রংপুরের মিঠাপুকুরে ফকিরহাট পাবলিক উচ্চ বিদ্যালয়ের লিজ দেওয়া জমি দখল চেষ্টার প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। প্রধান শিক্ষক আমিরুজ্জামান বুলবুল সংবাদ সম্মেলনে স্থানীয় ভূমিদস্যুদের কৌশল ও দাপটের বিষয় তুলে ধরেন।
শনিবার (১ মার্চ) দুপুর ২ টায় ফকিরহাট পাবলিক উচ্চ বিদ্যালয়ের হল রুমে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে প্রধান শিক্ষক আমিরুজ্জামান বুলবুল জানান, বিদ্যালয়ের গিলাঝুকি মৌজায় ৭.৯৩ একর জমিতে বরেন্দ্র প্রকল্পের মাধ্যমে প্রায় ৩২ লক্ষ টাকা ব্যয়ে একটি পুকুর খনন করা হয়। চলতি বছরের জানুয়ারি মাসে টেন্ডারের মাধ্যমে ৩ বছরের জন্য সেরাজুল ইসলাম নামের এক ব্যক্তিকে ওই পুকুরের ইজারা দেওয়া হয়। তবে, পুকুর খনন করা জমির মালিকানা দাবি করে জনৈক এনামুল হক হীরা নামের ব্যক্তি আদালতে মামলা করেছেন, যার নোটিশ বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষও পেয়েছে। এ বিষয়ে আদালতের বিচারের প্রতি শ্রদ্ধাশীল থেকে বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ তাদের বক্তব্য যথাসময়ে আদালতে পেশ করবে।
প্রধান শিক্ষক বুলবুল আরও জানান, এনামুল হক হীরা ইজারাদারকে ভয়ভীতি ও হুমকির মাধ্যমে স্ট্যাম্পে সই নিয়ে নিয়মবহির্ভূতভাবে ইজারাদারি হস্তান্তর করেন। এরপর তিনি ওই পুকুরপাড়ে গাছ রোপণসহ বিভিন্ন অপকর্ম শুরু করেন। এতে এলাকার লোকজন বিক্ষুব্ধ হয়ে উঠেন এবং বিদ্যালয়ের স্বার্থ রক্ষায় স্থানীয় বাসিন্দারা এক সভা করে কথিত ইজারাদারের স্থাপনা গুড়িয়ে দেন।
এছাড়াও, প্রধান শিক্ষক আমিরুজ্জামান বুলবুল উল্লেখ করেন যে, এনামুল হক হীরা বর্তমানে স্কুলের প্রধান শিক্ষক এবং ম্যানেজিং কমিটির সদস্যদের বিরুদ্ধে ১২টি হয়রানিমূলক মামলা দায়ের করেছেন। তিনি এই সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে প্রশাসনসহ সংশ্লিষ্ট সকলের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন এবং ফকিরহাট পাবলিক উচ্চ বিদ্যালয়ের জমি ও পুকুর দখল চেষ্টাকারী এনামুল হক হীরা ও তার সহযোগীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানান।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত এনামুল হক হীরা চৌধুরী বলেন, ‘‘আমি পৈত্রিক সূত্রে স্কুলের জমি পেয়েছি এবং সে অনুযায়ী মামলাও করা হয়েছে।’’