অবৈধ সম্পদ: সাহেদের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র অনুমোদন
অবৈধ সম্পদের মামলায় আলোচিত,সমালোচিত মোহাম্মদ সাহেদের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র অনুমোদন করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। রিজেন্ট কেলেঙ্কারির বিষয়ে তার বিরুদ্ধে আনা এই অভিযোগপত্র অনুমোদন দেয় সংস্থাটি।
আয়ের উৎসের সঙ্গে সঙ্গতিহীন প্রায় পৌনে দুই কোটি টাকার অস্থাবর সম্পদ অর্জনের তথ্য তদন্তে উঠে আসার পরিপ্রেক্ষিতে এই অভিযোগপত্র দেয় কমিশন। নিয়ম অনুযায়ী পরবর্তী ধাপ হচ্ছে অনুমোদন পাওয়া এই প্রতিবেদন এখন আদালতে দাখিল করা হবে। বুধবার (২৯ ডিসেম্বর) কমিশন সভায় এই অভিযোগপত্র অনুমোদন দেওয়া হয়।
সংস্থার উপ-পরিচালক মুহাম্মদ আরিফ সাদেক জানিয়েছেন, নির্ধারিত সময়ে সম্পদ বিবরণী দাখিল না করে এবং আয়ের উৎসের সঙ্গে সঙ্গতিহীন এক কোটি ৬৯ লাখ ১৭ হাজার ৫১৩ টাকার অস্থাবর সম্পদ অর্জন করে দখলে রেখেছেন সাহেদ, যা তদন্তে উঠে এসেছে। এর পরিপ্রক্ষিতে অভিযোগপত্র অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।
প্রসঙ্গত, বৈশ্বিক মহামারি করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব দেশে শনাক্ত হওয়ার পর কোভিড- ১৯ রোগীদের চিকিৎসায় গত বছরের ২১ মার্চ রিজেন্ট হাসপাতালের সঙ্গে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের চুক্তি হয়। তিন মাস না যেতেই করোনার পরীক্ষা না করে ভুয়া রিপোর্ট দেওয়া, সরকারের কাছে বিল দেওয়ার পর রোগীর কাছ থেকেও অর্থ নেওয়াসহ নানা অনিয়মের অভিযোগ ওঠে রিজেন্টের বিরুদ্ধে। পরে ২০২০ সালের ৭ ও ৮ জুলাই অভিযান চালিয়ে রিজেন্ট হাসপাতালের মিরপুর ও উত্তরা শাখা বন্ধ করে দেয় র্যাব। পরে ১৫ জুলাই ভোরে সাতক্ষীরার দেবহাটা সীমান্ত থেকে সাহেদকে গ্রেপ্তার করে তারা। তার বিরুদ্ধে প্রতারণা, অনিয়মের নানা অভিযোগ তখন সামনে আসতে থাকে।
গত বছরের ৫ নভেম্বর সম্পদের হিসেব চেয়ে সাহেদকে নোটিস পাঠায় দুদক। ২১ কার্যদিবসের মধ্যে তাকে সম্পদের বিবরণী জমা দিতে বলা হয়। কিন্তু বেঁধে দেওয়া সময়ের মধ্যে তিনি সম্পদ বিবরণী জমা না দেওয়ায় অতিরিক্ত আরও ১৫ কার্যদিবস সময় দেওয়া হয়। এরপরও সাহেদ তা জমা না দেওয়ায় ২০২০ সালের ১ জানুয়ারি মামলা করে দুদক। কমিশনের উপ-পরিচালক মো. ফরিদ আহমেদ পাটোয়ারী মামলাটির তদন্ত করে দুদকে প্রতিবেদন দাখিল করেন।
করোনাভাইরাসের নমুনা সংগ্রহ ও চিকিৎসার জন্য লাইসেন্সের মেয়াদ পেরুনো রিজেন্ট হাসপাতালের সঙ্গে চুক্তির মাধ্যমে ‘সরকারি অর্থ আত্মসাতের’ অভিযোগে সাহেদসহ পাঁচজনের বিরুদ্ধে ২০২০ সালের ২৩ সেপ্টম্বর মামলা করে দুর্নীতি দমন কমিশন। মামলায় ইতিমধ্যে আদালতে অভিযোগপত্র দেওয়া হয়েছে।
এমএ/এসআইএইচ