তুলনামূলক কম মূল্যে করোনা টিকা সংগ্রহ করা হচ্ছে: সংসদে প্রধানমন্ত্রী
জনস্বার্থ বিবেচনায় জনগণকে কোভিড মহামারি থেকে সুরক্ষা প্রদান অর্থনৈতিক, সামাজিক ও শিক্ষা কার্যক্রম চালু করা এবং অব্যাহত রাখার লক্ষ্যে সরকার সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার ভিত্তিতে করোনা টিকা সংগ্রহের প্রচেষ্টা নেয় বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
তিনি বলেন, ‘আমাদের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ককে কাজে লাগিয়ে টিকা উৎপাদনকারী ও সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান এবং সংশ্লিষ্ট দেশের সঙ্গে নেগোসিয়েশন করে বিশ্ব বাজারে প্রচলিত দরের চেয়ে তুলনামূলকভাবে কম মূল্যে স্বচ্ছতা নিশ্চিত করে টিকা সংগ্রহ করা সম্ভব হচ্ছে। তবে টিকা ক্রয়ের ক্ষেত্রে নন ডিসক্লোজার এগ্রিমেন্ট থাকায় টিকার মূল্য বা এ সংক্রান্ত ব্যয় প্রকাশ করা সমীচীন হবে না।’
বুধবার (৬ এপ্রিল) জাতীয় সংসদে নোয়াখালী ২ আসনের সংসদ সদস্য মোরশেদ আলমের প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এসব তথা জানান। স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী প্রশ্নত্তোর টেবিলে উত্থাপন করেন।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, বিশ্বজুড়ে করোনা প্রাদুর্ভাব শুরু হওয়ার পরপরই সংক্রমণ প্রতিরোধে কার্যকরী ব্যবস্থা হিসেবে বিনামূল্যে টিকা প্রদানের বিষয়টি আমার সরকার অগ্রাধিকার দিয়েছে।
এ লক্ষ্যে করোনা টিকা আবিষ্কার ও ব্যবহারের অনুমতি প্রাপ্তির পূর্ব হতেই আমরা টিকা সংগ্রহ, টিকা প্রদানের বিষয়ে সকল উদ্যোগ গ্রহণ করেছিলাম। তারই ফলস্বরূপ দেশব্যাপী ২০২১ সালে ৭ ফেব্রুয়ারি বিনামূল্যে কোভিড টিকা প্রদানের কার্যক্রম শুরু হয় এবং অদ্যবধি চলমান রয়েছে।
এ পর্যন্ত (৪ এপ্রিল ২০২২) সরকার বহির্বিশ্ব হতে ২৯ কোটি ৬৪ লাখ ৮৪ হাজার ১২০ টি দশটিকা সংগ্রহ করেছে।
তিনি বলেন, ‘দেশব্যাপী করোনা টিকা প্রদান কার্যক্রমের আওতায় ৪ এপ্রিল ২০২২ পর্যন্ত ১২ কটি ৮০ লাখ ৭০ হাজার ৯৫৬ জনকে প্রথম ডোজ, ১১ কোটি ৪২ লাখ ৬৭ হাজার ৯৫৬ জনকে দ্বিতীয় ডোজসহ সর্বমোট ২৪ কোটি ২৩ লাখ ৩৮ হাজার ৯০৪ জনকে প্রথম ও দ্বিতীয় ডোজ ভ্যাকসিন প্রদান করা হয়েছে।’
ন্যাশনাল ইমুনাইজেশন টেকনিকেল অ্যাডভাইজারি গ্রুপ বাংলাদেশের সুপারিশ এবং করোনা ভাইরাস ভ্যাকসিন প্রদান কার্যক্রম বাস্তবায়ন সংক্রান্ত জাতীয় কমিটির অনুমোদনক্রমে দেশব্যাপী ২০২১ সালের ২৮ ডিসেম্বর হতে বুস্টার ডোজ প্রদান শুরু করা হয়। বর্তমানে কোভিড ১৯ ভ্যাকসিন এর দ্বিতীয় ডোজ গ্রহণের পর যাদের চার মাস অতিক্রান্ত হয়েছে তাদেরকে বুস্টার ডোজ প্রদান করা হচ্ছে। ৪ এপ্রিল ২০২২ পর্যন্ত ১ কটি ৮১ হাজার ১৯৩ জনকে বুস্টার ডোজ প্রদান করা হয়েছে।
এসএম/এমএমএ/