অন্ধ্রেই শেষ হলো 'অশনি'
বিভিন্ন মাত্রায় পাল্টেছে ঘূর্ণিঝড় অশনির গতিবিধি। প্রথমে প্রবল থেকে সাধারণ ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হয় অশনি। এরপর গভীর নিম্নচাপ, সব শেষে সাধারণ নিম্নচাপে সাঙ্গ হলো অশনির দাপট। ভারতের অন্ধ্রপ্রদেশের সমুদ্র উপকূলেই অশনি হারাল তার শক্তি। এতে কেটে গেল বাংলাদেশে আসার আশঙ্কা। কিন্তু কদিন থেকে অশনির প্রভাবে যে বৃষ্টি হচ্ছে, তা কিন্তু কাল পর্যন্ত থাকবে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে। আবহাওয়া অধিদপ্তরের পূর্বাভাসে এমনটিই বলা হয়েছে।
প্রায় সপ্তাহখানেক ধরে অশনির আঘাতের আশঙ্কা ছিল ভারতসহ বাংলাদেশেও। এর প্রভাবে বৃষ্টি হয়েছে। আকাশও মেঘলা ছিল। শঙ্কা ছিল বাংলাদেশে আসবে কি না, তবে আবহাওয়া অধিদপ্তর, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় দুই দিন আগে থেকেই বলেছিল, বাংলাদেশে অশনি আসার আশঙ্কা কম।
আজ আবহাওয়া অধিদপ্তরের ২০তম বিশেষ বার্তায় বলা হয়েছে, ভারতের অন্ধ্র উপকূল ও এর কাছাকাছি এলাকার স্থলভাগ ও পশ্চিম-মধ্য বঙ্গোপসাগর এলাকায় থাকা গভীর নিম্নচাপটি পশ্চিম দিকে অগ্রসর হয়ে আরও দুর্বল হয়ে নিম্নচাপ আকারে অন্ধ্রের স্থলভাগ ও এর কাছাকাছি এলাকায় অবস্থান করছিল। এটা ধীরে ধীরে দুর্বল হয়ে পড়বে।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের উপপরিচালক ছানাউল হক মণ্ডল বৃহস্পতিবার (১২ মে) সকালে বলেন, অশনি এখন দুর্বল নিম্নচাপ। এটি অন্ধ্রেই শেষ হয়ে গেছে। তবে বাংলাদেশের কিছু কিছু জায়গায় আজ ও কাল শুক্রবার এর প্রভাবে বৃষ্টি হতে পারে।
অশনির জন্য দেশের সমুদ্রবন্দরগুলোকে যে হুঁশিয়ারি সংকেত দেখাতে বলা হয়েছিল, তা নামিয়ে ফেলতে বলা হয়েছে।
ছানাউল হক মণ্ডল আরও বলেন, গত ২৪ ঘণ্টায় দেশের সর্বোচ্চ বৃষ্টি হয় সিলেটে ৭৮ মিলিমিটার। এদিকে ঢাকায় বৃষ্টি হয় ৩৪ মিলিমিটার।
টিটি/