সোমবার, ২৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ | ১১ ফাল্গুন ১৪৩১
Dhaka Prokash

ফিরে দেখা-২০২১

নেতৃত্বগুণে আলোচনায় ছিলেন শেখ হাসিনা

করোনা মহামারির মধ্যে আরও একটি বছর বিদায় নিল। বিদায় নেওয়া বছর রেখে গেছে কিছু স্মরণীয় স্মৃতি। রাজনৈতিক অঙ্গণে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ছিলেন অপ্রতিরোধ্য। অন্যান্য রাজনৈতিক দলের প্রধানরা যেখানে নিজেকে গুটিয়ে রেখেছিলেন। সেখানে আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভার্চুয়ালি হলেও প্রতিনিয়ত নির্দেশনা দিয়ে প্রশাসন ও দলকে চাঙ্গা রেখেছিলেন।

করোনাভাইরাস প্রতিরোধের প্রতিষেধক টিকা প্রাপ্তিতে বিশ্বের অন্যান্য দেশ যখন টালমাটাল তখন উন্নত দেশগুলোর সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে টিকা প্রাপ্তি নিশ্চিত করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সকল ষড়যন্ত্র ও ধোঁয়াশা দূর করে আলোর পথ দেখান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

বাংলাদেশে প্রথম করোনা রোগী শনাক্ত হয় ২০২০ সালের ৮ মার্চ। একই বছর ১৬ মার্চ থেকে সকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা করা হয়। করোনাভাইরাস প্রতিরোধে প্রধানমন্ত্রীর সাহসী এই পদক্ষেপ দেশের তরুণ সমাজকে সুরক্ষিত করে। চারদিকে যখন স্কুল খুলে দেওয়ার জোর দাবি ওঠে তখনও অনড় থাকেন প্রধানমন্ত্রী। শিক্ষার্থীদের টিকা নিশ্চিত করেই স্কুল খোলার সিদ্ধান্ত নেন। প্রধানমন্ত্রীর এই সিদ্ধান্তও সব মহলে প্রশংসিত হয়। দীর্ঘ ৫৪৪ দিন বন্ধ থাকার পর ২০২১ সালের ১২ সেপ্টেম্বর খোলা হয় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান।

করোনাকালে প্রধানমন্ত্রীর কিছু দিক নির্দেশনামূলক বক্তব্য ছিল আলোচনার কেন্দ্র বিন্দুতে। তিনি বলেছিলেন, এক ইঞ্চি জায়গাও অনাবাদি রাখা যাবে না। করোনা ভাইরাস থেকে নিজেকে এবং পরিবারকে রক্ষার্থে সকলে মাস্ক পরিধান করার জন্য প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দেন। তার এই নির্দেশনা সকল সরকারি বেসরকারি অফিস আদালতে বাধ্যতামূলক করা হয়। করোনাভাইরাসের প্রভাবে যখন সারাবিশ্বের শিল্পকারখানাগুলো অচল হয়ে পড়ছিল তখন প্রণোদনা প্যাকেজ ঘোষণা করে দেশের শিল্প মালিকদের উজ্জীবিত করেন শেখ হাসিনা। তার নেতৃত্বে ঘুরে দাঁড়ায় শিল্পখাত।

আন্তর্জাতিক পুরস্কার অর্জন
বিদায়ী বছরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অর্জনও ছিল। প্রধানমন্ত্রীর সাহসী সিদ্ধান্ত ও পদক্ষেপগুলোর কারণে বিদায়ী বছরে জাতিসংঘের সাসটেইনেবল ডেভলপমেন্ট সল্যুশনস নেটওয়ার্ক (এসডিএসএন) দারিদ্র দূরীকরণ, পৃথিবীর সুরক্ষা ও সবার জন্য শান্তি সমৃদ্ধি নিশ্চিত করতে উদ্যোগ গ্রহণের সর্বজনীন আহ্বানে সাড়া দিয়ে বাংলাদেশকে সঠিক পথে এগিয়ে নেওয়ায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ‘এসডিজি অগ্রগতি পুরস্কার’ দেওয়া হয়।

এ বছর উইটসা এমিনেন্ট পারসনস অ্যাওয়ার্ড ২০২১–এ ভূষিত হয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ’ কর্মসূচি প্রণয়ন ও তা বাস্তবায়নে নেতৃত্বদান এবং তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে বাংলাদেশের মানুষের জীবনমান উন্নয়নে অসামান্য অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ প্রধানমন্ত্রীকে এ পুরস্কার দেওয়া হয়েছে। বিশ্বের ৮০টি দেশের সদস্যভুক্ত সংগঠন ‘ওয়ার্ল্ড ইনফরমেশন টেকনোলজি অ্যান্ড সার্ভিসেস অ্যালায়েন্স’ তথ্যপ্রযুক্তির অলিম্পিক খ্যাত ‘উইটসা ২০২১’ পুরস্কার দিয়েছে।

বাংলাদেশের স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী ও মুজিব শতবর্ষ উদযাপন উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ডাকে বিশ্বের অনেক নেতা সাড়া দেন। অনেকে স্বশরীরে উপস্থিত হয়ে বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন। প্রথম বিশ্বনেতা হিসেবে ২০২১ সালের ১৭ মার্চ ঢাকায় আসেন মালদ্বীপের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম মোহাম্মদ সলিহ। এ ছাড়া ঢাকায় আসেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। সেই অনুষ্ঠানে চীন, জাপান, যুক্তরাজ্য, যুক্তরাষ্ট্র, কানাডাসহ বিশ্বের অনেক নেতা শুভেচ্ছা বার্তা পাঠান। যা বাংলাদেশের ইতিহাসে অন্যন্য।

বিদায়ী বছরের শেষভাগে অর্থাৎ বিজয়ের ৫০ বছর পূর্তি অনুষ্ঠানে যোগদান করেন ভারতের রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ। এক বছরে এত সংখ্যক বিশ্ব নেতার আগমন বাংলাদেশের ভাবমূর্তি বিশ্বে উজ্জ্বল করে। প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্ব গুণে অপ্রতিরোধ্য গতিতে এগিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশ। বিশ্বের শ্রেষ্ঠ নেতাদের মধ্যে শেখ হাসিনার নামও উচ্চারিত হয়।

এসএম/টিটি/

Header Ad
Header Ad

বাংলাদেশ থেকে আসা বিদ্বেষী বার্তায় অসন্তুষ্ট নয়াদিল্লি: জয়শঙ্কর

ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর। ছবি: সংগৃহীত

ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর বলেন, বাংলাদেশ যদি ভারতের সঙ্গে স্বাভাবিক সম্পর্ক বজায় রাখতে চায়, তবে তাদের বারবার অভ্যন্তরীণ সমস্যার জন্য নয়াদিল্লিকে দোষারোপ করা থেকে বিরত থাকতে হবে।

রোববার নয়াদিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ে সাহিত্য উৎসবে বক্তব্যে এ কথাগুলো বলেন জয়শঙ্কর। তিনি বলেন, ‘প্রতিদিন অন্তর্বর্তী সরকারের কেউ একজন ওঠে এবং সবকিছুর জন্য ভারতকে দায়ী করে, এমন সব বিষয়ের জন্য এই দোষারোপ করে যদি আপনি খবরগুলো দেখেন তাহলে দেখবেন সেগুলো খুবই হাস্যকর। আপনি এক পক্ষ থেকে বলতে পারেন না, আমি এখন আপনার সঙ্গে ভালো সম্পর্ক চাই। কিন্তু আমি প্রতিদিন সকালে ঘুম থেকে উঠি এবং সবকিছুর জন্য আপনাকে দায়ী করি, তাহলে তা ভুল হয়। এটা একটা সিদ্ধান্তের ব্যাপার, যা তাদের নিতে হবে।’

জয়শঙ্কর বলেন, ভারত ঢাকাকে খুবই স্পষ্ট একটি ইঙ্গিত দিয়েছে। সেটি হলো ভারত দেখতে চায় ‘এসব বন্ধ’ হয়েছে এবং স্বাভাবিক দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক পুনরায় চালু হয়েছে। কিন্তু সীমান্তের ওপার থেকে ক্রমাগত আসা বিদ্বেষী বার্তায় অসন্তুষ্ট নয়াদিল্লি।

বক্তব্যে ভারতের জন্য ‘খুব সমস্যাজনক’ দুটি বিষয় তুলে ধরেছেন জয়শঙ্কর। প্রথম বিষয়টি সম্পর্কে তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের ওপর হামলা বেড়েই চলেছে। অবশ্যই এটি এমন একটি বিষয়, যা আমাদের চিন্তাভাবনার ওপর প্রভাব ফেলে এবং এটা নিয়ে আমাদের সোচ্চার হতে হবে, যেটা আমরা হয়েছি।’

জয়শঙ্কর আরও বলেন, দ্বিতীয় বিষয়টি হলো, বাংলাদেশের নিজস্ব রাজনীতি রয়েছে। তবে দিন শেষে দুই দেশই প্রতিবেশী। তিনি আরও বলেন, ‘তাদের (বাংলাদেশ) মনস্থির করতে হবে, তারা আমাদের সঙ্গে কোন ধরনের সম্পর্ক চায়। বাংলাদেশের সঙ্গে আমাদের দীর্ঘ ইতিহাস রয়েছে। বাংলাদেশের সঙ্গে আমাদের খুবই বিশেষ একটি সম্পর্ক রয়েছে। এই সম্পর্কের শিকড় ১৯৭১ সালে।’

ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, নিজেদের অভ্যন্তরীণ সমস্যাগুলো নিয়ে নয়াদিল্লিকে অব্যাহতভাবে দোষারোপের পাশাপাশি ভারতের সঙ্গে স্বাভাবিক সম্পর্কের দাবি করতে পারে না ঢাকা। ভারতের জন্য প্রতিকূল এমন বার্তা বা সংকেত অবশ্যই দেখতে চায় না নয়াদিল্লি।

Header Ad
Header Ad

কক্সবাজারে বিমান বাহিনী ঘাঁটিতে দুর্বৃত্তদের হামলা

ছবি: সংগৃহীত

বিমান বাহিনী ঘাঁটি কক্সবাজার সংলগ্ন সমিতি পাড়ার কিছু দুর্বৃত্ত বিমান বাহিনী ঘাঁটি কক্সবাজারের উপর অতর্কিত হামলা চালিয়েছে।

সোমবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর) এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, বিমান ঘাঁটির পাশের সমিতি পাড়ার কিছু দুর্বৃত্ত অতর্কিত হামলা চালায়। এ ব্যাপারে বাংলাদেশ বিমান বাহিনী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিচ্ছে।

বিস্তারিত আসছে...

Header Ad
Header Ad

আমাদের ব্যর্থতা আছে অস্বীকার করার উপায় নেই: আসিফ নজরুল

আইন উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল। ছবি: সংগৃহীত

দেশের বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে ব্যর্থতার দায় স্বীকার করেছেন আইন উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল। তিনি বলেছেন, আমাদের ব্যর্থতা আছে, এটা অস্বীকার করার কোনো কারণ নাই। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি এমন যে আমাদের আত্মতুষ্টির সুযোগ নাই।

তবে আমাদের চেষ্টা আছে এবং আত্ম-জিজ্ঞাসা আছে। ব্যর্থতা উত্তরণের জন্য আমাদের প্রচণ্ড চেষ্টা আছে, তাড়না আছে। প্রত্যেকটা ব্যর্থতার ক্ষেত্রে প্রচণ্ড চেষ্টা আছে।

‘দেশের পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে মানবাধিকার ও পরিবেশের ওপর গুরুত্বসহ আইন প্রয়োগ’ বিষয়ক কর্মশালায় যোগদানের পূর্বে সাংবাদিকদের কাছে এমন মন্তব্য করেন। আজ সোমবার দুপুরে রাজশাহীর পিটিআই মিলনায়তনে এ কর্মশালার আয়োজন করা হয়।

এ সময় আইন উপদেষ্টা বলেন, আমরা একটা ধ্বংসপ্রাপ্ত প্রতিষ্ঠান নিয়ে কাজ করছি; বিশেষ করে পুলিশ প্রশাসন ও বিচার বিভাগ। সেখান থেকে দাঁড়াতে আমাদের সময় লাগছে।

তিনি আরও বলেন, পতিত ফ্যাসিস্ট শক্তির হাতে হাজার হাজার কোটি টাকা আছে, টাকা থাকলে এবং বদ মতলব থাকলে দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নষ্ট করা সম্ভব। সে বিষয়টিও দেখা হচ্ছে। আমাদের স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি উন্নয়নে কাজ করছেন এবং আমাদের কো-অর্ডিনেশন মিটিংয়েও বিষয়টি নিয়ে আলোচনা হচ্ছে।

চলমান বিচার পদ্ধতি নিয়ে আসিফ নজরুল বলেন, যাদের বিরুদ্ধে অভিযোগের শক্ত প্রমাণ আছে তাদের বিরুদ্ধে যেন যথোপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়া হয়। আর যারা নির্দোষ তাদের যেন অযথা হয়রানি করা না হয় সে বিষয়টিও সমন্বয় করে দেখার নির্দেশনা দেওয়া হবে।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

বাংলাদেশ থেকে আসা বিদ্বেষী বার্তায় অসন্তুষ্ট নয়াদিল্লি: জয়শঙ্কর
কক্সবাজারে বিমান বাহিনী ঘাঁটিতে দুর্বৃত্তদের হামলা
আমাদের ব্যর্থতা আছে অস্বীকার করার উপায় নেই: আসিফ নজরুল
মিঠাপুকুরে ধর্ষকের গ্রেফতার ও বিচারের দাবিতে সড়ক অবরোধ ও কুশপুত্তলিকা দাহ
এবার মেহেদি হাসান ও বিপ্লব কুমার চাকরি থেকে বরখাস্ত
এমসি কলেজ শিক্ষার্থীকে মারধরের ঘটনায় জামায়াত আমিরের দায় স্বীকার  
লালমনিরহাটে জামাত-শিবিরের কলেজ দখলের চেষ্টা
গাইবান্ধায় আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগের দুই নেতাকে গ্রেপ্তার  
এলিফ্যান্ট রোডের একটি বাসা থেকে ঢাবি ছাত্রীর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার
চ্যানেল ‘চ্যানেল ওয়ান’ সম্প্রচারে বাধা নেই  
নেতানিয়াহুর বিরুদ্ধে যুদ্ধবিরতি চুক্তি ভাঙার অভিযোগ  
‘ডু অর ডাই’ ম্যাচে নিউজল্যান্ডের বিপক্ষে আজ মাঠে নামছে বাংলাদেশ
আ:লীগ পাচার হওয়া অর্থ দিয়ে দেশকে অস্থিতিশীল করছে : স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা  
বনশ্রীতে ব্যবসায়ীকে গুলি করে ২০০ ভরি সোনা ছিনতাই    
চট্টগ্রাম কলেজে ছাত্রদলের ওপর ছাত্রশিবিরের হামলা
সেমিফাইনালের পথে ভারত, কোহলির সেঞ্চুরিতে পাকিস্তানের হার
নাহিদের পদত্যাগ নিয়ে যা জানা গেল
দুর্ঘটনায় আহত ছেলেকে হাসপাতালে দেখতে যাওয়ার পথে সড়কে প্রাণ গেল মায়ের
অতিরিক্ত দুশ্চিন্তা দ্রুত মৃত্যু ডেকে আনে!
জীবন থাকতে কোনো স্থানীয় নির্বাচন করতে দেওয়া হবে না: ইঞ্জিনিয়ার ইশরাক