কানাডা-আমেরিকায় পড়ালেখা করতেও লাগবে অনুমোদন
২০২৪ সালের পর কোনো চিকিৎসক উচ্চতর শিক্ষার জন্য কিংবা বাইরের দেশগুলোতে চিকিৎসা সেবা দিতে অ্যাক্রেডিটেশন কমিশনের অনুমোদন ছাড়া পারবেন না। এ জন্য সরকার বাংলাদেশ চিকিৎসা গবেষণা আইন-২০২১ এর খসড়ার নীতিগত অনুমোদন দিয়েছে।
রোববার (১৯ ডিসেম্বর) মন্ত্রিসভার বৈঠকে খসড়াটি অনুমোদন দেওয়া হয়। বৈঠক শেষে মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম এ তথ্য জানান।
মন্ত্রিসভার বৈঠক শেষে নিয়মিত সংবাদ ব্রিফিং-এ মন্ত্রিপরিষদ সচিব জানান, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ও ডব্লিউএফএমই’র নির্দেশনা অনুযায়ী, ২০২৪ সালের পর বাংলাদেশি কোনো চিকিৎসক নিজ দেশ থেকে অ্যাক্রেডিটেশন কমিশনের অনুমোদন না নিয়ে উন্নত শিক্ষার জন্য কিংবা বাইরের দেশে সেবা দিতে অনুমোদন পাবেন না। বিশেষ করে কানাডা, আমেরিকা ইউরোপের দেশগুলোতে অ্যাক্রেডিটেশন কমিশনের অনুমোদন ব্যতীত কোনো চিকিৎসক চিকিৎসা কার্যক্রম চালাতে পারবেন না। উচ্চতর শিক্ষা গ্রহণ করতেও পারবেন না।
মন্ত্রিপরিষদ সচিব জানান, এ লক্ষ্যে সরকার বাংলাদেশ চিকিৎসা অ্যাক্রেডিটেশন আইন-২০২১’র খসড়ার নীতিগত অনুমোদন দিয়েছে। এ আইনের আওতায় একটি কাউন্সিল থাকবে। একই সঙ্গে ১৯ সদস্যের একটা অ্যাক্রেডিটেশন বোর্ড থাকবে। সেই বোর্ড থেকে অনুমোদন নিয়ে কানাডা, আমেরিকা কিংবা ইউরোপের দেশে চিকিৎসা সেবা দেওয়া ও উচ্চশিক্ষার জন্য যেতে হবে।
প্রথমে ২০২৩ সাল পর্যন্ত সময়সীমা থাকলেও কোভিড-১৯ মহামারিজনিত কারণে এ সময়সীমা আরও এক বছর বাড়িয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা এবং ডব্লিউ এফ এম ই- যোগ করেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব।
এনএইচবি/এসএন