বুধবার, ২২ জানুয়ারি ২০২৫ | ৮ মাঘ ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

এডিটর’স টক অনুষ্ঠানে শ ম রেজাউল করিম

‘পেশার ন্যূনতম স্বার্থে সাংবাদিকদের ঐক্য দরকার’

বর্তমান সরকারের মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী শ.ম রেজাউল করিম এমপি সম্প্রতি এসেছিলেন ঢাকাপ্রকাশ কার্যালয়ে। এ সময় সমসাময়িক বিভিন্ন বিষয় নিয়ে তার সঙ্গে কথা বলেছেন ঢাকাপ্রকাশ-এর প্রধান সম্পাদক মোস্তফা কামাল। কথোপকথনের প্রথম পর্বটি তুলে ধরা হলো।

মোস্তফা কামাল: রেজা ভাই আপনি কেমন আছেন?

শ.ম রেজাউল করিম: জি,আলহামদুলিল্লাহ ভালো। আপনার নতুন হাউজ এর শুভকামনা জানানোর জন্যই মূলত আসা। আশা করি আপনারা সবাই ভাল আছেন ।

মোস্তফা কামাল: আপনিতো দীর্ঘকাল সাংবাদিকতার সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। এখন মন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করছেন। কিন্তু আপনার লেখালেখি সাংবাদিকতা টকশোতে আমরা আপনাকে দেখি একজন প্রাণবন্ত মানুষ হিসেবে নানা বিষয়ে কথা বলে আপনি মানুষকে সমৃদ্ধ করছেন। তো, বর্তমান সময়ে যে সাংবাদিকতা এবং অতীতে আপনি ৩০ বছর আগে যে সাংবাদিকতা করেছেন, সেটির মধ্যে আপনিগুণগত কোন পার্থক্য দেখেন কি না বা এখনকার সাংবাদিকতা নিয়ে আপনার বিশ্লেষণ জানতে চাই ।

শ.ম রেজাউল করিম: গণমাধ্যম এখন সম্প্রসারিত হয়েছে। সাংবাদিকতার সংজ্ঞাও এখন পরিবর্তিত।এখন বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমেও অনেক সংবাদ প্রকাশিত হয়।প্রথাগত যে সাংবাদিকতা, বিশেষ করে যে প্রিন্টিং মিডিয়া তা থেকে আরও ডেভেলপ করেছে ইলেকট্রনিক মিডিয়া।ইলেকট্রনিক মিডিয়া থেকে এখন বিভিন্ন অনলাইন ভার্সন বিভিন্নভাবে গণমাধ্যমের একটা বিস্তার ঘটেছে।এটা হল ভালো দিক আর এর সঙ্গে কিছু খারাপ দিকগুলো হল, হুটহাট করে বিভিন্ন গণমাধ্যমের মালিকানা অর্জন করে অথবা কোনরেজিস্ট্রেশন নাই এরকম কোন ইউটিউব চ্যানেল অথবা অনলাইনের কোন পেইজে চ্যানেল করে অথবা একটা পত্রিকার নামসর্বস্ব ডিক্লারেশন নিয়ে মানুষকে বিভ্রান্ত করা অসত্য তথ্য দেয়া বা ভুয়া তথ্য দিয়ে সংবাদমাধ্যমের যে স্ট্যান্ডার্ড বা স্ট্যাটাস ওই জায়গাতেও কিন্তু বিভিন্নভাবে অনেকেই প্রশ্নবিদ্ধ করছে।তবে মুলধারার গণমাধ্যম এখনো ভালো কাজ করে চলছে।সেই ক্ষেত্রে যদি কোন ব্যক্তি গোষ্ঠী বা কোম্পানি নিজেদের স্বার্থের চেয়ে একটি সার্বজনীনতা কে ধারণ করেন, তাহলে আমার মনে হয় গণমাধ্যম যাকে রাষ্ট্রের চতুর্থ স্তম্ভ বলা হয় সেটা আরও কার্যকর হতে পারে।

মোস্তফা কামাল: এটা থেকে উত্তরণের উপায় কি হতে পারে? এইযে মানুষ বলে আসলে গণমাধ্যমতো নানাভাবে হলুদ সাংবাদিকতায় প্রশ্নবিদ্ধ। হলুদ সাংবাদিকরা যারা দলে বিভক্ত,অসংখ্য সংগঠন সাংবাদিকদের।এত সংগঠনের প্রয়োজন আছে কি না এটা নিয়েও প্রশ্ন আছে।ঢাকার বাইরে যারা কাজ করেন তাদের কার্ডসর্বস্ব সাংবাদিক বলা হয়। তো,এইটা থেকে উত্তরণের উপায় কি?

শ.ম রেজাউল করিম: দেখুন,আমি এরকম বিশেষজ্ঞ না।কিন্তু আমার কাছে মনে হয় যে, পেশার ন্যূনতম স্বার্থে মানে ন্যূনতম যে বিষয়গুলি সে বিষয়ে ঐক্যবদ্ধ হওয়া দরকার সাংবাদিকদের। যেমন, আজকে ডিইউজে, বিএফইউজে, আলাদা আলাদা ভাগে বিভক্ত হয়েছে। রিপোর্টাররা সঠিক স্পেস না পাওয়ায় রিপোর্টার্স ইউনিটি হয়েছে আবার আরো অনেক সংগঠন হয়েছে ।কাউকে না কাউকে উদ্যোগ নেয়া দরকার। আমাদের যেরকম আইনজীবী সমিতি রয়েছে। আমি মূলত আইনজীবী। অনেক দল এবং মতের আইনজীবী থাকা সত্বেও কিন্তু আইনজীবীদের যে মূল সংগঠন বার কাউন্সিল এটা বিভাজিত না। সুপ্রিমকোর্ট আইনজীবী সমিতি বিভাজিত না। ঢাকা আইনজীবী সমিতি বিভাজিত না। তাহলে অনেক মেধাবী সাংবাদিকরা কেন বিভাজিত থাকবে? তারা যদি নিজেদেরকে নিজেরা প্রশ্ন করে তাহলে তারা বুঝতে পারবে তাদের যোগ্যতার জায়গাটা খণ্ড বিখণ্ড হয়ে গেছে। অন্যান্য প্রফেশনে বিএমএ (BMA)আলাদা হয়ে যায়নি।মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশন, ইঞ্জিনিয়ার্স ইন্সটিটিউশন আলাদা আলাদা অর্গানাইজেশন হয়নি। একমাত্র সাংবাদিকদের এই জায়গাটায় যেটা হয়েছে, আমি মনে করি সাংবাদিকদের ভেতরে যারা পেশাগত সাংবাদিক অথবা এই পেশায় যারা বিভিন্ন সময় পূর্ণ দায়িত্ব পালন করেছেন তাদের একটা উদ্যোগ নেয়া দরকার যে, কোন কোম্পানির প্রতিনিধি হবো না। কোন ব্যক্তি বিশেষের প্রতিনিধি হবো না। কোন দলের প্রতিনিধি হবো না। কালোকে কালো,সাদাকে সাদা,হলুদকে হলুদ বলব।এই মন্ত্রে যদি দীক্ষিত হয়ে একটা ঐক্য সৃষ্টি করা যায় তাহলেই গৌরব পুনরুদ্ধার করা সম্ভব ।

মোস্তফা কামাল: অনেকেই বলে থাকেন আসলে এখন সাংবাদিকতা টাকাওয়ালাদের কাছে জিম্মি। আবার অনেকেই বলেন আসলে সরকার যদি নিয়ন্ত্রণ করত গণমাধ্যমকে, তাহলে তো সরকারি বিজ্ঞাপন দিয়ে যে পত্রিকাগুলি চলে, যে পরিমাণ বিজ্ঞাপন দেয়, সেই পরিমাণ নিয়ন্ত্রণ করে না । কিন্তু যারা এটার মালিক তারা বেশি নিয়ন্ত্রক। এ বিষয়টি সম্পর্কে আপনার মতামত কি?

শ.ম রেজাউল করিম: একটা চমৎকার বিষয় আপনি বলছেন। সরকারি বিজ্ঞাপন যে সকল পত্রিকা বেশি পায়, ওই সকল পত্রিকার কিন্তু পাঠক সংখ্যা কম। কারণ খুব বেশি সরকারের পক্ষে লিখলে মানুষ মনে করে- ধুরু এরা সরকার ঘ্যাসা। আবার একেবারে সরকারের কোন কারণ ছাড়া সমালোচনা করা অনেক পত্রিকাও কিন্তু মানুষ কেনে না । ওই পক্ষের লোকেরাও কিনে না। আপনি দিনকাল পত্রিকা কেনার লোকের সংখ্যা খুব কম পাবেন বিএনপি'র লোকেরা । দৈনিক সংগ্রাম কেনার লোক জামায়াত ঘরণার কম পাবেন। এটা এই কারণে বলছি যে, মানুষ কিন্তু একটা নিরপেক্ষ সংবাদ আশা করে। যিনি কট্টর বিএনপি অথবা কট্টর আওয়ামী লীগ সেক্ষেত্রে তার শিবিরের বাইরের পত্রিকা কিনে গোপনে পড়ে, এখানে আসল খবরটা পাওয়া যাবে কিনা। কাজেই পত্রিকাকে যারা বিভিন্ন কুকর্মকে ঢাকার জন্য সাইনবোর্ড হিসাবে ব্যবহার করতে চায় তারা সংবাদ মাধ্যম না। তাদের বাঁচার জন্য তারা একটা মাধ্যম হিসাবে তৈরি করে। এজন্য অনেক ক্ষেত্রেই দেখি একটা বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ যেটা প্রথম পাতায় আসার কথা সেটা প্রথম পাতায় নাই। এটা ভেতরের পাতায় চতুর্থ কলামে সিঙ্গেল হয়ে গেল অথবা যে নিউজটা বডিতে আসার কথা, পঞ্চম পাতায় আসার কথা সেটাকে দেখা গেল লিড নিউজ করা হচ্ছে। কারণ কী? এইখানে কিন্তু ওই পত্রিকার আর গ্রহণযোগ্যতা থাকে না। সংবাদ মাধ্যম হিসেবে যে ক্রেডিবিলিটি টা সেটাও থাকে না ।

 

মোস্তফা কামাল: অনেকেই বলে থাকেন অপসাংবাদিকতা বা হলুদ সাংবাদিকতা গণতন্ত্র এবং উন্নয়নের পথে অন্তরায়। তো আপনি কি মনে করেন?

শ.ম রেজাউল করিম: আমিও সেটাই মনে করি। মফস্বলে দেখা যায় নামসর্বস্ব কার্ড নিয়ে গিয়ে একটা ইঞ্জিনিয়ারকে বলতেছে কাল নিউজ করে দিব আমাকে যদি ঠিকাদারি কাজ দেয়া না হয় অথবা টাকা দেয়া না হয় । আবার নামসর্বস্ব ওই যে আন্ডারগ্রাউন্ড পত্রিকা একটা খুইলা নিউজ করে ওই নিউজটা কে ফেইসবুকে বিভিন্ন জায়গায় পাঠিয়ে একজন ভাল অফিসারের বিরুদ্ধে অনুসন্ধানী প্রক্রিয়া শুরু করা হয়। কখন অফিসার চিন্তা করে যে এতো ঝামেলা দিয়ে কাজ কি? কিছু পয়সা দিয়ে সমঝোতা করি। এখন কোনো কোনো সাংবাদিক আছেন, তিনি প্রকৃতপক্ষে সাংবাদিক না । ঢাকায় ফ্ল্যাট নিয়ে আছেন। বাড়ির মালিক আছেন। টিপটপ চলেন গাড়ি মেইনটেইন করেন। আমার তো মাঝেমধ্যে প্রশ্ন করতে ইচ্ছে করে আপনার আয়ের উৎসটা কি? আবার সিনসিয়ারলি কাজ করা অনেক সাংবাদিক ঢাকায় ভাড়া বাসায় থাকেন । সংকোচিত বাসার ভিতরে থাকেন। কাজেই সংবাদমাধ্যমকে,গণমাধ্যমকে যেমন রাষ্ট্রীয় চতুর্থ স্তম্ভ বলা হয় সেই স্তম্ভটা কত দুর্বল হয়ে গেছে সেটা যদি এই স্তম্ভের যারা দিকপাল তারা যদি একবার নিজেরাই অনুধাবন করেন তাহলে বুঝতে পারবেন যে, এটাকে কোথায় নিয়ে যাচ্ছে । ধরেন আপনি পেশাগত সাংবাদিক আপনার নামটাও সাংবাদিক। আরেক টাউট সেও কিন্তু বড় করে কার্ড সাথে নিয়ে ঘোরে, বলে আমি সাংবাদিক। এখনও এক প্যাকেট সিগারেটের জন্য আরেকজনকে বিভ্রান্ত করতেছে। নিজের মতো করে একটা সংবাদ তৈরি করে বিভিন্ন জায়গায় পোস্ট করে পাঠাচ্ছে। ওর উদ্দেশ্য কিন্তু মানুষকে ব্ল্যাকমেইল করা। আমি মনে করি গণমাধ্যমের জন্য একটা চ্যালেঞ্জিং সময় এখন। এই হ্যাজার্ড দূর করতে গেলে ন্যূনতম কর্মসূচির ভিত্তিতে হোক ঐক্যবদ্ধ একটা জায়গা যদি সৃষ্টি করা না হয়, তাহলে দেখা যাবে টাকার মালিক পেপার বের করছে আপনি তার কর্মচারী, আপনি সাংবাদিক না। এখানেই শেষ হয়ে যাবে।

মোস্তফা কামাল: আপনি কি মনে করেন, এটা সিনিয়র সাংবাদিকরা ঠিক করবে নাকি সরকারের কোন সহযোগিতার প্রয়োজন আছে এখানে? আসলে দেশের স্বার্থেই তো একটা সমাধান দরকার বা উত্তরণের পথ খোলা দরকার। সেটা কিভাবে সম্ভব হতে পারে?

শ.ম রেজাউল করিম: সরকার সাংবাদিকদের নানাপ্রকার সহায়তা করতে পারেন। যেমন, আমাদের সমৃদ্ধ প্রেসক্লাব ভবন করে দেবে। তথ্য ভবন করে দেবে। সাংবাদিকদের কল্যাণ ট্রাস্টের টাকা দিচ্ছে। বিপন্ন সাংবাদিকদের সহায়তা করতেছে। কিন্তু সাংবাদিকদের ইউনাইটেড করার উদ্যোগ সরকারের নেওয়ার সুযোগ নাই। এই কারণে যে সরকার একটি রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠান। এই উদ্যোটা সরকার নিতে পারবে না । এটা এই পেশার যারা শুভাকাঙ্ক্ষী, এই পেশায় একসময় ছিল শুভাকাঙ্ক্ষী হিসেবে না পেশাগত সাংবাদিক হিসাবে, অথবা বিভিন্ন সময়ে কাজ করছেন তারা মিলে বোধহয় এটা করতে পারেন।

মোস্তফা কামাল: আপনাকে অনেকগুলো প্রশ্ন করলাম যেহেতু আপনি সাংবাদিকতার সঙ্গে জড়িত যদিও এখন আপনি মন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করছেন। এবার একটু অন্য প্রসঙ্গে আসি । সাম্প্রতিক সময়ে বাসের হাফ ভাড়া নিয়ে ছাত্ররা যে রাস্তায় নেমেছিল, আপনি কি মনে করেন তাদের দাবিটা যৌক্তিক বা এটাকে আপনি কিভাবে দেখেন?

শ.ম রেজাউল করিম: আমি ছাত্রদের হাফ ভাড়ার দাবি শতভাগ যৌক্তিক মনে করি। একজন নাগরিক হিসাবে আমি মনে করি, তাদের হাফভাড়া অবশ্যই দিতে হবে । একজন ছাত্রদের অনেক কষ্ট করে পড়তে হয়। বিভিন্ন শহরে যে ছাত্রগুলো থাকে তার ভেতরে তিন-চতুর্থাংশ স্টুডেন্ট হচ্ছে দরিদ্র পরিবারের। যারা দরিদ্র পরিবারের না তারা কিন্তু গাড়ি চালাতে পারে। বাসে যাকে উঠতে হয় ওই ছেলেটির বাবা হয়তো গার্মেন্টসে চাকরি করে, অথবা অফিসের কেরানি, অথবা ফুটপাতে বিক্রি করে বা গ্রামের কৃষকের ছেলে। তারা যদি বিকশিত হতে না পারে তাহলে বৈষম্যহীন যে সমাজ গড়ার কথা বঙ্গবন্ধু বলছেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বলছেন তাহলে তো এদের বিকাশ হবে না। কেন হাফ ভাড়া দেব না। আমরা নিজেরা তো একসময় হাফ ভাড়া দিয়েছি । আমরা সিনেমা হলে হাফ টিকেটে ঢুকেছি । আমি কেন হাফ ভাড়া দেবো না? আর ব্যবসায়ীদের একনাগাড়ে ব্যবসায়ই করতে হবে, একবারও মাথায় ঢোকে না যে, বাসের মালিক হয়েছেন তাকে মাথায় আনতে হবে যে ওই ছেলে একদিন শুধু বাসের মালিক না বাসের নিয়ন্ত্রকও হতে পারে। তো সেই ভবিষ্যৎ নেতৃত্ব যারা তাদের বিকশিত করতে গেলে তাদের সুযোগ দিতে হবে ।

মোস্তফা কামাল: কিন্তু অভিযোগ আছে, যারা পরিবহন মালিক বা নিয়ন্ত্রক যারা এই সেক্টরটাকে সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ করে তারা ক্ষমতাসীনদলের সাথে কোন না কোন ভাবে সম্পৃক্ত এবং সাবেক মন্ত্রীর কথা ও নাম উঠে আসছে এবং আপনাদের সঙ্গী বলা হয় জাতীয় পার্টিকে - তাদের নেতারাও আছে এটার সঙ্গে যুক্ত। তো আপনি কি মনে করেন যে, এদের কারণেই এই সেক্টরটা নিয়ন্ত্রণের বাইরে বা সরকার ঠিকমতো নিয়ন্ত্রণ করতে পারছে না?

শ.ম রেজাউল করিম: এখানে একটা সমস্যা আছে। দেখেন বিএনপি'র সময় শিমুল বিশ্বাসরা নিয়ন্ত্রণ করে। এরশাদের সময় এরশাদের যে ফ্রন্ট তারা করত । আওয়ামী লীগের সময় অনেকেই আওয়াম লীগের নেতা হয়ে গেছেন যারা করতেনও না কিন্তু এখন আওয়ামী লীগের নেতা । কিন্তু ভেতরে কিন্তু এদের একটা চমৎকার সিন্ডিকেট আছে। যা আয় বাণিজ্য হয় বিভিন্ন জায়গায় । এখন এরা কিন্তু মফস্বল শহর থেকে শুরু করে ঢাকা পর্যন্ত এরা এমনভাবে একটি প্রতিষ্ঠ সিন্ডিকেট হয়ে গেছে চাইলে আপনি তাদের উপরে ফেলতে পারেন না। ধরেন আপনি একটা অ্যাকশনে যাবেন, সারা বাংলাদেশের সমস্ত পরিবহন বন্ধ করে দেবে। বন্ধ করে দেবার পরে কিন্তু মানুষ ভোগান্তির শিকার হওয়ার পরে বলে সরকারকি কোন উদ্যোগ নিতে পারে না? আমরা এই ভোগান্তির ভিতর ঢাকা যেতে পারতেছি না, রাস্তায় নামতে পারতেছি না। তখন কিন্তু তারা সরকারকেই গালি গালাজ করে। এই যে যারা পরিবহন সেক্টরে এটা করতেছে তাদেরকে কিন্তু কিছু বলে না গালিগালাজ করে সরকারকে। সরকার কখনো কখনো একটা আইন করেন। আবার সেই আইনের প্রয়োগ করতে গেলে সেই সময় আবার তারা বলে যে, আমরা হরতাল ডাকি নাই। কিন্তু ভেতরে ভেতরে হরতাল ডাকায় দিছে। সমস্ত পরিবহন বন্ধ। জিজ্ঞেস করলে বলে, না না আমরা তো হরতাল ডাকি নাই। এখন কোন পরিবহনের মালিক যদি পরিবহন না চলায় সেটা আমি কি করতে পারি? এরা একটি জগদ্দল পাথরের মতো এরা বসছে। কাজেই আমার বিশ্বাস সমন্বিতভাবে আইনের কঠোর প্রয়োগ ছাড়া কোন বিকল্প নাই। কেউ আইনের ঊর্ধ্বে নয়। একটা দেশে নিজেদের ইচ্ছামত সবাইকে জিম্মি করে ফেলবে এটা হওয়া উচিত না।

 

মোস্তফা কামাল: আরেকটা বিষয় যে ছাত্রদের আন্দোলনের দুজন প্রাণ হারিয়েছে আমরা দেখলাম এবং বাসে আগুন দিচ্ছে এটাকে ছাত্রদেরকে কেউ উস্কে দিচ্ছে কিনা অথবা তাদেরকে কেউ ব্যবহার করে পেছন থেকে কলকাঠি নাড়ছে কিনা, আপনার কি মনে হয়? নাকি ছাত্ররাই উত্তেজিত হয়ে এরকমটা করেছে, আপনার কি মনে হয়? কারণ এর আগে ২০১৮ সালে তো আমরা দেখেছিলাম শান্তিপূর্ণ আন্দোলন কিন্তু এবার দেখলাম কিছু গাড়ি পোড়ানোর ঘটনা।

শ.ম রেজাউল করিম: আমাদের দেশে একটা প্রচলিত কথা আছে কারো ঘরে আগুন লাগলে অন্য কেউ এসে বলে আমি ওইখানে একটু আলু সিদ্ধ দিয়ে আসি। বিগত সময়ে নিরাপদ সড়কের দাবিতে যে আন্দোলনগুলো ছিল সেই আন্দোলনে একটি মেয়ে ভুয়া ফেসবুকে প্রচারণা চালিয়ে ছিলেন যে তিনি নির্যাতিত হচ্ছেন । তাকে ধর্ষণ করা হচ্ছিল। কেমন জঘন্য ভাষায়। উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়লো। আবার মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর তিনি বললেন যে, শুধু নিরাপদ সড়কের দাবিতে আন্দোলন করলে হবে না সরকার পতনের আন্দোলনে আপনাদেরকে ঝাঁপিয়ে পড়তে হবে। তিনি আসলেন ঘর পোড়ার ভিতরে আলু সিদ্ধ দিতে। রিসেন্টলি যে ঘটনাটি ঘটলো । কোমলমতি বাচ্চারা তাদের সহকর্মী বা সহযোদ্ধা যে দুজন মারা গেছে বা সহপাঠী মারা গেছে তাতে তাদের কষ্ট হতে পারে। কিন্তু গভীর রাতে অনেক রাত হয়ে গেছে একের পর একের পর বাসে আগুন লাগল। ওই কোমলমতি বাচ্চারা ঐ বাসে আগুন লাগায় নাই। ওই বাসে আগুন লাগাইছে তারা যারা চায় সরকারের পতন ঘটাবে অথবা দেশকে অস্থিতিশীল করবে। অথবা ছাত্রদের আন্দোলনের সুযোগটা তারা নিতে পারে কিনা । এজন্য উদোর পিন্ডি বুধোর ঘাড়ে চাপিয়ে দেয়ার প্রক্রিয়াও কিন্তু এখানে লক্ষণীয়। এজন্য আমি চাই ছাত্রদের আন্দোলন ন্যায় সঙ্গত। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী নির্দেশনা দিয়েছেন তাদের হাফ ভাড়া নিতে হবে । সেটা কার্যকর শুরু হয়ে গেছে। কোমলমতি বাচ্চারা স্কুলে ফিরে যাক। আর ঘটনার সঙ্গে যারা জড়িত তাদের অবশ্যই বিচার হবে কিন্তু বাস পোড়ানো বাস ভাঙ্গার প্রক্রিয়ার ভেতরে যারা এসে প্রভোকেশন দিয়েছে প্ররোচনা দিয়েছে এদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিতে হবে।

মোস্তফা কামাল: আরেকটি বিষয় প্রসঙ্গক্রমে এসে যায় সেটা হল, একসময় কিন্তু বিআরটিসি বাস, এটা খুবই অ্যাক্টিভ ছিল, তারপর ট্রেন যাতায়াত মানুষের জন্য সহজ ছিল, এখনো কিছু আছে। কিন্তু এখন আর বিআরটিসি বাস কার্যকর অবস্থায় নেই। ঢাকা শহরের এখন আর বিআরটিসি বাস দেখা যায় না। আগে প্রত্যেকটা রুটেই কিন্তু বিআরটিসি বাস ছিল। তখন হাফ ভাড়ায় সবাই ও ছাত্র-ছাত্রীরা যাওয়া আসা করতো। এখন ছাত্র-ছাত্রীদের সংখ্যা বেড়েছে। কিন্তু বিআরটিসি বাস রাস্তায় দেখাই যায়না । আপনি কি বলবেন?

শ.ম রেজাউল করিম: এটা দুর্নীতি। নির্দ্বিধায় বলব এটা দুর্নীতি। কারণ বিআরটিসি বাসে আমরা চড়েছি । আমি খুলনা থেকে আসা-যাওয়া করতাম একটা বাস চলত তখন বিআরটিসি । এটা রাষ্ট্রীয় পরিবহণ। এখানে বিআরটিসি বাসের প্রতিনিয়ত লোকসান আর লোকসান। ভলভো গাড়ি নিয়ে আসলো সাইফুর রহমান। ভলভো গাড়ি গোলা এখন এমন অবস্থা হয়েছে এখন স্ক্রাপিং হিসাবে বিক্রি করা ছাড়া উপায় নাই। এই বিআরটিসির বাস যখন আমরা চালাই তখন ভীষণভাবে লোকসান যায়। যখন একজনকে ভাড়ায় দেই তখন তিনি লিজ নিয়া লিজের টাকা পরিশোধ করেও তিনি লাভ করছেন । এই ম্যানেজমেন্টের এসব জায়গায় এমন দুর্নীতির সিন্ডিকেট ঢুকছে যেন চোরে না শুনে ধর্মের কাহিনী । এদেরকে মাননীয় মন্ত্রী অনেক সময় সচেতন করেন গালিগালাজ করেন বকাবকি করেন। সর্বোচ্চ আন্তরিকতা দেখাচ্ছেন। কিন্তু এখানে ড্রাসটিক একশন যদি না নেয়া হয় । আমি গণপরিবহন চালু করব । ভারতের কোন কোন প্রদেশে আছে কিন্তু শুধু গণপরিবহন শুধু গণপরিবহন। তো আমরা বাংলাদেশ কেন চালাতে পারব না? আমি গণপরিবহন চালাবার পরে যারা প্রাইভেট খাত তারা যদি নিয়ম অনুযায়ী না চালায় আমি টোটালটাই বন্ধ করে দিতে পারি । সেই উদ্যোগটাই নেওয়া বোধহয় দরকার ।

মোস্তফা কামাল: সেই উদ্যোগটা কিভাবে নেয়া হবে? সরকারের দিক থেকেই তো নিতে হবে উদ্যোগ।

শ.ম রেজাউল করিম: একজন নাগরিক হিসাবে আমি মনে করি সেই উদ্যোগটা নেয়া দরকার।

Header Ad
Header Ad

কারওয়ান বাজারে পুলিশের সাথে আন্দোলনকারীদের ধস্তাধস্তি

কারওয়ান বাজারে পুলিশের সাথে আন্দোলনকারীদের ধস্তাধস্তি। ছবি: সংগৃহীত

মালয়েশিয়া যেতে না পারা ১৮ হাজার কর্মীদের ‘মহাসমাবেশ ও অবস্থান কর্মসূচি’ শীর্ষক ব্যানারে সকাল থেকেই সড়কের ওপর অবস্থান করেন বিদেশগামী কর্মীরা। এতে মূল সড়কের উভয় পাশে যানবাহনের দীর্ঘ যানজট তৈরি হয়।

টাকা দিয়েও নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে মালয়েশিয়া যেতে না পেরে আন্দোলনে নামা বিদেশগামী কর্মীদের কারওয়ান বাজার মোড় থেকে সরিয়ে দিয়েছে পুলিশ। এ সময় পুলিশের সঙ্গে আন্দোলনকারীদের ধস্তাধস্তির ঘটনা ঘটে। আজ বুধবার (২২ জানুয়ারি) বেলা ১১টা দিকে রাস্তা থেকে উঠিয়ে দেয়া হয় তাদের।

তাদের দাবি- তারা এখনো রিক্রুটিং এজেন্টদের কাছ থেকে অর্থ ফেরত পাননি। তাই অর্থ ফেরতসহ বিভিন্ন দাবিতে রাজধানীর কারওয়ান বাজার এলাকায় অবস্থান নেন।

আবরোধকারীদের একজন বলেন, ৫ লাখ টাকা দিয়েও আমরা মালয়েশিয়া যেতে পারিনি। বর্তমানে ঋণ করে চলছি, পরিবার নিয়ে খুব কষ্টের মধ্যে আছি। জানুয়ারির মধ্যেই আমাদের মালয়েশিয়া যাওয়ার ব্যবস্থা করতে হবে। এ সময় বিষয়টি নিয়ে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে সাক্ষাতের দাবিও জানান তিনি।

 

Header Ad
Header Ad

প্রথমবার ওয়েস্ট ইন্ডিজকে হারিয়ে বিশ্বকাপের আশা বাঁচিয়ে রাখল বাংলাদেশ

ছবি: সংগৃহীত

প্রথমবারের মতো ওয়েস্ট ইন্ডিজ নারী দলকে হারিয়ে তাদের বিশ্বকাপের আশা বাঁচিয়ে রাখল বাংলাদেশ নারী ক্রিকেট দল। প্রথম ম্যাচে স্বাগতিক ওয়েস্ট ইন্ডিজের কাছে বড় ব্যবধানে হেরে যাওয়ার পর দ্বিতীয় ম্যাচে দুর্দান্ত প্রত্যাবর্তন করেছে বাংলাদেশ। ৬০ রানে জয় লাভ করে সিরিজে ১-১ সমতা এনেছে নিগার সুলতানা জ্যোতির নেতৃত্বাধীন টাইগ্রেসরা।

দ্বিতীয় ম্যাচে বাংলাদেশ প্রথমে ব্যাটিং করতে নেমে ১৮৪ রান সংগ্রহ করে। অধিনায়ক নিগার সুলতানা জ্যোতির ৬৮ রানের ইনিংসের সাথে সোবহানা মোস্তারি এবং স্বর্ণা আক্তারের ২৩ ও ২১ রানের ইনিংসে বাংলাদেশ একটি শক্তপোক্ত সংগ্রহ দাঁড় করায়।

এরপর, উইন্ডিজদের লক্ষ্য ছিল ১৮৫ রান, তবে বাংলাদেশের বোলিং দলে দুর্দান্ত পারফরম্যান্স ছিল। পেসার মারুফা আক্তার ২টি এবং স্পিনার নাহিদা আখতার, রাবেয়া খান, ফাহিমা খাতুন ৭টি উইকেট তুলে নিয়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে ১২৪ রানে অলআউট করে দেয়।

এটি ছিল বাংলাদেশের প্রথম ওয়ানডে জয় ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে। সিরিজের শেষ ম্যাচে জয় লাভ করলে, বাংলাদেশের নারী দল প্রথমবারের মতো ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে সিরিজ জয় করবে এবং সরাসরি নারী ওয়ানডে বিশ্বকাপে খেলার টিকিট পাবে।

Header Ad
Header Ad

৭ টেলিকম প্রতিষ্ঠানের লাইসেন্স বাতিল

ছবি: সংগৃহীত

মেয়াদোত্তীর্ণ সাত টেলিকম প্রতিষ্ঠানের পাবলিক সুইচড টেলিফোন নেটওয়ার্ক (পিএসটিএন) লাইসেন্স বাতিল করেছে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রক সংস্থা (বিটিআরসি)।

সম্প্রতি বিটিআরসির লাইসেন্সিং শাখার পরিচালক এম এ তালেব হোসেন স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

এতে বলা হয়, লাইসেন্সের মেয়াদ উত্তীর্ণ হওয়ায় ও প্রতিষ্ঠানগুলো লাইসেন্স নবায়নের জন্য আবেদন না করায় লাইসেন্স মেয়াদোত্তীর্ণ হিসেবে বাতিল করা হয়েছে।

লাইসেন্স বাতিল হওয়া সাত প্রতিষ্ঠান হচ্ছে- টেলিবার্তা লিমিটেড, র‍্যাংকস টেলিকম লিমিটেড, ন্যাশনাল টেলিকম লিমিটেড, বাংলা ফোন লিমিটেড, ওয়েসটেক লিমিটেড, ওয়ানটেল কমিউনিকেশন লিমিটেড ও ইন্টিগ্রেটেড সার্ভিস লিমিটেড।

বাতিলকৃত লাইসেন্সের অধীনে যেকোনও কার্যক্রম সম্পাদন করা হবে অবৈধ এবং বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ আইন ২০০১-এর অধীন শাস্তিযোগ্য অপরাধ, বলা হয় বিজ্ঞপ্তিতে।

এছাড়া বাতিলকৃত লাইসেন্সের মূল সনদ কমিশন বরাবর জমা প্রদানসহ কমিশনের সমুদয় পাওনা বকেয়া (যদি থাকে) আগামী ৩০ দিনের মধ্যে পরিশোধের জন্য নির্দেশনা প্রদান করা হয়েছে।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

কারওয়ান বাজারে পুলিশের সাথে আন্দোলনকারীদের ধস্তাধস্তি
প্রথমবার ওয়েস্ট ইন্ডিজকে হারিয়ে বিশ্বকাপের আশা বাঁচিয়ে রাখল বাংলাদেশ
৭ টেলিকম প্রতিষ্ঠানের লাইসেন্স বাতিল
বাংলাদেশ বিমানের ফ্লাইটে বোমা হামলার হুমকি, চলছে তল্লাশি
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে গাছ থেকে ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার
জুলাই শহীদ স্মৃতি ফাউন্ডেশনের দায়িত্ব ছাড়লেন সারজিস আলম
শিশুদেরও গোপন কারাগারে রেখেছিলেন হাসিনা, দেওয়া হতো না মায়ের দুধ!
অভিযানকালে জুয়াড়িদের হামলা, ডিবি পুলিশের ৭ সদস্য আহত
৯ গোলের রুদ্ধশ্বাস ম্যাচে অবিশ্বাস্য জয়, নকআউট পর্বে বার্সেলোনা
চালের দাম বাড়ার আর সুযোগ দেব না, বরং কমবে: খাদ্য উপদেষ্টা
খালেদা জিয়ার লিভার প্রতিস্থাপন সম্ভব হচ্ছে না, চলছে বিকল্প চিকিৎসা
থাইল্যান্ড ও মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে প্রধান উপদেষ্টার বৈঠক
জার্মান চ্যান্সেলরের সঙ্গে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের বৈঠক
ব্যর্থতা স্বীকার করে ইসরায়েলি সেনাপ্রধানের পদত্যাগ
সুইজারল্যান্ডে পৌঁছেছেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস
তুরস্কে হোটেলে ভয়াবহ আগুন, নিহত ৬৬
ভোটের মাঠে ইসলামের পক্ষে একটিই বাক্স পাঠানোর প্রত্যয়
পুলিশের ঊর্ধ্বতন ২৩ কর্মকর্তাকে বদলি
এবার জার্সিতে ‘পাকিস্তান’ লেখা নিয়ে ভারতের আপত্তি, খেপেছে পিসিবি
ভারত থেকে শেখ হাসিনাকে ফেরত এবং গায়েবি ও রাজনৈতিক মামলা নিয়ে যা বললেন আইন উপদেষ্টা