১০ বছরে ৩৮ হাজার জীবন্ত বন্যপ্রাণী উদ্ধার
বন্যপ্রাণী (সংরক্ষণ ও নিরাপত্তা) আইন ২০১২ প্রণয়ন এবং বন অধিদপ্তরের অধীনে বন্যপ্রাণী অপরাধ দমন ইউনিট প্রতিষ্ঠার পর থেকে ১০ বছরে দেশে প্রায় ৩৮ হাজার জীবন্ত বন্যপ্রাণী উদ্ধার করা হয়েছে।
বন্যপ্রাণী সংরক্ষণে নিবেদিত স্বেচ্ছাসেবীদের নিয়ে রাজধানীর মিরপুরের জাতীয় উদ্ভিদ উদ্যানে ১০ দিনব্যাপী প্রশিক্ষণ কর্মসূচীর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বন বিভাগের কর্মকর্তারা এ তথ্য জানান। বন অধিদপ্তরের বন্যপ্রাণী অপরাধ দমন ইউনিট এ প্রশিক্ষণ কর্মশালার আয়োজন করে।
প্রশিক্ষণ কর্মসূচির উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন বন অধিদপ্তরের প্রধান বন সংরক্ষক মো. আমীর হোসাইন চৌধুরী এবং বিশেষ অতিথি ছিলেন জাতীয় উদ্ভিদ উদ্যানের পরিচালক ড. মো. জাহিদুর রহমান মিয়া। সভাপতিত্ব করেন বন্যপ্রাণী অপরাধ দমন ইউনিটের পরিচালক এ এস এম জহির উদ্দিন আকন এবং সঞ্চালনা করেন বন্যপ্রাণী পরিদর্শক নার্গিস সুলতানা।
আমীর হোসাইন চৌধুরী বলেন, ’সচেতনতার অভাবে এবং আরও বিভিন্ন কারণে অনেকে বন্য প্রাণী নিধন ও শিকার যেমন করছে, তেমনি বণ্যপ্রাণী নিধন ও পাচারের সাথে আন্তর্জাতিক অপরাধ চক্রও জড়িত। মানুষের মধ্যে সচেতনতা বৃদ্ধি এবং বিভিন্ন প্রতিরোধমূলক ও আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার কারণে বন্যপ্রাণী নিধন যেমন কমে আসছে; তেমনি বিদেশে পাচারও হ্রাস পাচ্ছে।’
ড. মো. জাহিদুর রহমান মিয়া জানান, পৃথিবীব্যাপী বন্যপ্রাণী পাচার হয় এবং এই সংক্রান্ত অবৈধ ব্যবসা হয়। বাংলাদেশেও এমন অপরাধ হচ্ছে। কিন্তু বন বিভাগ এবং সরকারের অন্যান্য বিভাগ ও আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সচেতন তৎপরতার ফলে বন্যপ্রাণী ও এর অংশবিশেষ পাচার যেমন কমে আসছে, তেমনি বন্যপ্রাণী নিধন ও শিকার দিন দিন কমছে।
এ এস এম জহির উদ্দিন আকন জানান, বন্যপ্রাণী অপরাধ দমন ইউনিট প্রতিষ্ঠার পর এবং বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ আইন প্রণয়নের পর বিগদ ১০ বছরে এই আইনে সাড়ে তিন শতাধিক মামলা হয়েছে।
নার্গিস সুলতানা বলেন, বন্যপ্রাণী অপরাধ দমন ইউনিট খুবই অল্পসংখ্যক জনবল নিয়ে কাজ চালিয়ে যাচ্ছে। এই ইউনিটে জনবল বৃদ্ধিতে তিনি কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন।
এপি/