শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪ | ৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

ধারাবাহিক উপন্যাস: পর্ব ৪

শরণার্থীর সুবর্ণরেখা

গরুর গাড়ির ওপর থেকে ভেসে আসে আসমানীর কান্না। গুনগুন শব্দ চারদিকে ছড়ায়। আকাশী ওর কপালে হাত রেখে বলে, থাম মা। এখন কাঁদিস না। তোর শরীর খারাপ হয়ে যাবে। আমাদের আরও কত পথ হাঁটতে হবে কে জানে, ভারতের সীমান্তে গেলে আমাদের গরুর গাড়ি কি ঢুকতে দেবে?

–আমারও মনে হয় দেবে না। তুমি এখন শান্ত থাক মা। কান্নাকাটি করলে শরীর খারাপ হয়ে যাবে সোনামণি।

–চাচী, আপনি আমাকে অনেক মায়া করেছেন। এই গাড়িতে চড়ে যেতে না পারলে আমার আব্বা-আম্মা আমাকে নিয়ে গাছতলায় বসে থাকত।

–থাক মা, এসব কথা। আমরা বেনাপোল সীমান্তের কাছে এসেছি। আমরা একবার এই পথে কলকাতা ঘুরতে গিয়েছিলাম। রাস্তাটা আমার চেনা। দুপাশের গাছগুলোর দিকে তাকালে মন ভরে যায়। তাকিয়ে দেখ কত বড় গাছ। মনে হয় একশ বছর বয়স হয়েছে এই গাছগুলোর। এই গাছের ছায়ায় আমাদের দিন ভালো কাটবে।

আসমানী গাড়ির উপর উঠে বসে। যশোর রোডের গাছের দিকে তাকিয়ে বুক ভরে যায়। সন্তানের মৃত্যু গাছের ছায়ায় মায়া ছড়ায়। দুঃখ চেপে রেখে মনে জোর ফিরিয়ে আনে। নিজেকে বলে, বেঁচে থাকার কঠিন সময় এখন। এই সময়কে পার করতে হবে। হেরে গেলে চলবে না।
গাড়ি এসে থামে সীমান্তে। মারুফ এগিয়ে এসে শাশুড়িকে ধরে বলে, আমি আপনাকে নামাই আম্মা। আপনি আমার ঘাড়ে হাত রাখেন।

আকাশী ওকে ধরে গরুর গাড়ি থেকে নামে। মারুফ আবার সাফিয়াকে বলে, আপনি আমাকে ধরেন চাচী।

সাফিয়া নেমে বলে, আমরা দুজনে এবার আসমানীকে নামাই।

–আমরা দুজনে ওকে কোলে করে নামাব। তুমি যাও।

মারুফ সরে যায়। আকাশী আর সাফিয়া দুজনে ওকে কোলে নিয়ে নামায়। ওর ব্যবহৃত যেসব কাপড় লাগবে সেই পোটলাটা আকাশী নিজের কাছে রাখে। প্রয়োজনে সেগুলো দিয়ে ওর সেবা করতে হবে। মেয়েটাকে নিয়ে এতবড় একটা বিপদ হতে পারে এটা আকাশীর মাথায় ছিলনা। ওর কষ্টে নিজের বুক তোলপাড় করে। তারপরও দুজনে আসমানীকে নামিয়ে দাঁড় করায়। মেয়ের হাত ধরে পার হয় সীমান্ত। এর আগে মারুফের সঙ্গে সীমান্ত পার হয়ে বড় গাছের ছায়ায় দাঁড়িয়ে আছে বাবুল, নজরুল আর আমিনা। তিনজন লাফালাফি করে বলে, কি সুন্দর, কি সুন্দর!

মারুফ ধমক দিয়ে বলে, এই থাম তোরা। চুপ করে দাঁড়িয়ে থাক।

তিনজন চুপচাপ দাঁড়িয়ে যায়। বাবুল বলে, আমার খিদে পেয়েছে।

–আমারও খিদে পেয়েছে।

–আমরাও। আমিনা চেঁচিয়ে বলে, গরুর গাড়ি থেকে নেমে হাঁটতে হয়েছে সেজন্য বেশি খিদে পেয়েছে।

–ওই যে সবাই আসছে। খাওয়ার ব্যবস্থা হবে।

রবিউল, মোবারক সবাইকে নিয়ে বর্ডার পার হয়। ছেলেমেয়েরা ছুটে আসে, মাগো খিদে পেয়েছে। মাগো ভাত দাও।

আকাশী বলে, আমার হাঁড়িতে ভাত আছে। সবাইকে ভাত দেব।

মারুফ বলে, বাবা-চাচা এই রাস্তার নাম যশোর রোড। এই রাস্তা অনেকদিন ধরে যশোর রোড নামে পরিচিত।

–কিন্তু আমরাতো এখন ভারতে ঢুকেছি?

–ভারতের অংশের নামও যশোর রোড। সামনে তাকিয়ে দেখেন কত শরণার্থী ক্যাম্প হয়েছে। আমরা নিশ্চয় একটা ক্যাম্প পাব। চলেন এগোই।

–গরুর গাড়ি চলে গেছে। দেখ কত লোক হেঁটে হেঁটে আসছে।

–বাব্বা দেখে মনে হচ্ছে হাজার হাজার মানুষ আসছে। এত মানুষকে কোথায় জায়গা দেয়া হবে।

–ইন্দিরা গান্ধী বুঝবেন কি করতে হবে। চল আমরা আগাই। একটা জায়গা খুঁজে নেই। নইলে আবার ফিরে যেতে হবে কিনা কে জানে?

–না, বাবা এভাবে ভাববেন না। আমরা যখন ঢুকেছি আমাদেরকে টিকে থাকতে হবে। বুকের ভেতর কষ্ট একটাই যে ছেলেটা মরে গেল।

দুহাতে চোখ মোছে মারুফ। কাছেই দাঁড়িয়ে আছে আসমানী। কিন্তু মুখে কোনো কথা নেই। ও এখন দরকার ছাড়া একদম কথা বলেনা।

সবাই এগিয়ে গিয়ে একটি বড় গাছের ছায়ায় বসে। শরণার্থীদের সাহায্য করার জন্য যারা আশেপাশে ছিল তারা এগিয়ে আসে। নির্মল বলে, এই গাছের নিচে আপনাদের দুটো তাঁবু করে দিচ্ছি।

–আমরা কি কিছু ভাত পাব?

–পাবেন। ডাল-ভাত-আলু ভর্তা এনে দিচ্ছি। এখানে এর বেশিকিছু খাওয়া হবে না।

–হ্যাঁ, হ্যাঁ, ঠিক বলেছেন। আামদের বেঁচে থাকাটাই দরকার।

–আমাদের প্রধানমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিল থেকে মালামাল আসে। আমাদের সব সীমান্তে শরণার্থী ভরে গেছে।

–কি করব? পাক সেনারা গুলি ছাড়া আর কিছু বোঝে না। বাড়িঘর পুড়িয়ে দেয়া ছাড়া ওদের আর আনন্দ নেই। ওরা মানুষ চেনেনা। চেনে শুধু নিজেদের ছবি।

নির্মল সঙ্গে সঙ্গে বলে, আচ্ছা, ঠিক আছে চলুন। আপনাদের ব্যবস্থা করে দিচ্ছি।

–আমরা দুটো পরিবার একসঙ্গে এসেছি।

–ঠিক আছে, দুটো ক্যাম্প বানিয়ে দেব।

ওরা তিনজন সামনে হেঁটে যায়। বাকিরা সবাই পেছনে হাঁটে। ওরা সামনে গিয়ে এক জায়গায় থামলে ছেলেমেয়েরা ভাত খাবার জন্য কাঁদতে শুরু করে।

আকাশী বলে, এই তোরা গাছের নিচে বস। আমি তোদের ভাত খাওয়াব। পোটলায় বেঁধে আনা ভাতের হাঁড়ি বের করে ছেলেমেয়েদেরকে থালা দিয়ে বলে, সবাই হাত ধুয়ে নে। আমি ভাত-তরকারি দিচ্ছি।

তারপর আসমানীর দিকে তাকিয়ে বলে, মাগো তুই খেতে আয়। তোর খাওয়া দরকার।

–হ্যাঁ, আমার ভীষণ খিদে পেয়েছে মা।

–আয় বস।

–বসতে কষ্ট হয়। মনে হয় শুয়ে থাকি।

–আমাদেরকে তাঁবু দিলে তোকে শোওয়ার ব্যবস্থা করে দেব। ভাত খেয়ে নে।

আসমানী ঘাসের ওপর বসে এদিক-ওদিকে মোড়ামুড়ি করে। একসময় ভাতের থালা টেনে নেয়।

একটুপরে নির্মল আর যাদব এসে বলে আপনাদের জন্য একটা তাবু ঠিক করেছি। কাছে দাঁড়িয়ে থাকা মারুফ বলে, আমি যাব আপনাদের সঙ্গে। বাবা ও চাচাকে নিয়ে যাব।

–হ্যাঁ, আসুন।

একটু দূরে দাঁড়িয়ে থাকা রবিউল ও মোবারককে নিয়ে মারুফ তাঁবুর কাছে যায়। একই ধরণের তাঁবুর পরিসর। কাছাকাছি করার কোনো সুযোগ নেই।

–বাবা, চাচা আপনারা এখানে থাকেন। আমি সবাইকে নিয়ে আসছি।

যাদব বলে, আপনাদেরকে শরণার্থী কার্ড দেয়া হবে। কাল সকালে নিয়ে আসব আমরা। এখন যাই।

–আচ্ছা বাবারা যাও। কাল দেখা হবে। তোমাদেরকে আশীর্বাদ করি।

নির্মল, যাদব, অসীম হাসতে হাসতে চলে যায়। ছোটদের খাওয়া হলে অবশিষ্ট ভাত সবাই একমুঠো করে খেয়ে ফেলে। তারপর জড়ো হয়ে যে যার তাঁবুর নিচে শুয়ে পড়ে। বেঁচে থাকার স্বস্তিতে আপ্লুত হয় সবাই। শুনতে পায় হেঁটে যাওয়া শরণার্থীর পায়ের শব্দ।

(চলবে)

এসএ/

শরণার্থীর সুবর্ণরেখা: পর্ব ১

শরণার্থীর সুবর্ণরেখা: পর্ব ২

শরণার্থীর সুবর্ণরেখা: পর্ব ৩

Header Ad

খালেদা জিয়ার সঙ্গে কুশল বিনিময় করলেন মাহফুজ-আসিফ-নাহিদ

ছবি: সংগৃহীত

বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার সঙ্গে দেখা করে কুশল বিনিময় করেছেন উপদেষ্টা মাহফুজ আলম, স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া এবং ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি উপদেষ্টা মো. নাহিদ ইসলাম।

বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) বিকেলে সেনাকুঞ্জে সশস্ত্র বাহিনী দিবসের অনুষ্ঠানে তাদের এ কুশল বিনিময় হয়।

সেনাকুঞ্জে খালেদা জিয়া পৌঁছালে উপস্থিত সবাই তাকে স্বাগত জানান। অনুষ্ঠানের এক পর্যায়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ৩ সমন্বয়ক ও সরকারের উপদেষ্টা তার পাশে এসে দাঁড়ান এবং শারীরিক খোঁজখবর নেন। এ সময় খালেদা জিয়া তাদের অভিনন্দন জানান এবং দেশকে এগিয়ে নিতে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার পরামর্শ দেন।

এ সময় এই ৩ উপদেষ্টা বিএনপি চেয়ারপারসনের কাছে দোয়া চান এবং সরকারের সংস্কার কাজে তার সর্বাত্মক সহযোগিতা চান।

এদিকে সেনাকুঞ্জে গেলে খালেদা জিয়ার সঙ্গে কুশল বিনিময় করেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।

প্রধান উপদেষ্টা বলেন, শহিদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের স্ত্রী খালেদা জিয়া এখানে এসেছেন। একযুগ তিনি আসার সুযোগ পাননি। আমরা গর্বিত এই সুযোগ দিতে পেরে। দীর্ঘদিনের অসুস্থতা সত্ত্বেও বিশেষ দিনে সবার সঙ্গে শরিক হওয়ার জন্য আপনাকে আবারও ধন্যবাদ। আপনার আশু রোগমুক্তি কামনা করছি।

Header Ad

দেশের বাজারে আবারও বাড়ল স্বর্ণের দাম

ছবি: সংগৃহীত

আবারও স্বর্ণের দাম বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশন (বাজুস)। এবার ভরিতে ১ হাজার ৯৯৪ টাকা বাড়িয়ে ২২ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণের দাম ১ লাখ ৩৯ হাজার ৪৪৩ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। যা আজকেও ছিল এক লাখ ৩৭ হাজার ৪৪৯ টাকা।

বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) সন্ধ্যায় এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে বাজুস। শুক্রবার (২২ নভেম্বর) থেকেই নতুন এ দাম কার্যকর হবে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, স্থানীয় বাজারে তেজাবি স্বর্ণের (পিওর গোল্ড) মূল্য বেড়েছে। ফলে সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় স্বর্ণের নতুন দাম নির্ধারণ করা হয়েছে।

নতুন দাম অনুযায়ী, প্রতি ভরি ২২ ক্যারেটের স্বর্ণের দাম পড়বে ১ লাখ ৩৯ হাজার ৪৪৩ টাকা। এ ছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ৩৩ হাজার ৯৮ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ১৪ হাজার ৮৬ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম ৯৩ হাজার ৬৭৪ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে বাজুস আরও জানায়, স্বর্ণের বিক্রয়মূল্যের সঙ্গে আবশ্যিকভাবে সরকার-নির্ধারিত ৫ শতাংশ ভ্যাট ও বাজুস-নির্ধারিত ন্যূনতম মজুরি ৬ শতাংশ যুক্ত করতে হবে। তবে গয়নার ডিজাইন ও মানভেদে মজুরির তারতম্য হতে পারে।

স্বর্ণের দাম কমানো হলেও দেশের বাজারে অপরিবর্তিত রয়েছে রুপার দাম। দেশে ২২ ক্যারেটের এক ভরি রুপা বিক্রি হচ্ছে ২ হাজার ৫৭৮ টাকায়। এ ছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ২ হাজার ৪৪৯ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ২ হাজার ১১১ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি রুপা বিক্রি হচ্ছে ১ হাজার ৫৮৬ টাকায়।

এর আগে, সবশেষ গত ১৯ নভেম্বর দেশের বাজারে স্বর্ণের দাম সমন্বয় করেছিল বাজুস। সে সময় টানা চার দফা কমার পর ভরিতে ২ হাজার ৯৪০ টাকা বাড়িয়ে ২২ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণের দাম ১ লাখ ৩৭ হাজার ৪৪৯ টাকা নির্ধারণ করেছিল সংগঠনটি।

এ ছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ৩১ হাজার ১৯৭ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ১২ হাজার ৪৫৩ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম ৯২ হাজার ২৮৬ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছিল। যা কার্যকর হয়েছে গত ২০ নভেম্বর থেকে।

এ নিয়ে চলতি বছরে এখন পর্যন্ত দেশের বাজারে ৫১ বার স্বর্ণের দাম সমন্বয় করা হয়েছে। যেখানে ৩০ বার দাম বাড়ানো হয়েছে, আর কমানো হয়েছে ২১ বার।

Header Ad

‘দেশের মানুষ এখনো কোনো রাজনৈতিক দলকেই বিশ্বাস করতে পারে না’

ছবি: সংগৃহীত

দেশের জনপ্রিয় নির্মাতা আশফাক নিপুন। কাজের পাশাপাশি সামাজিক মাধ্যমেও বেশ সরব তিনি। কথা বলেন নানা ইস্যু নিয়ে। সেই ধারাবাহিকতায় সরকার পতনের পর অন্তবর্তীকালীন সরকার গঠনেও বিভিন্ন সময় নিজের আকাঙ্ক্ষা, প্রত্যাশার কথা জানিয়েছেন। পাশাপাশি রাজনৈতিক দলগুলোর উদ্দেশ্যেও বিভিন্ন বার্তা দিয়েছেন। এবার এমনি একটি বার্তায় দেশের রাজনৈতিক দলগুলোর প্রতি জনগনের আস্থার বিষয়ে আক্ষেপ জানালেন এই নির্মাতা।

বুধবার (২০ নভেম্বর) আশফাক নিপুন তার ফেসবুকে দেওয়া এক পোস্টে লেখেন, জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে সর্বস্তরের ছাত্র এবং সাধারণ মানুষ রাস্তায় নেমে এসেছিল, বাসায় বসে বসে দোয়া করেছিল, যার যা সামর্থ্য দিয়ে সহায়তা করেছিল। কারণ, তারা দেখেছিল লড়াইটা আওয়ামী ফ্যাসিস্ট শাসক বনাম সাধারণ ছাত্র-জনতার। এটাও অস্বীকার করার কোনো উপায় নাই যে এই আন্দোলন বেগবান করতে বিরোধী সকল দলের কর্মীদের ভূমিকা অনস্বীকার্য। তাদের সংগ্রামও গত দেড় দশকের। কিন্তু এটা যদি শুধুমাত্র রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যকার লড়াই হতো তাহলে সাধারণ মানুষ এই লড়াই থেকে দূরে থাকত। সেই প্রমাণ বিগত ১৫ বছরে আছে।

‘দেশের মানুষ এখনো কোনো রাজনৈতিক দলকেই বিশ্বাস করতে পারে না’

কারণ হিসেবে তিনি বলেন, দেশের সাধারণ মানুষ এখনো দেশের কোনো রাজনৈতিক দলকেই পুরোপুরি বিশ্বাস করতে পারে না। এটাই বাস্তবতা। এই বাস্তবতা মেনে সকল রাজনৈতিক দলগুলোর উচিত কীভাবে সাধারণ জনগণের ভেতর নিজের দলের প্রতি আস্থা তৈরি করা যায় সেই বিষয়ে নিরলস কাজ করা। এই আস্থা ক্ষমতায় গিয়ে অর্জন করা সম্ভব না। কারণ, সাধারণ মানুষ আজীবন এস্টাবলিশমেন্টের বিপক্ষে। এই আস্থা অর্জন করতে হয় ক্ষমতা বলয়ের বাইরে থেকেই।

নিপুন আরও লিখেন, অরাজনৈতিক সরকার দিয়ে দীর্ঘদিন দেশ চালানো যেমন কাজের কথা না ঠিক তেমনি রাজনৈতিক সরকার হতে চাওয়া সকল রাজনৈতিক দলগুলোর বোঝা উচিত মুক্তিযুদ্ধের পরে বাংলাদেশের ইতিহাসের সবচেয়ে বড় গণঅভ্যুত্থান সংগঠিত হয়েছে সকল প্রকার পূর্বানুমান (যেমন- বর্ষাকালে আন্দোলন হয় না, নির্বাচনের আগেই কেবল জোরেশোরে আন্দোলন হয়, ঘোষণা দিয়ে বিরোধী সকল পক্ষ আন্দোলনে শামিল না হলে সফল হয় না) অগ্রাহ্য করেই। সেটা সম্ভব হয়েছে সাধারণ মানুষের ন্যায্যতার আকাঙ্ক্ষা থেকেই।

সবশেষ এই নির্মাতা লিখেছেন, ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনা সাধারণ মানুষের এই আকাঙ্ক্ষার দুই পয়সার দাম দেন নাই। সাধারণ মানুষের এই আকাঙ্ক্ষা, ইচ্ছা আর দেশপ্রেমকে পুঁজি করে অরাজনৈতিক এবং রাজনৈতিক যারাই রাজনীতি রাজনীতি খেলতে চাইবে, তাদের দশাও কোন একসময় যেন পলাতক শেখ হাসিনার মতো না হয়, সেই বিষয় নিশ্চিত করতে হবে তাদেরকেই।

Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

খালেদা জিয়ার সঙ্গে কুশল বিনিময় করলেন মাহফুজ-আসিফ-নাহিদ
দেশের বাজারে আবারও বাড়ল স্বর্ণের দাম
‘দেশের মানুষ এখনো কোনো রাজনৈতিক দলকেই বিশ্বাস করতে পারে না’
‘বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে সশস্ত্র বাহিনীর অবদান চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে’: প্রধান উপদেষ্টা
নওগাঁ শহরে শৃঙ্খলা ফেরাতে বিশেষ অভিযান শুরু
২০২৬ সালের মাঝামাঝিতে নির্বাচন হতে পারে: উপদেষ্টা সাখাওয়াত
সেনাকুঞ্জে প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে খালেদা জিয়ার শুভেচ্ছা বিনিময়
বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে আহত ৫ জনকে রোবটিক হাত উপহার
সেনাকুঞ্জের পথে খালেদা জিয়া
সুযোগ পেলে শেখ হাসিনার পক্ষে মামলায় লড়ব: জেড আই খান পান্না
নির্বাচন কমিশন গঠন, সিইসি হলেন অবসরপ্রাপ্ত সচিব নাসির উদ্দীন
ডিএনএ টেস্টের ফলাফল: ভিনিসিয়ুসের পূর্বপুরুষ ছিলেন ক্যামেরুনের
জামিন পেলেন সাংবাদিক শফিক রেহমান
বিএনপি ছেড়ে আওয়ামী লীগে আসা সেই শাহজাহান ওমর গ্রেপ্তার
মিরপুর ও মহাখালীতে অটোরিকশা চালকদের সেনাবাহিনীর ধাওয়া
‘শেখ হাসিনা এখনও বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী’, এমন কথা বলেননি ট্রাম্প
লেবাননে ৮ শতাধিক ইসরায়েলি সেনা নিহত
ভারতে সাজাভোগ শেষে দেশে ফিরল ২৪ বাংলাদেশি কিশোর-কিশোরী
ঢাকার বিভিন্ন পয়েন্টে অবরোধ করে ব্যাটারিচালিত রিকশাচালকদের বিক্ষোভ
গাজায় ইসরায়েলের হামলায় আরও ৮৮ ফিলিস্তিনি নিহত