‘ভাসানচরে জাতিসংঘের এজেন্সিগুলো কাজ শুরু করেনি’
দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী ডা. এনামুর রহমান বলেছেন, ‘ভাসানচরে এখনো জাতিসংঘের এজেন্সিগুলো কার্যক্রম শুরু করেনি। এ ব্যাপারে আমি যুক্তরাষ্ট্রের আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সংস্থার (ইউএসএআইডি) সহযোগিতা চেয়েছি। যাতে দ্রুত সেখানে জাতিসংঘের শরণার্থী বিষয়ক সংস্থা (ইউএনএইচসিআর), ওয়ার্ল্ড ফুড প্রোগ্রাম কার্যক্রম শুরু করে।’
মঙ্গলবার (১০ মে) সচিবালয়ে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের নিজের দপ্তরে ইউএসএআইডির ডেপুটি অ্যাডমিনিস্ট্রেটর (পলিসি অ্যান্ড প্রোগ্রামিং) ইসোবেল কোলম্যান এবং ইনডিপেনডেন্ট ইনভেস্টিগেটিভ মেকানিজম ফর মিয়ানমারের (আইআইএমএম) প্রধান নিকোলাস কোয়ামজিয়ানের নেতৃত্বে দুটি প্রতিনিধিদলের সঙ্গে বৈঠকের পর সাংবাদিকদের এ কথা বলেন ডা. এনামুর রহমান।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘কক্সবাজারে রোহিঙ্গাদের ব্যবস্থাপনায় ডেপুটি অ্যাডমিনিস্ট্রেটর ইসোবেল কোলম্যান সন্তোষ প্রকাশ করার পাশাপাশি ভাসানচরের বিষয়ে কয়েকটি পর্যবেক্ষণ দিয়েছেন। তিনি ভাসানচরে একটি উন্নতমানের হাসপাতাল প্রতিষ্ঠা করার পরামর্শ দিয়েছেন। তিনি বলেছেন, জরুরি রোগী হলে ভাসানচর থেকে চট্টগ্রাম অথবা নোয়াখালী পাঠাতে হয়। ভাসানচরে যে হাসপাতাল রয়েছে, সেখানে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক ও সব রকমের ওষুধের ব্যবস্থা থাকলেও অস্ত্রোপচারের ব্যবস্থা নেই। জাতিসংঘের প্রতিনিধিরা সেখানে অস্ত্রোপচারের ব্যবস্থা করার সুপারিশ করেছেন।’
সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘ইউএসএইড সরাসরি সাহায্য দেয় না। তারা ইউএনএইচসিআর ও বিশ্ব খাদ্য সংস্থাকে আরও ফান্ড দেবে, যাতে তারা এখানে কাজ করতে পারে। দ্রুত এ সাহায্যটা দেওয়া হবে, যাতে তারা ভাসানচরে কাজ শুরু করতে পারে।’
রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনের বিষয়ে জাতিসংঘ প্রতিনিধিরা কিছু বলেছেন কি-না জানতে চাইলে এনামুর রহমান বলেন, ‘তারা বলছে, পৃথিবীতে প্রায় ৫০ লাখ শরণার্থী ছিল, এর সঙ্গে ইউক্রেনের প্রায় ৭০ লাখ শরণার্থী যোগ হয়েছে, তারা এদের নিয়ে কাজ করছে। অন্যান্য শরণার্থী শিবিরে যেভাবে কাজ করছে এখানেও সেভাবে কাজ করবে। দ্রুত তাদের মিয়ানমারে ফেরত পাঠাতে তারা চাপ তৈরি করবে।’
‘নিকোলাসও বলেছে, এটার সমাধান হলো প্রত্যাবর্তন। আমরা যতগুলো অর্গানাইজেশন কাজ করছি, আমাদের মূল লক্ষ্য মিয়ানমারে তাদের নাগরিক অধিকার ও নিরাপত্তা দিয়ে ফেরত পাঠানো। এরজন্য তারাও কাজ করছেন। মিয়ানমারের সাথেও তারা বসতে চেয়েছিলেন। কিন্তু তারা জানালেন, মিয়ানমার সরকার তাদের সহযোগিতা করেনি বলে এটা সম্ভব হয়নি।’
শরাণার্থী প্রত্যাবাসন নিয়ে মিয়ানমারের ও বাংলাদেশ মধ্যে দ্বিপক্ষীয় আলোচনার অগ্রগতি বিষয়ে জানতে চাইলে প্রতিমন্ত্রী বলেন, এটা নিয়ে গত মাসেই একটি মিটিং হয়েছে। সেখানে নাগরিকদের একটি তালিকা দেওয়া হয়েছে, মিয়ানমার সেটা গ্রহণ করেছে। এটা প্রক্রিয়াধীন।
এনএইচবি/আরএ/