রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪ | ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

ধারাবাহিক উপন্যাস: পর্ব-৩২

নেই দেশের নাগরিক

‘জেহাদের রক্ত কখনো বিফল হয় না। আল্লাহ ঠিকই চোখ তুলে তাকান। রহম করেন। তিনি যে রহমানের রাহিম। শরীরে রক্ত থাকলেই তো সে রক্ত আর ‘জেহাদের’ রক্ত হয় না? সে রক্তকে তলোয়ার বানাতে হয়। ন্যায়ের তলোয়ার। দুষ্টের দমনের তলোয়ার। আর সে তলোয়ার যখন মৃত্যুর দূত হয়ে বিধর্মীদের ওপর আছড়ে পড়ে, তখনই সে তলোয়ারের বীরত্ব। বিজয়গাঁথা।’

আতিফ নবীর গনগনে বারুদ-মনে বারুদের কাঠির ঠোকা দিল। ‘ভক’ করে জ্বলে উঠল নবী, ‘আল্লাহর রাস্তায় নিজেকে কুরবানি দিতে আজ আমার এতটুকু কুন্ঠা নেই। কিন্তু, আমার মৃত্যু যেন অন্যের টাকা ইনকামের রাস্তা না হয়ে ওঠে। কেউ যেন আমার মৃত্যুকে তার ব্যবসার হাতিয়ার না করেন।’ একজন কাফেরকে শেষ করেছি। জানি না, ভেতরে আরও কত মীরজাফর ঘাপটি মেরে সলতে পাকাচ্ছেন! আল্লাহর কসম, জানতে পারলে, দেহে জান থাকা অবদি, তাদেরকে খতম করেই ছাড়ব।’

‘যাক, বালুখালি পৌঁছে ফোন করিস। ‘মাথার ফেজ টুপিটা খুলে পকেটে পুরতে পুরতে জিজ্ঞেস করল আতিফ।
‘সেটা যে সম্ভব নয়, তা তুই ভালো করেই জানিস। ‘অ্যাক্সান’এর গোপনীয়তার জন্যেই সেটা সম্ভব নয়। ফোনের ট্র্যাকেকে কোথায় আড়ি পেতে বসে থাকবে, তার তো কোনো ইয়াত্তা নেই। ওখানে তো পদে পদে বিপদ। মরণফাঁদ। ঠিক মতো কলকাঠি নাড়ারই সুযোগ পাওয়া যাবে না হয়ত।’ তাহলে, ‘মিশন’ কমপ্লিট করে ফোন করিস।’
‘যদি বেঁচে থাকি তবে।’
‘আল্লাহর দোহায়, এমন কথা বলিস ন্যা।’ ‘আমার বলা না বলাতে কী যায় আসে। যেটা ‘ঘটনা’ সেটা ‘ঘটনা’। বাস্তবকে তো আর অস্বীকার করতে পারব না? এসব কাজে মৃত্যু যে পানির মতো সহজ। সময় হলে যেমন বৃন্ত থেকে ফুল ঝরে পড়ে, ঠিক তেমনই মরণের সময় হলে, শরীর থেকে খসে পড়ে রুহু।’
‘তুই না বড্ড কঠিন হয়ে উঠছিস।’ ‘না হয়েই বা কী করব, এখন তো যত পাষান হতে পারব, ততই মঙ্গল। তুই কি আমাকে রক্ত-মাংসের মানুষ থেকে শুকনো বাঁশ বানিয়ে দিতে পারিস? কিম্বা পাথরের চাঁই?”
‘আমরা তো ধূপ? নিজে ছাই হয়ে অপরকে সুগন্ধ দিই।’

‘সে সুগন্ধ লোকে নিলেই তো? লোকের যদি গোবর শুঁকা অভ্যাস থাকে, তাহলে তাকে তুই ধূপ কেন, গোলাপের গন্ধ দিলেও বলবে, গোবরের গন্ধই ভালো। সমাজে আজ এই গোবর শোঁকা লোকের সংখ্যাই বেশি। সুতরাং ধূপ হয়ে পুড়ে পুড়ে ছাই হয়ে কী লাভ। বরং বারুদ হওয়া অনেক ভালো। লোকে গন্ধও খাবে আবার ঠাপও খাবে। আর আমরা নিজে আগুনের মতো জ্বলতে পারব। ‘কথাটা বলতে বলতে দেওয়াল ঘড়িটার দিকে দৃষ্টি ফেলল নবী। বলল, “সময় হয়ে এল রে। গাড়ি চলে আসবে। রেডি হয়ে নিই।’ বলেই পাশের ঘরে যেতে যেতে জিজ্ঞেস করল, ‘তুই, কোন দিক দিয়ে যাবি, আতিফ?’
‘লেডা হয়ে যাব। তাহলে নয়াপাড়া কাছে হবে।’
‘ওই লোকটাকে কি আর ফোনে পাওয়া গেছে?’
‘নাহ! অনেকবার ট্রাই করে পাইনি। বলছে, স্যুইচঅফ।’
‘তাহলে, মোবাইলে চার্জ নেই হয়ত। বন্ধ হয়ে গেছে।’
‘আমারও তাই মনে হচ্ছে।’
‘লোকটাকে কন্ট্যাক করা গেলে, তোর অনেক সুবিধা হত। অন্তত
“লোকেশান’টা তো ঠিক জানা যেত। এখন তো তোকে ওখানে গিয়ে হন্যে হয়ে খুঁজে বেড়াতে হবে! আজ তো আবার আবহাওয়ার খবরও খারাপ। ঝড় হওয়ার সম্ভাবনা আছে। ‘আশ্বিনের ঝড়’ আবার সমুদ্রের ঝুঁটি টেনে তোলে। রাগে ফোঁস ফোঁস করে ওঠে সমুদ্র।”

‘হ্যাঁ, সে খবর রেডিওতে গত রাতে তো শুনলাম। কিন্তু কিছুই তো করার নেই। ঝড়ের ভ্রূকুটি অবজ্ঞা করেই যেতে হবে। ‘প্রকৃতির ঝড়’ আর ‘মৃত্যুর ঝড়’ যতই দোস্তি পাতাক, বেটাকে বাপের কাছে যেতেই হবে। এর কোন মার নেই।’
‘একেই বলে রক্তের টান। তুই এতদিন জেহাদের তালিম নিয়েও এ টান ছাড়তে পারলি না! মানুষ সত্যিই এ টান ছিন্ন করতে পারে না। লতায় না হোক পাতায়, পাতায় না হোক লতায় যুক্ত থাকবেই। এ বন্ধন যে স্বয়ং আল্লাহ বেঁধে দেন। এ খন্ডাবে কে? না জেহাদ না কুরবানি? এ তো আর লোমের সঙ্গে লোমের সম্পর্ক নয়? এ যে নাড়ির সঙ্গে নাড়ির সম্পর্ক। রক্তের কোলাকোলি।“ কন্ঠ কেঁপে ওঠে নবীর। একটু তাড়া দেখিয়ে বলে, “এক পারা কোরান পড়ে নিই। এক্ষণি গাড়ি চলে আসবে।“ উপরের তাক থেকে একটা কাঠের তক্তার ওপরে রাখা কোরানশরীফটা পেড়ে পুব দিকের এই ঘরে একটা খেজুরপাটির ওপরে হাঁটু মুড়ে বসল নবী। পুরো তাকটা বইয়ে গিজগিজ করছে। হাদিস-কোরান আর জেহাদি বইয়ে তিনটে তাকই ঠাসা। নবীর বই পড়ার অভ্যাস চিরদিনই। ছোট থেকেই বই পেলে সে চিবিয়ে খেত। জ্ঞ্যান আহরণের নেশা তার প্রবল। রেহেলে কোরানশরীফটা রেখে, সুর করে কোরান তেলাওয়াত করতে লাগল সে। পাশের দড়ির খাটিয়াটাই পা ঝুলিয়ে বসে শুনতে লাগল আতিফ। সে জানে, কোরান তেলাওয়াত শুনলেও ঢের নেকি। নবীর কন্ঠটা ঘুঘু পাখির মতো মিঠে সুরের।

কিন্তু আজ কেঁদে কেঁদে গলাটা ভেঙে যাওয়াই, ঢেঁকি কুটার মতো বাজছে। দরদি সুর এমন করে উথলে উঠছে, হৃদয়ে কষ্টের কাঁটা খচ খচ করে বিঁধছে। নবী যেন আরবি ভাষায় কাঁদছে। শুকনো ঘা’এর চামড়া যেমন পড়পড় করে উঠে যায়, মনের যন্ত্রণাটাও যেন গলার স্বরথলিতে এসে পড়পড় করে ছিড়ে যাচ্ছে। খাটে পা ঝুলিয়ে কান খাড়া করে নবীর কোরান তেলাওয়াত শুনতে শুনতে আতিফের মাথায় ভিড় করে ‘বদরের যুদ্ধ’, ‘উঁহুদের যুদ্ধ’ আর ‘খন্দকের যুদ্ধ’এর কথা। আল্লাহর দ্বীন প্রতিষ্ঠা করতে স্বয়ং নবী রসুল হযরত মহম্মদকেও যুদ্ধ করতে বাধ্য হতে হয়েছিল! সুতরাং যুদ্ধ পৃথিবীতে আজ নতুন কিছু নয়। হিংসাও এই দুনিয়ার নতুন ফসল নয়। ‘অন্যায়কে’ প্রতিহত করতে, বিধর্মীকে খুন করতে, ‘আল্লাহর দ্বীন’ প্রতিষ্ঠা করতে, মাঝে মধ্যে যুদ্ধ করতেই হয়। ‘অসত্যের’ বিরুদ্ধে ‘সত্যের’ অস্ত্র তুলে নিতেই হয়। গোটা ঘর জুড়ে কোরান তেলাওয়াতের মিঠে সুর আর আতিফের মাথায় তিড়বিড় করা মরু যুদ্ধে আরবীয় উটের খুড়ের আওয়াজ ফুঁড়ে কানে ভেসে এল দরজায় ঠোকা মারার খটখট শব্দ। নবী কোরান তেলাওয়াত থামিয়ে, কপালে ভাঁজ ফেলে বলল, “মনে হয় গাড়ি চলে এসেছে!” খাট ছেড়ে তড়াক করে উঠে পড়ল আতিফ। “তুই যে এখনও রেডি হোসনি!” নবী বলল, “তুই ড্রাইভারকে একটু অপেক্ষা করতে বল, আমি ফট করে রেডি হয়ে নিচ্ছি।’

“আচ্ছা।“ বলে গডগড করে দরজার দিকে পা বাড়াল আতিফ। নবী কোরানশরীফ’টাকে বার কয়েক চুমু দিয়ে গুটিয়ে, রেহেলটাকে ভাঁজ করে, ওপরের তাকে রেহেলটার ওপরে কোরানশরীফ’টাকে যত্ন করে রেখে দিল। ‘কচ’ করে দরজা খুলল আতিফ। চৌকাঠ দিয়ে ঘরে সাধাল সদ্য ফোটা হলুদ সকাল। “আসমানের মতিগতি ভালো ঠেকছে না! মনে হচ্ছে ঝড় উঠবে।“ ঘাড় কাত করে চুলের হিপ্পি পেছনের ঘাড়ে ঠেকিয়ে চোখ আকাশের দিকে তুলে বলল মতি। “আশ্বিনের ঝড়! এ ফাঁড়া মনে হয় আর কাটবে না!” চোখ ঘোলা ডিমের মতো পাকিয়ে উঠল নুহুর। মতি অন্ধকারে কিছু একটা হাতড়াতে হাতড়াতে ঢুঁড় সাপের মতো ফুঁসে উঠল, “পাটের দড়িটা কোথায় রেখেছিস?”
“ওই তো, ওখানে, তোমার পেছনে যেখানে পানি ছ্যাকা টিনটা আছে, তার মধ্যে পুরা আছে।“ গলায় ঢোল পিটিয়ে বলল নুহু। তারপর ট্যারা চোখে তাকিয়ে বিড়বিড় করল, “যেখানে সেখানে খুঁজলেই হল? যেখানকার জিনিস সেখানে তো খুঁজতে হবে? তা না করে ফালতু ফালতু মাথা গরম করছে!”

“আরিফা, লম্পটা কি আরেকবার কোন কিছু করে জ্বালানো যাবে?” জিজ্ঞেস করল মতি। “দেখছি, জ্বলে কি না।” ঘোমটা টানল আরিফা। ঘোমটার আড়াল দিয়ে মুখের ওপর ছড়িয়ে পড়ল চুলের মতো কালো অন্ধকার। সন্ধ্যা কেবলই পা ফেলছে। হাতের নাগালেই ছিল কুপিটা। কিছুক্ষণ আগেই একবার জ্বালিয়েছিল আরিফা। তেল নেই। তলানিতে যেটুকু আছে, তাতে আলো জ্বালিয়ে অন্ধকার খোঁজায় হবে। কাজের কাজ কিচ্ছু হবে না। দিয়াশলাইয়ের কাঠিটা ঠুকে যেই সলতেটায় ঠেকিয়েছিল, অমনি ‘দপ’ করে জ্বলে ‘ফুস’ করে নিভে গেছিল শীখাটা। মুখে আলো ঝলসানোর বদলে সলতে পোড়া ঝাঁঝালো গন্ধের একটা কালো ধোঁয়া নাকে-চোখে লেগেছিল। আরিফা আঁচল চোখে-মুখে দিয়ে একবার জোরে ‘হাচ্চি’ করে উঠেছিল। স্বামীর কথায় সেই তেলহীন তলা পুড়ে খাক হওয়া কুপিটা আবারও জ্বালানোর চেষ্টা করল আরিফা। যেই ‘ঘ্যাঁচ’ করে দিয়াশলাইয়ের খোলে কাঠিটা ঠুকে ‘ছ্যাঁক’ করে জ্বলে ওঠা আগুনের শীখাটা কুপির পোড়া সলতেতে ঠেকালো, অমনি ন্যাকড়া দিয়ে বানানো সলতেটা মিহি করে জ্বলে উঠে ‘ফুস’ করে নিভে গেল। মুহূর্তের জ্বলে ওঠা ‘আলো’টাকে হাঙরের মতো হাঁ করে থাকা অন্ধকার যেন ‘গব’ করে গিলে খেয়ে নিল। আলো না হলেও, ক্ষণিকের জ্বলে ওঠা আলোতে টিনের মধ্যে রাখা পাটের দড়িটা আবছা করে দেখতে পেল মতি। একটিন অন্ধকারে হাত ঢুকিয়ে দড়িটা বের করল সে। গোল করে জড়িয়ে বাঁধা আছে। হাতের আন্দাজে দড়ির জুড়েল ছাড়াল সে। নুহুকে বলল, “দড়িটা ধর।“ বলেই দড়ির একমাথা ছইয়ের ওপর দিয়ে ছুড়ে ফেলে দিল। মাথাটা ছইয়ের ওপারে নৌকোর খোলে ‘ছড়াক’ করে পড়ল।

“এ কী করছ!” তড়াক করে উঠল নুহু। “তোর তো কোন হুশ বুদ্ধি আছে, যে বুঝতে পারবি? ঝড় উঠবে, তাই টাপাটাকে পোক্ত করে নৌকোর সাথে বাঁধছি।“ “ও, আচ্ছা।“ মাথা নড়াল নুহু। বলল, “আকাশ যেভাবে হাঁড়ির কালির মতো কালো হয়ে উঠছে, তাতে ভয়ংকর ঝড় হবে বলে মনে হচ্ছে!”

চলবে...

চলবে...

আগের পর্ব পড়ুন

নেই দেশের নাগরিক: পর্ব-৩১

নেই দেশের নাগরিক: পর্ব-৩০

নেই দেশের নাগরিক: পর্ব-২৯

নেই দেশের নাগরিক: পর্ব-২৮

নেই দেশের নাগরিক: পর্ব-২৭

নেই দেশের নাগরিক: পর্ব-২৬

নেই দেশের নাগরিক: পর্ব-২৫

নেই দেশের নাগরিক: পর্ব-২৪

নেই দেশের নাগরিক: পর্ব-২৩

নেই দেশের নাগরিক: পর্ব-২২

নেই দেশের নাগরিক: পর্ব-২১

নেই দেশের নাগরিক: পর্ব-১৯

 

Header Ad

গোপনে দুইজনকে বিয়ে, কাউকেই অধিকার বঞ্চিত করেননি জান্নাতুল

ছবি: সংগৃহীত

একইসঙ্গে দুই স্বামীর সঙ্গেই সংসার করছেন জান্নাতুল ফেরদৌস নামের এক নারী। স্ত্রীর অধিকার থেকে বঞ্চিত করেননি দুই স্বামীর কাউকেই। গোপনে মন জয় করে চলছিলেন দুই স্বামীর। প্রায় দুই বছর দুই স্বামীর সংসার করার পর অবশেষে বিষয়টি জানাজানি হলে এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।

চার বছরের প্রেমের সম্পর্কের পর ২০২২ সালের ২৭ অক্টোবর নোটারি পাবলিকের কার্যালয়ে হলফনামার মাধ্যমে গোপনে বিয়ে করেন রাজবাড়ী সদরের আলীপুর ইউনিয়নের ইন্দ্রনারায়ণপুর গ্রামের আবু হানিফ শেখের ছেলে ইউটিউবার সাগর শেখ ও আলীপুর গ্রামের নুরুল ইসলাম ভূঁইয়ার মেয়ে জান্নাতুল ফেরদৌস।

বাবা, মা ও ভাই প্রবাসে থাকায় বাবার বাড়িতে একাই বসবাস করতেন জান্নাতুল। সেখানে যাতায়াত করতেন স্বামী সাগর শেখ। সংসার জীবন ভালোই চলছিল এ দম্পতির। হঠাৎ জান্নাতুলের বাবা প্রবাস থেকে দেশে ফেরায় শ্বশুরবাড়ি যাতায়াত বন্ধ হয়ে যায় সাগরের। এরই মধ্যে প্রথম বিয়ের কথা গোপন রেখে পরিবারের সিদ্ধান্তে অন্য এক যুবককে দ্বিতীয় বিয়ে করেন জান্নাতুল।

এদিকে স্ত্রীকে আনুষ্ঠানিকভাবে নিজের বাড়িতে তুলে না নেয়ায় শ্বশুরবাড়ি গিয়ে স্ত্রীর সঙ্গে নিয়মিত সময় কাটান জান্নাতুলের দ্বিতীয় স্বামী। প্রথম স্বামী সাগরের দাবি, প্রায় দুই বছর ধরে তার সঙ্গেও স্বামী-স্ত্রীর সম্পর্ক ঠিক রেখে চলছিলেন জান্নাতুল।

স্ত্রীর পরিবার তাকে মেনে না নেয়ায় তার বোনের বাসাসহ বিভিন্ন স্থানে একান্তে সময় কাটাতেন স্বামী-স্ত্রী। চলতি মাসের ২ নভেম্বর তারা একসঙ্গে নিজেদের দ্বিতীয় বিবাহবার্ষিকী পালন করেছেন বলেও দাবি করেন সাগর।

তবে দুই সপ্তাহ আগে স্ত্রীর সঙ্গে দ্বিতীয় স্বামীর ঘনিষ্ঠতার বিষয়ে জানতে পারেন সাগর। আর এতেই বাঁধে বিপত্তি। তার সঙ্গে যোগাযোগ বন্ধ করে দেন জান্নাতুল। এখন দ্বিতীয় স্বামী নিয়েই সংসার করতে আগ্রহী তিনি। বাধ্য হয়ে স্ত্রীকে ফিরে পেতে স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদে অভিযোগ দায়েরের পাশাপাশি আদালতে মামলা করেছেন সাগর।

সাগর শেখ বলেন, জান্নাতুল ও আমার বিয়ের বিষয়টি জান্নাতুলের মা ও বোন জানতো। বিয়ের পর আমাদের সংসার জীবন ভালোই কাটছিল। তবে হঠাৎ করে জান্নাতুলের বাবা প্রবাস থেকে দেশে ফেরায় তাদের বাড়িতে আমার যাতায়াত বন্ধ হয়ে যায়। আমাদের বিয়ের চার মাসের মাথায় আমি ভিডিও কন্টেন্ট তৈরির কাজে কয়েকদিনের জন্য রাজবাড়ীর বাইরে যাই।

কাজ থেকে এসে শুনি আমার স্ত্রী জান্নাতুল অন্য এক ছেলেকে বিয়ে করেছে। আমি আমার স্ত্রীকে প্রশ্ন করলে সে বলে, ‘পরিবারের চাপে বিয়ে করেছি। ওই ছেলের সঙ্গে আমার কোন সম্পর্ক হয়নি। আমি তোমার স্ত্রী আছি, তোমারই থাকবো। আমার আম্মু দেশে আসলে আমি তোমার কাছে চলে আসবো।’

সাগর বলেন, ‘আমি জান্নাতুলদের বাড়ি যাতায়াত করতে না পারার কারণে বিভিন্ন সময় আমরা রাজবাড়ী শহরে আমার বোনের বাসায় ঘনিষ্ঠ সময় কাটাতাম। ওর কলেজে আনা-নেয়াসহ সবকিছু আমিই করতাম। এমনকি গত ২ নভেম্বরও আমরা আমার বোনের বাসায় আমাদের দ্বিতীয় বিবাহ বার্ষিকী পালন করেছি।

তবে বিবাহ বার্ষিকী পালনের দুদিন পরে আমি জানতে পারি জান্নাতুলের সঙ্গে ওই ছেলের (দ্বিতীয় স্বামীর) ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক চলছে। ওই ছেলে নিয়মিত জান্নাতুলের বাবার বাড়িতে এসে তার সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সময় কাটাচ্ছে। এ বিষয়ে আমি জান্নাতুলকে প্রশ্ন করলে সে আমাকে গালাগালি করে যোগাযোগ বন্ধ করে দেয়। এক পর্যায়ে সে আমার সঙ্গে সংসার করবে না বলেও জানায়।’

তিনি বলেন, ‘সম্প্রতি জান্নাতুলের মা প্রবাস থেকে দেশে ফিরেছে। তিনিও এখন আমাকে মেয়ের জামাই হিসেবে অস্বীকার করছেন। অথচ তার মেয়ের সঙ্গে আমার প্রেম থেকে শুরু করে বিয়ে পর্যন্ত সবকিছুই তিনি জানতেন।

এখন বাধ্য হয়ে আমি আমার স্ত্রীকে ফিরে পেতে আলীপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানের কাছে গত ১১ নভেম্বর লিখিত অভিযোগ করেছি। এছাড়া ১৭ নভেম্বর রাজবাড়ীর বিজ্ঞ ১নং আমলি আদালতে মামলা করেছি।’

সাগর আরও বলেন, ‘আমাকে ডিভোর্স না দিয়ে আমার স্ত্রী অন্য আরেকজনকে বিয়ে করে আমার সঙ্গে প্রতারণা করেছে। সে আমাকেও ম্যানেজ করে চলেছে, একইভাবে তার দ্বিতীয় স্বামীকেও ম্যানেজ করে চলেছে।

এটা আইন ও ধর্মীয় দুই দিক থেকেই অপরাধ। এছাড়া আমি এ পর্যন্ত আমার স্ত্রীর পেছনে ২৫ থেকে ৩০ লাখ টাকা ব্যয় করেছি। তারপরও আমি আমার স্ত্রীকে ফেরত চাই। তাকে আমি আমার জীবনের চেয়েও বেশি ভালোবাসি।’

এদিকে, বিষয়টি নিয়ে ক্যামেরার সামনে কথা বলতে রাজী হননি জান্নাতুলের দ্বিতীয় স্বামী। তবে তার দাবি, জান্নাতুলের সঙ্গে সাগরের প্রেমের সম্পর্ক ছিল বলে তিনি জানতেন। সাগরের সঙ্গে বিয়ের বিষয়টি তিনি জানতেন না।

জান্নতুলের দ্বিতীয় স্বামীর বাবা বলেন, ‘কোন এক সূত্রে আমার শ্বশুর জান্নাতুলদের বাড়িতে বেড়াতে গিয়ে তাকে পছন্দ করে। পরে আমি গিয়ে তার বাবার কাছে বিয়ের প্রস্তাব দিলে বিয়ের দিন ধার্য হয়। বিয়ের আগের দিন সাগর নামে এক ছেলে আমার ছেলেকে ফোন করে বলে জান্নাতুলের সঙ্গে তার প্রেমের সম্পর্ক আছে।

সে জান্নাতুলের সঙ্গে নিজের একটি ছবিও আমার ছেলেকে পাঠায়। এরপর আমি ওই এলাকায় আমার আত্মীয়দের কাছে খোঁজ নিয়ে জানতে পারি জান্নাতুলের সঙ্গে সাগরের কোন সম্পর্ক ছিল না। এছাড়া জান্নাতুলকেও আমি সরাসরি প্রশ্ন করলে সেও সম্পর্কের বিষয়টি অস্বীকার করে।

পরে ঘরোয়া আয়োজনে জান্নাতুলের সঙ্গে আমার ছেলের বিয়ে হয়। এখন সাগর নামে ছেলেটি জান্নাতুলকে তার স্ত্রী হিসেবে দাবি করছে। আমি যতদূর জেনেছি সাগরের স্ত্রী ও সন্তান আছে। এখন বিষয়টি আইনগতভাবেই সমাধান হবে।

আর জান্নাতুল ফেরদৌসের সঙ্গে কথা বলতে তার বাবার বাড়িতে গেলে ভেতরে ঢোকার অনুমতি মেলেনি।’

বাইরে দাঁড় করিয়ে রেখে তার মা হাচিনা বেগম বলেন, ‘সাগরের সঙ্গে আমার মেয়ের বিয়ে হয়েছিল৷ তবে বিয়ের দুই মাসের মাথায় তাদের ডিভোর্স হয়ে যায়। আমার মেয়ে তো ছোট বুঝে নাই, যে কারণে সেসময় ওরা ডিভোর্সের কাগজ ছিঁড়ে ফেলেছে। এর ৪/৫ মাস পরে আমার মেয়ের আবার বিয়ে হয়েছে। সাগর আমার মেয়েকে চাপে ফেলে এতোদিন তার সঙ্গে সময় কাটাতে বাধ্য করেছে।’

আলীপুর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান আবু বকর সিদ্দিক জানান, ‘সাগর ও জান্নাতুলের বিবাহ বিচ্ছেদ হলে তার নোটিশের একটি কপি ইউনিয়ন পরিষদে আসার কথা। এরকম কোন কপি কখনো পাননি তারা।’

তিনি বলেন, ‘সাগর আমার ইউনিয়ন পরিষদে অভিযোগ করেছে। আমিও খোঁজ নিয়ে জানতে পেরেছি সাগর জান্নাতুলের প্রথম স্বামী। সে সাগরকে তালাক না দিয়েই বিয়ের চার মাসের মাথায় অন্য এক ছেলেকে বিয়ে করে। প্রায় দুই বছর সে চালাকি করে দুই স্বামীর সঙ্গেই সংসার করেছে। সাগরের কাছ থেকে জান্নাতুল অনেক টাকা-পয়সা খেয়েছে বলেও আমি জানতে পেরেছি।’

আবু বক্কার বলেন, ‘সাগরের অভিযোগের ভিত্তিতে আমি জান্নাতুলের বাবাকে নোটিশের মাধ্যমে ইউনিয়ন পরিষদে ডাকি। তবে নোটিশ পেয়ে তিনি তার ছোটভাই ও তাদের এলাকার ইউপি সদস্য আবুল কালামকে সঙ্গে নিয়ে আমার বাড়িতে এসে বলেন, আমি যেন পরিষদে বসে বিষয়টি সমাধান করে দেই। তবে এর ১/২ দিন পরে তিনি জানান, এ বিষয়ে তারা বসতে চান না।

আইনগতভাবে তারা বিষয়টি সমাধান করতে চান। পরে আবার তারা বসতে সম্মত হলে জান্নাতুল ও তার বাবা এবং তাদের এলাকার ইউপি সদস্য আবুল কালামসহ পরিষদের অন্য সদস্যদের নিয়ে বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) সন্ধ্যায় ইউনিয়ন পরিষদে বসেছিলাম। সাগরও সেখানে ছিল। তবে সেখানে জান্নাতুল বলে দিয়েছে সে কোনভাবেই সাগরের সঙ্গে ঘর সংসার করবে না।’

তিনি আরও বলেন, ‘আমাদের পুরুষ শাসিত সমাজে নারীরা নির্যাতিত হয়। কিন্তু ছেলেরা যে কতোটুকু নির্যাতিত হয় তা এই সম্পর্কের জের দেখলে বোঝা যায়। আমাদের সমাজে ছেলেরা আরও বেশি নির্যাতিত হচ্ছে। সেটা নীরবে নিভৃতে ছেলেরা সহ্য করে যাচ্ছে। আমি আশা করবো আপনারা সাংবাদিক ভাইয়েরা বিষয়টি তুলে ধরবেন।

আপনাদের সংবাদের মাধ্যমে মানুষ যাতে সচেতন হতে পারে। আজকে আমার ইউনিয়নে এমন ঘটনা ঘটেছে। আর কোন ইউনিয়নে যেন এমন ঘটনা কোনদিন না ঘটে।’

Header Ad

শহীদ আব্দুল্লাহর বাড়িতে জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় নির্বাহী সদস্য মোবারক হোসেন

ছবি: ঢাকাপ্রকাশ

২৪ এর গনঅভূ্থানে ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম যোদ্ধা, সরকারি শহীদ সোহরাওয়ার্দী কলেজের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের তৃতীয় বর্ষের মেধাবী শিক্ষার্থী, শহীদ আব্দুল্লাহর বাড়িতে যান বাংলাদেশ জামায়াত ইসলামের কেন্দ্রীয় নির্বাহী সদস্য মোবারক হোসেন।

এ সময় মোবাইল ফোনে লাউডস্পিকারে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা.শফিকুর রহমান বলেন, আব্দুল্লাহ দেশের জন্য মানুষের জন্য মানবতার কল্যাণের জন্য জীবনকে উৎস্বর্গ করে আল্লাহর দরবারে চলে গেছেন, আল্লাহ তাকে শহীদ হিসাবে কবুল করুন। শহীদরা মরে না। তারা আল্লাহর জীম্মায় জীবন্ত থাকে। এ সময় শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি সমবেদনা জ্ঞাপন করেন তিনি।

শনিবার (২৩ নভেম্বর) দুপুর ১২ টার দিকে যশোরের বেনাপোল পোর্ট থানার বড় আঁচড়া গ্রামে বাংলাদেশ জামায়াত ইসলামের কেন্দ্রীয় নির্বাহী সদস্য মোবারক হোসেন আব্দুল্লাহর বাড়িতে গিয়ে শোকসন্তপ্ত পরিবারের খোঁজ খবর নেন,কবর জিয়ারত করেন এবং তার রুহের মাগফেরাত কামনা করে দোয়া ও মোনাজাত করেন।

এর আগে তিনি নাভারণ দারুল আমান ট্রাষ্টে ওলামা সম্মেলনে যোগদান করেন। পরে ২০১৬ সালে গুম হওয়া ইসলামি ছাত্র শিবিরে নেতা রেজোয়ানের বাড়িতে যান এবং খোঁজ খবর ও সমবেদনা জানান।

এসময় তিনি জানান, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে মৃত্যু বরনকারী সকলে ন্যায় বিচার পাবেন বলে পরিবারের সদস্যদের সান্তনা দেন। এবং গনঅভূ্থানে নিহত সকল পরিবারের সাথে বাংলাদেশ জামায়াত ইসলাম আছে থাকবে।

এসময় উপস্থিত ছিলেন, কেন্দ্রীয় কর্ম পরিষদ সদস্য মাওলানা আজিজুর রহমান, যশোরের জেলা আমীর অধ্যক্ষ মাওলানা গোলাম রসূল, সাবেক জেলা আমীর মাওলানা হাবীবুর রহমান, জেলা জামায়াতের নেতা মাওলানা আবু জাফর, মাওঃ শিহাব উদ্দিন শার্শা থানা আমীর রেজাউল ইসলাম, সেক্রেটারী মাওলানা ইউসুফ আলী ও ঝিকরগাছা থানা আমীর মাওলানা আসাদুল আলম প্রমূখ।

Header Ad

বিরামপুরে আদিবাসী নারীর লাশ উদ্ধার

ছবি: ঢাকাপ্রকাশ

দিনাজপুরের বিরামপুরে বিশনি পাহান (৫৫) নামের এক আদিবাসী নারীর লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ।

শনিবার (২৩ নভেম্বর) বেলা সাড়ে ১১টায় উপজেলার কাটলা ইউনিয়নের ময়না মোড় এলাকার ধানক্ষেত থেকে ওই নারীর হাতবাঁধা লাশ উদ্ধার করা হয়। নিহত বিশনি পাহান উপজেলার কাটলা ইউনিয়নের বেণুপুর গ্রামের সাধন পাহানের মেয়ে।

নিহতের ভাই চরকা পাহান বলেন, আমার ছোট বোনের স্বামী বিশনি পাহানকে ছেড়ে চলে গেছেন। সে প্রতিরাতেই নেশা করতো। বাবা মারা যাওয়ার পর থেকেই আমার বাড়িতে থাকতো আমার বোন। আমার বোন এলাকায় মানুষের জমিতে কৃষি কাজ করে জীবিকা নির্বাহ করতো। শুক্রবার বিকেলে এলাকার এক ব্যক্তির জমিতে ধান কাটার কাজ শেষ করে আর বাড়িতে ফেরেননি। রাতে অনেক খোঁজাখুঁজির পরও তাকে কোথাও পাওয়া যায়নি। শনিবার সকালে ধানক্ষেতে হাতবাঁধা অবস্থায় তার লাশ পাওয়া যায়।

বিরামপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মমতাজুল হক জানান, এলাকাবাসীর দেওয়া খবরে ঘটনাস্থল থেকে আদিবাসী এক নারীর মরদেহ উদ্ধার করা হয়। তবে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা যাচ্ছে তাকে কে বা কাহারা হত্যা করেছে। তদন্ত করলেই প্রকৃত ঘটনা বেরিয়ে আসবে।

Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

গোপনে দুইজনকে বিয়ে, কাউকেই অধিকার বঞ্চিত করেননি জান্নাতুল
শহীদ আব্দুল্লাহর বাড়িতে জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় নির্বাহী সদস্য মোবারক হোসেন
বিরামপুরে আদিবাসী নারীর লাশ উদ্ধার
বিএনপির কাঁধে অনেক দ্বায়িত্ব: তারেক রহমান
'জাতীয় নির্বাচনের আগে স্থানীয় নির্বাচন হওয়া উচিত'- তোফায়েল আহমেদ
৩ মাসে জ্বালানি খাতে সাশ্রয় হয়েছে ৩৭০ কোটি টাকা : জ্বালানি উপদেষ্টা
জুটি বাধলেন মিঠুন চক্রবর্তী-আফসানা মিমি
দেশ ও মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠায় দ্রুত নির্বাচনের কোনো বিকল্প নেই : তারেক রহমান
২৪ ঘণ্টার মধ্যে বঙ্গোপসাগরে লঘুচাপের আশঙ্কা
অক্টোবরে সড়কে প্রাণ গেছে ৪৭৫ জনের
গায়ানায় দলের সঙ্গে যোগ দিলেন সাকিব
আইপিএল নিলামের আগেই নিষিদ্ধ হলেন ভারতের ২ ক্রিকেটার
গাজীপুরে পিকনিকের বাসে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে ৩ শিক্ষার্থীর মৃত্যু
কবে বিয়ে করবেন জানালেন তামান্না ভাটিয়া
পঞ্চগড়ে ৫০০ টাকায় সন্তান বিক্রি, অতঃপর যা ঘটল...
অ্যান্টিগায় প্রথম দিন শেষে স্বস্তিতে টাইগাররা
সড়ক দুর্ঘটনায় প্রাণ হারালেন পরীমণির প্রথম স্বামী
বিচারের আগে আ.লীগের মাঠে থাকার সুযোগ নেই: উপদেষ্টা নাহিদ
মাকে হত্যার পর থানায় হাজির ছেলে
৮ ক্রিকেটারসহ ৯ জনকে নিষিদ্ধ করলো বিসিবি