‘চাঁদাবাজি ও হয়রানি’র প্রতিবাদে অটোরিকশাচালকদের বিক্ষোভ
সাভারের নবীনগর-চন্দ্রা মহাসড়কের পল্লীবিদ্যুৎ এলাকায় মহাসড়ক অবরোধ করে এক হাজারেরও বেশি ব্যাটারিচালিত অটোরিকশাচালক বিক্ষোভ করেছে। পুলিশের ‘চাঁদাবাজি ও হয়রানি’র প্রতিবাদে এ বিক্ষোভ বলে জানান অটোরিকশাচালকরা।
সোমবার (২৭ জুন) বেলা দুপুর ১২টার দিকে সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেন অটোরিকশাচালকরা।
সেসময় তারা মহাসড়কে বিদ্যুতের খুঁটি ফেলে ও টায়ার জ্বালিয়ে বিক্ষোভ করেন। এসময় কয়েকটি যাত্রীবাহী বাসে ইট-পাটকেল ছোড়েন বিক্ষোভকারীরা। পুলিশের সঙ্গে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে।
বিক্ষোভকারী অটোরিকশাচালক আক্কাস মিয়া বলেন, মহাসড়কে ওঠলেই ব্যাটারিচালিত বড় চাকার গাড়িকে ৫ হাজার ২০০ টাকা ও ছোট চাকার গাড়িকে ২ হাজার ৬০০ টাকা জরিমানা করা হয়। থানায় নিয়ে গেলে সেই গাড়ির ব্যাটারি ঠিক থাকে না। নতুন ব্যাটারির পরিবর্তে পুরোনো ব্যাটারি দিয়ে দেয়
অটোরিকশাচালক জব্বার বলেন, যেসব রিকশা প্রতিমাসে নির্দিষ্ট পরিমাণ টাকা দেয় তাদের কিছু বলে না। আর আমরা রাস্তায় ওঠলেই যত দোষ।
সাভার হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আতিকুর রহমান বলেন, অটোরিকশাচালকরা কারো মাধ্যমে সংঘটিত হয়ে বিক্ষোভ করছে। এটি চাঁদাবাজির বিষয় না। মহাসড়কে ব্যাটারিচালিত অটোরিকশাকে জরিমানা করা হয়। সেই জরিমানার স্লিপ তাদের দেওয়া হয়।
অটোরিকশাচালকদের বিক্ষোভ চলাকালে মহাসড়কের প্রায় ৩ কিলোমিটার এলাকায় যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। সেসময় সড়কের দু'পাশে যানবাহন আটকা পড়ে।
আশুলিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এইচএম কামরুজ্জামান বলেন, বিক্ষোভকারীরা পুলিশকে লক্ষ্য করে ইট-পাটকেল ছোড়েন। এতে আমাদের এক পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন। আমরা তাদের বুঝিয়ে মহাসড়ক থেকে সরিয়ে দিয়েছি। এ ঘটনায় কাউকে আটক করা হয়নি বলে জানান তিনি।
এসজি/