বুধবার, ২৭ নভেম্বর ২০২৪ | ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

মহাসড়কে বেপরোয়া ডাকাত গ্যাং

ফাইল ফটো

সারাদেশের মহাসড়কে ডাকাতি বেড়ে গেছে বলে মনে করছেন গোয়েন্দা সংস্থা। গোয়েন্দা সংস্থার তথ্য বলছে, দেশের মহাসড়কগুলোতে অহরহ ডাকাতি ও ছিনতাইয়ের ঘটনায় পরিবহন শ্রমিক ও যাত্রীদের মধ্যে আতঙ্ক বাড়ছে। সম্প্রতি বেশ কয়েকটি ডাকাতির ঘটনা তদন্ত করতে গিয়ে গোয়েন্দা সংস্থা এ সব তথ্য পেয়েছে বলে জানা গেছে।

মহাসড়কগুলোতে ডাকাত ও ছিনতাইকারীদের দৌরাত্ম দিন দিন বেড়েই চলেছে। বেশ কিছুদিন ধরে কোনো না কোনো মহাসড়কে ডাকাতি ও ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটছেই। ডাকাত চক্রের কবল থেকে রক্ষা পাচ্ছে না পণ্যবাহী গাড়ি থেকে শুরু করে যাত্রীবাহী বাস, কার, মাইক্রোবাস, সিএনজি অটোরিকশার চালকরাও।

তবে শিল্পকারখানার পণ্যবাহী গাড়িসহ রাতে চলাচলকারী নাইটকোচ ও নতুন ব্রান্ডের গাড়িগুলোর প্রতি ডাকাতদের সবচেয়ে বেশি টার্গেট। বিভিন্ন এলাকায় কিছুদিন পর পরই হানা দিচ্ছে ডাকাতদল। যদিও পুলিশ বলছে, ডাকাতি রোধে বাড়তি সতর্কতা অবলম্বন করা হচ্ছে। কিন্তু অপ্রতিরোধ্য এ সব ডাকাত চক্র আগ্নেয় ও ধারালো অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে নিত্যনতুন কৌশলে তাদের কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে। বর্তমানে ডাকাত আতঙ্কের কারণে খুবই জরুরি প্রয়োজন ছাড়া রাতে পরিবারসহ মহাসড়কে চলাচল একেবারে কমে গেছে। পরিবহন খাত সংশ্লিষ্টদের সূত্রে এ সব তথ্য জানা যায়।

সূত্র জানায়, দিনের আলোয় কেউ ভ্যান চালক, কেউ ডাব বিক্রেতা, বাসের হেলপার কিংবা ড্রাইভার। রাত নামলেই পাল্টে যায় তাদের রূপ। পরিণত হয় দুর্ধর্ষ ডাকাতে। বাস ভাড়া নিয়ে ঘুরে ঘুরে যাত্রী তোলে। তারপর অস্ত্রের মুখে লুটে নেয় সর্বস্ব। সম্প্রতি ঢাকার সাভারের ব্যাংক টাউন এলাকা থেকে আর বি পরিবহনের একটি বাসে উঠেন মামুন। মুহূর্তেই তার চোখ বেঁধে ফেলেন দুর্বৃত্তরা। টের পান যাত্রী বেশে বাসের সবাই মূলত ডাকাত। পরবর্তীতে মামুনের কাছ থেকে সবকিছুই ছিনিয়ে নিয়ে নিরিবিলি স্থানে ডাকাতরা তাকে নামিয়ে দেন। ডাকাতির ঘটনায় পরিবহন শ্রমিক ও যাত্রীদের মধ্যে আতঙ্ক বিরাজ করছে। বেশ কিছুদিন কোনো না কোনো মহাসড়কে প্রতিদিনই ডাকাতি ও ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটছে।

সংশ্লিষ্টরা জানায়, ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে আশঙ্কাজনকহারে দিনে এবং রাতে ডাকাত ও ছিনতাইকারীর উৎপাত বেড়েছে। কখনো গাড়িতে যাত্রীবেশে কখনো বা প্রাইভেটকার ও মারুতি মাইক্রোবাসে সংঘবদ্ধ চক্রের কবলে পড়ে অনেকেই সর্বশান্ত হচ্ছে। গত কয়েকদিনে এমন বেশ কিছু অভিযোগ শোনা গেলেও অধিকাংশ ক্ষেত্রেই ভুক্তভোগীরা অভিযোগ বা মামলা করেনি। তাতে করে দিন দিন মহাসড়কে ছিনতাই ডাকাতিসহ অনাকাঙ্খিত ঘটনা বেড়েই চলেছে।

গত শুক্রবার (১৩ মে) রাত ২টায় ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের ভবেরচর এলাকায় একদল ডাকাত মহাসড়কে গাছ ফেলে রেখে প্রাইভেটকারের গতিরোধ করে অস্ত্রের মুখে যাত্রীদের জিম্মি করে সর্বস্ব লুটে নেয়। এই সময় ডাকাতের অস্ত্রের আঘাাতে এনামুল (৪০) নামের এক যাত্রী মারাত্মক আহত হন।

সাব্বির হোসেন নামের এক যাত্রী বলেন, ঢাকা থেকে লক্ষীপুর ফিরছিলাম। পথের মধ্যে মহাসড়কে গাছ ফেলে রেখে আমার প্রাইভেটকার গতিরোধ করে। পরে ডাকাতরা আমরা সর্বস্ত্র লুটে নিয়ে যায়।

এর আগের রাত গত বৃহস্পতিবার (১২ মে) রাত আড়াটায় কুমিল্লা উত্তর জেলা স্বেচ্ছাসেবকলীগের সাধারণ সম্পাদক লিটন সরকার ঢাকা থেকে কুমিল্লা ফেরার পথে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে ডাকাতের কবলে পড়েন। লিটন সরকার বলেন, সাংগঠনিক কাজ শেষ করে কুমিল্লায় ফিরছিলাম। পথের মধ্যে কুমিল্লার দাউদকান্দি সেতুর পশ্চিম পাড় পাখির মোড় এলাকায় ডাকাতরা তার গাড়িটি মহাসড়কে একটি পিকআপভ্যান দিয়ে ব্যারিকেড দিয়ে গতিরোধ করে। তারপর ডাকাতরা পাথর নিক্ষেপ করে গাড়িটির সাইট গ্লাসগুলো ভেঙে আমার সঙ্গে থাকা স্যামসাং ব্রান্ডের দুটি মোবাইল ফোন যার মূল্য এক লাখ ৬১ হাজার টাকা, এ ছাড়াও নগদ দুই লাখ টাকা ডাকাতরা মুহূর্তের মধ্যেই ছিনিয়ে নিয়ে যায়। এই সময় ডাকাতদের অস্ত্রের আঘাতে গাড়ির ড্রাইভার ইমাম আহমেদ (২৫), গাড়িতে থাকা আমার সহকর্মী মাসুম (২৭), শাখাওয়াত (৩০) মারাত্মক আহত হয়। পরে ঘটনার আধাঘণ্টা পর গজারিয়া থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছালেও ততক্ষণে ডাকাতরা পালিয়ে যেতে সক্ষম হয়।

গত ১৯ মার্চ কুমিল্লার চান্দিনা উপজেলার মাইজখার গ্রামের সৌদি প্রবাসী ফারুক হাওলাদার দীর্ঘ ১৩ বছর পর দেশে ফিরে আসেন। তিনি স্ত্রী, দুই সন্তানসহ প্রাইভেটকারে বাড়ি ফিরছিলেন। পথে তিনি ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কাঁচপুর কিউট পল্লীর সামনে প্রকৃতির ডাকে সাড়া দিতে গাড়ি থামান। হঠাৎ করে ৬-৭ জনের একটি ডাকাত দল এসে গাড়ির মধ্যে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে তার একটি স্যুটকেস, নগদ ১২ হাজার টাকা ও ১৪শ সৌদি রিয়াল নিয়ে যায়।

মেঘনা উপজেলার মানিকের চর গ্রামের কবির হামজা। আবুধাবি থেকে বাড়িতে ফেরেন ৯ জানুয়ারি রাতে। তার সঙ্গে ছিল বিদেশি পণ্য, মোবাইল সেট ও স্বর্ণালংকার। মহাসড়কের আষাঢ়িয়ারচর ব্রিজের সামনে তাদের বহনকারী মাইক্রোবাসের গতিরোধ করে মুখোশধারী ডাকাতদল সর্বস্ব লুট করে নিয়ে যায়।

এই মহাসড়কে একের পর এক অপরাধমূলক ঘটনা ঘটার কারণে অপরাধীদের অভয়ারণ্যে পরিণত হয়েছে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের চিটাগাংরোড-চান্দিনার অংশটি। যার ফলে এই মহাসড়ক দিয়ে চলাচল করা সাধারণ মানুষ চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে। সন্ধ্যা হলেই এ সড়কে প্রকাশ্যে চলে চুরি-ছিনতাই। কিন্তু আগের তুলনায় এ মহাসড়কে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হলেও এখনো থেমে নেই ডাকাতি ও ছিনতাইয়ের মতো ঘটনা। হরহামেশাই এসব ঘটনার খবর মিলছে। ছিনতাইকারীরা এতটাই বেপরোয়া যে, তারা খুন করতেও দ্বিধা করছে না। ঘটনার শিকার হয়ে থানা-পুলিশেও জড়াতে চান না অনেক ভুক্তভোগী।

আমিরুল ইসলাম নামের এক বাসচালক জানান, রাতের বেলা এই মহাসড়ক দিয়ে বাস চালাতে ভয় করে। কারণ মাঝেমধ্যে ডাকাতির ঘটনা ঘটে। গত ১৫ জানুয়ারি রাত সাড়ে তিনটায় ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের মাদানীনগর এলাকায় আল আমিন গার্মেন্টসের সামনে ডাকাতির কবলে পড়েন একজন বিদেশ ফেরত যাত্রী। এছাড়া গত ১৯ জানুয়ারি রাতে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের সানারপাড়ের পিডিকে পেট্রোল পাম্পের সামনে আবু সুফিয়ান (৩৫) নামে এক যুবককে পিটিয়ে হত্যার ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় জড়িত থাকা তিনজনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।

সিদ্ধিরগঞ্জ থানা পুলিশের সূত্রমতে, এ মহাসড়ক থেকে গত মাসে তারা এবং র্যাবের সদস্যরা প্রায় ২০ জন ছিনতাইকারীকে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয়েছেন। সিদ্ধিরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মশিউর রহমান জানান, এ মহাসড়কে যারা ছিনতাইয়ের সঙ্গে জড়িত আমরা সেসব ছিনতাইকারীকে গ্রেপ্তার করে মূলহোতাদের গ্রেপ্তার করার চেষ্টা করছি।

বিভিন্ন সূত্রে জানা যায়, ডাকাতদের সঙ্গে মহাসড়কে চলাচলরত কতিপয় পণ্যবাহী গাড়িচালক ও সহকারীর যোগসাজশ রয়েছে। ওইসব পরিবহনকর্মী পণ্য নিয়ে রওনা দেওয়ার আগেই মোবাইল ফোনে ডাকাতদের তথ্য জানিয়ে দেয়। ডাকাত দলের সদস্যরা নিরাপদে অবস্থান নিয়ে মহাসড়কে ব্যারিকেড তৈরি করে ডাকাতি করে। ডাকাত দলে ১০ থেকে ১৫ জন অংশ নিয়ে ২-৩টি দলে বিভক্ত হয়ে মুখোশ পরে ডাকাতি করে।

ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক দিয়ে প্রতিদিন ৩০-৩৫ হাজারেরও বেশি যানবাহন চলাচল করে। কিন্তু ওই মহাসড়কে পুলিশের অপ্রতুল টহলের সুযোগ নিচ্ছে ডাকাতরা। বিশেষ করে ভবেরচর, গজারিয়া, কুমিল্লার চান্দিনা ও ফেনীর লালপুল থেকে চট্টগ্রামের সীতাকুন্ডের কুমিরা পর্যন্ত ১২টি পয়েন্টে বেশিরভাগ ডাকাতির ঘটনা ঘটে। ডাকাতরা মালামাল ভর্তি ট্রাক, কাভার্ডভ্যান চালকদের হাত-পা বেঁধে, কখনো হত্যা করে, আবার কখনো অজ্ঞাত স্থানে নিয়ে সর্বস্ব লুটে নেয়। যদিও পুলিশ বলছে, ডাকাতি রোধে বাড়তি সতর্কতা অবলম্বন করা হচ্ছে। কিন্তু অপ্রতিরোধ্য ডাকাতচক্রগুলো আগ্নেয় ও ধারালো অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে নিত্যনতুন কৌশলে তাদের কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে।

সূত্র জানায়, ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কে এখন ডাকাত-ছিনতাইকারীদের রাজত্ব। মহাসড়কটির আবদুল্লাহপুর-টঙ্গী থেকে গাজীপুর চৌরাস্তা পর্যন্ত ১২ কিলোমিটার এলাকায় ডাকাত ও ছিনতাকারীরা দাপিয়ে বেড়াচ্ছে। যানজটে এ মহাসড়কে প্রায়ই ছিনতাই-ডাকাতির ঘটনা ঘটছে। অভিযোগ রয়েছে ডাকাত-ছিনতাকারীর দৌরাত্ম বাড়লেও মহাসড়কে দায়িত্বে থাকা পুলিশ নীরব দর্শকের ভূমিকা পালন করছে। অথচ ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক দিয়ে প্রতিদিন হাজারো মানুষ রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় যাতায়াত করছে। ওই পথে যানজটে ঘণ্টার পর ঘণ্টা যাত্রীদের বসে থাকতে হয়। আর ওই সুযোগে সাধারণ মানুষের ওপর সংঘবদ্ধ দল ঝাঁপিয়ে পড়ে। এদিকে ঢাকা-চট্টগ্রামের মতো ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কেও প্রায় সময় ডাকাতির ঘটনা ঘটে।একইভাবে ঢাকা-রাজশাহী, ঢাকা-সিলেটসহ অন্যান্য অঞ্চলের মহাসড়কগুলোতে ডাকাতি ও ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটে চলছে।

গাজীপুর মহাসড়কে দায়িত্বরত পুলিশ কর্মকর্তা আনোয়ার হোসেন জানান, জনবহুল গাজীপুরে বিভিন্ন দূরপাল্লার গাড়ি এসে রাতে অবস্থান নেয়। ওসব দূরপাল্লার গাড়ির হেলপাররা সংঘবদ্ধ হয়ে ছিনতাইসহ নানা অপরাধ করে আসছে বলে অভিযোগ রয়েছে।

দেশের পূর্বাঞ্চল হাইওয়ে পুলিশ সুপার রহমত উল্লাহ জানান, ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে ডাকাতিতে নতুন কয়েকটি চক্র সক্রিয়। চান্দিনা, ভবেরচর ও সোনারগাঁও ওই তিন এলাকায় ডাকাতি বেশি হচ্ছে। এ বিষয়ে পুলিশ কাজ করছে। অপরিচিত প্রাইভেটকার বা গাড়িতে না ওঠাই উত্তম। মহাসড়কে দুর্ঘটনাসহ অনাকাঙ্খিত ঘটনা এড়াতে বেশকিছু স্পটে দিনে রাতে হাইওয়ে পুলিশের টহল জোরদার করা হয়েছে।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে ঢাকা মহানগর পুলিশের ডিবি প্রধান এ কে এম হাফিজ আক্তার বলেন, ডাকাতদলকে নিয়ন্ত্রণ আনতে আমরা সব সময় কাজ করছে। তারপরও কিছু বিচ্ছিন্ন ঘটনা ঘটে সেগুলো পুলিশের পক্ষ থেকে জোরালো তদন্ত করা হয় এবং পরবর্তীতে ওই তদন্ত একটি রিপোর্ট দেওয়া হয়নি।

ডাকাতিসহ বিভিন্ন অপরাধ দমনে আমরা তৎপর রয়েছি বলে জানান পুলিশের এই কর্মকর্তা।

কেএম/আরএ/

Header Ad

জিয়াউর রহমানকে নিয়ে ‘আপত্তিকর’ মন্তব্য, বিচারককে ডিম ছুড়লেন আইনজীবীরা

জিয়াউর রহমানকে নিয়ে ‘আপত্তিকর’ মন্তব্য, বিচারককে ডিম ছুড়লেন আইনজীবীরা। ছবি: সংগৃহীত

২০১৬ সালের ষোড়শ সংশোধনী মামলার রায়ে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান সম্পর্কে বিরূপ মন্তব্য করার জেরে হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতি মো. আশরাফুল কামালকে আদালত কক্ষে ডিম ছুড়ে মেরেছেন একদল আইনজীবী। এক পর্যায়ে ওই বিচারপতি এজলাস ছেড়ে নেমে যেতে বাধ্য হন।

বুধবার (২৭ নভেম্বর) বিচারপতি মো. আশরাফুল কামাল ও বিচারপতি কাজী ওয়ালিউল ইসলামের হাইকোর্ট বেঞ্চে এ ঘটনা ঘটে।

প্রত্যক্ষদর্শী আইনজীবীরা জানান, দুপুরের পর ওই বেঞ্চে বিচারকাজ চলছিল। এসময় একদল আইনজীবী এজলাস কক্ষে প্রবেশ করেন। তারা ডায়াসের সামনে গিয়ে বিচারপতি মো. আশরাফুল কামালকে উদ্দেশ্য করে বলেন, আপনি একজন বিচারপতি হয়ে সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান সম্পর্কে বিরূপ মন্তব্য করেছেন। আপনি এখনও যদি ওই চিন্তাভাবনা পোষণ করেন তাহলে আপনার বিচারকাজ পরিচালনার অধিকার নাই।

এক পর্যায়ে আইনজীবীদের মধ্যে কেউ একজন বিচারপতি মো. আশরাফুল কামালকে লক্ষ্য করে ডিম ছুঁড়ে মারেন। তবে ছুঁড়ে মারা ডিম বিচারপতির আসনের সামনে থাকা ডেস্কে লাগে। এছাড়া কিছু আইনজীবী হইচই করতে থাকেন। এ অবস্থায় বিচারপতি মো. আশরাফুল কামাল ও বিচারপতি কাজী ওয়ালিউল ইসলাম এজলাস ছেড়ে নেমে খাস কামরায় চলে যান।

২০১৬ সালে ষোড়শ সংশোধনী মামলার রায়ে বিচারপতি মো. আশরাফুল কামাল তার পর্যবেক্ষণে বলেন-

‘মেজর জেনারেল জিয়াউর রহমান বাকবাকুম করে ক্ষমতা নিয়ে নিলেন, তথা রাষ্ট্রপতির পদ দখল করলেন। একবারও ভাবলেন না, তিনি একজন সরকারি কর্মচারী। সরকারি কর্মচারী হয়ে কীভাবে তিনি রুলস ভঙ্গ করেন। ভাবলেন না তার শপথের কথা। ভাবলেন না, তিনি দেশকে রক্ষা করতে প্রয়োজনে মৃত্যুকে বরণ করার শপথ নিয়েছিলেন। ভাবলেন না, তিনি এবং তারা ব্যর্থ হয়েছিলেন দেশের নির্বাচিত রাষ্ট্রপতিকে রক্ষা করতে। ভাবলেন না, তিনি এবং তারা ব্যর্থ হয়েছেন জাতীয় চার নেতাকে রক্ষা করতে। জনগণ আশ্চর্য হয়ে দেখল মেজর জেনারেল জিয়াউর রহমান দেশের নির্বাচিত রাষ্ট্রপতি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও তার পরিবারের সদস্যদের হত্যাকারী এবং জাতীয় চার নেতার হত্যাকারীদের দোসর হয়ে তাদের রক্তাক্ত হাতের সঙ্গে হাত মিলিয়ে সম্পূর্ণ বেআইনি এবং অসাংবিধানিকভাবে রাষ্ট্রপতির পদ দখল করল। যাকে এক কথায় বলা যায় বন্দুক ঠেকিয়ে জনগণের প্রতিষ্ঠান দখল।

আমরা জানি ডাকাতরা সংঘবদ্ধভাবে ডাকাতি করে। ডাকাতদের যে নেতৃত্ব দেয় তাকে ডাকাত সর্দার বলে। ডাকাতি করার সময়ে ডাকাতরা বাড়িটি বা ঘরটি কিছু সময়ের জন্য অস্ত্রের মুখে দখল করে এবং মূল্যবান দ্রব্যাদি লুণ্ঠন করে। বিচারপতি আবু সাইদ চৌধুরী, প্রধান বিচারপতি আবু সাদাত মোহাম্মদ সায়েম, মেজর জেনারেল জিয়াউর রহমান গংরা দেশে নির্বাচিত প্রতিনিধি থাকা সত্ত্বেও অস্ত্র এবং অবৈধ কলমের খোচায় নির্বাচিত জাতীয় সংসদকে ভেঙে ডাকাতদের মতো অবৈধভাবে জোরপূর্বক জনগণের ক্ষমতা ডাকাতি করে দখল করেন। যে বিচার বিভাগ এবং এর বিচারকদের ওপর আইনগত দায়িত্ব ছিল সাংবিধানের সামান্যতম বিচ্যুতিকে রক্ষা করা, সংরক্ষণ করা এবং নিরাপত্তা প্রদান করা; সেই বিচার বিভাগ এবং এর তৎকালীন বিচারকরা সংবিধানকে এক কথায় হত্যা করলেন, জনগণের রায় ডাকাতি করে ‘জনগণের নির্বাচিত সংসদকে বাতিল করলেন। অপরদিকে মেজর জেনারেল জিয়াউর রহমান নিয়ম একজন সরকারী কর্মচারী হয়েও আর্মি রুলস ভঙ্গ করে জনগণের রায়ে নির্বাচিত জাতীয় সংসদকে হত্যা করে দেশের সংবিধানকে হত্যা করে অস্ত্রের মুখে অন্যায়ভাবে অসৎভাবে হত্যাকারীদের দোসর হয়ে জনগণকে চরম অবজ্ঞা করে ক্ষমতা দখল করেন।

একজন মুক্তিযোদ্ধা হয়ে মেজর জেনারেল জিয়াউর রহমান মুক্তিযুদ্ধের বিরোধী তথা স্বাধীনতাবিরোধী রাজাকার, আলবদর, আল-শামস এবং জামায়াতে ইসলামীকে এদেশে পুনর্বাসন করেন। তাদের রাজনীতি করার অধিকার দেন। তাদের নাগরিকত্ব দেন (যে নাগরিকত্বকে আমাদের তথাকথিত জামায়াতি এবং স্বাধীনতা বিরোধী মানসিকতার বিচারকরা বৈধ বলেন)। তিনি স্বাধীনতাবিরোধী এবং মানবতাবিরোধী অপরাধীদের সংসদ সদস্য করেন এবং তাদের মন্ত্রী বানিয়ে, তাদের গাড়িতে বাংলাদেশের পতাকা দিয়ে ত্রিশ লাখ শহীদের রক্তের সঙ্গে এবং দুই লাখ মা বোনের সম্ভ্রমের সঙ্গে বেইমানি করেন। এর পরেও কি বাংলাদেশের জনগণ মেজর জেনারেল জিয়াউর রহমানকে মুক্তিযোদ্ধা বলতে পারে?

মেজর জেনারেল জিয়াউর রহমান শুধু জাতির পিতা ও তার পরিবারের এবং জাতীয় চার নেতা হত্যাকারীদের শুধু দোসরই হননি, বরং তিনি জাতির পিতা ও তার পরিবারের হত্যাকারীদের পুরস্কৃত করেছেন রাষ্ট্রদূত, সংসদ সদস্য ইত্যাদি বানিয়ে। তিনি আরও জঘন্য যে কাজটি করেন তা হলো তিনি জনগণের নির্বাচিত রাষ্ট্রপতি জাতির পিতা ও তার পরিবারের হত্যাকারীদের হত্যার বিচার বন্ধ করে দায়মুক্তি আইন প্রণয়ন করেন। অর্থাৎ তিনি জাতির পিতা ও তার পরিবারের হত্যাকে এই দায়মুক্তি আইন দ্বারা সমর্থন দিয়ে প্রমাণ করেন তিনিও জাতির পিতা ও তার পরিবারের হত্যাকারী এবং জাতীয় চার নেতার হত্যাকারীদেরই একজন।’

Header Ad

কলকাতায় বাংলাদেশ উপ-হাইকমিশনের সামনে বিজেপির বিক্ষোভ

ছবি: সংগৃহীত

পশ্চিমবঙ্গের কলকাতায় সম্মিলিত সনাতনী জাগরণ জোটের মুখপাত্র ও পুণ্ডরীক ধামের অধ্যক্ষ চিন্ময় কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারীকে গ্রেপ্তারের প্রতিবাদে এবং তার মুক্তির দাবিতে বিক্ষোভ অনুষ্ঠিত হয়েছে।

বুধবার (২৭ নভেম্বর) ভারতের বিরোধী রাজনৈতিক দল ভারতীয় জনতা পার্টি (বিজেপি) নেতা ও রাজ্যসভার বিরোধী নেতা শুভেন্দু অধিকারীর নেতৃত্বে দলটির নেতাকর্মীরা কলকাতার বাংলাদেশ উপ-হাই কমিশনের সামনে প্রতিবাদ কর্মসূচি পালন করেন।

দেশটির সংবাদমাধ্যম টাইমস অব ইন্ডিয়ার এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ‘‘ইসকন বাংলাদেশের পুরোহিত চিন্ময় কৃষ্ণ দাসকে গ্রেপ্তারের প্রতিবাদে কলকাতায় ওই বিক্ষোভের আয়োজন করা হয়। এ সময় প্ল্যাকার্ড হাতে নিয়ে বিভিন্ন ধরনের স্লোগান দিয়ে বিজেপির নেতাকর্মীরা উপ-হাই কমিশন অভিমুখে মিছিল করেন।’’

বিক্ষোভ মিছিলের বিষয়ে পশ্চিমবঙ্গের বিজেপি নেতা অগ্নিমিত্র পাল বলেন, ‘‘আমাদের ৮ জন বিধায়ক বাংলাদেশ হাইকমিশনের ভেতরে যাওয়ার অনুমতি পেয়েছেন। শুভেন্দু অধিকারী-সহ আমাদের সীমান্ত এলাকার বিধায়করা হাই কমিশনে ঢুকবেন এবং বাকিরা বাইরে অবস্থান করবেন। আমরা আমাদের হিন্দু ভাই-বোন—বিশেষ করে চিন্ময় দাস প্রভুকে গ্রেপ্তার করা নিয়ে চিন্তিত। আমরা তার নিঃশর্ত মুক্তি চাই। আমরা হিন্দু ভাই-বোনদের ওপর এমন নৃশংসতা সহ্য করতে পারি না। যদি চিন্ময় দাস জির কিছু হয়, আমরা চুপ থাকব না, বাংলা চুপ থাকবে না, বাংলার হিন্দুরা চুপ থাকবে না।’’

সোমবার বিকেলে ঢাকা থেকে চট্টগ্রামে যাওয়ার সময় শাহজালাল বিমানবন্দর থেকে বাংলাদেশ পুলিশের বিশেষায়িত গোয়েন্দা শাখার (ডিবি) সদস্যরা চিন্ময় কৃষ্ণ দাসকে গ্রেপ্তার করেন। পরে সড়কপথে আন্তর্জাতিক শ্রীকৃষ্ণ ভাবনামৃত সংঘের (ইসকন) আলোচিত সাবেক এই সংগঠককে ঢাকা থেকে চট্টগ্রামে পাঠানো হয়। সোমবার রাতে তাকে চট্টগ্রাম মহানগর পুলিশের গোয়েন্দা কার্যালয়ে রাখা হয়।

মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে চট্টগ্রামের কোতোয়ালি থানায় দায়ের হওয়া মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে মহানগর-ষষ্ঠ কাজী শরীফুল ইসলামের আদালতে হাজির করা হয় চিন্ময় কৃষ্ণকে। আদালত জামিন নামঞ্জুর করে তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।

আদালতের আদেশ মোতাবেক চিন্ময় কৃষ্ণকে প্রিজন ভ্যানে তোলা হয়। এসময় আগে থেকে আদালত এলাকায় জড়ো হওয়া চিন্ময় কৃষ্ণের অনুসারীরা বিক্ষোভ শুরু করেন। একপর্যায়ে তারা প্রিজন ভ্যান আটকে দেন। পরে পুলিশ ও বিজিবি মিলে আন্দোলনকারীদের সরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করে।

এ সময় পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়ান বিক্ষোভকারীরা। দুপুরের দিকে বিক্ষোভকারীরা আদালত এলাকায় মসজিদ-দোকানসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে হামলা শুরু করেন। বেশ কয়েকটি মোটরসাইকেল ভাঙচুর করা হয়। একই সঙ্গে আইনজীবীসহ সাধারণ মানুষের ওপরও হামলা করেন চিন্ময় কৃষ্ণের অনুসারীরা। চিন্ময় কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারীর মুক্তির দাবিতে আন্দোলনকারীদের হামলায় সাইফুল ইসলাম আলিফ নামে চট্টগ্রামে এক আইনজীবী নিহত হন।

Header Ad

নিরবের পরকীয়ার অভিযোগ ফিরিয়ে নিলেন স্ত্রী, চাইলেন ক্ষমা

চিত্রনায়ক নিরব ও তার স্ত্রী তাহের চৌধুরী ঋদ্ধি। ছবি: সংগৃহীত

চিত্রনায়ক নিরবের বিরুদ্ধে পরকীয়ার অভিযোগ তুলে স্ত্রী তাহের চৌধুরী ঋদ্ধি মঙ্গলবার (২৬ নভেম্বর) মধ্যরাতে একটি ফেসবুক পোস্ট করেন। দাম্পত্য জীবনের ইতি টানারও ইঙ্গিত দেন তিনি। ঘন্টাখানেক পর ঋদ্ধি ওই পোস্ট মুছে দেন। তাতে অবশ্য তেমন লাভ হয়নি, সকাল হতেই সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়ে নিরব-ঋদ্ধির ভাঙনের গুঞ্জন।

সময় গড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে বিষয়টি আরও জটিল আকার ধারণ করছিল। অবশেষে পিছু হটলেন ঋদ্ধি। নিরবের বিরুদ্ধে সব অভিযোগ তুলে নিলেন। জানালেন, পরকীয়ায় জড়িত নন নিরব। রাতে দেওয়া পোস্টের জন্য ক্ষমা চান ঋদ্ধি।

বুধবার (২৭ নভেম্বর) দুপুরে ফেসবুকে ঋদ্ধি লেখেন, ‘গতকাল রাতে দেওয়া আমার প্রথম পোস্টের জন্য ক্ষমা চাই। সে (নিরব) আমার সঙ্গে প্রতারণা করেনি। নিরবের এক প্রাক্তন তাঁকে মেসেজ দিয়েছিল। এটা ছিল একপাক্ষিক যোগাযোগ। হিট অব দ্য মোমেন্টে স্ট্যাটাস দিয়েছিলাম। প্রাক্তনের যোগাযোগ প্রসঙ্গে নিরবের কোনো দায় নেই। তাই এটা পরকীয়া সম্পর্ক নয়।’

রাতে দেওয়া তাঁর পোস্টের বক্তব্য ধরে কোনো ধরনের খবর প্রকাশ করা থেকে বিরত থাকার অনুরোধ জানিয়েছেন ঋদ্ধি।

সম্প্রতি এক অ্যাওয়ার্ড শোতে অংশ নিতে যুক্তরাষ্ট্রে গেছেন নিরব। সেখানে বিভিন্ন স্টেজ শোতে পারর্ফম করার কথা রয়েছে তাঁর। এর মাঝেই স্ত্রীর অভিযোগকে কেন্দ্র করে তাঁদের বিচ্ছেদের গুঞ্জন তৈরি হয়। প্রথম পোস্টে ঋদ্ধি লিখেছিলেন, ‘বউ বাচ্চা ফেলে কীভাবে দেশের বাইরে গিয়ে এক্সের সাথে আবার যোগাযোগ করে। যদি আমার আর আমার বাচ্চার লাইফ আনস্ট্যাবল হয়, কোনো পরকীয়া করা কাপলকে আমি ভালো মানুষের মুখোশ পরে থাকতে দিব না।’

এর কিছুক্ষণ পর নিরবের সঙ্গে দাম্পত্য জীবন নিয়ে দীর্ঘ পোস্ট দেন ঋদ্ধি। সেই পোস্টে লেখেন, ‘নিরব হোসেন, আপনাকে অজস্র ধন্যবাদ আমার মতো মুটিয়ে যাওয়া কদাকার স্ত্রীকে দীর্ঘসময় সহ্য করার জন্য।...২০১৪ থেকে আপনি আমার লাইফে আসার পর থেকে আমার মা-বাবা-সন্তানদেরও আগে আপনি ছিলেন আমার প্রথম প্রায়োরিটি। রিলেশনশিপে নাকি ইগো থাকতে হয় না। এ জন্য যেকোনো ধরনের ছোট বড় সমস্যাতেই দাঁত কামড়ে আপনার সাথে ছিলাম। এর জন্যই আপনারও সবচাইতে বড় সমস্যা আমি হয়ে গেলাম। আমার অনেক কষ্ট হবে আপনাকে ছেড়ে থাকতে, তারপরও এবার আপনাকে আর কখনোই বিরক্ত করব না...’

উল্লেখ্য, ২০১৪ সালে কাসফিয়া তাহের চৌধুরী ঋদ্ধিকে ভালোবাসে বিয়ে করেছিলেন চিত্রনায়ক নিরব হোসেন। তাদের এই বিয়ে মেনে নেয়নি ঋদ্ধির পরিবার। নিরবের নামে মামলা ঠুকে দিয়েছিলেন তাঁরা। তবে এই ঘটনা তাঁদের পথচলায় বাঁধা হতে পারেনি। নিরব-ঋদ্ধির সংসারে দুই কন্যা সন্তান রয়েছে।

Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

জিয়াউর রহমানকে নিয়ে ‘আপত্তিকর’ মন্তব্য, বিচারককে ডিম ছুড়লেন আইনজীবীরা
কলকাতায় বাংলাদেশ উপ-হাইকমিশনের সামনে বিজেপির বিক্ষোভ
নিরবের পরকীয়ার অভিযোগ ফিরিয়ে নিলেন স্ত্রী, চাইলেন ক্ষমা
মিয়ানমারের জান্তা প্রধানের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির আবেদন
স্ত্রী হত্যা মামলায় জামিন পেলেন সাবেক এসপি বাবুল
ইসকন নিষিদ্ধের দাবিতে উত্তাল চট্টগ্রাম, নেতৃত্বে হাসনাত-সারজিস
চাঁদাবাজি ও কর ফাঁকির মামলা থেকে তারেক রহমানের অব্যাহতি
পাবনার আটঘরিয়ায় দিনে-দুপুরে বাড়িতে হামলা-ভাঙচুর ও লুটপাট
যে পেশায় মানুষের জায়গা নিতে পারবে না এআই
প্রবাসীদের জন্য মধ্যপ্রাচ্যে ইলিশ রপ্তানির উদ্যোগ
সুপ্তার সেঞ্চুরির আক্ষেপের পরেও বাংলাদেশের রেকর্ড সংগ্রহ
নায়ক নিরবের বিরুদ্ধে পরকীয়ার অভিযোগ স্ত্রীর
মুন্সি সমিতির অফিসে আগুন দিলো আইনজীবীরা
মৃত্যুর ৬ বছর পর প্রকাশ পাচ্ছে আইয়ুব বাচ্চুর নতুন গান
তানজিম সাকিবের দারুণ বোলিং, জয়ে শুরু গায়ানার
ভিসার জন্য দুপুরে আমেরিকান দূতাবাসে যাচ্ছেন খালেদা জিয়া
ইসকন নিষিদ্ধে সরকারের অবস্থান জানতে চায় হাইকোর্ট
নারী যুগ্মসচিবের ধমক খেয়ে অজ্ঞান কর্মকর্তা, সচিবালয়ে কর্মচারীদের বিক্ষোভ
জিয়া চ্যারিটেবল মামলায় খালেদা জিয়াসহ সব আসামি খালাস
আইনজীবী সাইফুল হত্যায় আটক ৩০