ইসি গঠনে রাষ্ট্রপতির সংলাপ শুরু কাল
নির্বাচন কমিশন (ইসি) গঠনের প্রক্রিয়া শুরু হচ্ছে। রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ সোমবার (২০ ডিসেম্বর) বিকাল ৪টায় সংসদের বিরোধী দল জাতীয় পার্টির সঙ্গে সংলাপের মধ্যদিয়ে শুরু করছেন এই প্রক্রিয়া।
নির্বাচন কমিশনে যোগ্য লোক বাছাই করতে একটি সার্চ কমিটি গঠন করবেন রাষ্ট্রপতি। সেই সার্চ কমিটিই নতুন নির্বাচন কমিশন গঠন করবেন। সংলাপে অংশ নিতে পারেন জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান ও সংসদে বিরোধী দলীয় উপনেতা গোলাম মোহাম্মদ কাদের এবং মহাসচিব মুজিবুল হক চুন্নুর নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধি দল রাষ্ট্রপতি ভবন বঙ্গভবনে যাবেন।
আগামী ১৪ ফেব্রুয়ারি কে এম নূরুল হুদার নেতৃত্বাধীন বর্তমান নির্বাচন কমিশনের মেয়াদ শেষ হচ্ছে। এর আগেই রাষ্ট্রপতি নতুন নির্বাচন কমিশন নিয়োগ দেবেন।
জানাগেছে, নতুন নির্বাচন কমিশন গঠনে নিবন্ধিত দলগুলোর সঙ্গেই রাষ্ট্রপতি আলোচনা করবেন। আলোচনা শেষে আপিল বিভাগের একজন বিচারপতির নেতৃত্বে সার্চ কমিটি গঠন করবেন রাষ্ট্রপতি। এতে হাইকোর্ট বিভাগের একজন বিচারপতি, মহাহিসাব নিরীক্ষক ও নিয়ন্ত্রক (সিএজি)সহ ২-৩ জন বিশিষ্ট নাগরিক থাকবেন।
প্রসঙ্গত, দেশে বর্তমানে ৪৪টি নিবন্ধিত রাজনৈতিক দল রয়েছে।
সংবিধান অনুযায়ী প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও নির্বাচন কমিশনার নিয়োগের এখতিয়ার রাষ্ট্রপতির হাতে। এর আগে সাবেক রাষ্ট্রপতি মো. জিল্লুর রহমান ২০১২ সালে এবং বর্তমান রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ২০১৭ সালে অধিকাংশ রাজনৈতিক দলের সঙ্গে সংলাপ করে সার্চ কমিটির মাধ্যমে সর্বশেষ দুই নির্বাচন কমিশন নিয়োগ দিয়েছিলেন।
সংবিধানের ১১৮ অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে, প্রধান নির্বাচন কমিশনার এবং অনধিক চার জন নির্বাচন কমিশনারকে নিয়ে একটি নির্বাচন কমিশন থাকবে এবং এ বিষয়ে প্রণীত কোনও আইনের বিধান সাপেক্ষে রাষ্ট্রপতি প্রধান নির্বাচন কমিশনারকে এবং অন্যান্য নির্বাচন কমিশনারকে নিয়োগ দেবেন।
কে এম নুরুল হুদার নেতৃত্বাধীন ইসি গঠনের আগে ২০১৬ সালের ১৮ ডিসেম্বর সংসদের বাইরে থাকা বিএনপির সঙ্গে নির্বাচন কমিশন গঠন নিয়ে সেবার সংলাপ শুরু করেন রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ। একমাস ধরে ৩১টি দলের সঙ্গে চলা ওই সংলাপ ২০১৭ সালের ১৮ জানুয়ারি শেষ হয়। সার্চ কমিটি গঠন করার পর সে বিষয়ে প্রজ্ঞাপন দেয় মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ। ওই কমিটির কাজের সাচিবিক দায়িত্বও থাকে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের হাতে।
এসএম/এমএমএ/