শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪ | ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

ধারাবাহিক উপন্যাস, পর্ব: ১৪

অঘ্রানের অন্ধকারে

টেবিলের ওপর মগে আমার প্রিয় কফি। সুন্দর গন্ধ পুরো ঘরে ছড়িয়ে পড়েছে। কফির গন্ধে মনে চনমনে ভাব আসে। আমার মন যথেষ্ট চনমন করছে। কম্পিউটারে ‘তুরির নোটবুক’ লেখা ফাইল ওপেন করলাম। তুরিকে নিয়ে লেখা গল্পটা আরও খানিকদূর এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার ইচ্ছে। যতদূর লিখেছি তারপর লিখলাম, মাদকাসক্তি নিরাময় কেন্দ্রে এসে শাবিন ভড়কে গেল। এটা ঢাকার কাছাকাছি, মানিকগঞ্জের সিংগাইর উপজেলার জাইল্লা গ্রামে। পরিচালনা করেন একজন ব্রাদার। নাম ব্রাদার রোনাল্ড ড্রাহোজাল। ২৫ বছর বয়সে শিক্ষকতা করার উদ্দেশ্যে আমেরিকা ছেড়ে বাংলাদেশে এসেছিলেন। পরে গড়ে তুলেছেন এই মাদকাসক্তি নিরাময় কেন্দ্র। নাম দিয়েছেন আপনগাঁও। তিন একর জায়গার ওপর ওপর প্রতিষ্ঠানটি গড়ে উঠেছে। বিশাল খোলা প্রান্তর। চারদিকে শুধু সবুজ আর সবুজ। আদিগন্ত ধানক্ষেত। মাঝখানে দুটো দালান।
শাবিন ভেবেছিল এখানে হাসপাতালের মতো সিঙ্গেল কেবিনের ব্যবস্থা থাকবে। এসে দেখে বড়ো একটা ঘরে ৭০ জনকে রাখা হয়েছে। সারি সারি বিছানা।
মাদকাসক্তি নিরাময় কেন্দ্রে শাবিন নিজ ইচ্ছেতে এসেছে। তুরি তাকে আদর করে বলল, তুমি পুন্নিকে ভালোবাসো?
হ্যাঁ বাসি।

বিয়ে করতে চাও পুন্নিকে?
তুমি তো সব ভণ্ডুল করে দিলে।
তুরি এখন ঘরে শাবিনের সঙ্গে ফেনসিডিল খায়। ফেনসিডিল কেনার পয়সা তুরি দেয়। শাবিন কিনে নিয়ে আসে। এই ঘটনা শাবিনের মা জানেন না।
শাবিন তার বন্ধুদের সঙ্গে মেশা কমিয়ে দিয়েছে। সে প্রায় সবসময় ঘরে থাকে। সারাদিন ঘুমায়। মাঝেমধ্যে বাইরে গেলে অনেক রাতে বাড়িতে ফেলে। তুরি জানে শাবিন সেদিন পুন্নির কাছে যায়।
তুরি আর শাবিন বসে একসঙ্গে ফেনসিডিল খাচ্ছে। তুরি বলল, একজনের দুই বউ থাকতেই পারে। তুমি পুন্নিকে বিয়ে করো। আমি তুমি আর পুন্নি তিনজন একসঙ্গে থাকব।
শাবিন অবাক হয়ে হাসছে। হাসতে হাসতে বলল, অ্যাই, তোমার নেশা হয়ে গেছে। আর খেয়ো না।
আমার নেশা হয়নি। বলো, তুমি পুন্নিকে বিয়ে করবে?
মা রাজি হবে?
মাকে আমি রাজি করাব। মায়ের শরীর ভালো নেই। তোমাকে নিয়ে সব সময় দুশ্চিন্তা করেন।
আমাকে নিয়ে না, বাবাকে নিয়ে।
আমার ধারণা বাবা কোথায় আছেন, মা জানেন। তুমি সুস্থ হয়ে উঠলে মা তোমাকে বাবার ঠিকানা দেবেন।
আমি সুস্থ হয়ে উঠব। এই মাল ছুঁয়ে বলছি আগামীকাল থেকে সব বাদ। আর নেশা করব না।
একা একা নেশা ছাড়া যায় না। কষ্ট হয়।
তুমি আছ।
চলো রিহ্যাবে যাই। ওখানে থাকলে তুমি ভালো হয়ে যাবে।
অনেক টাকা লাগবে।
তোমাকে ছয় মাস থাকতে হবে না। পঁচিশ দিন থাকবে।
তাতেও অনেক টাকা দরকার। তিরিশ হাজার টাকার মামলা। পুন্নি চেয়েছিল। ওর জন্য খোঁজ নিয়েছিলাম।
মায়ের জন্য, তোমার আর পুন্নির জন্য টাকা আমি দেব।
শাবিন সকালে তুরির সঙ্গে মাদকাসক্তি নিরাময় কেন্দ্রে চলে এলো। জায়গাটা ভালো লাগল শাবিনের। গ্রামের ভেতর। চারদিকে ধানক্ষেত। চারদিকে ঘন সবুজ। জানালা দিয়ে হু হু করে বাতাস ঢোকে। বাইরে তাকালে মন ভালো হয়ে যায়।
শাবিনকে রেখে তুরি চলে যাচ্ছে। শাবিন জানালা দিয়ে বাইরে তাকিয়ে আছে। তার মন খারাপ হয়ে গেল। সে বিষণœ চোখে তাকিয়ে থাকল। তুরি মাথা নিচু করে হেঁটে হেঁটে চলে যাচ্ছে। সরু মাটির রাস্তা। শাবিন এতক্ষণ খেয়াল করেনি। এখন দেখল তুরি আজ শাড়ি পরেছে। তার পরনে সবুজ শাড়ি। তুরির হেঁটে যাওয়া দেখতে অপূর্ব লাগছে। শাবিনের চোখ ভরে পানি চলে এলো।

ভোরবেলা ঘুম থেকে উঠতে হয়েছে। এখানে প্রার্থনা ঘর আছে। সেখানে সবাই গোল হয়ে বসেছে। প্রার্থনা হচ্ছে। অনেক ধরনের প্রার্থনা হয়। যেমন ক্ষমাদানের প্রার্থনা, প্রশান্তির প্রার্থনা, খাবারের প্রার্থনা, আশির্বাদের প্রার্থনা।
এখন আশির্বাদের প্রার্থনা হচ্ছে। হে সর্বশক্তিমান সৃষ্টিকর্তা, তুমি সকল আসক্তিদের আশির্বাদ করো। যে যেখানে থাকুক না কেন সেই সমস্ত হতভাগ্য, যাদের আজ সত্যিকারভাবে সুস্থ হওয়া প্রয়োজন, তাদের প্রতি তুমি সহানুভূতিশীল হও, দয়া করো এবং এই সুন্দর পথ দ্বারা পরিচালিত করো, যেমন তুমি আমাকে ও আরও অনেককে সাহায্য করেছ। আশির্বাদ করো, যারা আজ সুস্থ এবং এই সুস্থতার পথ দ্বারা এগিয়ে যাচ্ছে। কিন্তু প্রভু, তুমি বিশেষভাবে সহানুভূতিশীল হও, দয়া করো যারা আজ সত্যিকারভাবে অসহায় এবং এখনো জানে না তারা তাদের মুক্তির পথ। আমিন।


শাবিনের পো উঠে গেছে। তার অস্থির লাগছে। হাতপা আড়ষ্ট হয়ে আসছে। নিজের হাত কামড়াচ্ছে। এক হাত দিয়ে আরেক হাত মোচড়াচ্ছে। নাক দিয়ে ঝরঝর করে সর্দি ঝরছে।
শাবিনের মনে হচ্ছে ধারালো কিছু পেলে সে নিজের হাত কেটে ফেলত। ধারালো কিছু পাওয়া গেল না। শাবিন ঘরের দেয়ালের সঙ্গে হাতপা আর শরীর ঘষতে থাকল।
একজন এসে তাকে তিনটা সিগারেট দিয়েছে। সিগারেটের নাম হলিউড। সস্তা দামের সিগারেট। খেতে জঘন্য। সকালে এই সিগারেট দেওয়া হয় তিনটা, বিকালে দুটো। দিনে মোট পাঁচটা। শুধু হলিউড না। সানমুন, ডারবি, পাইলট, শেখ নামের সিগারেটও দেওয়া হয়। সবগুলোই সস্তা দামের সিগারেট আর খেতে একইরকমের বিচ্ছিরি।
সিগারেট খেতে হয় বারান্দায় গিয়ে। সময় পাওয়া যায় ছয় মিনিট। সিগারেট রেখে দেওয়া যায় না। অন্য কাউকে দেওয়াও যায় না। অনেক নিয়ম এখানে। একা টয়লেটে যেতে দেয় না। সঙ্গে কেউ যায়।
লাল রঙের জ্যাকেট পরে একজন দেয়ালের দিকে তাকিয়ে আছে। শাবিন জিগ্যেস করল, ওর কী হয়েছে?
সঙ্গে যে ছিল সে বলল, শাস্তি হচ্ছে। এখানে শাস্তি হয় কঠিন। তুমি নিয়ম না মানলে তোমাকে তিন ঘণ্টা দেয়ালের দিকে মুখ করে বসিয়ে রাখবে। খাবার বন্ধ করে দেবে। কেউ তোমার সঙ্গে কথা বলবে না। তুমি কারও সঙ্গে দেখা করতে পারবে না। এটা হচ্ছে কুল আপ। খারাপ কাজের তিরস্কার। আর ভালো কাছের পুরস্কার হচ্ছে পুল আপ।
শাবিনকে খাতা দেওয়া হয়েছে তাতে তার অনুভূতি লেখার জন্য। শাবিন লিখল,
এক দুই তিন
চলে গেল দিন
চার বাদে পাঁচ
ছয় আর সাত
চলে এলো রাত।

ভোর হয়। প্রার্থনা দিয়ে শুরু হয় দিন। তারপর লাইন ধরে ব্রাশে পেস্ট নিয়ে দাঁত মাজা, রুটি-ডাল দিয়ে নাস্তা করা। প্রশিক্ষক বললে নাস্তা শুরু করতে হয়। প্রশিক্ষক যতক্ষণ না বলবেন ততক্ষণ নাস্তা খাওয়া শুরু করা যাবে না।
রুটি বেশি হয়েছে। শাবিনের খেতে ইচ্ছে করছে না। সে বলল, আমি একটা রুটি কাটতে চাই।
এটাই নিয়ম এখানে। পাশেরজনের দরকার হলেও কেউ তাকে রুটি বা ভাত দিতে পারবে না। লিডারকে বলতে হবে। তখন যার প্রয়োজন তাকে লিডার সেই রুটি বা ভাত কিংবা তরকারি পৌঁছে দেবেন।


নিয়ম মেনে চলতে হয়। সবাইকে ‘ভাই’ আর ‘আপনি’ বলে কথা বলতে হয়। রাতের শিফটে গ্রুপ ভাগ করে পাহারার ব্যবস্থা থাকে। অনেকগুলো গ্রæপ আছে। কিচেন গ্রুপ, তরিতরকারি রেডি করা গ্রুপ, টয়লেট পরিষ্কার করা গ্রুপ। গ্রুপের কাজ প্রতি সপ্তাহে পরিবর্তন করা হয়ে থাকে। কিচেন গ্রæপকে ভোরবেলা উঠে চুলা জ্বলিয়ে রুটি বানাতে হয়। ঘুরেফিরে সবাই সব কাজ করে।


বেলা এগারোটায় চা-মুড়ি। বারোটায় মাদক গ্রহণের কুফল নিয়ে ক্লাস। ভাত রান্নার চাল বেছে পরিষ্কার করা লাগে। সেই চালে ভাত রান্না হয়। খাওয়ার সময় প্রার্থনা করা লাগে। খাবারের প্রার্থনা। হে সর্বশক্তিমান সৃষ্টিকর্তা, এই সুন্দর সকালে/দুপুরে/রাতে যে খাবার তুমি আমাদের দিয়েছ তার জন্য তোমাকে জানাই ধন্যবাদ...।
ভাত খেয়ে বিশ্রাম। ঘর পরিষ্কার করা, ব্যায়াম সেরে বিকাল তিনটায় গোসল। গোসলের সময় দুই মিনিট। বিকেলে গান-বাজনা করা যায়। রাতে টিভি দেখে প্রার্থনার পর ঘুম। সপ্তাহে একদিন ফুটবল খেলতে দেয়।

চলবে..

 

পর্ব ১৩: অঘ্রানের অন্ধকারে

পর্ব ১২: অঘ্রানের অন্ধকারে

পর্ব ১১: অঘ্রানের অন্ধকারে

পর্ব ১০: অঘ্রানের অন্ধকারে

পর্ব ৯: অঘ্রানের অন্ধকারে

পর্ব ৮ : অঘ্রানের অন্ধকারে

পর্ব ৭ : অঘ্রানের অন্ধকারে

পর্ব ৬: অঘ্রানের অন্ধকারে

পর্ব ৫: অঘ্রানের অন্ধকারে

পর্ব ৪: অঘ্রানের অন্ধকারে

পর্ব ৩: অঘ্রানের অন্ধকারে

পর্ব ২: অঘ্রানের অন্ধকারে

পর্ব ১: অঘ্রানের অন্ধকারে

Header Ad

পুলিশ-অটোরিকশা চালক সংঘর্ষ, ঢাকা-পদ্মা সেতু ট্রেন চলাচল বন্ধ

পুলিশ-অটোরিকশা চালক সংঘর্ষ, ঢাকা-পদ্মা সেতু ট্রেন চলাচল বন্ধ। ছবি: সংগৃহীত

রাজধানীর জুরাইন রেলগেট এলাকায় পুলিশের সঙ্গে ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা চালকদের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে শুক্রবার (২২ নভেম্বর) বেলা ১১টা থেকে ঢাকা-পদ্মা সেতু রুটে ট্রেন চলাচল বন্ধ হয়ে পড়ে।

কমলাপুর স্টেশন মাস্টার আনোয়ার হোসেন জানান, জুরান এলাকায় ব্যাটারি চালিত রিকশা চালকরা বেলা ১১টা থেকে রেললাইন দখল করে অবরোধ শুরু করেছেন। ফলে ১১টা থেকে আমরা ওই লাইনে কোনো ট্রেন চলাচল করতে পারছে না। ঢাকা থেকে পদ্মা সেতু হয়ে ও ঢাকা থেকে নারায়ণগঞ্জের রেল চলাচল বন্ধ রয়েছে।

আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সবুজ সংকেত না দেওয়া পর্যন্ত পদ্মা সেতু রুটে ট্রেন চলাচল করবে না বলেও জানান আনোয়ার হোসেন।

ঢাকা থেকে ফরিদপুর, ঝিনাইদহ, কুষ্টিয়া, যশোর ও খুলনাগামী অনেক যাত্রী এখন কমলাপুর শহরতলি স্টেশনে অপেক্ষা করছেন বলে জানা গেছে৷

শ্যামপুর থানার ডিউটি অফিসার উপ-পরিদর্শক (এসআই) নাজমুন নাহার বলেন, ব্যাটারিচালিত রিকশা চালকরা জুরাইন এলাকায় রেললাইন দখল করে অবরোধ কর্মসূচি পালন করছেন। ঘটনাস্থলে পুলিশ সদস্যরা উপস্থিত হয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করছেন। এখন পরিস্থিতি কিছুটা স্বাভাবিক রয়েছে।

Header Ad

ভারতীয় সাবমেরিনের সঙ্গে মাছ ধরা নৌকার সংঘর্ষ, নিখোঁজ ২

ছবি: সংগৃহীত

ভারতীয় নৌবাহিনীর একটি সাবমেরিনের সঙ্গে দেশটির একটি মাছ ধরা নৌকার সংঘর্ষ হয়েছে। সংঘর্ষের ঘটনায় মাছ ধরা নৌকার দুই জেলে নিখোঁজ রয়েছেন।

শুক্রবার (২২ নভেম্বর) দেশটির গোয়া উপকূলে এ ঘটনা ঘটে এবং সাবমেরিনে ১৩ জন ক্রু ছিল। তাদের মধ্যে ১১ জন ক্রুকে উদ্ধার করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন দেশটির কর্মকর্তারা।

ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির এক প্রতিবেদনে বলা হয়, দুর্ঘটনার পরই ভারতীয় নৌবাহিনী ব্যাপক আকারে উদ্ধার অভিযান চালাচ্ছে। উদ্ধার অভিযানে ছয়টি জাহাজ এবং বিমান মোতায়েন করা হয়েছে। সংঘর্ষের ঘটনায় মাছ ধরা নৌকার দুই জেলে নিখোঁজ রয়েছে। অন্যদিকে সাবমেরিন থেকে ১১ জন ক্রুকে উদ্ধার করা হয়েছে।

ভারতের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে জানায়, গোয়া উপকূল থেকে ৭০ নটিক্যার মাইল দূরে মাছ ধরা নৌকা মারথমার সঙ্গে সাবমেরিনের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।

বিবৃতিতে আরও বলা হয়, নিখোঁজ দুই জেলের সন্ধানে মেরিটাইম রেসকিউ কোঅর্ডিনেশন সেন্টার মুম্বাইয়ের সঙ্গে সমন্বয় করে উদ্ধার অভিযান চালানো হচ্ছে। এছাড়া ওই এলাকায় কোস্টাগার্ডও মোতায়েন করা হয়েছে। তবে কীভাবে এই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে তার কারণ উদঘাটনে তদন্তের কথা জানিয়েছে মন্ত্রণালয়।

Header Ad

সংসার ভাঙার দুদিন পরই সুখবর দিলেন এ আর রহমান

এ আর রহমান ও তার প্রাক্তন স্ত্রী সায়রা। ছবি: সংগৃহীত

এ আর রহমান বিচ্ছেদের ঘোষণা করার পর থেকে তাকে নিয়ে নানা খবর ছড়িয়েছে। একদিকে যেমন রহমান ও তার প্রাক্তন স্ত্রী সায়রার সম্পর্ক নিয়ে নানা আলোচনা। অন্যদিকে সুরকারের সহশিল্পী মোহিনীর সঙ্গে পরকীয়া নিয়ে গুঞ্জন রটেছে। তবে এই নিয়ে মোহিনী বা রহমানের তরফ থেকে কোনও মন্তব্য পাওয়া যায়নি। ঠিক এরই মাঝে নতুন পোস্ট করে এ আর রহমান ভক্তদের দিলেন সুখবর।

শুক্রবার (২২ নভেম্বর) রহমান তার সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি ভিডিও পোস্ট দিয়েছেন রহমান। এতে তিনি জানান, দক্ষিণী সিনেমা ‘দ্য গোট লাইফ’র আবহসংগীতের জন্য হলিউড মিউজিক অ্যাওয়ার্ডসে সেরার পুরস্কার পেয়েছেন তিনি। এ সিনেমার পুরো টিমকে এ ভিডিওর মাধ্যমে ধন্যবাদ জানিয়েছেন এ সংগীতজ্ঞ।

সোশ্যাল মিডিয়ায় এ আর রহমানের বিচ্ছেদ ঘোষণার কয়েক ঘণ্টা পরেই তার সহশিল্পী মোহিনীও স্বামী ম্যাকের সঙ্গে ডিভোর্সের ঘোষণা দেন। সোশ্যাল মিডিয়ায় এ দুই ঘটনার মধ্য়েই মিল খুঁজে পেয়েছেন নেটিজেনরা। এমনকী মোহিনীর সঙ্গে পরকীয়ার কারণেই রহমান এ ডিভোর্সের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন- এমনটাও বলছেন কেউ কেউ।

 মোহিনী-এ আর রহমান। ছবি: সংগৃহীত

এ আর রহমান ও মোহিনীকে জড়িয়ে বিতর্ক শুরু হতেই মুখ খুলেছে রহমানের সবেক স্ত্রী সায়রা বানুর আইনজীবী বন্দনা শাহ। তিনি গণমাধ্যমকে জানালেন, ‘এসব বিতর্কের কোনো অর্থ নেই। মোহিনীর ডিভোর্সের সঙ্গে রহমানে ও সায়রার ডিভোর্সের কোনো সূত্র নেই। এটা তাদের একেবারে নিজস্ব সিদ্ধান্ত। তাই অযথা বিতর্ক না করাই ভালো’।

তিনি আরও বলেন, ‘প্রত্য়েকটি দীর্ঘ বিবাহিত জীবনই ভালো-মন্দের মধ্য়ে দিয়ে এগিয়ে যায়। আমি খুবই খুশি তারা খুব সচেতনভাবে এ সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। এ বিচ্ছেদ একেবারেই খারাপ বৈবাহিক জীবনের ফল নয়। সায়রা ও রহমান দুজনেই দুজনকে সম্মান করেন’।

১৯৯৫ সালে রহমান ও সায়রা বানুর বিয়ে হয়েছিল। দেখাশোনা করেই নাকি এই বিয়ে দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু দীর্ঘ ২৯ বছর তারা একসঙ্গে কাটিয়েছেন। তাদের ঘরে তিন সন্তানের জন্ম হয়েছে।

Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

পুলিশ-অটোরিকশা চালক সংঘর্ষ, ঢাকা-পদ্মা সেতু ট্রেন চলাচল বন্ধ
ভারতীয় সাবমেরিনের সঙ্গে মাছ ধরা নৌকার সংঘর্ষ, নিখোঁজ ২
সংসার ভাঙার দুদিন পরই সুখবর দিলেন এ আর রহমান
ঢাকায় পৌঁছেছেন বাইডেনের বিশেষ প্রতিনিধি
আ.লীগকে নির্বাচনের সুযোগ দেওয়ার বিষয়ে যা বললেন হাসনাত আব্দুল্লাহ
যুদ্ধবিধ্বস্ত লেবানন থেকে ফিরলেন আরও ৮২ বাংলাদেশি
পাকিস্তানে যাত্রীবাহী গাড়িতে সন্ত্রাসী হামলা, নিহত ৪৫
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ১৮ সদস্যের কেন্দ্রীয় কমিটি গঠন
তামিমকে অধিনায়ক করে বাংলাদেশের দল ঘোষণা
নতুন নির্বাচন কমিশন শপথ নেবে রোববার
গাজায় ইসরায়েলি হামলায় নিহতের সংখ্যা ছাড়াল ৪৪ হাজার
খালেদা জিয়ার সঙ্গে কুশল বিনিময় করলেন মাহফুজ-আসিফ-নাহিদ
দেশের বাজারে আবারও বাড়ল স্বর্ণের দাম
‘দেশের মানুষ এখনো কোনো রাজনৈতিক দলকেই বিশ্বাস করতে পারে না’
‘বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে সশস্ত্র বাহিনীর অবদান চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে’: প্রধান উপদেষ্টা
নওগাঁ শহরে শৃঙ্খলা ফেরাতে বিশেষ অভিযান শুরু
২০২৬ সালের মাঝামাঝিতে নির্বাচন হতে পারে: উপদেষ্টা সাখাওয়াত
সেনাকুঞ্জে প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে খালেদা জিয়ার শুভেচ্ছা বিনিময়
বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে আহত ৫ জনকে রোবটিক হাত উপহার
সেনাকুঞ্জের পথে খালেদা জিয়া