লঞ্চে অগ্নিকাণ্ড: বিষখালী নদী থেকে মরদেহ উদ্ধার

ঝালকাঠির লঞ্চে অগ্নিকাণ্ডের তিন দিন পর বিষখালী নদী থেকে দগ্ধ একটি মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। সোমবার সকালে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়। আজও উদ্ধার তৎপরতা চলছে।
সকালে স্থানীয়রা নদীতে মরদেহ ভাসতে দেখে পুলিশে খবর দেয়। পরে পুলিশ মরদেহটি উদ্ধার করে। নিহতের পরিচয় সম্পর্কে এখনও নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
বৃহস্পতিবার (২৩ ডিসেম্বর) সদরঘাট থেকে অভিযান-১০ লঞ্চটি ছেড়ে যায় বরগুনার উদ্দেশ্যে। ঝালকাঠির গাবখানের কাছাকাছি সুগন্ধা নদীতে থাকা অবস্থায় রাত ৩টার পর লঞ্চে আগুন ধরে যায়।
অগ্নিকাণ্ডে লঞ্চটির ৪২ জন যাত্রী মারা যান। আহত হয়েছেন শতাধিক। নিখোঁজ রয়েছেন ৫১ জন যাত্রী।
আগুনে দগ্ধদের মধ্যে কয়েক দফায় ২০ জনকে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে ভর্তি করা হয়েছে।
এ ঘটনায় নৌযানটির চার মালিকসহ আটজনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছেন ঢাকার নৌ আদালত। রোবার (২৬ ডিসেম্বর) নৌ আদালতের বিচারক (স্পেশাল মেট্রোপলিটন ম্যাজিষ্ট্রেট) জয়নাব বেগম আট আসামির বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন।
এর আগে লঞ্চে আগুন লাগার ঘটনায় নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের যুগ্মসচিব তোফায়েল আহমেদকে আহ্বায়ক করে তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। শুক্রবার (২৪ ডিসেম্বর) সাত সদস্যের এ তদন্ত কমিটি গঠন করেছে নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়।
মন্ত্রণালয়ের উপসচিব আমিনুর রহমান কমিটির সদস্য সচিব হিসেবে কাজ করবেন। কমিটির অন্য সদস্যরা হলেন- বিআইডব্লিউটিএ-এর একজন, নৌপরিবহন অধিদপ্তরের একজন, নৌপুলিশ, জেলা প্রশাসন ও ফায়ার সার্ভিসের একজন করে প্রতিনিধি। কমিটিকে তিন কার্যদিবসের মধ্যে মন্ত্রণালয়ে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে।
কেএফ/
