অভিবাদন
তোমাকে অভিবাদন জানিয়ে
আমি পরিতৃপ্ত হই, কারণ তুমি
সৃজন করেছো স্বপ্নের বসতি;
ফুল ও ফলের প্রিয় উদ্যান,
অবারিত করেছো পাখিডাকা সকাল,
সাদা মেঘের মিষ্টি আকাশ
সাতরঙা ফড়িং ও প্রজাপতির
সৃজন স্বাধীন নৃত্য।
তোমাকে অভিবাদন জানিয়ে
আমি শুদ্ধ হই, কারণ মুনাফাখোরদের
হাত থেকে উদ্ধার করে
ধর্মকে সপেছো তুমি মানুষের হাতে;
রাষ্ট্র বানিয়েছো সব মানুষের ঠিকানা।
তোমাকে অভিবাদন জানিয়ে
আমি ঋদ্ধ হই, কারণ তুমি
উর্দি খুলে স্বদেশকে পরিয়েছো
গণমানুষের পোশাক;
ছড়িয়ে দিয়েছো লাল-সবুজের জয়টিকা
এই প্রিয় প্রাঙ্গণে।
হে জনক,
তোমাকে অভিবাদন জানিয়ে
আমি গর্বিত হই, কারণ তুমি দিয়েছো আমার
আত্মপরিচয়, পরাধীনতার অর্গল গুড়িয়ে
গলায় পরিয়েছো স্বাধীনতার মালা।
কে রাখে তোমাকে দূরে?
কে করে বন্ধ কবরে?
হে মহানায়ক,
আমি তো দেখি তুমি জেগে ওঠো বারবার
এসে দাঁড়াও বাঙালির উঠানে
টুঙ্গিপাড়া থেকে,
সঙ্গে নিয়ে আসো মহামন্ত্র;
একুশের উন্মেষ, জয় বাংলার মহাতুর্য
একাত্তরের প্রেম ও দ্রোহের ডঙ্কা।
আরএ/