বিজিবি এখন একটি ত্রিমাত্রিক বাহিনী: প্রধানমন্ত্রী
বর্ডার গার্ড বাংলাদেশেকে (বিজিবি) একটি 'ত্রিমাত্রিক বাহিনী' হিসেবে গড়ে তোলা হয়েছে; রোববার (১৯ ডিসেম্বর) রাজধানীর পিলখানায় বিজিবির আনুষ্ঠানিক কুচকাওয়াজ ২০২১ এ ভিডিও কনফারেন্সিং মাধ্যমে যোগ দিয়ে প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এ কথা বলেন।
একুশ শতকের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় বিজিবিকে একটি আধুনিক ও বিশ্বের অন্যতম শ্রেষ্ঠ সীমান্তরক্ষী বাহিনী হিসেবে গড়ে তোলার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন প্রধানমন্ত্রী। এসময় দেশপ্রেম, সততা, শৃঙ্খলা ও নিষ্ঠার সঙ্গে দেশের দায়িত্ব পালনে বিজিবির জওয়ানদের নির্দেশ দেন তিনি।
মুক্তিযুদ্ধে এ বাহিনীর ভূমিকা স্মরণ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ইপিআরের ১২ হাজার সদস্য যুদ্ধে সরাসরি অংশ নেন। পিলখানা তখন যুদ্ধের জন্য প্রস্তুত ছিলো। ইপিআরের দুজন সদস্য সকল পুলিশ স্টেশনে জাতির পিতার বক্তব্য পৌঁছে দেন। দেশ স্বাধীনের পর জাতির পিতা ইপিআর থেকে এই বাহিনীর নাম পরিবর্তন করে বিডিআর করেন।
এ সময় অরক্ষিত সীমান্তকে নজরদারির আওতায় আনার ঘোষণা দেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন,অরক্ষিত সীমান্তের মধ্যে ৪ শতাধিক কিলোমিটার ইতিমধ্যে নজরদারীর আওতায় আনা হয়েছে। খুব শীঘ্রই অবশিষ্ট প্রায় দেড়শত কিলোমিটার অরক্ষিত সীমান্তকে নজরদারির আওতায় আনা হবে।
কক্সবাজারের শরনার্থী ক্যাম্পের নিরাপত্তা ও শৃঙ্খলা রক্ষা এবং অবৈধ মায়ানমার নাগরিকদের বাংলাদেশে অনুপ্রবেশ ঠেকাতে বিজিবির ভূমিকার প্রশংসা করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, সকল বিজিবি সদস্যের প্রতি ধন্যবাদ জানান। ভবিষ্যতে এই সফলতা আরও বৃদ্ধির লক্ষ্যে বিজিবি সর্বাত্মক প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।
ভাষণ প্রদান শেষে প্রধানমন্ত্রী বিজিবি সদর দপ্তরে নব নির্মিত সীমান্ত সম্মেলন কেন্দ্রে উদ্বোধন ঘোষণা করেন।
বিজিবি দিবসের কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান এবং বিজিবি মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মো. সাফিনুল ইসলাম। এছাড়াও এই অনুষ্ঠানে বিএসএফ মহাপরিচালক পংকজ কুমার সিং এর নেতৃত্বে ভারতীয় প্রতিনিধিদল বিশেষ অতিথি হিসেবে অংশ নেন।
এনএইচ/ কেএফ/