মালয়েশিয়ায় কর্মী নিয়োগ : জানুয়ারিতে শুরু, খরচ কমবে: প্রবাসী কল্যাণমন্ত্রী
মালয়েশিয়ায় কর্মী নিয়োগের খরচ লাখ টাকার নিচে নামতে পারে বলে জানিয়েছেন প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থানমন্ত্রী ইমরান আহমদ। এছাড়া জানুয়ারি মাসের মধ্যে কর্মী নিয়োগ শুরু হতে পারে বলেও জানান তিনি।
মঙ্গলবার (২১ ডিসেম্বর) মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন তিনি।
প্রবাসী কল্যাণমন্ত্রী বলেন, চুক্তি অনুযায়ী কর্মীর আসা-যাওয়ার টিকিটসহ মালয়েশিয়া প্রান্তের খরচ নিয়োগকর্তার। এখানে কর্মীর ব্যয় বলতে তার গ্রামের বাড়ি থেকে ঢাকায় আসার খরচ, পাসপোর্ট তৈরি, বিএমইটি ফি, কল্যাণ বোর্ডের সদস্য ফি, মেডিক্যাল ফি এবং রিক্রুটিং এজেন্সির সার্ভিস চার্জ।
ইমরান আহমদ বলেন, মালয়েশিয়ায় যাওয়ার পর বাংলাদেশি কর্মীর ইমিগ্রেশন ফি, ভিসা ফি, স্বাস্থ্য পরীক্ষার খরচ, ইন্স্যুরেন্স সংক্রান্ত খরচ, করোনা পরীক্ষার খরচ, কোয়ারেন্টিন সংক্রান্ত খরচসহ সব ব্যয় মালয়েশিয়ার নিয়োগকর্তা বা কোম্পানি বহন করবে। নিয়োগকর্তা কর্মীর মানসম্মত আবাসন, বিমা, চিকিৎসা ও কল্যাণ নিশ্চিত করবেন।
আগে সরকার নির্ধারিত অভিবাসন ব্যয় এক লাখ ৬০-৬৫ যাই থাকুক না কেন এখন তা থেকে অনেক কমে আসবে জানিয়ে প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রী বলেন, কারণ সেই ব্যয়ের বেশির ভাগ খরচ নিয়োগকর্তা বহন করবেন। আগে বিমান ভাড়া আমাদের কর্মীরা দিতেন, যার কারণে ওই ব্যয় ছিল। এবার আশা করি অনেক কমে যাবে। আমাদের রিক্রুটিং এজেন্সির চার্জ যাই হোক, সেটা আমাদের কর্মীদের ওপর পড়বে। মালয়েশিয়ার অংশেরটা নিয়োগকর্তা দেবেন। সার্ভিস চার্জ নির্ধারণ করা নেই। তবে আইডিয়া করা যায়, দুই-তিন মাসের বেতনের বেশি হওয়া উচিত না।
লিখিত বক্তব্যে সচিব ড. আহমেদ মুনিরুছ সালেহীন বলেন, অভিবাসন আইন অনুযায়ী মালয়েশিয়ার সঙ্গে নতুন চুক্তির আলোকে সর্বোচ্চ কত টাকা নিতে পারবে, সেটা নির্ধারণ করব।
আরইউ/এসআইএইচ