মঙ্গলবার, ৭ জানুয়ারি ২০২৫ | ২২ পৌষ ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

ধারাবাহিক উপন্যাস: পর্ব-১৫

স্নানের শব্দ

অঞ্জনার বিউটি পার্লারে চার পাঁচ ঘণ্টা ধরে স্পা, অয়েল ম্যাসেজ, হেয়ার কেয়ার, পেডিকিউর, ম্যানিকিউর করিয়ে একদম ফ্রেশ ঝরঝরে প্রশান্তির একটা অনুভতি হলো শবনমের। মাঝে মাঝে পার্লারে এসে কাজ কর্ম ভুলে নিজেকে ছেড়ে দেওয়ার এই অভ্যাসটা রপ্ত করিয়েছিল রওশন আপা। শবনমের চাকরি জীবনের প্রথম দিককার সিনিয়র সহকর্মী। দেখতে যেমন সুন্দরি ব্যক্তিত্ব সম্পন্ন তেমনি মেধাবি, সবসময় আপাদমস্তক পরিপাটি ফিটফাট, সতেজ, সজীব একজন মানুষ।

শবনমকে বলতেন, ‘শেনো, নিজের যত্ন, নিজের আরামের ব্যবস্থা নিজেই করবা। নয়তো কাজ করার যে শক্তি উদ্যম সবই ফুরিয়ে যাবে। নিজে ভালো না থাকলে অন্যদের ভালো করবা কীভাবে? দুর্বল হলে কেউ কিন্তু তোমাকে দাম দিবে না।’

সেই রওশন আপা মারা গেলেন স্তন ক্যান্সারে ভুগে। অপারেশন, রেডিয়েশন, কেমো কিছুই তাকে বাঁচাতে পারল না। আপা অবশ্য খুব সাহসের সঙ্গে মৃত্যুটা মোকাবিলা করেছিলেন। হাসপাতালের বিছানায় শুয়ে মৃদু গলায় স্পষ্ট বলেছিলেন,
‘দেখো যা অনিবার্য, তা নিয়ে কান্নাকাটির কি আছে? দুদিন আগে বা পরে মরতে তো হতোই! না হয় আমি একটু আগের স্টেশনেই নেমে গেলাম!’

রওশন আপা বেঁচে থাকলে, কর্মক্ষম থাকলে তিনি হয়ত কোম্পানির সিইও পদ পর্যন্ত পেতে পারতেন। কে জানে? শবনম-ই কি পারবে শেষ পর্যন্ত এই মইয়ের চূড়ায় উঠতে, এতো বাঁধা বিপত্তি পেরিয়ে ...!

শবনমের ভেতর থেকে কেউ যেন প্রশ্ন করে, চূড়ায় কি উঠতেই হবে? কীভাবে উঠবে? কি এমন হবে শীর্ষে উঠলে? না উঠলেই বা জীবনের কি এমন ক্ষতি বৃদ্ধি হবে?

তার ভেতর থেকেই আবার উত্তর আসে, আমি না হলে অন্য কেউ ওই পদে যাবে, জায়গা তো খালি থাকবে না, তাহলে আমিই বা নই কেনো? যদি আমি যোগ্যতা সম্পন্ন হই, যদি আমার দক্ষতা থাকে, ভালো কাজের অভিজ্ঞতা থাকে, যদি গ্রহণযোগ্যতা থাকে, তবে ক্যারিয়ারের শিখরে কেনইবা উঠব না আমি? কেন পিছিয়ে থাকব? কেন গুটিয়ে রাখব নিজেকে? নিজের যোগ্যতা কেনো প্রমাণ করব না?

কিন্তু ব্যাপারটা কি এতই সোজা? গাছের ফলের মতো টুপ করে তোমার সামনে এসে পড়বে পদোন্নতি? বহুকালের ট্যাবু ভেঙে একজন নারীকে কি এত সহজে ওরকম উচ্চ পদে বসতে দেবে ওরা? তা নয় বলেই তো দুর্ভাগ্যজনক হলেও মনিরুজ্জামানদের উপর নির্ভর করতে হচ্ছে। এখন দেখার বিষয়, ওরা কতটা সুচারুভাবে, কতটা দক্ষতার সঙ্গে প্রমাণসহ ওসমান গণির দুর্নীতির তথ্যটা উপযুক্ত জায়গায় অর্থাৎ ঊর্ধ্বতনদের কাছে বিশ্বাসযোগ্যভাবে উপস্থাপন করতে পারে! এটার ওপর নির্ভর করছে অনেক কিছু। আচ্ছা, আজকে কি ওরা বোর্ড মেম্বারদের কারো সঙ্গে দেখা করতে পেরেছে? শবনম ইচ্ছে করলে ফোন করে জেনে নিতে পারে, কিন্তু করল না।

পার্লার থেকে বেরুতে বেরুতে প্রায় সন্ধ্যা হলো। আকাশে বেলা শেষের রুগ্ন আলো। রাস্তার পার ঘেষে গাছ নেই, পাখি নেই, শুধু বিষণ্ন বাস, রিকশা, প্রাইভেটকার, ফুটপাথে ক্লান্ত অবসন্ন মানুষ। যেন ধোয়া ঠেলে, হর্ণ টিপে, মলিন বাতি জ্বালিয়ে কোনো অনিশ্চিত অন্ধকারের দিকে ছুটে যাচ্ছে তারা। একটু খিদে খিদে লাগছিল শবনমের। এরকম সন্ধ্যাগুলোতে নাস্তা হিসেবে পেঁয়াজ, কাচা মরিচ, সর্ষের তেল আর মচমচে চানাচুর মিশিয়ে মুড়ি মাখা হতো ওদের মফস্বলের বাসায়। কি অপূর্ব স্বাদ আর গন্ধ ছিল সেই মুড়ি মাখার! আহা, বড় হতে হতে শৈশবের সেইসব স্বাদ গন্ধ কোন অজানায় হারিয়ে যায়, আর কোনোদিনই খুঁজে পাওয়া যায় না!
শবনম ভাবল, এই সন্ধ্যা নামা ব্যস্ত শহরে নিজেকে একটা ট্রিট দিলে কেমন হয়? ধানমন্ডির এদিকটায় অনেকগুলো রেস্টুরেন্ট পাশাপাশি। দুই পা সামনে এগিয়ে ‘সিক্রেট আই’ নামের একটা রেস্টুরেন্টের কুয়াশাচ্ছন্ন কাঁচের দরজা ঠেলে ভেতরে ঢুকেই একটু অপ্রস্তুত হয়ে গেল শবনম। লাউড স্পিকারে ড্রাম গিটারের চড়া বাদ্যসহযোগে ইংরেজি গান বাজছে, হাল্কা আলোয় অল্প বয়সী ছেলেমেয়েরা নিচু টেবিল ঘিরে বসে উচ্চস্বরে উদ্দাম আড্ডা দিচ্ছে। এই পরিবেশে তার বয়সী একজন একলা নারী হয়ত খানিকটা বেমানানই। একটু ইতস্তত করে বেরিয়ে আসবে কিনা একবার ভাবল শবনম। নীল ইউনিফর্ম পরা একটা কমবয়সী সুদর্শন ছেলে তাকে উদ্ধার করতে হাসি মুখে এগিয়ে এল তখন, কোণার দিকের একটা চেয়ার টেনে শবনমকে বসার ব্যবস্থা করে দিল সে। মেন্যু দেখে একটা চিকেন স্যান্ডউইচের সঙ্গে ল্যাটে কফি অর্ডার করল শবনম।

নিজেকে একটু গুছিয়ে নিয়ে বসলো স্থির হয়ে। কেউ তাকাচ্ছে না তার দিকে, সবাই আপনাতে বিভোর, নিজেদের হৈ হল্লা আর কোলাহল ঘিরে নিজেরাই মগ্ন। ফলে এই মধ্যবয়সিনী নারী যে বেখাপ্পা আসবাবের মতো সমাবেশের কোণায় একাকী ঘাপটি মেরে বসে আছে তা নিয়ে কারো কোনো মাথা ব্যাথা দেখা গেল না।

ফলে চারপাশের হৈচৈ উপেক্ষা করে আবার নিজের চিন্তায় ডুব দিল শবনম। মানুষের কত চাহিদা, তাই না? ভাবলো সে, এক জীবনে কত কিছু পাওয়ার আকাঙ্ক্ষা তৈরি হয়। প্রেম, বিয়ে, সন্তান, চাকরি, বাড়ি, গাড়ি। দৌড় আর দৌড়। এই জীবনের প্রতিটি পর্যায়ে কত কত মাইলফলক পেরিয়ে এসে কত কত সফলতার ফিতা ছুঁয়ে এখন আরও সামনে এগিয়ে যাওয়ার হাতছানি। পর্বতের রৌদ্র আলোকিত সোনালী চড়া স্পষ্ট দেখা যাচ্ছে, কিন্তু তা স্পর্শ করতে হলে হাঁটতে হবে আরও অনেকদূর। থামা যাবে না।

মনিরুজ্জামানরা নিজে থেকে, বলতে গেলে স্বপ্রণোদিত হয়ে ওসমান গণির কাজ কর্মের ফাঁক-ফোঁকর খুঁজে বের করে নিয়ে তার কাছে এসেছে। হ্যাঁ, সে ওদের সেই কাজ করতে বলেনি, কোনো রকম উসকানিও দেয়নি। আবার বাধাও দেয়নি (অবশ্য বাধা দেবারই বা কি আছে!) উৎসাহিতও করেনি। বরং এই সময়ে ভাগ্যক্রমে এটা তার জন্য যুদ্ধে জেতার একটা মোক্ষম সুযোগ তৈরি করে দিয়েছে। না চাইতেই প্রতিপক্ষকে ঘায়েল করার একটা অস্ত্র, একটা কৌশল হাতে পেয়ে গেছে সে। যুদ্ধক্ষেত্রে তো সবই বৈধ। অল ইজ ফেয়ার ইন লাভ অ্যান্ড ওয়ার। নিয়ম মানলে যুদ্ধে জেতা যাবে না। তবে এটাও ঠিক যে প্রতিপক্ষ চুপচাপ হাত গুটিয়ে বসে থাকবে না। বিনা যুদ্ধে অন্য পক্ষও কি ছাড়বে সূচগ্র্য মেদেনী? ওরাও তো প্রাণপণ চেষ্টা করবে শবনমের ত্রুটি খুঁজে বের করতে।
পেছনের দিকে তাকিয়ে নিজের ভুল-ত্রুটি খোঁজার চেষ্টা করে শবনম। নাহ অফিশিয়াল কাগজপত্রে সইসাবুদ করার ক্ষেত্রে সে বরাবরই খুব সাবধানি, ভাল করে না পড়ে, না দেখে কোথাও সই করে না সে।

ওয়েটার টেবিলে গরম কফি আর স্যন্ডউইচ দিয়ে গেছে। শবনম স্যান্ডউইচ শেষ করে ধীরে ধীরে কফির কাপে চুমুক দেয়। একটু দূরে আবছা আলো আঁধারে দুই বন্ধুর সাথে বসে থাকা সাদা শার্ট আর কালো প্যান্ট পড়া কোঁকড়া চুলের মেয়েটাকে দেখে হঠাৎ করে নাফিসা তানজিনার কথা মনে পড়ে তার। চেহারায় বেশ মিল আছে দুজনের। কে জানে আত্মীয় কি না। আহা, অফিস প্লেসে যৌন হয়রাণির ভয়াবহ ক্ষত আর বেদনা বুকে নিয়ে কেমন আছে নাফিসা? সর্বসমক্ষে সত্যটা বলতে পেরে মনের মধ্যে চেপে রাখা যন্ত্রণার খানিকটা উপশম কি হয়েছে তার? কে জানে?

বিল মিটিয়ে উঠে দাঁড়াতেই শবনমের সামনে দিয়ে মাথা ভর্তি রঙীন চুল দুলিয়ে একটা মেয়ে দ্রুত হেঁটে চলে যায়। ওকে দেখে শ্রাবণের কথা মনে পড়ে শবনমের। এতক্ষণে নিশ্চয়ই বাসায় ফিরেছে মেয়েটা। হয়ত তারেকও ফিরেছে। অভ্যাসবশত ওরা ভাবছে শবনম অফিসেই আছে, মিটিং সিটিং নিয়ে ব্যস্ত। তাই কেউ ফোন করেনি। একটা উবার ডেকে বাড়ির পথ ধরে শবনম। তার মনে হয়, আজকের দিনটা কাটলো একটা সুতা ছেঁড়া ঘুড়ির মতো। কিছুটা উদ্দেশ্যবিহীন। সকালের আকস্মিক বৃষ্টি, সিদ্ধান্ত নিয়ে অফিস কামাই করা, খালি বাসায় কয়েক ঘণ্টা একলা সময় পার করা তারপর সৌন্দর্য চর্চার উসিলায় প্রায় একটা বেলা খরচ করে ফেলা এবং এলোমেলো ভাবনায় উড়ে চলা। নট ব্যাড। নিত্য কর্মের স্বাভাবিক চাঞ্চল্য থেকে এই সাময়িক মুক্তি, এই অচঞ্চল ঝিম ধরা একটা দিন, নিজের সঙ্গে নিজেই সকাল সন্ধ্যা মগজের ভেতর উল্টা পাল্টা কথোপকথন করে কাটিয়ে দেওয়া।

চলবে…

আগের পর্বগুলো পড়ুন>>>
স্নানের শব্দ: পর্ব-১৪

স্নানের শব্দ: পর্ব-১৩

স্নানের শব্দ: পর্ব-১২

স্নানের শব্দ: পর্ব-১১

স্নানের শব্দ: পর্ব-১০

স্নানের শব্দ: পর্ব-৯

স্নানের শব্দ: পর্ব-৮

Header Ad
Header Ad

পদত্যাগের ঘোষণা দিলেন কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো

কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো। ছবি: সংগৃহীত

কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো নানা সমালোচনা ও দলীয় চাপের মুখে পদত্যাগের ঘোষণা দিয়েছেন। সোমবার (৬ জানুয়ারি) তিনি এ ঘোষণা দেন বলে জানিয়েছে রয়টার্স।

সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের শুল্ক হুমকি মোকাবেলায় ব্যর্থতার অভিযোগে তিনি ব্যাপক চাপের মুখে পড়েন। এ ছাড়া দেশের রাজনীতিতেও ক্রমশ কোণঠাসা হয়ে পড়েন ট্রুডো। তার জনপ্রিয়তা উল্লেখযোগ্যভাবে হ্রাস পাওয়ায় বিরোধী দলগুলো এবং তার নিজ দল লিবারেল পার্টির ভেতর থেকেও পদত্যাগের দাবি উঠে।

ট্রুডো এর আগে লিবারেল পার্টির নেতৃত্ব থেকেও সরে দাঁড়ান। তার এ সিদ্ধান্ত দলটির জন্য বড় ধরনের সংকট তৈরি করেছে, বিশেষ করে আগামী অক্টোবরে অনুষ্ঠিতব্য পার্লামেন্ট নির্বাচনকে কেন্দ্র করে। ট্রুডোর পদত্যাগের ফলে লিবারেল পার্টি এখন নতুন নেতৃত্ব খুঁজতে বাধ্য হবে।

ট্রুডোর এ সিদ্ধান্ত কানাডার রাজনৈতিক অঙ্গনে উল্লেখযোগ্য প্রভাব ফেলতে পারে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা। দীর্ঘদিন ধরে কানাডার রাজনীতিতে অন্যতম প্রভাবশালী এই নেতার এভাবে পদত্যাগের ঘটনা দেশটির রাজনৈতিক ইতিহাসে একটি গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায় হিসেবে স্থান পাবে।

Header Ad
Header Ad

আন্দোলনে নিহত ছাত্রদল নেতার সন্তানের দায়িত্ব নিলেন তারেক রহমান

ছবি: সংগৃহীত

মাগুরায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে নিহত মাগুরা জেলা ছাত্রদলের যুগ্ম সম্পাদক মেহেদি হাসান রাব্বির সদ্য ভূমিষ্ঠ কন্যার দায়িত্ব নিয়েছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।

সোমবার (৬ জানুয়ারি) মাগুরা শহরের বরুণাতৈল গ্রামে রাব্বির বাড়িতে গিয়ে তার পরিবারের খোঁজখবর নেয় ‘আমরা বিএনপি পরিবার’ সংগঠনের একটি প্রতিনিধি দল। এ সময় তারেক রহমানের পক্ষ থেকে শিশুটির দেখভালের দায়িত্ব নেওয়ার ঘোষণা দেওয়া হয়।

প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দেন বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিবিষয়ক সহ-সম্পাদক এবং ‘আমরা বিএনপি পরিবার’-এর উপদেষ্টা ইঞ্জিনিয়ার আশরাফ উদ্দিন বকুল। তিনি জানান, তারেক রহমানের নির্দেশনায় চব্বিশের গণ-অভ্যুত্থানে নিহত রাব্বির পরিবারের পাশে থাকার বার্তা নিয়ে তারা এসেছেন। ইঞ্জিনিয়ার বকুল বলেন, "দেশের জন্য ছাত্র আন্দোলনে জীবন দিয়েছেন রাব্বি। তার মৃত্যুর সাড়ে চার মাস পর তার সন্তানের জন্ম হয়েছে। তারেক রহমান এই শিশুর দেখভালের দায়িত্ব নিয়েছেন এবং পরিবারের পাশে থাকার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।"

রাব্বির সদ্য ভূমিষ্ঠ সন্তানের জন্য তারেক রহমানের পাঠানো উপহার সামগ্রীও পরিবারের হাতে তুলে দেওয়া হয়। ইঞ্জিনিয়ার বকুল আরও বলেন, "রাব্বির পরিবার যাতে আত্মমর্যাদা নিয়ে সমাজে মাথা উঁচু করে দাঁড়াতে পারে, সে জন্য আমরা সব সময় তাদের পাশে থাকব।"

প্রতিনিধি দলে আরও উপস্থিত ছিলেন ‘আমরা বিএনপি পরিবার’-এর সদস্য সচিব কৃষিবিদ মোকসেদুল মোমিন মিথুন, মাগুরা জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক আকতার হোসেন, খান হাসান ইমাম সুজা, আলমগীর হোসেন, পৌর বিএনপির আহ্বায়ক কুতুবুদ্দিন, এবং জেলা ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি আবদুর রহিমসহ বিভিন্ন নেতৃবৃন্দ।

উল্লেখ্য, গত ৪ আগস্ট মাগুরা শহরের ঢাকা রোডব্রিজ এলাকায় ছাত্র আন্দোলন চলাকালে গুলিতে নিহত হন রাব্বি। তার মৃত্যুতে ছাত্রদলের পাশাপাশি স্থানীয় রাজনৈতিক অঙ্গনে শোকের ছায়া নেমে আসে।

Header Ad
Header Ad

তামিমের ব্যাটে জয়ে ফিরলো ফরচুন বরিশাল

ছবি: সংগৃহীত

তামিম ইকবালের ব্যাটিং জাদুতে দুর্দান্ত জয় পেল ফরচুন বরিশাল। মিরপুরে প্রথম দুই ম্যাচে বড় অবদান রাখতে না পারলেও সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে নিজ রূপে ফিরেছেন বরিশাল অধিনায়ক। তার অসাধারণ ৮৬ রানের অপরাজিত ইনিংসে ১৫ বল বাকি রেখেই দুর্বার রাজশাহীকে ৭ উইকেটে হারায় ফরচুন বরিশাল।

সোমবার বিপিএলের দিনের দ্বিতীয় ম্যাচে রাজশাহী প্রথমে ব্যাটিং করে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৪ উইকেটে ১৬৮ রান তোলে। জবাবে তামিমের দায়িত্বশীল ইনিংসের সুবাদে সহজেই জয়ের বন্দরে পৌঁছে বরিশাল। তামিমের ৪৮ বলের ইনিংসটি সাজানো ছিল ১১টি চার এবং ৩টি ছক্কায়। তার সঙ্গে মুশফিকুর রহিমের ২৪ বলে অপরাজিত ৩৪ রানের ইনিংসও ছিল জয় নিশ্চিত করার পথে সহায়ক।

এদিন বরিশাল দল একাদশে পরিবর্তন এনে শান্তকে বাদ দিয়ে তামিমের সঙ্গে প্রিতম কুমারকে ওপেনিংয়ে পাঠায়। যদিও প্রিতম ব্যর্থ হন এবং কাইল মেয়ার্স ২৪ রান যোগ করলেও তার বিদায়ের পর তামিমের সঙ্গে তাওহিদ হৃদয়ের ৪০ রানের এবং মুশফিকের সঙ্গে অপরাজিত ৭৬ রানের জুটি জয় নিশ্চিত করে।

রাজশাহীর ইনিংসে অধিনায়ক এনামুল হক বিজয় ৩৫ বলে ৩৯ রান করলেও তার ধীর গতির ব্যাটিং দলের রান সংগ্রহে বাধা সৃষ্টি করে। ইয়াসির আলী ২৩ বলে ৩৯ রান এবং জিসান আলম ২৭ বলে ৩৮ রান করেন। বরিশালের বোলারদের মধ্যে শাহিন শাহ আফ্রিদি ছিলেন সেরা, ২০ রানের বিনিময়ে ২ উইকেট নেন।

তামিমের নেতৃত্বে এই জয়ে ফরচুন বরিশাল ফের জয়ের ধারায় ফিরলো এবং দলটির আত্মবিশ্বাসও বেড়ে গেলো। বিপিএলের বাকি ম্যাচগুলোতেও তামিম ও তার দলের কাছ থেকে আরও শক্তিশালী পারফরম্যান্স প্রত্যাশা করছেন সমর্থকরা।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

পদত্যাগের ঘোষণা দিলেন কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো
আন্দোলনে নিহত ছাত্রদল নেতার সন্তানের দায়িত্ব নিলেন তারেক রহমান
তামিমের ব্যাটে জয়ে ফিরলো ফরচুন বরিশাল
লন্ডন যাত্রায় খালেদা জিয়ার সফরসঙ্গী হচ্ছেন যারা
মেট্রোরেলের টিকিটে ভ্যাট অব্যাহতি দিল এনবিআর
কলকাতায় বিমানবন্দরে আটকা পড়েছেন ২২০ বাংলাদেশি
৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে পুরোপুরি চালু হবে ই-পাসপোর্ট
এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষা শুরু ১০ এপ্রিল
চট্টগ্রামে কোতোয়ালি থানার সাবেক ওসিকে মারধর, পুলিশে সোপর্দ
বিদেশে বাংলাদেশ নিয়ে প্রচার বাড়াতে প্রধান উপদেষ্টার তাগিদ
বিদেশে পালানোর সময় চট্টগ্রামের শিল্পপতি গ্রেপ্তার
এবার সুখবর দিলেন মিথিলা
মাওবাদী হামলায় ভারতীয় নিরাপত্তা বাহিনীর ৯ সদস্য নিহত
মেজর ডালিমের এক হাতে একটি আঙুল নেই কেন? কী ঘটেছিল?
উপাচার্য নিয়োগের দাবিতে উত্তাল রাঙ্গামাটি বিশ্ববিদ্যালয়
আমার ছেলে দেশের জন্য অনেক কষ্ট করে: পিনাকী ভট্টাচার্যের মা
হেলসের বিধ্বংসী সেঞ্চুরিতে রংপুরের দাপুটে জয়
একাধিক পদে ১৩১ জনকে নিয়োগ দিচ্ছে বিটিসিএল
অবশেষে পেঁয়াজের রফতানি মূল্য কমিয়ে দিলো ভারত
চলতি সপ্তাহে শৈত্যপ্রবাহের সম্ভাবনা, হতে পারে বৃষ্টি