রবিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৫ | ৭ বৈশাখ ১৪৩২
Dhaka Prokash

জাতির পিতার স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়ব: প্রধানমন্ত্রী

দেশবাসীকে বিজয়ের সুবর্ণজয়ন্তীতে জাতির পিতার স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়ার প্রতিজ্ঞা ব্যক্ত করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, আমরা দেশের মানুষের শান্তি চাই, নিরাপত্তা চাই। উন্নত সমৃদ্ধ সোনার বাংলা গড়তে চাই। এই উৎসব আমাদের আগামী দিনের চলার প্রতিজ্ঞা। আমরা বাংলাদেশকে জাতির পিতার স্বপ্নের ক্ষুধা ও দারিদ্রমুক্ত উন্নত সমৃদ্ধ সোনার বাংলা হিসেবে গড়ে তুলব।

বৃহস্পতবিার (১৬ ডসিম্বের) সন্ধ্যায় জাতীয় সংসদের দক্ষিণ প্লাজায় বিজয়ের সুর্বণজয়ন্তী ও মুজিববর্ষ উদযাপন অনুষ্ঠানে সভাপতির বক্তব্যে প্রধানমন্ত্রী একথা বলেন।

বিজয়ের পঞ্চাশ বছর পূর্তিতে জাতীয় সংসদের দক্ষিণ প্লাজায় ‘মহাবিজয়ের মহানায়ক’ প্রতিপাদ্যে দু’দিনের অনুষ্ঠানমালা সাজিয়েছে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উদযাপন জাতীয় বাস্তবায়ন কমিটি। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ। শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশে সফররত সম্মানিত অতিথি ভারতের রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ। এছাড়া বক্তব্য রাখেন মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেলক হক, স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, জাতির পিতার স্বপ্ন ছিল শোষিত মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠা করা, নিপীড়িত মানুষের পাশে দাঁড়ানো এবং তিনি তার সারাটা জীবন উৎসর্গ করেছেন বাংলাদেশের জনগণের জন্য। বাংলাদেশের মানুষ যারা একেবারে গ্রামের তৃণমূল পর্যায়ে পরে আছে তাদের গণতান্ত্রিক অধিকার, রাজনৈতিক অধিকার, সামাজিক অধিকার প্রতিষ্ঠা করার লক্ষ্য নিয়ে তিনি আজীবন সংগ্রাম করেছেন। সেই সাথে তিনি একটি বিষয়ে সব সময় লক্ষ্য রেখেছেন যে এদেশের মানুষের ভাগ্য পরিবর্তন করতে হবে। ক্ষুধা ও দারিদ্রমুক্ত বাংলাদেশ গড়তে হবে। আর সেই লক্ষ্য সামনে নিয়ে তিনি আজীবন সংগ্রাম করেছেন।

প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, পাকিস্তান নামে রাষ্ট্রটি আমাদের মাতৃ ভাষায় কথা বলার অধিকার কেড়ে নিতে চেয়েছিল। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের ছাত্র ছিলেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব। তিনি তখন বাংলাকে রাষ্ট্র ভাষার মর্যাদা দেবার সংগ্রাম শুরু করেন। সেই ভাষা আন্দোলনের সংগ্রাম, এই পথ দিয়েই তিনি একে একে বাংলাদেশের মানুষের স্বাধিকার আন্দোলন এবং মহান মুক্তিযুদ্ধের বিজয় অর্জন করে আমাদের স্বতন্ত্র জাতিসত্তা হিসেবে প্রতিষ্ঠা করে দিয়ে যান। আমাদের একটি জাতি রাষ্ট্র উপহার দেন।

তিনি বলেন, একটা যুদ্ধ বিধ্বস্ত দেশ। ২৫ মার্চ যখন পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী আমাদের উপর গণহত্যা শুরু করে জাতির পিতা তখন বাংলাদেশের স্বাধীনতার ঘোষণা দেন। ঘোষণা দেওয়ার সঙ্গে সঙ্গে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবকে পাকিস্তানি সামরিক জান্তারা গ্রেফতার করে এবং পাকিস্তানে নিয়ে যায়। ফাঁসির হুকুমও দিয়ে দেয় তারা। কিন্তু আন্তর্জাতিক চাপে বিশেষ করে ইন্দিরা গান্ধী তখন আন্তর্জাতিকভাবে ব্যাপক প্রচার করে। আন্তর্জাতিকভাবে প্রচণ্ড চাপের মুখে তাকে ছেড়ে দিতে বাধ্য হয়।

এই ১৬ ডিসেম্বর আমার মা এবং ছোট বোন রেহানা, ছোট ভাই রাসেল, আমরাও কিন্তু বন্দিখানায় ছিলাম। আমার ছেলে জয়। জয় এর জন্ম এই বন্দিদশায়। আমরা কিন্তু মুক্তি পাইনি ১৬ ডিসেম্বর। পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী যখন আত্মসমর্পন করেছিল আমরা তখনও বন্দিদশায়। ১৭ ডিসেম্বর সকালে ভারতের মেজর অশক তারা আমাদের পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর নিকট থেকে মুক্ত করেছিলেন।

তিনি আরও বলেন, ‘১০ জানুয়ারি জাতির পিতা দেশে ফিরে আসেন। বাংলাদেশের মানুষের গণতান্ত্রিক অধিকার তৃণমূল পর্যায়ে নেওয়ার জন্য তৃণমূল মানুষের ভোটের অধিকার এবং তাদের জীবন উন্নত করার জন্য তিনি যখন পদক্ষেপ নিলেন। অর্থনৈতিক কর্মসূচি এবং দ্বিতীয় বিপ্লবের ডাক দিলেন, ক্ষমতাকে বিকেন্দ্রিকরণ করে গ্রামের মানুষকে ক্ষমতাসীন করার পদক্ষেপ নিলেন, তখনই ১৫ আগস্ট জাতির পিতাকে নির্মমভাবে হত্যা করল। জাতির পিতার হত্যার পর দেশে ১৯টা ক্যু হয়, অশান্ত পরিবেশ সৃষ্টি হয়। আমরা ৬ বছর রিফিউজি হিসেবে ছিলাম। ১৯৮১ সালে দেশে ফিরে আসি তারপর থেকে চেস্টা করেছি জাতির পিতার আদর্শে বাংলাদেশকে গড়ে তুলতে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, দীর্ঘ সংগ্রামের পর ২১ বছর পর ক্ষমতায় আসি। উন্নয়নশীল দেশ হিসেবে বিশ্বে মর্যাদা পেয়েছি। জাতির পিতার স্বপ্ন পূরণ করা এটাই হচ্ছে আমাদের লক্ষ্য। সেই লক্ষ্য নিয়েই আমরা কাজ করে যাচ্ছি। ৫০ বছর আমাদের স্বাধীনতা আমরা কতটুক এগুতে পেরেছি সেটাই হচ্ছে বড় কথা। দারিদ্রের হার ৪০ ভাগ থেকে ২০ ভাগে নামিয়ে এনেছি। আজকে প্রত্যেক ঘরে ঘরে বিদ্যুতের আলো পৌঁছে দিয়েছি। বাংলাদেশের গৃহহারা মানুষকে বিনা পয়সায় ঘর দিচ্ছি। এ লক্ষ্য আমরা পূরণ করতে পারব ইনশাআল্লাহ। যেটা জাতির পিতার স্বপ্ন ছিল, জাতির পিতা চেয়েছিলেন দুঃখী মানুষের মধ্যে হাসি ফোটাতে আমাদের সেটাই লক্ষ্য। আজকের বাংলাদেশ আমাদের মাথাপিছু আয় ২ হাজার ৫৪৪ মার্কিন ডলারে উন্নত হয়েছে। যদিও কোভিডের কারণে এগিয়ে যাওয়ার প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করেছে, তারপরেও আমরা করোনা ভাইরাস নিয়ন্ত্রণ করে অর্থনীতির চাকা সচল রেখেছি। গ্রামীন অর্থনীতিকে উন্নত করার পদক্ষেপ নিয়েছি।

তিনি বলেন, বাংলাদেশ অসম্প্রদায়িক বাংলাদেশ। এদেশে সকল ধর্মের মানুষ নিজ নিজ ধর্ম পালন করতে পারে বা পালন করছে সেটা আমরা নিশ্চিত করেছি। বাংলাদেশকে আমরা উন্নত সমৃদ্ধ সোনার বাংলাদেশ হিসেবে গড়ে তুলতে চাই। আমাদের লক্ষ্য ছিল ২০২১ সালের মধ্যে মধ্যম আয়ের দেশ হবে। আজকে সেটা আমরা অর্জন করেছি। এখন আমাদের লক্ষ্য ২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশ হবে উন্নত সমৃদ্ধ সোনার বাংলাদেশ হিসেবে গড়ে তোলা। সেই লক্ষ্য নিয়েই আমরা কাজ করে যাচ্ছি। জঙ্গিবাদ সন্ত্রাস মাদক নির্মূল করার জন্য জিরো টলারেন্স ঘোষনা করেছি।

এসএম/এএস

Header Ad
Header Ad

আইপিএলে অভিষেক ম্যাচেই তিন রেকর্ড গড়লেন ১৪ বছরের বৈভব সূর্যবংশী

বৈভব সূর্যবংশী। ছবি: সংগৃহীত

আইপিএলের মেগা নিলামে দল পাওয়ার পরই হৈ-চৈ ফেলে দিয়েছিলেন বৈভব সূর্যবংশী। কারণ ওই সময়ে তার বয়স মাত্র ১৩ বছর। ফ্র্যাঞ্চাইজি টুর্নামেন্টটিতে অভিষেক হতে হতে যা ১৪ পূর্ণ হয়ে যায়। কিন্তু ব্যাটিংয়ে বুঝতেই দেননি অন্য ক্রিকেটারদের সঙ্গে বয়সের ফারাকটা। প্রথম বলেই কাভার অঞ্চলের ওপর দিয়ে যেভাবে বলটাকে সীমানাছাড়া করলেন, তাতে চোখ জুড়ানো নেটিজেনরা বলে বসলেন ‘অ্যা স্টার ইজ বর্ন’!

বৈভব সূর্যবংশীর জন্ম হয়েছিল ২০১১ সালের ২৭ মার্চ, ততদিনে আইপিএলের দুটি আসর শেষে তৃতীয়টির অপেক্ষা। আর তার জন্মের বছরেই মহেন্দ্র সিং ধোনির নেতৃত্বে বিশ্বকাপ জিতেছে ভারত। সেই ক্রিকেটার আইপিএলের অষ্টাদশ আসরেই সুযোগ পেয়ে যাবেন এমনটা হয়তো কেউ ঘুণাক্ষরেও কল্পনা করেনি। বৈভবকে আইপিএলের মেগা নিলামে ১.১ কোটি রুপিতে দলে ভিড়িয়েছিল রাজস্থান রয়্যালস।

বৈভবের জন্য আরও আনন্দের বিষয় কোচ হিসেবে রাহুল দ্রাবিড়ের মতো কিংবদন্তিকে পাওয়া। যদি আইপিএলের চলতি আসরে তাকে খেলানোর সম্ভাবনা কমই ছিল। কিন্তু রাজস্থান অধিনায়ক সঞ্জু স্যামসনের ইনজুরি তার অভিষেকের ক্ষণটা এগিয়ে আনে। দিল্লি ক্যাপিটালসের বিপক্ষে গতকালই অভিষেক হয়ে গেল বিহারের এই বিস্ময়-বালকের। তবে ম্যাচটিতে তাকে ফিল্ডিং করতে হয়নি। ইম্প্যাক্ট ক্রিকেটার হিসেবে কেবল ব্যাটিংয়েই নামেন বৈভব, অভিষেকেই খেললেন ২০ বলে ৩৪ রানের ঝোড়ো ক্যামিও ইনিংস।

আইপিএলের প্রথম ম্যাচে বৈভবের যত রেকর্ড-

আইপিএলের মঞ্চে বয়স যে কেবল একটি সংখ্যা, সেটাই প্রমাণ করলেন ১৪ বছর বয়সী বৈভব সূর্যবংশী। ব্যাট হাতে অভিষেকেই ঝড় তুলেছেন এই কিশোর। প্রথম বলেই হাঁকালেন ছক্কা, গড়লেন একাধিক রেকর্ড—আর তাতেই ক্রিকেটবিশ্বে ছড়িয়ে পড়েছে "অ্যা স্টার ইজ বর্ন" জ্বর!

রাজস্থান রয়্যালসের হয়ে দিল্লি ক্যাপিটালসের বিপক্ষে অভিষেক হয়েছে বিহারের এই বিস্ময়বালকের। মাত্র ১৪ বছর ২৩ দিন বয়সে আইপিএলের ইতিহাসে সবচেয়ে কম বয়সে মাঠে নামা খেলোয়াড় হিসেবে নাম লেখান বৈভব। এর আগে রেকর্ডটি ছিল প্রয়াস রায় বর্মণের (১৬ বছর ১৫৭ দিন) দখলে।

কিন্তু বৈভব এসেই যেন দেখালেন, তিনি এসেছেন ইতিহাস গড়তে। ইনিংসের প্রথম বলেই শার্দুল ঠাকুরকে কাভার দিয়ে উড়িয়ে মারেন ছক্কা—যা তাকে বানিয়েছে আইপিএলের সবচেয়ে কম বয়সে ছয় মারা ক্রিকেটার। এতোদিন রেকর্ডটি ছিল রাজস্থান রয়্যালসেরই রিয়ান পরাগের (১৭ বছর ১৬১ দিন) নামে।

শুধু এখানেই থামেননি বৈভব। আইপিএলে প্রথম বলেই ছক্কা হাঁকানো ক্রিকেটারদের ক্লাবে তিনিই দশম সদস্য। সেই তালিকায় আছেন আন্দ্রে রাসেল, কার্লোস ব্র্যাথওয়েট, মহেশ থিকশানা, রব কুইনিসহ আরও অনেক অভিজ্ঞ ক্রিকেটার।

২১ মার্চ ২০১১ জন্ম নেওয়া বৈভব যখন এই ইনিংস খেলেন, তখন হয়তো অনেকেই ভুলে গিয়েছিলেন তার বয়স মাত্র ১৪। কারণ তার ব্যাটিংয়ে ছিল পরিপক্বতা, ছিল আত্মবিশ্বাস। ২০ বলে ৩ চার ও ২টি বিশাল ছক্কায় ৩৪ রানের ইনিংস খেলে স্ট্রাইক রেট ছুঁয়েছেন ১৭০।

যদিও ইনিংসের শেষ দিকে একটি ভুল শটে স্টাম্পড হয়ে বিদায় নেন এই কিশোর তারকা। ফেরার সময় চোখে জল লেগে ছিল—যা তার খেলায় আবেগ ও দায়বদ্ধতার পরিচয় দেয়।

রাজস্থানের ইনিংস থেমেছে ১৭৮ রানে, ১৮০ রানের লক্ষ্যে। ২ রানের হার সঙ্গী হলেও, এই ম্যাচে আলো ছড়িয়েছেন বৈভবই।

Header Ad
Header Ad

৩ মে ঢাকায় মহাসমাবেশের ডাক হেফাজতে ইসলামের

হেফাজতে ইসলামের কার্যনির্বাহী পরিষদের বৈঠক। ছবি: সংগৃহীত

আগামী ৩ মে রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে মহাসমাবেশের ঘোষণা দিয়েছে হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশ। সংগঠনটির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, দেশের বর্তমান পরিস্থিতি ও মুসলিম উম্মাহর বিভিন্ন ইস্যু সামনে রেখে এই কর্মসূচির আয়োজন করা হচ্ছে।

রোববার (২০ এপ্রিল) দুপুরে রাজধানীর কাকরাইলে ইনস্টিটিউশন অব ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স বাংলাদেশ (আইডিইবি) মিলনায়তনে হেফাজতে ইসলামের কার্যনির্বাহী পরিষদের এক জরুরি বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।

বৈঠক শেষে সংবাদ সম্মেলনে এ কর্মসূচির ঘোষণা দেন দলটির মহাসচিব মাওলানা সাজেদুর রহমান।

বৈঠকে বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের মহাসচিব ও হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের যুগ্ম-মহাসচিব মাওলানা মামুনুল হক বেশকিছু দাবির কথা বেলেন। তিনি ব‌লেন, ফ্যা‌সিবা‌দী আম‌লে হেফাজ‌তের বিরু‌দ্ধে করা মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার, ২০১৩ সা‌লে শাপলা চত্বরে গণগত্যার বিচার করতে হবে। নারী সংষ্কার ক‌মিশ‌নের ধর্মীয় বিধান, ইসলামী উত্তরা‌ধিকার আইন ও পা‌রিবা‌রিক বৈষম্য প্রস্তাব ও ক‌মিশন বা‌তিল করতে হবে। তা না হলে ৩ মে পরবর্তী কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে।

এ ছাড়া ভারতীয় ওয়াকফ আইন ও ফি‌লিস্তান‌রে গণহত্যার প্র‌তিবাদে আগামী মঙ্গলবার থে‌কে ১ সপ্তাহ গণসং‌যোগ ও আগামী ২৫ এপ্রিল বাদ জুমআ প্রতি জেলা উপ‌জেলায় বি‌ক্ষোভ করবে বলে ঘোষণা দেয় দলটি।

Header Ad
Header Ad

আজ স্বামীর প্রশংসা করার দিন

প্রতীকী ছবি

প্রতি বছর এপ্রিলের তৃতীয় শনিবার বিশ্বজুড়ে উদযাপন করা হয় ‘হাজব্যান্ড অ্যাপ্রিসিয়েশন ডে’ বা স্বামী প্রশংসা দিবস। স্বামীর প্রতি ভালোবাসা ও কৃতজ্ঞতা প্রকাশের জন্য দিনটি পালন করা হয়—যার মূল উদ্দেশ্য পারিবারিক বন্ধনকে আরও দৃঢ় করা।

স্বামীদের অবদানকে সম্মান জানাতেই এই বিশেষ দিনের প্রচলন। যদিও দিবসটির সূচনা নিয়ে নির্দিষ্ট কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি, তবে পারিবারিক জীবনে স্বামীর ত্যাগ, দায়িত্ব ও ভালোবাসা স্বীকার করতেই দিনটি উপলক্ষ হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।

বিশেষ করে বর্তমান সময়ের প্রেক্ষাপটে, যেখানে স্বামীরা শুধু উপার্জনের দায়িত্বই পালন করছেন না, পাশাপাশি ঘরের কাজ, সন্তান লালন-পালনসহ পারিবারিক নানা দায়িত্ব ভাগাভাগি করে নিচ্ছেন—তাদের জন্য এমন একটি দিন আয়োজনের যৌক্তিকতাও বাড়ছে।

মনোবিজ্ঞানীদের মতে, কাউকে সামান্যভাবে প্রশংসা করলেও তার ওপর ইতিবাচক প্রভাব পড়ে। আত্মবিশ্বাস বাড়ে এবং পারস্পরিক সম্পর্ক হয় আরও মজবুত। বিশেষ করে দাম্পত্য সম্পর্কে এটি অত্যন্ত কার্যকরী।

এই দিনে স্বামীকে একটি চিরকুট, শুভেচ্ছা বার্তা বা ছোট্ট কোনো উপহার দিয়ে কৃতজ্ঞতা জানানো যেতে পারে। এমনকি শুধু মৌখিকভাবে “তুমি অনেক ভালো করছো” বলাটাও হতে পারে প্রশংসার অনন্য উপায়।

বিশ্লেষকরা বলছেন, পরিবার গঠনের পথে যেমন স্ত্রীর অবদান রয়েছে, তেমনি স্বামীদের ভূমিকাও কম নয়। কাজেই সম্পর্কের ভারসাম্য ও সৌহার্দ্য বজায় রাখতে এমন দিনে সামান্য ভালোবাসা ও স্বীকৃতিই হতে পারে দীর্ঘস্থায়ী সম্পর্কের ভিত্তি।

প্রশংসা ও কৃতজ্ঞতা জানানো কোনো বিলাসিতা নয়, বরং সম্পর্ক রক্ষার এক চমৎকার অভ্যাস। তাই আজকের দিনটি হতে পারে আপনার ভালোবাসার মানুষটিকে বিশেষভাবে জানানোর এক দারুণ সুযোগ।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

আইপিএলে অভিষেক ম্যাচেই তিন রেকর্ড গড়লেন ১৪ বছরের বৈভব সূর্যবংশী
৩ মে ঢাকায় মহাসমাবেশের ডাক হেফাজতে ইসলামের
আজ স্বামীর প্রশংসা করার দিন
ইসরায়েলি অভিনেত্রী থাকায় নিষিদ্ধ হলো সিনেমা
রাজধানীর ডেমরা ও মিরপুরে আওয়ামী লীগের ঝটিকা মিছিল
জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে দ্বিতীয় দফায় বৈঠকে বিএনপি
যশোরের শার্শায় অস্ত্রসহ দুই ছিনতাইকারী আটক
জুলাই-আগস্ট গণহত্যা: ট্রাইব্যুনালে সালমান, আনিসুল, দীপু মনি, পলকসহ ১৯ জন
বিচার ব্যবস্থাকে আরও সহজ করতে হবে: আইন উপদেষ্টা
হাতিরঝিলে যুবদল নেতার ওপর হামলা, গুলিবিদ্ধ অবস্থায় হাসপাতালে
আপিল বিভাগে নতুন দুই বিচারপতিকে সংবর্ধনা
বিয়ের আসরে কনের বেশে শাশুড়ি, থানায় হাজির বর
যুক্তরাষ্ট্রজুড়ে ট্রাম্পবিরোধী বিক্ষোভ, রাস্তায় হাজারো মানুষ
সিলেট টেস্টে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে টস জিতে ব্যাটিংয়ে বাংলাদেশ
সারা দেশে বৃষ্টির সম্ভাবনা, বাড়বে তাপমাত্রাও
প্রাইম এশিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে দুই পক্ষের সংঘর্ষে শিক্ষার্থী নিহত
গাজায় আরও ৫২ জন নিহত, হামলা জোরদারের নির্দেশ নেতানিয়াহুর
উত্তরায় প্রকাশ্যে যুবককে তুলে নেওয়ার ভিডিও ভাইরাল
অফিস সময়ে সভার জন্য সম্মানী না নিতে নির্দেশনা
অভিনয়শিল্পী সংঘের সভাপতি আজাদ আবুল কালাম, সাধারণ সম্পাদক অপু