রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪ | ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

ফিরে দেখা ২০২১

মেগা প্রকল্পের মধ্যে এগিয়ে আছে পদ্মা সেতু

কোভিডের দ্বিতীয় বছরে এসেও আশার কথা হলো–মেগা প্রকল্পগুলোর কয়েকটার কাজ দ্রুতগতিতে এগিয়ে চলছে। এর মধ্যে সবচেয়ে বড় অগ্রগতি হচ্ছে পদ্মা সেতুতে। তার পরই রয়েছে দেশের প্রথম মেট্রোরেল প্রকল্প। রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্রকল্পের কাজও এগিয়েছে আশানুরূপ। একইভাবে মাতারবাড়ি কয়লা বিদ্যুৎ প্রকল্পের কাজও এগিয়েছে উল্লেখযোগ্যভাবে। এর বিপরীতে রামপাল কয়লা বিদ্যুৎ প্রকল্পের কাজ প্রত্যাশা অনুযায়ী এগোয়নি।

মেগা প্রকল্পগুলোর মধ্যে কর্ণফুলী টানেলের কাজ প্রায় শেষ পর্যায়ে। চট্টগ্রামের হাটহাজারি থেকে কক্সবাজার পর্যন্ত রেল প্রকল্পের কাজ চলছে বেশ দ্রুতগতিতে।

অন্যদিকে, রাজধানীর কাউলা থেকে কুতুবখালী পর্যন্ত প্রাইভেট-পাবলিক পার্টনারশিপের (পিপিপি) মাধ্যমে যে এলিভেটেড বা উড়াল সড়ক নির্মাণ করা হচ্ছে, তার গতি খুব ধীর। নানান কারণে বারবার কাজ বিলম্বিত হওয়ায় এই প্রকল্পে অগ্রগতি আশানুরূপ হচ্ছে না।

দেশের অবকাঠামো ও বিদ্যুৎ খাতের উন্নয়নে নেওয়া মেগা প্রকল্পগুলোর মধ্যে মোটা দাগে এগুলো হচ্ছে সবচেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ এবং প্রধানমন্ত্রীর অগ্রাধিকার প্রকল্প।

২০২১ সালে এই প্রকল্পগুলোর কাজের অগ্রগতি পর্যালোচনা করে দেখা যাচ্ছে–সবচেয়ে এগিয়ে আছে পদ্মা বহুমুখী সেতু প্রকল্প। ২০২২ সালের জুন মাসে সরকার পদ্মা সেতু খুলে দিতে চায় যানবাহন চলাচলের জন্য সে লক্ষ্যে মূল সেতুর কাজ এগিয়ে চলছে দ্রুতগতিতে। ইতিমধ্যে সেতুর উপরের সড়ক কার্পেটিংয়ের কাজ চলছে।

সেতু বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, বৃহস্পতিবার (৩০ ডিসেম্বর) পর্যন্ত পদ্মা সেতু প্রকল্পের কাজের সার্বিক অগ্রগতি হচ্ছে ৮৯ দশমিক ৫০ শতাংশ। মূল সেতুর কাজ শেষ হয়েছে ৯৫ দশমিক ৫০ শতাংশ। আর নদী শাসনের কাজ হয়েছে ৮৭ শতাংশ। কোভিডের কারণে সর্বোচ্চ সতর্কতা অবলম্বন করে পদ্মা সেতু প্রকল্পের কাজ চলে ধারাবাহিকভাবে। যার ফলে সেতুর কাজে দ্রুত অগ্রগতি হয়।

তবে বিপরীত চিত্র হচ্ছে পদ্মা সেতুর রেল লাইন প্রকল্পে। এই প্রকল্পের কাজ নানান কারণে ধীরগতিতে চলায় আগামী বছরের জুনে সড়ক-সেতু খেুলে দেওয়া গেলেও রেলের অংশ খুলে দেওয়া সম্ভব হচ্ছে না। সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, মূল সেতুর রেল লাইনের অংশের কাজ শুরু হতে হতে আরও অন্তত ছয় মাস অপেক্ষা করতে হবে।

মূল সেতুর সকল কাজ শেষ হওয়ার পর সেতু কর্তৃপক্ষ রেলের কাজ করার জন্য সেতুটি বুঝিয়ে দেবেন রেল কর্তৃপক্ষকে। এর আগপর্যন্ত সেতুতে রেললাইনের কাজ বন্ধ থকবে।
তবে রেল মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, ঢাকার পোস্তগোলা থেকে মাওয়া পর্যন্ত অংশে রেললাইন নির্মাণের কাজ দ্রুত গতিতে এগিয়ে চলছে। আগামী বছরের ডিসেম্বরে এই অংশ চালু করা সম্ভব। সম্প্রতি মাওয়া সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবনিমিয়কালে এমনটাই জানিয়েছেন রেলমন্ত্রী নুরল ইসলাম সুজন।

পদ্মা সেতুর পর কাজের অগ্রগতির দিক দিয়ে এগিয়ে আছে মেট্রোরেল লাইন-৬ এর কাজ। এই প্রকল্পটির কাজ শেষ হওয়ার নির্ধারিত সময় হচ্ছে ২০২৪ সালের জুন। ইতিমধ্যে এই প্রকল্পের উত্তরা তৃতীয় প্রকল্প থেকে আগারগাঁও পর্যন্ত কাজের ব্যাপক অগ্রগতি হয়েছে।

ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেডের নভেম্বর মাসে দেয়া সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, মেট্রোরেল লাইন-৬ এর কাজের সার্বিক অগ্রগতি হচ্ছে ৭২ দশমিক ৯৯ শতাংশ। আর উত্তরা তৃতীয় প্রকল্প থেকে আগারগাঁও পর্যন্ত কাজের অগ্রগতি হচ্ছে ৮৯ দশমিক ৮৮ শতাংশ। অপরদিকে, আগারগাঁও থেকে মতিঝিল পর্যন্ত কাজের অগ্রগতি হচ্ছে ৭১ দশমিক ৮২ শতাংশ।

মেট্রোরেল সূত্র জানায়, করোনাকালীন সময়ে প্রথম বছরে প্রকল্পের কাজ চালিয়ে নিতে বেশ কঠিন অবস্থার মুখোমুখি পড়তে হয়েছিল। তবে ২০২১ সালে এসে এই প্রকল্পের কাজের বেশ অগ্রগতি হয়েছে। মহামারির কথা মাথায় রেখে সবরকম প্রস্তুতি নিয়ে বিদায়ী বছরে দিনে-রাতে বিরামহীন কাজ চলছে মেট্রোরেল লাইন-৬। যার ফলে অগ্রগতি হয়েছে উল্লেখ করার মতো।

বিদায়ী বছরের মাঝামাঝি এসে গত ২৭ আগস্ট প্রথমবারের মতো মেট্রোরেল পরীক্ষামূলক চালু হয় দিয়াবাড়ি ডিপো থেকে উত্তরা উত্তর, উত্তরা সেন্টার ও উত্তরা দক্ষিণ হয়ে পল্লবী পর্যন্ত। এরপর গত ১২ ডিসেম্বর মেট্রোরেলের একটি ট্রেন পরীক্ষামূলকভাবে প্রথমবারের মতো দিয়াবাড়ি থেকে আগারগাঁও পর্যন্ত আসে।

মেট্রোরেল কর্তৃপক্ষ আশা করছে, আগামী বছরের ডিসেম্বরে দিয়াবাড়ি থেকে আগারগাঁও পর্যন্ত যাত্রীদের জন্য ট্রেন খুলে দেওয়া হবে। এই সময়ে মধ্যে এই অংশের অন্যান্য সব কাজও সম্পন্ন হবে বলে প্রত্যাশা প্রকল্পের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) এম এ এন ছিদ্দিকের।

মেগা প্রকল্পের আরেকটি উল্লেখযোগ্য প্রকল্প হচ্ছে কর্ণফুলী টানেল প্রকল্প। তিন দশমিক ৩২ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের কর্ণফুলী টানেলের কাজ শেষ হওয়ার কথা ২০২২ সালের ডিসেম্বর মাসে। সে লক্ষ্যে দ্রুতগতিতে কাজ এগিয়ে চলছে। ২০২০ সালের আগস্টে টানেলের একাংশের কাজ শতভাগ শেষ হয়। এরপর কোভিড-১৯ মহামারির এই সময়ে গত এক বছরে কাজ এগিয়ে গেছে ধারাবাহিকভাবে। ২০২১ সালের শেষে এসে প্রকল্পের কাজের সার্বিক অগ্রগতি হচ্ছে ৭৬ শতাংশ। প্রকল্প সংশ্লিষ্টরা আশা করছেন, নির্ধারিত সময়ের মধ্যেই প্রকল্পের কাজ শেষ হবে এবং যানবাহন চলাচলের জন্য খুলে দেওয়া হবে।

ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে বা উড়াল সড়ক। পিপিপি’র ভিত্তিতে নির্মাণাধীন এই প্রকল্পের দৈর্ঘ্য হচ্ছে ১৯ দশমিক ৭৩ কিলোমিটার। তবে র‍্যাম্পসহ প্রকল্পের মোট দৈর্ঘ্য হচ্ছে ৪৬ দশমিক ৭৩ শতাংশ। রাজধানীর বিমাবন্দর সংলগ্ন কাউনিয়া থেকে কুড়িল-বনানী-মহাখালী-তেজগাঁও-মগবাজার-কমলাপুর-সায়েদাবাদ-যাত্রাবাড়ী হয়ে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুতুবখালী গিয়ে শেষ হবে।

২০১৭ সালের এই প্রকল্পের কাজ শুরু হয়েছিল অগ্রাধিকার ভিত্তিতে। কিন্তু তহবিল সংকটের কারণে প্রকল্পের কাজে ধীরগতি লক্ষ্য করা যায় শুরু থেকেই। তবে বিদায়ী বছরে এসে বেশ অগ্রগতি হয়েছে এই প্রকল্পের। ইতিমধ্যে প্রকল্পের কাজে সার্বিক অগ্রগতি হচ্ছে ৪০ শতাংশ। আর প্রথম ধাপে বিমানবন্দর সংলগ্ন কাউনিয়া থেকে বনানী পর্যন্ত কাজের অগ্রগতি হচ্ছে ৭৫ শতাংশ।

এই প্রকল্পের নির্মাণকাজ শেষ হলে রাজধানীবাসী কিছুটা হলেও যানজটের কবল থেকে মুক্তি পেতে পারেন। তবে প্রকল্পের কাজ কবে শেষ হবে এটা নিশ্চিত করে বলা বেশ কঠিন।

সরকারের অগ্রাধিকার ভিত্তিক মেগা প্রকল্পে গুরুত্ত্ব দেয়া হয়েছে বিদ্যুৎখাতকেও। সে লক্ষ্যে নেওয়া বিদ্যুৎ খাতের তিন বড় প্রকল্পের মধ্যে রয়েছে রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্রকল্প, মাতারবাড়ি কয়লা বিদ্যুৎ প্রকল্প ও রামপাল বিদ্যুৎ প্রকল্প।

এর মধ্যে রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্রকল্পের কাজের সার্বিক অগ্রগতি হচ্ছে ৫০ শতাংশ। রূপপুরে এক হাজার ২০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন ক্ষমতার ভিভিআর-প্রযুক্তির রিয়্যাক্টরের দুটি ইউনিট তৈরি হবে। এরমধ্যে প্রথম ইউনিট ২০২৩ সালে অপারেশনে আসার কথা। আর দ্বিতীয়টি আসার কথা ২০২৪ সালে।

মাতারবাড়ি কয়লা বিদ্যুৎ কেন্দ্রের কাজ শুরু হয়েছিল ২০১৮ সালে। কিন্তু কাজের অগ্রগতি খুবই ধীর। ২০২১ সাল শেষে এই প্রকল্পের অগ্রগতি বলতে চ্যানেল ও পোর্টের কাজ চলছে। এখানে দুটি ইউনিট হবে। এরমধ্যে একটি ইউনিট ২০২৫ সালে ও অপরটি ২০২৬ সালে চালু হওয়ার কথা। কিন্তু কাজের যে গতি তাতে নির্ধারিত সময়ে চালু হওয়া নিয়ে সংশয় রয়ে গেছে।

আরেক প্রকল্প রামপালেও বিদ্যুৎ এর দুটি ইউনিট হবে। এরমধ্যে একটি ইউনিট বিদায়ী বছরের ডিসেম্বরে উৎপাদনে আসার কথা থাকলেও সেটা আর হয়নি। এখন পত্যাশা করা হচ্ছে ২০২২ সালের মাঝামাঝি চালু হতে।

এনএইচবি/এসএ/

Header Ad

গোপনে দুইজনকে বিয়ে, কাউকেই অধিকার বঞ্চিত করেননি জান্নাতুল

ছবি: সংগৃহীত

একইসঙ্গে দুই স্বামীর সঙ্গেই সংসার করছেন জান্নাতুল ফেরদৌস নামের এক নারী। স্ত্রীর অধিকার থেকে বঞ্চিত করেননি দুই স্বামীর কাউকেই। গোপনে মন জয় করে চলছিলেন দুই স্বামীর। প্রায় দুই বছর দুই স্বামীর সংসার করার পর অবশেষে বিষয়টি জানাজানি হলে এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।

চার বছরের প্রেমের সম্পর্কের পর ২০২২ সালের ২৭ অক্টোবর নোটারি পাবলিকের কার্যালয়ে হলফনামার মাধ্যমে গোপনে বিয়ে করেন রাজবাড়ী সদরের আলীপুর ইউনিয়নের ইন্দ্রনারায়ণপুর গ্রামের আবু হানিফ শেখের ছেলে ইউটিউবার সাগর শেখ ও আলীপুর গ্রামের নুরুল ইসলাম ভূঁইয়ার মেয়ে জান্নাতুল ফেরদৌস।

বাবা, মা ও ভাই প্রবাসে থাকায় বাবার বাড়িতে একাই বসবাস করতেন জান্নাতুল। সেখানে যাতায়াত করতেন স্বামী সাগর শেখ। সংসার জীবন ভালোই চলছিল এ দম্পতির। হঠাৎ জান্নাতুলের বাবা প্রবাস থেকে দেশে ফেরায় শ্বশুরবাড়ি যাতায়াত বন্ধ হয়ে যায় সাগরের। এরই মধ্যে প্রথম বিয়ের কথা গোপন রেখে পরিবারের সিদ্ধান্তে অন্য এক যুবককে দ্বিতীয় বিয়ে করেন জান্নাতুল।

এদিকে স্ত্রীকে আনুষ্ঠানিকভাবে নিজের বাড়িতে তুলে না নেয়ায় শ্বশুরবাড়ি গিয়ে স্ত্রীর সঙ্গে নিয়মিত সময় কাটান জান্নাতুলের দ্বিতীয় স্বামী। প্রথম স্বামী সাগরের দাবি, প্রায় দুই বছর ধরে তার সঙ্গেও স্বামী-স্ত্রীর সম্পর্ক ঠিক রেখে চলছিলেন জান্নাতুল।

স্ত্রীর পরিবার তাকে মেনে না নেয়ায় তার বোনের বাসাসহ বিভিন্ন স্থানে একান্তে সময় কাটাতেন স্বামী-স্ত্রী। চলতি মাসের ২ নভেম্বর তারা একসঙ্গে নিজেদের দ্বিতীয় বিবাহবার্ষিকী পালন করেছেন বলেও দাবি করেন সাগর।

তবে দুই সপ্তাহ আগে স্ত্রীর সঙ্গে দ্বিতীয় স্বামীর ঘনিষ্ঠতার বিষয়ে জানতে পারেন সাগর। আর এতেই বাঁধে বিপত্তি। তার সঙ্গে যোগাযোগ বন্ধ করে দেন জান্নাতুল। এখন দ্বিতীয় স্বামী নিয়েই সংসার করতে আগ্রহী তিনি। বাধ্য হয়ে স্ত্রীকে ফিরে পেতে স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদে অভিযোগ দায়েরের পাশাপাশি আদালতে মামলা করেছেন সাগর।

সাগর শেখ বলেন, জান্নাতুল ও আমার বিয়ের বিষয়টি জান্নাতুলের মা ও বোন জানতো। বিয়ের পর আমাদের সংসার জীবন ভালোই কাটছিল। তবে হঠাৎ করে জান্নাতুলের বাবা প্রবাস থেকে দেশে ফেরায় তাদের বাড়িতে আমার যাতায়াত বন্ধ হয়ে যায়। আমাদের বিয়ের চার মাসের মাথায় আমি ভিডিও কন্টেন্ট তৈরির কাজে কয়েকদিনের জন্য রাজবাড়ীর বাইরে যাই।

কাজ থেকে এসে শুনি আমার স্ত্রী জান্নাতুল অন্য এক ছেলেকে বিয়ে করেছে। আমি আমার স্ত্রীকে প্রশ্ন করলে সে বলে, ‘পরিবারের চাপে বিয়ে করেছি। ওই ছেলের সঙ্গে আমার কোন সম্পর্ক হয়নি। আমি তোমার স্ত্রী আছি, তোমারই থাকবো। আমার আম্মু দেশে আসলে আমি তোমার কাছে চলে আসবো।’

সাগর বলেন, ‘আমি জান্নাতুলদের বাড়ি যাতায়াত করতে না পারার কারণে বিভিন্ন সময় আমরা রাজবাড়ী শহরে আমার বোনের বাসায় ঘনিষ্ঠ সময় কাটাতাম। ওর কলেজে আনা-নেয়াসহ সবকিছু আমিই করতাম। এমনকি গত ২ নভেম্বরও আমরা আমার বোনের বাসায় আমাদের দ্বিতীয় বিবাহ বার্ষিকী পালন করেছি।

তবে বিবাহ বার্ষিকী পালনের দুদিন পরে আমি জানতে পারি জান্নাতুলের সঙ্গে ওই ছেলের (দ্বিতীয় স্বামীর) ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক চলছে। ওই ছেলে নিয়মিত জান্নাতুলের বাবার বাড়িতে এসে তার সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সময় কাটাচ্ছে। এ বিষয়ে আমি জান্নাতুলকে প্রশ্ন করলে সে আমাকে গালাগালি করে যোগাযোগ বন্ধ করে দেয়। এক পর্যায়ে সে আমার সঙ্গে সংসার করবে না বলেও জানায়।’

তিনি বলেন, ‘সম্প্রতি জান্নাতুলের মা প্রবাস থেকে দেশে ফিরেছে। তিনিও এখন আমাকে মেয়ের জামাই হিসেবে অস্বীকার করছেন। অথচ তার মেয়ের সঙ্গে আমার প্রেম থেকে শুরু করে বিয়ে পর্যন্ত সবকিছুই তিনি জানতেন।

এখন বাধ্য হয়ে আমি আমার স্ত্রীকে ফিরে পেতে আলীপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানের কাছে গত ১১ নভেম্বর লিখিত অভিযোগ করেছি। এছাড়া ১৭ নভেম্বর রাজবাড়ীর বিজ্ঞ ১নং আমলি আদালতে মামলা করেছি।’

সাগর আরও বলেন, ‘আমাকে ডিভোর্স না দিয়ে আমার স্ত্রী অন্য আরেকজনকে বিয়ে করে আমার সঙ্গে প্রতারণা করেছে। সে আমাকেও ম্যানেজ করে চলেছে, একইভাবে তার দ্বিতীয় স্বামীকেও ম্যানেজ করে চলেছে।

এটা আইন ও ধর্মীয় দুই দিক থেকেই অপরাধ। এছাড়া আমি এ পর্যন্ত আমার স্ত্রীর পেছনে ২৫ থেকে ৩০ লাখ টাকা ব্যয় করেছি। তারপরও আমি আমার স্ত্রীকে ফেরত চাই। তাকে আমি আমার জীবনের চেয়েও বেশি ভালোবাসি।’

এদিকে, বিষয়টি নিয়ে ক্যামেরার সামনে কথা বলতে রাজী হননি জান্নাতুলের দ্বিতীয় স্বামী। তবে তার দাবি, জান্নাতুলের সঙ্গে সাগরের প্রেমের সম্পর্ক ছিল বলে তিনি জানতেন। সাগরের সঙ্গে বিয়ের বিষয়টি তিনি জানতেন না।

জান্নতুলের দ্বিতীয় স্বামীর বাবা বলেন, ‘কোন এক সূত্রে আমার শ্বশুর জান্নাতুলদের বাড়িতে বেড়াতে গিয়ে তাকে পছন্দ করে। পরে আমি গিয়ে তার বাবার কাছে বিয়ের প্রস্তাব দিলে বিয়ের দিন ধার্য হয়। বিয়ের আগের দিন সাগর নামে এক ছেলে আমার ছেলেকে ফোন করে বলে জান্নাতুলের সঙ্গে তার প্রেমের সম্পর্ক আছে।

সে জান্নাতুলের সঙ্গে নিজের একটি ছবিও আমার ছেলেকে পাঠায়। এরপর আমি ওই এলাকায় আমার আত্মীয়দের কাছে খোঁজ নিয়ে জানতে পারি জান্নাতুলের সঙ্গে সাগরের কোন সম্পর্ক ছিল না। এছাড়া জান্নাতুলকেও আমি সরাসরি প্রশ্ন করলে সেও সম্পর্কের বিষয়টি অস্বীকার করে।

পরে ঘরোয়া আয়োজনে জান্নাতুলের সঙ্গে আমার ছেলের বিয়ে হয়। এখন সাগর নামে ছেলেটি জান্নাতুলকে তার স্ত্রী হিসেবে দাবি করছে। আমি যতদূর জেনেছি সাগরের স্ত্রী ও সন্তান আছে। এখন বিষয়টি আইনগতভাবেই সমাধান হবে।

আর জান্নাতুল ফেরদৌসের সঙ্গে কথা বলতে তার বাবার বাড়িতে গেলে ভেতরে ঢোকার অনুমতি মেলেনি।’

বাইরে দাঁড় করিয়ে রেখে তার মা হাচিনা বেগম বলেন, ‘সাগরের সঙ্গে আমার মেয়ের বিয়ে হয়েছিল৷ তবে বিয়ের দুই মাসের মাথায় তাদের ডিভোর্স হয়ে যায়। আমার মেয়ে তো ছোট বুঝে নাই, যে কারণে সেসময় ওরা ডিভোর্সের কাগজ ছিঁড়ে ফেলেছে। এর ৪/৫ মাস পরে আমার মেয়ের আবার বিয়ে হয়েছে। সাগর আমার মেয়েকে চাপে ফেলে এতোদিন তার সঙ্গে সময় কাটাতে বাধ্য করেছে।’

আলীপুর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান আবু বকর সিদ্দিক জানান, ‘সাগর ও জান্নাতুলের বিবাহ বিচ্ছেদ হলে তার নোটিশের একটি কপি ইউনিয়ন পরিষদে আসার কথা। এরকম কোন কপি কখনো পাননি তারা।’

তিনি বলেন, ‘সাগর আমার ইউনিয়ন পরিষদে অভিযোগ করেছে। আমিও খোঁজ নিয়ে জানতে পেরেছি সাগর জান্নাতুলের প্রথম স্বামী। সে সাগরকে তালাক না দিয়েই বিয়ের চার মাসের মাথায় অন্য এক ছেলেকে বিয়ে করে। প্রায় দুই বছর সে চালাকি করে দুই স্বামীর সঙ্গেই সংসার করেছে। সাগরের কাছ থেকে জান্নাতুল অনেক টাকা-পয়সা খেয়েছে বলেও আমি জানতে পেরেছি।’

আবু বক্কার বলেন, ‘সাগরের অভিযোগের ভিত্তিতে আমি জান্নাতুলের বাবাকে নোটিশের মাধ্যমে ইউনিয়ন পরিষদে ডাকি। তবে নোটিশ পেয়ে তিনি তার ছোটভাই ও তাদের এলাকার ইউপি সদস্য আবুল কালামকে সঙ্গে নিয়ে আমার বাড়িতে এসে বলেন, আমি যেন পরিষদে বসে বিষয়টি সমাধান করে দেই। তবে এর ১/২ দিন পরে তিনি জানান, এ বিষয়ে তারা বসতে চান না।

আইনগতভাবে তারা বিষয়টি সমাধান করতে চান। পরে আবার তারা বসতে সম্মত হলে জান্নাতুল ও তার বাবা এবং তাদের এলাকার ইউপি সদস্য আবুল কালামসহ পরিষদের অন্য সদস্যদের নিয়ে বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) সন্ধ্যায় ইউনিয়ন পরিষদে বসেছিলাম। সাগরও সেখানে ছিল। তবে সেখানে জান্নাতুল বলে দিয়েছে সে কোনভাবেই সাগরের সঙ্গে ঘর সংসার করবে না।’

তিনি আরও বলেন, ‘আমাদের পুরুষ শাসিত সমাজে নারীরা নির্যাতিত হয়। কিন্তু ছেলেরা যে কতোটুকু নির্যাতিত হয় তা এই সম্পর্কের জের দেখলে বোঝা যায়। আমাদের সমাজে ছেলেরা আরও বেশি নির্যাতিত হচ্ছে। সেটা নীরবে নিভৃতে ছেলেরা সহ্য করে যাচ্ছে। আমি আশা করবো আপনারা সাংবাদিক ভাইয়েরা বিষয়টি তুলে ধরবেন।

আপনাদের সংবাদের মাধ্যমে মানুষ যাতে সচেতন হতে পারে। আজকে আমার ইউনিয়নে এমন ঘটনা ঘটেছে। আর কোন ইউনিয়নে যেন এমন ঘটনা কোনদিন না ঘটে।’

Header Ad

শহীদ আব্দুল্লাহর বাড়িতে জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় নির্বাহী সদস্য মোবারক হোসেন

ছবি: ঢাকাপ্রকাশ

২৪ এর গনঅভূ্থানে ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম যোদ্ধা, সরকারি শহীদ সোহরাওয়ার্দী কলেজের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের তৃতীয় বর্ষের মেধাবী শিক্ষার্থী, শহীদ আব্দুল্লাহর বাড়িতে যান বাংলাদেশ জামায়াত ইসলামের কেন্দ্রীয় নির্বাহী সদস্য মোবারক হোসেন।

এ সময় মোবাইল ফোনে লাউডস্পিকারে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা.শফিকুর রহমান বলেন, আব্দুল্লাহ দেশের জন্য মানুষের জন্য মানবতার কল্যাণের জন্য জীবনকে উৎস্বর্গ করে আল্লাহর দরবারে চলে গেছেন, আল্লাহ তাকে শহীদ হিসাবে কবুল করুন। শহীদরা মরে না। তারা আল্লাহর জীম্মায় জীবন্ত থাকে। এ সময় শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি সমবেদনা জ্ঞাপন করেন তিনি।

শনিবার (২৩ নভেম্বর) দুপুর ১২ টার দিকে যশোরের বেনাপোল পোর্ট থানার বড় আঁচড়া গ্রামে বাংলাদেশ জামায়াত ইসলামের কেন্দ্রীয় নির্বাহী সদস্য মোবারক হোসেন আব্দুল্লাহর বাড়িতে গিয়ে শোকসন্তপ্ত পরিবারের খোঁজ খবর নেন,কবর জিয়ারত করেন এবং তার রুহের মাগফেরাত কামনা করে দোয়া ও মোনাজাত করেন।

এর আগে তিনি নাভারণ দারুল আমান ট্রাষ্টে ওলামা সম্মেলনে যোগদান করেন। পরে ২০১৬ সালে গুম হওয়া ইসলামি ছাত্র শিবিরে নেতা রেজোয়ানের বাড়িতে যান এবং খোঁজ খবর ও সমবেদনা জানান।

এসময় তিনি জানান, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে মৃত্যু বরনকারী সকলে ন্যায় বিচার পাবেন বলে পরিবারের সদস্যদের সান্তনা দেন। এবং গনঅভূ্থানে নিহত সকল পরিবারের সাথে বাংলাদেশ জামায়াত ইসলাম আছে থাকবে।

এসময় উপস্থিত ছিলেন, কেন্দ্রীয় কর্ম পরিষদ সদস্য মাওলানা আজিজুর রহমান, যশোরের জেলা আমীর অধ্যক্ষ মাওলানা গোলাম রসূল, সাবেক জেলা আমীর মাওলানা হাবীবুর রহমান, জেলা জামায়াতের নেতা মাওলানা আবু জাফর, মাওঃ শিহাব উদ্দিন শার্শা থানা আমীর রেজাউল ইসলাম, সেক্রেটারী মাওলানা ইউসুফ আলী ও ঝিকরগাছা থানা আমীর মাওলানা আসাদুল আলম প্রমূখ।

Header Ad

বিরামপুরে আদিবাসী নারীর লাশ উদ্ধার

ছবি: ঢাকাপ্রকাশ

দিনাজপুরের বিরামপুরে বিশনি পাহান (৫৫) নামের এক আদিবাসী নারীর লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ।

শনিবার (২৩ নভেম্বর) বেলা সাড়ে ১১টায় উপজেলার কাটলা ইউনিয়নের ময়না মোড় এলাকার ধানক্ষেত থেকে ওই নারীর হাতবাঁধা লাশ উদ্ধার করা হয়। নিহত বিশনি পাহান উপজেলার কাটলা ইউনিয়নের বেণুপুর গ্রামের সাধন পাহানের মেয়ে।

নিহতের ভাই চরকা পাহান বলেন, আমার ছোট বোনের স্বামী বিশনি পাহানকে ছেড়ে চলে গেছেন। সে প্রতিরাতেই নেশা করতো। বাবা মারা যাওয়ার পর থেকেই আমার বাড়িতে থাকতো আমার বোন। আমার বোন এলাকায় মানুষের জমিতে কৃষি কাজ করে জীবিকা নির্বাহ করতো। শুক্রবার বিকেলে এলাকার এক ব্যক্তির জমিতে ধান কাটার কাজ শেষ করে আর বাড়িতে ফেরেননি। রাতে অনেক খোঁজাখুঁজির পরও তাকে কোথাও পাওয়া যায়নি। শনিবার সকালে ধানক্ষেতে হাতবাঁধা অবস্থায় তার লাশ পাওয়া যায়।

বিরামপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মমতাজুল হক জানান, এলাকাবাসীর দেওয়া খবরে ঘটনাস্থল থেকে আদিবাসী এক নারীর মরদেহ উদ্ধার করা হয়। তবে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা যাচ্ছে তাকে কে বা কাহারা হত্যা করেছে। তদন্ত করলেই প্রকৃত ঘটনা বেরিয়ে আসবে।

Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

গোপনে দুইজনকে বিয়ে, কাউকেই অধিকার বঞ্চিত করেননি জান্নাতুল
শহীদ আব্দুল্লাহর বাড়িতে জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় নির্বাহী সদস্য মোবারক হোসেন
বিরামপুরে আদিবাসী নারীর লাশ উদ্ধার
বিএনপির কাঁধে অনেক দ্বায়িত্ব: তারেক রহমান
'জাতীয় নির্বাচনের আগে স্থানীয় নির্বাচন হওয়া উচিত'- তোফায়েল আহমেদ
৩ মাসে জ্বালানি খাতে সাশ্রয় হয়েছে ৩৭০ কোটি টাকা : জ্বালানি উপদেষ্টা
জুটি বাধলেন মিঠুন চক্রবর্তী-আফসানা মিমি
দেশ ও মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠায় দ্রুত নির্বাচনের কোনো বিকল্প নেই : তারেক রহমান
২৪ ঘণ্টার মধ্যে বঙ্গোপসাগরে লঘুচাপের আশঙ্কা
অক্টোবরে সড়কে প্রাণ গেছে ৪৭৫ জনের
গায়ানায় দলের সঙ্গে যোগ দিলেন সাকিব
আইপিএল নিলামের আগেই নিষিদ্ধ হলেন ভারতের ২ ক্রিকেটার
গাজীপুরে পিকনিকের বাসে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে ৩ শিক্ষার্থীর মৃত্যু
কবে বিয়ে করবেন জানালেন তামান্না ভাটিয়া
পঞ্চগড়ে ৫০০ টাকায় সন্তান বিক্রি, অতঃপর যা ঘটল...
অ্যান্টিগায় প্রথম দিন শেষে স্বস্তিতে টাইগাররা
সড়ক দুর্ঘটনায় প্রাণ হারালেন পরীমণির প্রথম স্বামী
বিচারের আগে আ.লীগের মাঠে থাকার সুযোগ নেই: উপদেষ্টা নাহিদ
মাকে হত্যার পর থানায় হাজির ছেলে
৮ ক্রিকেটারসহ ৯ জনকে নিষিদ্ধ করলো বিসিবি