সেতু দিয়ে নয়, ফেরিতে পার হচ্ছে মোটরসাইকেল
পদ্মা সেতু দিয়ে মোটরসাইকেল চলাচল নিষিদ্ধ করার পর সোমবার (২৭ জুন) পদ্মা সেতুর দুই প্রান্তে শত শত মোটার সাইকেলকে আটকে দেওয়া হয়। পরে সেই মোটারসাইকেলগুলো ফেরিঘাটে গিয়ে জমায়। পরিস্থিতি বিবেচনায় নিয়ে ফেরি কর্তৃপক্ষ জাজিরার মঙ্গলমাঝির ঘাট ও মুন্সিগঞ্জের শিমুলিয়া ঘাট থেকে শুধু দুই চাকার বাহন নিয়ে ফেরি পদ্মা পাড়ি দেয়।
রবিবার (২৬ জুন) যানবাহন চলাচলের জন্য পদ্মা সেতু খুলে দেওয়া হয়। কিন্তু যাত্রীবাহী ও ভারী যানবাহনের চেয়ে মোটরসাইকেলকেই বেশি পদ্মা সেতু পাড়ি দিতে দেখা যায়। মোটরসাইকেলের চাপ এতটাই বেশি ছিল যে রবিবার সন্ধ্যায় সেতুতে দুর্ঘটনায় দুই বাইকার মারা যান। এ ছাড়া সেতুতে মোটরসাইকেল দাঁড় করিয়ে টিকটকের নামে সেতুর নাট-বল্টু খুলে ভিডিও করা, সেলফি উঠানো, গ্রুপ ফটোসেশন করা, দলবেধে আড্ডা দেওয়াসহ নানা ঘটনা ঘটেছে।
এসব ঘটনার প্রেক্ষিতে সেতু কর্তৃপক্ষ রবিবার রাতে পদ্মা সেতু মোটারসাইকেল চলাচল নিষিদ্ধ করে প্রেসরিলিজ দেয়।
কিন্তু সরকারি নিষেধাজ্ঞার পরও সোমবার ভোর থেকেই সেতুর জাজিরা ও মাওয়া প্রান্তে শত শত মোটরসাইকেল ভিড় করে। কিন্তু সেতুর নিরাপত্তার দায়িত্বে নিয়োজিতরা এবং কর্তব্যরত ট্রাফিক পুলিশ মোটরসাইকেলগুলোকে উভয় প্রান্ত থেকে ফেরত দেন। মাওয়া প্রান্তে অনেকে জোর করে সেতুতে উঠার চেষ্টা করেন।
এক পর্যায়ে তারা অন্য যানবাহন চলাচলে বিঘ্ন সৃষ্টি করেন। সকাল ৯টা পর্যন্ত তারা টোল প্লাজার সামনেই অবস্থান নেন। এক পর্যায়ে ফেরি চালু হওয়ার খবর পেয়ে মোটরসাইকেল চালকরা শিমুলিয়া ফেরিঘাটের দিকে চলে যান।
মাওয়া ট্রাফিক পুলিশ ফাঁড়ির সার্জেন্ট সোহেল হাসান বলেন, 'সরকারি সিদ্ধান্তের কথা জানিয়ে মোটরসাইকেল চালকদের অনুরোধ করার পর অনেকে চলে যান। আবার কেউ কেউ বিশৃঙ্খলা তৈরির চেষ্টা করেন। তখন তাদের সরিয়ে দেওয়া হয়।
বিআইডব্লিউটিসির শিমুলিয়াঘাটের ব্যবস্থাপক (বাণিজ্য) ফয়সাল আহমেদ জানিয়েছেন, সকাল সোয়া ১০টার দিকে কুঞ্জলতা ফেরি ১১৯টি মোটরসাইকেল নিয়ে শিমুলিয়া ঘাট থেকে শরিয়তপুরের মাঝিকান্দি ঘাটের উদ্দেশে ছেড়ে যায়।
তিনি বলেন, 'একসঙ্গে দেড়শ-দুইশ মোটরসাইকেল ঘাটে জমা না হলে পরবর্তী ফেরি চলবে না।'
একইভাবে জাজিরা প্রান্তের মঙ্গল মাঝিরঘাট এলাকা থেকেও দুপুর ১২টার দিকে শতাধিক মোটরসাইকেল নিয়ে একটি ফেরি শিমুলিয়া ঘাটের উদ্দেশে ছেড়ে আসে।
এনএইচবি/এমএমএ/