কথা কম বলার পরামর্শ দিয়েছেন সম্পাদকরা: সিইসি
প্রধান নির্বাচন কমিশনারকে (সিইসি) বেশি কথা না বলার পরামর্শ দিয়েছেন সম্পাদকরা। তাদের সেই কথা শুনে সিইসি বললেন ‘আমাকে বেশি কথা বলতে নিষেধ করেছেন, তাই আমি বেশি কথা বলতে চাই না।’
বুধবার (৬ এপ্রিল) আগারগাঁও নির্বাচন কমিশন ভবনে বিভিন্ন গণমাধ্যমের সম্পাদকদের সঙ্গে বৈঠক করেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী হাবিবুল আউয়ালের নেতৃত্বাধীন কমিশন। সেই বৈঠকে সম্পদকদের মধ্যে ইকবাল সোবহান চৌধুরী, মুঞ্জুরুল আহসান বুলবুলসহ বেশ কয়েকজন উপস্থিত হয়েছিলেন।
বৈঠকে প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেন, ‘আমরা এখানে অভিজ্ঞতা নিয়ে আসিনি। আপনারা যারা দীর্ঘকাল এই বিষয়ে রিপোর্টিং করছেন, লেখালেখি করছেন বিজ্ঞজনদের বক্তব্য নিয়েছি। আমাদের উইলফোর্সের কথা বলেছেন। সেটা নিজে নিজে সৃষ্টি করতে পারব না। আপনাদের পরামর্শ আমাদের অনুপ্রেরণা দেবে। সেখান থেকেই উইলফোর্স আসবে।’
নির্বাচন নিয়ে আস্থার সংকটের কথা সম্পাদকরা তুলে ধরলে সিইসি বলেন, ‘আস্থার সংকট, অর্থ শক্তির কথা, পেশি শক্তির কথা অনেকে বলেছেন। বিভিন্ন কেন্দ্রে এগুলো আসলে কিছু সমস্যা হয়েছে বলে আগেও যারা বক্তব্য রেখেছেন তারা বলেছেন। সেগুলো মূল্যায়ন করে দেখেছি। আমরা শুধু ডেকে এনে বক্তব্য শুনি তা না নিজেদের মধ্যে পর্য্যালোচনা করব। নিজেদের বস্তুনিষ্ঠ ও বাস্তবমুখী করব।’
তিনি বলেন, ‘মিডিয়ার সার্পোট সব সময় প্রয়োজন। ব্যক্তিগতভাবে বা সামষ্টিগত ভাবে আমি মনে করি যে কোন কর্মে মিডিয়াকে উপেক্ষা করার উপায় নেই। মিডিয়া কিন্তু সবকিছুর প্রতিফলিত করে। আপনারা যারা মিডিয়ায় থেকে এসেছেন আপনাদের এডিটোরিয়াল পড়ি। সেখান থেকে জ্ঞান আহরণ করছি। আপনাদের কথাগুলো অন্তরে ধারণ করতে চাই। আমরা সর্বোচ্চ চেষ্টা করব, আন্তরিকভাবে চেষ্টা করব সুন্দর সুষ্ঠু নির্বাচনের চেষ্টা করব এবং আপনাদের সমর্থন সব সময় থাকবে।’
কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেন, বেশি কথা বলতে নিষেধ করেছেন। বেশি কথা বলতে চাই না।
তিনি বলেন, ‘আমাদের মধ্যে দ্বিমত হয়নি। কুমিল্লা সিটি করপোরেশন নির্বাচনের জন্য আমাদের ১৮০ দিন সময় আছে তার মধ্যে ১৩৫ দিন চলে গেছে। করোনা, ঘূর্ণিঝড় নানা কারণে ফ্রি টাইম চলে গেছে। তাই আমরা নিজেদের মধ্যে বৈঠকে কেউ কেউ মনে করেছি আগামী ৩০ দিনের মধ্যে বা ৪০ দিনের মধ্যে নির্বাচনটা করতে হবে। কেউ কেউ মনে করেছেন আইনগত বাধ্যবাধকতা আছে। আবার কেউ কেউ মনে করেছেন সম্ভব না। আমরা সকলে মতামত দিয়েছি। এরপর আমরা একমত হয়ে নির্বাচনের একটু সময় বাড়িয়ে দিয়েছি। তানাহলে বাস্তবে কুমিল্লার নির্বাচনটা লিড মাস্ট টেস্টে ফেল করে যাব। তাই সামন্য কিছু সময় বাড়িয়ে সর্বোচ্চ সংক্ষিপ্ত সময়ের মধ্যে নির্বাচন করব। যে সময় আছে ১৬ মে, সেই সময়ের মধ্যে সম্ভব না।’
সিইসি কলেন, ‘কোনো রাজনৈতিক দলের সঙ্গে বৈঠক করিনি,তবে অবশ্যই নেব। আগে বিজ্ঞ জনদের মতামত নেব। রাজনৈতিক নেতাদের বক্তব্য না নিয়ে কি হবে?’
বৈঠকে অন্য কমিশনাররা উপস্থিত ছিলেন।
এসএম/এমএমএ/