‘ঘরের বাইরে নয় বড়দিন, থার্টি ফার্স্টের আয়োজন’
করোনার কারণে এ বছর বড়দিন আর খ্রিষ্টীয় নববর্ষের উৎসব প্রকাশ্যে না করার জন্য নির্দেশনা দিয়েছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
এসব উৎসবের আয়োজন সীমিত করার নির্দেশনা দিয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগ থেকে সম্প্রতি সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন দপ্তর ও প্রতিষ্ঠানকে চিঠি দেওয়া হয়েছে।
এ বিষয়ে ১৪ ডিসেম্বর জননিরাপত্তা বিভাগ থেকে চিঠি দেওয়া হয় পুলিশ মহাপরিদর্শক, বিভাগীয় কমিশনার, মহানগর পুলিশ কমিশনার, রেঞ্জ ডিআইজি, জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার, বাংলাদেশ খ্রিস্টান অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি ও মহাসচিবকে।
চিঠিতে বলা হয়েছে, ‘খ্রিষ্টধর্মাবলম্বীদের শুভ বড়দিন এবং খ্রিষ্টীয় নববর্ষের শেষ তারিখ ৩১ ডিসেম্বর রাতে থার্টি ফাস্ট নাইট উপলক্ষে প্রকাশ্যে কোনো সভা, সমাবেশ এবং ধর্মীয়, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান আয়োজন না করে কঠোরভাবে স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করে অত্যন্ত সীমিত পরিসরে আয়োজন করা যৌক্তিক হবে।’
জননিরাপত্তা বিভাগের উপসচিব শাহে এলিদ মাইনুল আমিনের স্বাক্ষর করা চিঠিতে বলা হয় ‘করোনাভাইরাসের কারণে বিশ্বব্যাপী সব ধর্মীয় ও সামাজিক অনুষ্ঠান, জনসমাবেশ অত্যন্ত সীমিত আকারে স্বাস্থ্যবিধি মেনে ঘরোয়াভাবে উদ্যাপন করা হচ্ছে। এই ধারাবাহিকতায় বাংলাদেশেও মুসলিম, হিন্দু ও বৌদ্ধধর্মাবলম্বীদের ধর্মীয় অনুষ্ঠান সীমিত করে পালিত হয়েছে।’
চিঠিতে আরও বলা হয়েছে, প্রয়োজনে উপজেলা, জেলা, বিভাগীয় ও মেট্রোপলিটন শহর এলাকায় স্থানীয়ভাবে সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে সভা ও আলোচনা করে স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ নিশ্চিত করতে হবে।
শনিবার (২৫ ডিসেম্বর) খ্রিষ্টধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় উৎসব বড়দিন এবং ৩১ ডিসেম্বর রাতে খ্রিষ্টীয় বর্ষবরণের উৎসব। করোনার কারণে গত বছরও এ দুই আয়োজনে বিধিনিষেধ দেওয়া হয়েছিল।
এমএমএ/