সার্বভৌমত্ব রক্ষাই হবে একমাত্র ব্রত: প্রধানমন্ত্রী
বহিঃশত্রু হাত থেকে দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষায় সশস্ত্র বাহিনীকে প্রস্তুত থাকার আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
নতুন কর্মকর্তাদের উদ্দেশে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘সর্বোচ্চ ত্যাগের বিনিময় হলেও দেশের স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব রক্ষা করাই হবে একমাত্র পেশাগত ব্রত। সেই সঙ্গে দেশের সন্তান হিসেবে দেশের মানুষের পাশে থাকতে হবে। জনগণের সব প্রয়োজনে তোমাদের দায়িত্ব পালন করতে হবে এবং সাধারণ মানুষের সুখ-দুঃখ হাসি-কান্নার সমান অংশীদার হতে হবে।’
রোববার (১২ ডিসেম্বর) সকালে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে ‘রাষ্ট্রপতি প্যারেড-২০২১’ অনুষ্ঠানে যুক্ত হয়ে প্রধানমন্ত্রী একথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘৮১তম বিএমএ একাডেমি শপথ গ্রহণের মধ্য দিয়ে নবীন ক্যাডেটদের হাতে দায়িত্ব পড়ল। তোমরা দেশমাতৃকা ও স্বাধীনতার সার্বভৌমত্ব রক্ষা করবে। এ দায়িত্ব পালনে সবসময় সজাগ ও প্রস্তুত থাকতে হবে।’
তিনি বলেন, আমাদের সশস্ত্র বাহিনী সবসময় যেকোনো দুর্যোগে মানুষের পাশে দাঁড়ায়। লাখো শহীদের রক্তের বিনিময়ে এ স্বাধীনতা। স্বাধীনতার চেতনা সবসময় সমুন্নত রাখতে হবে। এ আদর্শ নিয়েই নিজেদের দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ করতে হবে। দেশে-বিদেশে দায়িত্ব পালনে পেশাদারিত্ব দেখিয়ে আমাদের সেনাবাহিনী সব মহলে প্রশংসা পেয়েছে। এ সুনাম ধরে রাখতে হবে।
শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমরা শান্তিতে বিশ্বাস করি। জাতির পিতা পররাষ্ট্র নীতি করেছেন “সকলের সাথে বন্ধুত্ব কারো সাথে বৈরিতা নয়”। সেই পররাষ্ট্র নীতেই বিশ্বাস করি। কিন্তু কখনো যদি আমরা বহিঃশত্রু দ্বারা আক্রান্ত হই তা মোকাবেলা করতে হবে। দেশের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ব রক্ষায় সক্ষমতাও ইতোমধ্যে অর্জন করেছি।’
তিনি আরও বলেন, ‘আওয়ামী লীগ সরকার যখনই ক্ষমতায় এসেছে সশস্ত্র বাহিনীর সার্বিক উন্নয়ন হয়েছে। আমরা সেনাবাহিনীতে নারীদেরও সম্পৃক্ত করেছি। ২০০০ সালে সেনাবাহিনীর দীর্ঘমেয়াদি কোর্সে মহিলা অফিসার নিয়োগ হয় এবং ২০১৩ সালে নারী সৈনিক ভর্তির যুগান্তকারী সিন্ধান্ত নিয়েছি। জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনে সেনাবাহিনীর তিনজন নারী অফিসার কন্টিনজেন্ট কমান্ড অফিসার হিসেবে দায়িত্ব পালন করে দেশের জন্য সুনাম বয়ে এনেছে। বাংলাদেশ মিলিটারি একাডেমিকে আন্তর্জাতিক মানের একাডেমিতে পরিণত করার লক্ষ্যে আমরা কাজ করে যাচ্ছি।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের ক্যাডেটরা যাতে অত্যাধুনিক সুযোগ সুবিধা পায় এবং বিশ্বের সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলতে পারে সেই ধরনের প্রশিক্ষণ ব্যবস্থা তৈরি করেছি এবং বঙ্গবন্ধু কমপ্লেক্স নির্মাণ করা হয়েছে। জাতির পিতার স্বপ্ন ছিল এ মিলিটারি একাডেমি এক সময় সারাবিশ্বে নজর কাড়বে। আজকে আমাদের মিলিটারি একাডেমি সেই পর্যায়ে পৌঁছে গেছে।’
এসএম/এসএন