ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়ে শাস্তি পেলেন সারওয়ার আলম
নিজের ফেসবুক পেজে সরকারি সিদ্ধান্তকে কটাক্ষ করে মন্তব্য করায় শাস্তি পেলেন প্রবাসীকল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সহকারী সচিব মো. সারওয়ার আলম। এটি তার জন্য লঘুদণ্ড হিসেবে তিরস্কার করা হয়েছে। সরকারি চাকরি শর্তাবলী অনুযায়ী একই অপরাধ আবার করলে বড় শাস্তির মুখোমুখি হতে পারেন এই কর্মকর্তা।
পদোন্নতি না পাওয়ায় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে মন্তব্য করার দায়ে ‘অসদাচরণ’ হিসেবে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় তাকে এ দণ্ড দিয়েছে। সারওয়ার আলম ২৭তম বিসিএসের প্রশাসন ক্যাডারের কর্মকর্তা।
সারওয়ার আলমকে দণ্ড দেওয়ার আদেশে বলা হয়েছে, সারওয়ার আলম গত বছরের ৮ মার্চ তার ফেসবুক আইডিতে ‘চাকরিজীবনে যেসব কর্মকর্তা-কর্মচারী অন্যায়, অনিয়মের বিরুদ্ধে লড়েছেন তাদের বেশির ভাগ চাকরিজীবনে পদে পদে বঞ্চিত ও নিগৃহীত হয়েছেন এবং এ দেশে অন্যায়ের বিরুদ্ধে অবস্থান নেওয়াটাই অন্যায়’ বলে মন্তব্য করেন। একজন সরকারি কর্মচারী হয়ে সরকার ও কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে এ ধরনের ইঙ্গিতপূর্ণ মন্তব্য করার মাধ্যমে তিনি অকর্মকর্তাসুলভ আচরণ করেছেন। এতে জনপ্রশাসনের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হওয়ায় সরকারি কর্মচারী (শৃঙ্খলা ও আপিল) বিধিমালা অনুযায়ী অসদাচরণের অভিযোগে তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলা করা হয়। এরপর এ বিষয়ে তদন্ত হয়।
তদন্ত প্রতিবেদনের বরাত দিয়ে আদেশে বলা হয়, পর্যালোচনায় দেখা যায়, সারওয়ার আলম তার ফেসবুকে আইডিতে সেই মন্তব্যটি করেছেন বলে স্বীকার করেছেন এবং অসদাচরণের অভিযোগ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হয়েছে। এ জন্য তাকে তিরস্কারসূচক লঘুদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
সারওয়ার আলমকে দণ্ড দেওয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (শৃঙ্খলা ও তদন্ত অনুবিভাগ) ফরিদ উদ্দিন আহমদ ঢাকাপ্রকাশকে বলেন, ‘সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহার সাবধনতা অবলম্বন না করলে যে কারো বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা হতে পারে। এটা দীর্ঘদিন তদন্ত করার পর ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। এটা সর্বনিম্ন দণ্ড তিরস্কার করা।’
এসএম/আরএ/