লঞ্চে আগুন: পৃথক তদন্ত কমিটি করবে ফায়ার সার্ভিস

ঝালকাঠির সুগন্ধা নদীতে লঞ্চে আগুনের ঘটনায় আলদা তদন্ত কমিটি গঠন করবে ফায়ার সার্ভিস।
শুক্রবার (২৪ ডিসেম্বর) সকালে ফায়ার সার্ভিসের মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. সাজ্জাদ হোসাইন জানান, মাঝরাতে যাত্রীবোঝাই লঞ্চে কীভাবে আগুন লাগল, তা খুঁজে বের করতে তদন্ত কমিটি করা হচ্ছে। লঞ্চটিতে অগ্নিদুর্ঘটনা মোকাবেলার পর্যাপ্ত সরঞ্জাম ছিল কি না, সেটিও খতিয়ে দেখা হবে।
এর আগে এ ঘটনায় নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের যুগ্মসচিব তোফায়েল আহমেদকে আহ্বায়ক করে সাত সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করেছে মন্ত্রণালয়। মন্ত্রণালয়ের উপসচিব আমিনুর রহমান কমিটির সদস্য সচিব হিসেবে কাজ করবেন। কমিটির অন্য সদস্যরা হলেন- বিআইডব্লিউটিএ-এর একজন, নৌপরিবহন অধিদপ্তরের একজন, নৌপুলিশ, জেলা প্রশাসন ও ফায়ার সার্ভিসের একজন করে প্রতিনিধি। কমিটিকে আগামী তিন কার্যদিবসের মধ্যে মন্ত্রণালয়ে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে।
ফায়ার সার্ভিস সদর দপ্তরের নিয়ন্ত্রণ কক্ষের কর্তব্যরত কর্মকর্তা মো. রায়হান জানান, এমভি অভিযান-১০ লঞ্চটি ঢাকা থেকে বরগুনা যাচ্ছিল। লঞ্চে প্রায় এক হাজার যাত্রী ছিল। ঝালকাঠির সুগন্ধা নদীতে লঞ্চে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। রাত ৩ টা ২৮ মিনিটে ফায়ার সার্ভিস এ দুর্ঘটনার সংবাদ পায়। ৩টা ৫০ মিনিটে দুর্ঘটনাস্থলে পৌঁছে ফায়ার সার্ভিস আগুন নিয়ন্ত্রণ এবং উদ্ধার কাজ শুরু করে। ফায়ার সাার্ভিসের ১৫টি ইউনিট এতে অংশ নেয়। ভোর ৫টা ২০ মিনিটে আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। বরিশাল বিভাগের উপপরিচালক কামাল উদ্দিন ভূঁইয়া এ অভিযানে নেতৃত্ব দেন।
বৃহস্পতিবার (২৩ ডিসেম্বর) দিবাগত রাত ৩টার দিকে মাঝনদীতে এমভি অভিযান-১০ লঞ্চে আগুন লাগে। এঘটনায় এখন পর্যন্ত ৩৮ জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। আহত হয়েছেন শতাধিক। এর মধ্যে ৭২ জনকে ভর্তি করা হয়েছে বরিশালের শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে।
এনএইচ/এসএন
