শেখ হাসিনার ক্ষেত্রে বিচারের বাণী নিভৃতে কেঁদেছে : আইনমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ক্ষেত্রে বিচারের বাণী নীরবে নিভৃতে কেঁদেছিল বলে স্মরণ করলেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক। রাষ্ট্রপতি, জাতীয় সংসদের স্পিকার ও প্রধান বিচারপতির উপস্থিতিতে সুপ্রিম কোর্ট দিবস উপলক্ষে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে দেওয়া বক্তব্যে এ কথা বলেন তিনি।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তৃতায় আইনমন্ত্রী বলেন, 'দেশের সর্বোচ্চ আদালত সুপ্রিম কোর্টের চলার পথ মসৃণ ছিল না। বঙ্গবন্ধুকে নৃশংস ও বর্বরোচিত ভাবে হত্যার পর সেই ঘটনার বিচারের পথ বন্ধে ইনডেমনিটি করা হয়েছিল। পিতা হত্যার বিচারের দাবিতে জননেত্রী শেখ হাসিনা ১৯৮১ সালে দেশে আসার পর সুপ্রিম কোর্টে বহুবার এসেছেন। তখন তার ক্ষেত্রে বিচারের বাণী নীরবে নিভৃতে কেঁদেছে। সেদিন সুপ্রিম কোর্টের উপলব্ধির প্রয়োজন ছিল যে বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্ব ও সংগ্রামে স্বাধীনতা পেয়েছি আমরা। সেই কারণে বিচারক পদে অনেকে বসতে পেরেছেন।'
দিবসটি উপলক্ষে আজ শনিবার (১৮ ডিসেম্বর) বিকেলে সুপ্রিম কোর্ট জাজেস স্পোর্টস কমপ্লেক্সে এক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে বঙ্গভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে বক্তৃতা করেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ। সম্মাননীয় অতিথি হিসেবে বক্তৃতা করেন জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরিন শারমিন চৌধুরী।
প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তৃতা করেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক। বক্তৃতায় আইনমন্ত্রী বলেন, গোটা বিচার ব্যবস্থা ডিজিটাইজ করা প্রয়োজন। সেই লক্ষ্যে ই-জুডিশিয়ারী প্রকল্প বাস্তবায়ন হচ্ছে।
মন্ত্রী বলেন, সুপ্রিমকোর্ট দেশের সর্বোচ্চ আদালত। অধস্তন আদালত হলো বিচার বিভাগকে কার্যকর রূপ দেয়ার অনন্য প্রতিষ্ঠান। গণতন্ত্র বিকাশ ও ন্যায়-বিচার প্রতিষ্ঠায় এই দুইয়ের ভূমিকা ব্যাপক।
প্রসঙ্গত, ২০১৭ সালের ২৫ অক্টোবর সুপ্রিম কোর্টের ফুলকোর্ট সভায় প্রতি বছরের ১৮ ডিসেম্বর সুপ্রিম কোর্ট দিবস পালনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল।
সুপ্রিম কোর্টের মুখপাত্র ও হাইকোর্ট বিভাগের স্পেশাল অফিসার মোহাম্মদ সাইফুর রহমান জানিয়েছিলেন, ‘ফুলকোর্ট সভায় সর্বসম্মতিক্রমে সিদ্ধান্ত হয়েছে যে স্বাধীন বাংলাদেশের সংবিধান অনুযায়ী প্রথম যেদিন উচ্চ আদালতের কার্যক্রম শুরু হয়েছিল (১৯৭২ সালের ১৮ ডিসেম্বর) সেদিন অর্থাৎ ১৮ ডিসেম্বর বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট দিবস পালন করা হবে।'
এরপর থেকে প্রতি বছর সুপ্রিমকোর্ট দিবস পালিত হচ্ছে।
এমএ/এসআইএইচ