন্ত্রণা রোধে কার্যকর কোনো উদ্যোগই দেখা যাচ্ছে না। বছর তিনেক আগে সরকারের পরিবেশ, বন ও জলবায়ু বিষয়ক মন্ত্রণালয় শব্দ দূষণের এসব রোধে একটি কার্যক্রম গ্রহণ করেছিল। সচিবালয়ের চারপাশের সড়কে বিশেষ করে আব্দুল গণি সড়ক ও সচিবালয় লিংক রোডে শব্দ দূষণ রোধে বেশ কড়াকড়ি আরোপও করা হয়েছিল। কিন্তু সেটি আর বেশি দূর আগায়নি। বলতে গেলে শব্দ দূষণ রোধে কার্যকর কোনো উদ্যোগই নেই নগরী জুড়ে।

অন্যদিকে যানজটের ক্ষেত্রে একই অবস্থা। নগরীর যানজট রোধে একেক সময় একেক উদ্যোগ নেওয়া হয়। কখনো ইউটার্ন কখনো বা বাঁশ থেরাপি দিয়ে যানজট রোধ করার চেষ্টা করা হয়।

ফলে শব্দ দূষণ আর যানজট থেকে মুক্তি পাচ্ছেন না রাজধানী ঢাকাতে বসবাসকারি দুই কোটির অধিক মানুষ।

সাধারণ মানুষের অভিযোগ, দিন যত যাচ্ছে, রাজধানীতে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে শব্দ দূষণ ও যানজট। প্রয়োজনীয় কাজে রাস্তায় বের হলেই যানজটের কবলে পড়ে থাকতে হয় ঘণ্টার পর ঘণ্টা। তার সঙ্গে তো শব্দ দূষণ হচ্ছে বোনাস!

খোঁড়াখুঁড়ির কারণে বাড়ছে যানজট

রাজধানীতে এমনিতেই পিক আওয়ারে অর্থাৎ সকালে অফিস ও স্কুল শুরুর সময়ে এবং বিকালে অফিস ও স্কুল ছুটির পর প্রায় সব সড়কে তীব্র যানজট সৃষ্টি হয়। সেই ভোগান্তিতে যুক্ত হয়েছে নগর জুড়ে সড়কে খোঁড়াখুঁড়ি। রাজধানীর বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, প্রায় প্রতিদিনই নগরীর কোনো না কোনো সড়ক খোঁড়া হচ্ছে। ওয়াসা, বিদ্যুৎ বিভাগ, সিটি করপোরেশনসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান বছর জুড়েই নানান উন্নয়ন কাজের জন্য রাস্তা খোঁড়ায় ব্যস্ত। যার ফলে নগরীতে যেমন যানজট সৃষ্টি হচ্ছে, তেমনি বাতাসে ধূলাবালি উড়ে নগরীর পরিবেশকে ভারী করে তুলে।

সম্প্রতি রাজধানীর, কারওয়ান বাজার, আজিমপুর, গুলিস্তান, মগবাজার, হাতিরপুল, তেজগাঁও, মহাখালী, আগারগাঁও, মিরপুরসহ বিভিন্ন এলাকায় দেখা গেছে, প্রধান সড়ক থেকে অলিগলিতে সড়ক কাটা। এসব সড়কের কোনো কোনো সড়ক ১০ থেকে ১৫দিন বা তারও বেশি বন্ধ রয়েছে। যার কারণে তীব্র যানজটে পড়তে হচ্ছে সাধারণ মানুষকে।

মিরপুর-১০ নম্বর এলাকায় বাবা হুজুরের গলিতে কথা হয় আনোয়ার হোসেনের সঙ্গে। তিনি বলেন, আমার এলাকার রাস্তায় সেই ঈদের আগে থেকে কাজ চলছে। যা এখনও শেষ হয়নি। রাস্তায় কাজ করার কারণে আমাদের চলাফেরার কষ্ট হচ্ছে।

মিরপুর ১১ নম্বর এলাকার বাসিন্দা ফয়সাল রাজু বলেন, রাস্তায় বের হলে শব্দদূষণ আর যানজটের শিকার হতে হয়। সময় মতো অফিস যাওয়া যায় না। তা ছাড়া মিরপুরের প্রায় সব রাস্তা খোঁড়াখুঁড়ি করে কাজ করা হচ্ছে। সময় মতো এসব কাজ শেষ না হওয়ায় আমাদের দুর্ভোগে পড়তে হচ্ছে।

ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থী পলাশ আহমেদ বলেন, রাস্তায় এত যানজট ঠেলে এসে ক্লাস করা মোটেও ভালো লাগে না। শব্দদূষণ আর যানজটে অতিষ্ঠ আমরা। এসব দেখার যেন কেউ নেই।

শাহাবাগ মোড়ে ডিউটিরত ট্রফিক পুলিশের সার্জেন্ট আহমেদ রাজু বলেন, আমরা তো সব সময় যানজট নিয়ন্ত্রণে রাখতে কাজ করি। রাস্তার কাজ হলে যানজট বেশি থাকে। যার কারণে চলাচলরত মানুষকে দুর্ভোগের শিকার হতে হয়। তা ছাড়া যানজেটের থেকে রাজধানীতে শব্দদূষণ এখন বেশি হচ্ছে। শব্দদূষণের কারণে আমাদের পরিবেশ নষ্ট হচ্ছে।

গুলশানে ডিউটিরত ট্রাফিক পুলিশের সার্জেন্ট মোহাম্মাদ সাদ্দাম বলেন, যানজট আর শব্দ দূষণ নিরসনে প্রাথমিক পদক্ষেপগুলোও আমরা নিতে পারিনি। ভিআইপিরা যে বিশেষ ধরনের হর্ন ব্যবহার করেন, সেটাই বন্ধ করা সম্ভব হয়নি। তিনি বলেন, এসব লোকদের ধরলে বিশেষ বিশেষ মানুষ ফোন করেন, অবশেষে তাদের ছেড়ে দিতে হয়। তিনি বলেন, এসব বিষয়ে আমাদের নিজেদের সচেতন হতে হবে, অন্যথায় এসব বন্ধ হবে না।

এদিকে বসবাসের অযোগ্য শহরের তালিকা থেকে ভবিষ্যতে বের হয়ে আসার কোনো সম্ভবনা দেখছেন না সংশ্লিষ্টরা। তাদের দাবি, আন্তর্জাতিক বিভিন্ন গবেষণা সংস্থার গত কয়েক বছরের তথ্য বিশ্লেষণ করলে দেখা যায়, যানজট, পরিবেশ ও শব্দদূষণ এই তিন সূচকে সর্বোচ্চ খারাপ অবস্থান থেকে সরে আসতে পারেনি দেশের রাজধানী। আন্তর্জাতিক গবেষণা প্রতিষ্ঠান নামবিও’র তালিকায় যানজটে ২০১৯ সালে এক নম্বরে থাকলেও করোনাকালে রাজধানীতে যানবাহন তুলনামূলক কম চলায় ২০২১ সালে তার কিছুটা উন্নতি হয়। তবে ২০২২ সালে যানজট, পরিবেশ ও শব্দদূষণের শীর্ষে রয়েছে ঢাকা।

আন্তর্জাতিক গবেষণা প্রতিষ্ঠান ‘নামবিও’র প্রকাশিত ওয়ার্ল্ড ট্রাফিক ইনডেস্ক বলছে, ২০২১ সালে বিশ্বের সর্বোচ্চ যানজটের শহরগুলোর তালিকায় ২৫০ দেশের মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান ছিল ৯ম । তাদের গবেষণার ট্রাফিক ইনডেস্কে সর্বোচ্চ পয়েন্ট ধরা হয় ৩০০। এর মধ্যে বাংলাদেশের পয়েন্ট ২৭৪.৮৭। এই তালিকায় ৩৪২ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে রয়েছে নাইজেরিয়ার লাগোস। অন্যদিকে সবচেয়ে কম ৬৯.৪০ পয়েন্ট নিয়ে ২৫০ নম্বরে অর্থাৎ সবচেয়ে কম যানজটের শহর সুইজারল্যান্ডের বাসেল সিটি। এর আগে ২০২০ সালে ২৬০ পয়েন্ট নিয়ে ঢাকার অবস্থান ছিল ১০। করোনার আগে ২০১৯ সালে ২৯৭ পয়েন্ট নিয়ে ঢাকা ছিল বিশ্বের সর্বোচ্চ যানজটের শহর। ২০১৭ সালে ৩১৭ পয়েন্ট নিয়ে ঢাকা ছিল দ্বিতীয়।

শব্দ দূষণের বিষয়ে ঢাকা মেডিকেল কলেজের স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক ডা. মো. মোরতুজা আরেফিন ঢাকাপ্রকাশ-কে বলেন, আমাদের শহরে যানজট আর শব্দ দূষণ হচ্ছে বড় সমস্যা। যানজটের থেকে শব্দ দূষণ হলো আরও মারাত্মক। শব্দ দূষণের কারণে মানুষের স্বাস্থ্যঝুঁকি রয়েছে। এর জন্য অনেকের হার্টের সমস্যা হতে পারে।

এই চিকিৎসক বলেন, শব্দ দূষণের কারণে হৃদরোগ, হৃৎপিণ্ড ও রক্তবাহক মস্তিষ্কসহ নানান ধরনের সমস্যা তৈরি হতে পারে। তা ছাড়া রাজধানীতে শব্দ দূষণের কারণে অনেক মানুষ কানে কম শুনতে পায়। বর্তমান এসব রোগীর সংখ্যা বেশি হচ্ছে।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলনের (বাপা) সাধারণ সম্পাদক প্রকৌশলী শরীফ জামিল ঢাকাপ্রকাশ-কে বলেন, শব্দ দূষণ বন্ধ করতে আমাদের তেমন কোনো পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি। আমরা এটি বন্ধ করতে পারিনি। আমরা অতিরিক্ত হর্ন দেওয়ার জন্য কোনো ধরনের শাস্তি বা বিধিবিধান করতে পারিনি। স্কুল কিংবা গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠান এমনকি সচিবালয়েও হর্ন বন্ধে কার্যত কোনো পদক্ষেপ নিতে দেখিনি। যার কারণে দিন দিন এসব শব্দ দূষণ বেড়েই চলেছে।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অপরাধ বিশেষজ্ঞ তৌহিদুল হক ঢাকাপ্রকাশ-কে বলেন, এ শহরে এক ঘণ্টার পথ চলতে সময় লাগবে ৫ ঘণ্টা। দিন দিন রাস্তায় এর সময় বাড়ছে। এর কারণ হলো মানুষের ব্যক্তিগত গাড়ি বেড়েছে দিগুন। শব্দ দূষণ প্রতিরোধে সরকারকে বিভিন্ন পদক্ষেপ নিতে হবে তাহলেই পরিবেশ ফিরে আসবে।

তিনি বলেন, তা ছাড়া রাজধানীতে যানজট নিরসনে আমাদের নতুন পরিকল্পনা গ্রহণ করতে হবে। বর্তমান ঢাকার রাস্তায় বের হলে মানুষকে বিভিন্ন ভোগান্তিতে পড়তে হয়। মানুষের এসব ভোগান্তি কমানো জন্য নতুন নতুন পদক্ষেপ দরকার।

তৌহিদুল হক বলেন, দেখা গেছে সড়কেও বিভিন্নি নৈরাজ্য চলে এসব বন্ধ করতে হবে। তা ছাড়া রাস্তা খোঁড়াখুঁড়ি থেকে শুরু করে অনেক ভোগান্তি রয়েছে। এসব সংকট সমাধান না হলে রাজধানীতে যানজট ও শব্দ দূষণ আরও জনদুর্ভোগে পরিণত হবে।

ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (মিডিয়া) অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার হাফিজ আল আসাদ ঢাকাপ্রকাশ-কে বলেন, রাজধানীতে শব্দ দূষণ আর যানজট কমানো সম্ভব নয়। নতুন কিছু দরকার। তা ছাড়া রাস্তার কিছু কাজ হচ্ছে এসব ঠিক হলে হয়তো কিছুটা যানজট কমে যাবে।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে পরিবেশ অধিদপ্তরের এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট (সিনিয়র সরকারি সচিব) কাজী তামজীদ আহমেদ ঢাকাপ্রকাশ-কে বলেন, শব্দ দূষণ আসলেই একেবারে ঢাকা থেকে যাবে না। তার কারণ হলো আমরা এসব দমনের জন্য বিভিন্ন সময় মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করেছি, এতে তেমন কোনো লাভ হয়নি। মানুষ যদি সচেতন না হয় তাহলে কোনোভাবে রাজধানীসহ সারাদেশে থেকে এসব বিষয়ে তেমন কোনো সমাধান হবে না।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে এডিশনাল পুলিশ কমিশনার ট্রাফিক প্রধান মো. মনিবুর রহমান ঢাকাপ্রকাশ-কে বলেন, রাজধানী ঢাকা একেবারে বসবাসের অযোগ্য হয়ে পড়েছে অনেক সংস্থা জানিয়েছেন। নতুন পরিকল্পনা করে ঢাকা থেকে যানজট আর শব্দ দূষণ নিরাসন করা হয়তো কিছুটা সম্ভব হবে।

তিনি বলেন, ঢাকার অধিকাংশ লেন হলো অপরিকল্পিত যা ঠিক করা আমাদের পক্ষে হয়তো সম্ভব না। নতুন করে পরিকল্পনা অনুযায়ী ঢাকার আশপাশ বাড়ানো প্রয়োজনন এবং রাস্তায় চলাচলের মানসম্মত পরিবহন বৃদ্ধি করতে হবে। সেই সঙ্গে ব্যক্তিগত গাড়ি কমানো পরিকল্পনার বিষয়টি মাথায় নিয়ে সরকারকে কাজ করতে হবে। তাহলেই এসব থেকে অনেকটা রেহায় পাওয়া যাবে।

এনএইচবি/টিটি

Header Ad

৮ বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তিতে সতর্ক করল ইউজিসি

৮ বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তিতে সতর্ক করল ইউজিসি। ছবি: সংগৃহীত

দেশের আটটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তির ব্যাপারে ভর্তীচ্ছুদের সতর্ক করেছে বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি)। বৃহস্পতিবার (২৮ নভেম্বর) এক বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। এতে স্বাক্ষর করেছেন ইউজিসির পরিচালক (বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় বিভাগ) ড. মো. সুলতান মাহমুদ ভূইয়া।

ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীদের জন্য কয়েকটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের বর্তমান অবস্থা সংক্রান্ত সর্বশেষ তথ্য জানিয়ে ইউজিসির বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় বিভাগের পরিচালক স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় আইন, ২০১০ এর অধীনে বর্তমানে ১১৫টি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের অনুমোদন রয়েছে। এর মধ্যে শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে ১০৬টি বিশ্ববিদ্যালয়ে।

যেসব বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে মামলা মোকদ্দমাসহ বিভিন্ন ধরনের সমস্যা বিরাজমান, সে সব বিশ্ববিদ্যালয়ের তালিকা পূর্বের ধারাবাহিকতায় এবারও প্রকাশ করেছে কমিশন। বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়সমূহের হালনাগাদ তথ্য নিয়মিতভাবে কমিশনের ওয়েবসাইটেও আপলোড করা হয়।

অবৈধ ক্যাম্পাস ও অবৈধভাবে শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনাকারী বিশ্ববিদ্যালয়:

১. ইবাইস ইউনিভার্সিটি: সাময়িক অনুমতিপত্রের মেয়াদ উত্তীর্ণ হওয়ায় বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় আইন, ২০১০ এর ১২(১) ধারা অনুযায়ী বিশ্ববিদ্যালয়টির কার্যক্রমের আর কোন আইনগত ভিত্তি নেই। এ বিশ্ববিদ্যালয়ের অনুমোদিত কোনো ক্যাম্পাস ও ঠিকানা এবং চ্যান্সেলর তথা রাষ্ট্রপতি কর্তৃক নিয়োগকৃত ভিসি, প্রো-ভিসি ও ট্রেজারার নেই- তথা বৈধ কোন কর্তৃপক্ষ নেই।

এছাড়া বোর্ড অব ট্রাস্টিজ নিয়ে দ্বন্দ্ব এবং আদালতে মামলা রয়েছে। ফলে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় আইন অনুযায়ী ইবাইস ইউনিভার্সিটি’র একাডেমিক, প্রশাসনিক, আর্থিক, বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি, পরীক্ষা ও এর ফলাফল এবং প্রদত্ত একাডেমিক সনদের আইনগত কোনো বৈধতা নেই।

২. আমেরিকা বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি: বিশ্ববিদ্যালয়টির সাময়িক অনুমতিপত্রের মেয়াদোত্তীর্ণ হওয়ায় বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় আইন, ২০১০ এর ১২(১) ধারা অনুযায়ী বিশ্ববিদ্যালয়টির কার্যক্রমের আর কোনো আইনগত ভিত্তি নেই। বর্তমানে বিশ্ববিদ্যালয়টির অনুমোদিত কোনো ক্যাম্পাস ও ঠিকানা এবং চ্যান্সেলর তথা রাষ্ট্রপতি কর্তৃক নিয়োগকৃত ভিসি, প্রো-ভিসি ও ট্রেজারার নেই তথা বৈধ কোন কর্তৃপক্ষ নেই। ফলে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় আইন অনুযায়ী আমেরিকা বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি এর একাডেমিক, প্রশাসনিক, আর্থিক, বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি, পরীক্ষা ও উহার ফলাফল এবং প্রদত্ত একাডেমিক সনদের আইনগত কোন বৈধতা নেই।

৩. দি ইউনিভার্সিটি অব কুমিল্লা: বিশ্ববিদ্যালয়টির সাময়িক অনুমতিপত্রের মেয়াদ উত্তীর্ণ হওয়ায় বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় আইন, ২০১০ এর ১২(১) ধারা অনুযায়ী বিশ্ববিদ্যালয়টির কার্যক্রমের আর কোনো আইনগত ভিত্তি নেই। বিশ্ববিদ্যালয়টিতে চ্যান্সেলর তথা রাষ্ট্রপতি কর্তৃক নিয়োগকৃত ভিসি, প্রো-ভিসি ও ট্রেজারার নেই তথা বৈধ কোন কর্তৃপক্ষ নেই। ফলে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় আইন অনুযায়ী দি ইউনিভার্সিটি অব কুমিল্লা এর একাডেমিক, প্রশাসনিক, আর্থিক, বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি, পরীক্ষা ও এর ফলাফল এবং প্রদত্ত একাডেমিক সনদের আইনগত কোন বৈধতা নেই।

পাঁচটি বিশ্ববিদ্যালয়ের বর্তমান অবস্থা:

১. ভিক্টোরিয়া ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশ: নির্ধারিত সময়ে স্থায়ী ক্যাম্পাসে শিক্ষাসহ সব কার্যক্রম স্থানান্তরে ব্যর্থ হওয়ায় কমিশন কর্তৃক পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত ২০২৩ সালের ১ জানুয়ারি থেকে নতুন শিক্ষার্থী ভর্তি বন্ধ রয়েছে এবং তা এখনও বহাল রয়েছে। তবে উক্ত তারিখের পূর্বে চলমান কোর্সে ভর্তিকৃত শিক্ষার্থীদের শিক্ষা কার্যক্রম চলমান থাকবে।

২. সেন্ট্রাল ইউনিভার্সিটি অব সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি (ঢাকা): বিশ্ববিদ্যালয়টির সাময়িক অনুমতিপত্রের মেয়াদ উত্তীর্ণ হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়টিতে বর্তমানে রাষ্ট্রপতি বা চ্যান্সেলর কর্তৃক নিয়োগকৃত ভাইস চ্যান্সেলর নেই। ট্রেজারার নিয়োগ এবং শিক্ষা মন্ত্রণালয় কর্তৃক মনোনীত অডিট ফার্ম দ্বারা অডিট করা হয়নি। এছাড়া প্রতিষ্ঠালগ্ন হতে বোর্ড অব ট্রাস্টিজ গঠন সংক্রান্ত জটিলতা, পারস্পরিক দ্বন্দ্ব ও মামলা চলমান রয়েছে।

এ কারণে কমিশন কর্তৃক পরবর্তী নির্দেশনা না দেওয়া পর্যন্ত গত ২২ ফেব্রুয়ারি থেকে সেন্ট্রাল ইউনিভার্সিটি অব সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি-এর সব প্রোগ্রামে নতুন শিক্ষার্থী ভর্তি বন্ধ রয়েছে এবং তা এখনও বহাল আছে। তবে এ তারিখের পূর্বে চলমান কোর্সে ভর্তিকৃত শিক্ষার্থীদের শিক্ষা কার্যক্রম চলমান থাকবে।

৩. সাউদার্ন ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশ: এই বিশ্ববিদ্যালয়ের নামে একাধিক মামলা আদালতে বিচারাধীন রয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের আর্থিক, একাডেমিক ও প্রশাসনিক বিষয়েও তদন্ত কার্যক্রম চলমান আছে।

৪. দারুল ইহসান বিশ্ববিদ্যালয়: আদালতের আদেশবলে দারুল ইহসান বিশ্ববিদ্যালয় এবং এর সব আউটার ক্যাম্পাস বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। একই সঙ্গে দেশের সব বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের আউটার ক্যাম্পাস বন্ধ করা হয়েছে।

৫. কুইন্স ইউনিভার্সিটি: ২০০৬ সালের ২২ অক্টোবর সরকার কর্তৃক বন্ধ করা হয়। পরবর্তীতে বাতিল সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন শর্ত সাপেক্ষে এক বছরের জন্য প্রত্যাহার করা হয়েছিল। শর্তটি হলো- এক বছরের মধ্যে কুইন্স বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্পিত শিক্ষা কার্যক্রম সংক্রান্ত সব শর্ত পূরণ করতে হবে। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ যদি সব শর্ত পূরণ করতে সক্ষম না হয়, তবে শিক্ষা কার্যক্রম সংক্রান্ত এ সাময়িক অনুমতি তাৎক্ষণিক বাতিল হবে। শর্তানুযায়ী নির্ধারিত সময়ের মধ্যে কুইন্স ইউনিভার্সিটি শিক্ষা কার্যক্রম শুরু করতে সমর্থ হয়নি।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়সমূহে অর্জিত ডিগ্রির মূল সার্টিফিকেটে স্বাক্ষরকারী হবেন সংশ্লিষ্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রপতি তথা আচার্য কর্তৃক নিয়োগকৃত ভাইস-চ্যান্সেলর এবং পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক। শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনাকারী ১০৬টি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে রাষ্ট্রপতি কর্তৃক নিয়োগকৃত উপাচার্য রয়েছেন ৭৪টি বিশ্ববিদ্যালয়ে। কমিশনের ওয়েবসাইটে (www.ugc.gov.bd) এ সংক্রান্ত বিষয়ে সময়ে সময়ে তালিকা আপডেট করা হয়।

এ অবস্থায় বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির ক্ষেত্রে শুধুমাত্র সরকার ও বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশন কর্তৃক অনুমোদিত বিশ্ববিদ্যালয়ের অনুমোদিত ক্যাম্পাসে এবং অনুমোদিত প্রোগ্রামে ভর্তি হওয়ার জন্য ইউজিসির ওয়েবসাইট (www.ugc.gov.bd) থেকে তথ্য সংগ্রহপূর্বক ভর্তি হওয়ার জন্য পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়সমূহের জন্য প্রযোজ্য ক্ষেত্রে তারকা (*) চিহ্নসহ কমিশনের ওয়েবসাইটে (www.ugc.gov.bd) হালনাগাদ তথ্য আপলোড বা প্রদর্শন করা হয়।

এরপরও কেউ কোনো অননুমোদিত বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের অননুমোদিত ক্যাম্পাস, অননুমোদিত প্রোগ্রামে বা অনুমোদিত প্রোগ্রামে কমিশন নির্ধারিত আসন সংখ্যার বিপরীতে অতিরিক্ত আসনে ভর্তি হয়ে প্রতারিত হলে এবং পরবর্তীতে কোনো আইনগত সমস্যা সৃষ্টি হলে কিংবা বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ ঘোষিত অথবা প্রোগ্রাম বাতিল হলে বা অনুমোদিত আসন সংখ্যার অধিক আসনে ভর্তি হয়ে সনদ বাতিল হলে তার দায়-দায়িত্ব ইউজিসির ওপর বর্তাবে না বলে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে।

Header Ad

গোবিন্দগঞ্জে মসজিদের কমিটি নিয়ে দ্বন্দ্ব, সংঘর্ষে একজন নিহত

গোবিন্দগঞ্জে মসজিদের কমিটি নিয়ে দ্বন্দ্ব, সংঘর্ষে একজন নিহত। ছবি: ঢাকাপ্রকাশ

গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জে মসজিদের কমিটি গঠনকে কেন্দ্র করে দু’গ্রামবাসীর মধ্যে সংঘর্ষে সাইদুল ইসলাম (৪৫) নামের একজন নিহত হয়েছে। এ ঘটনায় আরো ৪ আহত হয়ে চিকিৎসাধীন রয়েছে।

শুক্রবার (২৯ নভেম্বর) জুম্মার নামাজের পর বেলা ২ টার দিকে উপজেলার ফুলবাড়ী ইউনিয়নের মালাধর উত্তরপাড়া গ্রামে এই ঘটনা ঘটে।

নিহত সাইদুল ওই গ্রামের মৃত হাসিব উদ্দীনের পুত্র। ঘটনার সাথে জড়িত থাকার অভিযোগে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য মালাধর গ্রামের আবুল কাশেমের পুত্র আব্দুল গফুর (৩৪), ফিরোজ খন্দকারের পুত্র শাকিল আহমেদ (২৭), সোহরাব খন্দকারের পুত্র সফিউল ইসলাম আহাদ (সোহাগ)কে আটক করেছে পুলিশ।

স্থানীয়রা জানান, নামাজের পর বেলা ২টার দিকে মসজিদের কমিটির নিয়ে আলোচনা চলছিল। এসময় মালাধর উত্তরপাড়া ও দক্ষিণ পাড়ার মধ্যে বাক-বিতণ্ডা শুরু হলে মসজিদের মধ্যেই সংঘর্ষ বাধে। খবর পেয়ে দুই গ্রামের লোকজন লাঠিশোঠা ধারালো অস্ত্রে সজ্জিত হয়ে তাতে অংশ নেয়। এতে সংঘর্ষ মসজিদের বাইরে ছড়িয়ে পরে। সংঘর্ষে উত্তরপাড়া গ্রামের সাইদুল ইসলাম ঘটনাস্থলেই মারা যায় এবং মতিন, শাহিন, আনিছুর ও মহব্বত নামের ৪জন গুরুতর আহত হয়। আহতদের স্থানীয় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

গোবিন্দগঞ্জ থানা অফিসার ইনচার্জ বুলবুল ইসলাম জানান, ঘটনার সাথে জড়িত অভিযোগে ৩জন আটক করা হয়েছে। ঘটনাস্থলে পুলিশ তদন্ত কাজ অব্যাহত রেখেছে। মামলার প্রস্তুতি চলছে।

Header Ad

ইসকন নিষিদ্ধের দাবিতে টাঙ্গাইলে প্রতিবাদ সমাবেশ ও বিক্ষোভ মিছিল

ইসকন নিষিদ্ধের দাবিতে টাঙ্গাইলে প্রতিবাদ সমাবেশ ও বিক্ষোভ মিছিল। ছবি: ঢাকাপ্রকাশ

চট্টগ্রাম আদালতের আইনজীবী অ্যাডভোকেট সাইফুল ইসলাম আলিফকে নৃশংসভাবে প্রকাশ্যে কুপিয়ে হত্যার প্রতিবাদ এবং রাষ্ট্র বিরোধী ষড়যন্ত্রে লিপ্ত থাকায় উগ্রবাদী জঙ্গি সংগঠন ইসকনকে নিষিদ্ধ করার দাবিতে টাঙ্গাইলে বিক্ষোভ ও প্রতিবাদ সমাবেশ করা হয়েছে।

শুক্রবার (২৯ নভেম্বর) জুমা’র নামাজের পর টাঙ্গাইল পৌর শহরের কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার প্রাঙ্গণে টাঙ্গাইল জেলা কওমী ওলামা পরিষদ ও টাঙ্গাইল জেলা ইমাম এবং মুয়াজ্জিন পরিষদের যৌথ উদ্যোগে প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।

এরপর মিছিলটি শহীদ মিনার থেকে বের হয়ে পৌর শহরের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে টাঙ্গাইল প্রেসক্লাবে সামনে এসে শেষ হয়।

এ সময় সমাবেশে টাঙ্গাইল জেলা কওমী ওলামা পরিষদের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মুফতি আব্দুর রহমান ও টাঙ্গাইল জেলা ইমাম ও মুয়াজ্জিন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক মাওলানা আব্দুল্লাহ আল মামুনসহ অন্যান্যরা বক্তব্য রাখেন।

Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

৮ বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তিতে সতর্ক করল ইউজিসি
গোবিন্দগঞ্জে মসজিদের কমিটি নিয়ে দ্বন্দ্ব, সংঘর্ষে একজন নিহত
ইসকন নিষিদ্ধের দাবিতে টাঙ্গাইলে প্রতিবাদ সমাবেশ ও বিক্ষোভ মিছিল
আফগানিস্তানকে হারিয়ে এশিয়া কাপে বাংলাদেশের শুভসূচনা
বাংলাদেশ নিয়ে ভারতীয় মিডিয়ার প্রচারণা ও ইসকন প্রসঙ্গে যা বলল দিল্লি
কারাগারে ডিভিশন পাননি চিন্ময়, খেতে দেওয়া হচ্ছে নিরামিষ
আওয়ামী লীগ শাসনামলে বছরে পাচার হয়েছে ১৪ বিলিয়ন ডলার
পরিবর্তন হচ্ছে যমুনা নদীর ওপর নির্মিত নতুন রেলসেতুর নাম
পূর্ণিমার প্রথম স্বামী কিবরিয়াকে বিয়ে করলেন চিত্রনায়িকা কেয়া
‘আইনজীবী সাইফুলের পরিবারের জন্য কোটি টাকার ফান্ড গড়া হচ্ছে’
ইসকনের নামে আওয়ামী লীগ নতুন করে আসার চেষ্টা করছে: হেফাজতে ইসলাম
ঢাকায় আজ মঞ্চ মাতাবেন আতিফ আসলাম
বিক্ষোভের দায়ে গ্রেপ্তার আরও ৭৫ বাংলাদেশিকে ক্ষমা করল আমিরাত
ভারতের দ্বিচারিতা নিন্দনীয় ও আপত্তিকর: আসিফ নজরুল
গাইবান্ধায় তিন বিএনপি নেতার পদ স্থগিত
সচিব আব্দুস সবুর মন্ডলকে বাধ্যতামূলক অবসর
চিন্ময় কৃষ্ণসহ ১৭ জনের ব্যাংক হিসাব জব্দ
তীব্র শীতে কাঁপছে উত্তরের জনপদ, তাপমাত্রা নেমেছে ১১.৪ ডিগ্রিতে
চুয়াডাঙ্গায় সেনা অভিযানে শীর্ষ সন্ত্রাসী মিল্টন অস্ত্রসহ গ্রেপ্তার
সরকার পতনের পর থেকে অনুপস্থিত কুবি কর্মকর্তা, তদন্ত কমিটি গঠন