১০ দিনের মধ্যে বুস্টার ডোজের সিদ্ধান্ত
করোনাভাইরাসের টিকার বুস্টার ডোজ (তৃতীয় ডোজ) সাত থেকে ১০ দিনের মধ্যে দেওয়া শুরু হতে পারে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক। শনিবার (১১ ডিসেম্বর) রাজধানীর শেরে বাংলানগরের ‘জাতীয় ভিটামিন ‘এ’ প্লাস ক্যাম্পেইন’ উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ তথ্য জানান।
এ সময় স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ‘জাতীয় পরামর্শক কমিটির সুপারিশের অপেক্ষায় আছি। অ্যাপটিকে (টিকা নিবন্ধনের অ্যাপ সুরক্ষা) আপডেট করার কাজ চলছে। আশা করি, সাত থেকে দশ দিনের মধ্যে এটি শুরু করা যাবে।’
মন্ত্রী বলেন, ‘বিভিন্ন দেশে বয়স্কদের বুস্টার ডোজ দেওয়া হচ্ছে। আমরাও বয়স্কদের বুস্টার ডোজ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। ষাটোর্ধ্ব ও ফ্রন্টলাইনার যারা তাদের আমরা বুস্টার ডোজ দেব। যে অ্যাপ ছিল সেটিকে আমরা ঠিক করে নিচ্ছি। তালিকা তৈরি করছি। আশা করি, অল্প দিনের মধ্যে এই কাজ শুরু হয়ে যাবে।’
ধনী কিছু দেশ কোভিড টিকার সুরক্ষা দুর্বল হয়ে আসায় নাগরিকদের দুই ডোজ টিকার পর বাড়তি আরেক ডোজ টিকা দিচ্ছে, যাকে বলা হচ্ছে বুস্টার ডোজ। করোনা মহামারির নতুন ধরন অমিক্রণ ঠেকাতে বুস্টার ডোজ কার্যকর বলে মত দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। স্বাস্থ্যমন্ত্রী এমন এক দিনে বুস্টার ডোজ শুরু করার ঘোষণা দিলেন, যেদিন দেশে করোনাভাইরাসের নতুন ধরন অমিক্রনে আক্রান্ত দুই জন শনাক্ত হওয়ার খবর ঘোষিত হয়েছে। আক্রান্ত দুজন জিম্বাবুয়ে সফর করে আসা নারী ক্রিকেট দলের খেলোয়াড়।
অনুষ্ঠানে স্বাস্থ্যমন্ত্রী অমিক্রন আক্রান্তদের নিয়েও কথা বলেন। স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ‘দুই ক্রিকেটারকে পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে। চিকিৎসার ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। সেরে উঠতে দুই সপ্তাহ লাগবে। সুস্থ হলে আমরা তাদের ছাড়তে পারব।’ স্বাস্থ্যমন্ত্রী জানান, এ দুজনের আশপাশে যারা ছিলেন, তাদেরও করোনা পরীক্ষার আওতায় আনা হয়েছে। আমরা কন্ট্যাক্ট ট্রেসিং করছি। যারা তাদের পাশে ছিলেন বা তাদের সংস্পর্শে এসেছেন সবার পরীক্ষা করা হয়েছে।’
এ পর্যন্ত দেশে ২৫ শতাংশের মতো মানুষ দুই ডোজ টিকা পেয়েছেন। অন্তত ৮০ শতাংশ মানুষ দুই ডোজ টিকা পাওয়ার আগে তৃতীয় ডোজের পক্ষে ছিলেন না দেশের গবেষক ও স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা।
এপি/এএন