শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪ | ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

ধারাবাহিক উপন্যাস: পর্ব ৬

বিষাদ বসুধা

আরেফিন অন্যভাবে ব্যাখ্যা দেয়ার চেষ্টা করেন। তিনি বললেন, আমার ক্যারিয়ারের জন্য খুব প্রয়োজন। যেতে রাজি না হলে আমার চাকরির জন্য সমস্যা হতো।


মোহিনী রেগেমেগে বললেন, রাখো তোমার ক্যারিয়ার! তোমার সংসার বড়ো নাকি তোমার চাকরি?

আরেফিন নরম গলায় বললেন, দুটোই বড়। তুমি এতোটা রাগবে তা আমি বুঝতে পারিনি মোহিনী। তুমি বোঝার চেষ্টা করো। আমি আসলে আমার ক্যারিয়ারের কথা ভেবেছি। আর আমার চাকরির সমস্যা হবে বলেই এটা করেছি।

তাহলে আমার সঙ্গে আগে থেকে আলোচনা করতে! আমাকে জানাতে যে, এ রকম একটা অফার তুমি পেয়েছ! এটা তো হুট করে আসেনি; তাই না? জাতিসংঘ একটা আন্তর্জাতিক সংস্থা। তারা তো আর হুট করে বলবে না। সময় দেবে।

আসলে তোমাকে জানাব জানাব করে আর জানানো হয়নি। আমার ভুল হয়ে গেছে মোহিনী। প্লিজ তুমি এবারের জন্য বিবেচনা করো। আমার আর এ রকম হবে না।
না। আমি এটা কিছুতেই মানব না। তুমি গেলে নিজ দায়িত্বে যাবে।

মোহিনী!
হ্যাঁ। তুমি গেলে নিজ দায়িত্বে যাবে। আমি অনেক সহ্য করেছি। আর না।

মোহিনীর কথা শুনে আরেফিনের মাথায় যেন আকাশ ভেঙে পড়ে। তিনি কি করবেন কিছুই বুঝতে পারছেন না। শেষ মুহূর্তে না গেলে ওর চাকরি থাকবে না। এসময় চাকরি গেলে চাকরি পাওয়া যাবে না। আরেফিন অসহায় হয়ে পড়বেন। তিনি যে প্রতি মাসে বাড়িতে টাকা পাঠান তাও বন্ধ হয়ে যাবে। বাড়িতে টাকা পাঠানো বন্ধ হলে সবাই না খেয়ে মরবে। এটা ভাবতেই তার গা শিউরে ওঠে।

আরেফিন চোখ বন্ধ করে পুরো বিষয়টা নিয়ে ভাবেন। একটা পর্যায়ে গিয়ে সে আর ভাবতে পারেন না। তিনি মোহিনীকে নানাভাবে বোঝানোর চেষ্টা করেন। কিন্তু মোহিনী তার কোনো কথাই কানে তুলছেন না। এ বিষয়টি নিয়ে সে কোনো আলোচনাই করতে রাজি নন। সঙ্গত কারণেই আরেফিন আর আগান না। তিনি চোখে চোখে তার অসহায় মা বাবাকে দেখেন। তার অসহায় ভাইবোনকে দেখেন। আরেফিনের টাকায় যাদের অন্ন জোটে। তিনি মনে মনে ভাবেন, এই অসহায় মানুষগুলোর কি হবে? আমি কি মোহিনীর কাছে হাত পাতবো? সে অনেক দিয়েছে। যথেষ্টই দিয়েছে! তার কাছ থেকেই বা কত চাইব? না না! এ হয় না। নিজের চাকরি না থাকলে মানুষের কোনো ব্যক্তিত্ব থাকে না। পরমুখাপেক্ষি মানুষ ভিক্ষুকের চেয়েও অধম। মোহিনী আমার বউ; তাতেে কি? তার যত টাকাই থাকুক, আমার না থাকলে সে বেশি বেশি খোটা দেবে। অন্যের টাকার ওপর ভরসা করে মা বাবাকে টাকা পাঠাবো?

আরেফিন আবার ভাবে, মোহিনী খুব ভালো মেয়ে। আমি অনেক ভুল করেছি। মোহিনীকে অবহেলা করেছি। সে সেগুলো মনে রাখেনি। তার মেজাজ ঠাÐা হলে সব ভুলে যাবে। সে আমাকে ঠিকই যেতে দেবে। আমি যদি ভালো কিছু করি তাহলে নিশ্চয়ই সে খুশি হবে।

এরমধ্যে বেশ কিছুদিন কেটে যায়। আরেফিনের বিদেশে যাওয়ার প্রসঙ্গটিও চাপা পড়ে যায়। হঠাৎ একদিন আরেফিন মোহিনীকে বললেন, সাতাশ ডিসেম্বর তিনি চীন যাবেন। বিকেলে তার ফ্লাইট।
একথা শুনে বিস্ময়ের দৃষ্টিতে তাকান মোহিনী। তিনি মনে মনে শুধু বললেন, এতোকিছুর পরও আরেফিন বিদেশে যাচ্ছে!

মোহিনী নিজেই আরেফিনকে বিমান বন্দর পৌছে দিতে যান। স্বাভাবিকভাবেই আরেফিনকে বিদায় দেন। মোহিনী তাকে বুঝতে দেননি যে, তিনি নিজেদের বাসায় ফিরে আসবেন। তিনি শুধু বিদায়ের সময় আরেফিনকে উদ্দেশ করে বললেন, ভালো থেকো। আর কোনো কথা হয়নি তাদের মধ্যে।

ইমিগ্রেশন পার হয়ে আরেফিন ফোন দিয়েছিলেন। একবার দুবার নয়, পাঁচ পাঁচবার। কিন্তু মোহিনী ফোন ধরেননি। পরে একাধিকবার আরেফিন মোহিনীকে এসএমএস করেছেন। তারও কোনো জবাব দেননি তিনি। ইচ্ছা করেই এটা তিনি করেছেন। এবার মোহিনী তাকে বুঝিয়েছেন, তার বিদেশ যাওয়া তিনি ভালোভাবে নেননি। ফোন না ধরার কারণে আরেফিন চিন্তায় পড়েছেন। কেন ফোন ধরছে না, কেন এসএমএসের কোনো জবাব দিচ্ছে না তা নিয়ে আরেফিনের মনে নানা প্রশ্ন ঘুরপাক খায়।

আরেফিন ড্রাইভারকে ফোন দেন। সেও ফোন ধরছে না। পরে আরো কয়েকবার তাকে ফোন দেয়া হয়েছে। কিন্তু আরেফিন ফোন ধরেনি। এতে আরেফিনের দুশ্চিন্তা আরো বাড়ে। তিনি মনে মনে বলেন, কি ব্যাপার! ড্রাইভারও তো ফোন ধরছে না! কি ঘটনা?

আরেফিন এবার তার বন্ধু সওগাত আলীকে ফোন করেন। তাকে পুরো ঘটনা খুলে বলেন। তিনি তাকে অনুরোধ জানান, মোহিনীকে ফোন করে বিষয়টা বোঝার জন্য। সওগাতের ফোন ধরলে আরেফিন বুঝতে পারবেন।

আরেফিনের অনুরোধে সওগাত মোহিনীকে ফোন করেন। সঙ্গে সঙ্গে মোহিনী তার ফোন ধরেন। তার সঙ্গে কুশল বিনিময় করেন। সওগাত আরেফিনের কথা জানতে চায়। তিনি তার জবাবও ঠিকঠাক মতো দেন। পরে সওগাত আরেফিনকে ফোন করে বললেন, মোহিনীর সঙ্গে কথা হয়েছে। তার সঙ্গে কথা বলে তো নেগেটিভ কিছু মনে হলো না। স্বাভাবিক মনে হলো।
আরেফিন সওগাতের সঙ্গে কথা বলা শেষ করে ফ্লাইট ধরার জন্য এগিয়ে যায়। যেতে যেতে তিনি ভাবেন মোহিনীকে নিয়ে। তিনি মনে মনে বলেন, মোহিনী সওগাতের ফোন ধরল! অথচ আমার ফোন কেন ধরছে না!

আনোয়ারা বেগম মোহিনীকে দেখে চমকে উঠলেন। মোহিনী এ সময় তাদের বাসায় যাবেন তা তিনি কল্পনাও করেননি। বিয়ের পর শুক্রবার কিংবা শনিবার ছাড়া তিনি তাদের বাসায় যাননি। ঈদের সময় দুটি ঈদ তিনি বাপের বাসায় করেছেন। আর দুটি ঈদ করেছেন দেশের বাইরে। ওদের বিয়ের বয়স চার বছর। মোহিনী তার সংসার এবং নিজের অফিস নিয়েই বেশি ব্যস্ত। তবে প্রতিদিন তার মা’র সঙ্গে কথা বলা তার অভ্যাস। সেটাও দিনের একটা নির্দিষ্ট সময়ে। সেই সময়টা আনোয়ারা বেগম জানেন। অন্য সময় আনোয়ার বেগমও ফোন করলে বলেন, মা আমি এখন ব্যস্ত। পরে কথা বলি!

মা মেয়ের সম্পর্কটা খুবই চমৎকার। কিন্তু সময় বুঝে তারা কথা বলেন। আনোয়ারা বেগম জানেন, তার মেয়ে একটা অফিস চালায়। তাকে তার অফিস নিয়ে ব্যস্ত থাকতে হয়। সেই ব্যস্ততার মাঝে আনোয়ার বেগম কখনোই মেয়েকে ফোন করেন না। বিশেষ প্রয়োজন হলে এসএমএস করে ফ্রি আছে কি না জানতে চান। তারপর ফোন করে কথা বলেন। বিয়ের পরও এই রুটিনের কোনো পরিবর্তন হয়নি। তিনি জানেন মেয়ের নিজের সংসার হয়েছে। সে তার অফিসের কাজের বাইরে স্বামীকে নিয়ে ব্যস্ত থাকবে। সেই সময়ে তিনি ভাগ বসাতে চান না।

আনোয়ার বেগম বিস্ময়ের সঙ্গে জানতে চান, মোহিনী তুই!
কেন মা? তোমাদের বাসায় বুঝি আমার আসতে মানা?
আরে কি বলিস তুই? আমাদের বাসায় মানে! এটা তোরও তো বাসা! আর আসতে মানা হবে কেন? বিয়ের পর তোকে এরকম অসময়ে তো দেখিনি!
তোমাকে দেখতে এলাম মা।
মেয়ের কথা শুনে হাসি ছড়িয়ে দিলেন তিনি। তারপর বুকে জড়িয়ে ধরে বললেন, তুই আসবি না তো কে আসবে বল! কেমন আছিস মা?
মোহিনী স্বভাব সুলভ ভঙ্গিতে বললেন, ভালো আছি মা।
তুই একা! আরেফিন কোথায়?
ও চীনে গেছে। উহানে ওদের দুই মাসের কর্মশালা আছে।
দুই মাস! বলিস কী! এতোদিন কিসের কর্মশালা?
কি জানি। জানি না। আমি সিদ্ধান্ত নিয়েছি, আমার বাসায় আপাতত যাচ্ছি না। তোমাদের এখানেই থাকব।
বিস্ময়ের সঙ্গে আনোয়ারা বেগম বললেন, মানে! হ্যারে মা, তোরা ঝগড়াঝাটি করিসনি তো?
না মা। তেমন কিছু না। তবে আমি আপাতত তোমাদের এখানেই থাকব।

আনোয়ারা বেগম চিন্তিত হয়ে পড়েন। তিনি মেয়ের পাশে গিয়ে বসেন। বোঝার চেষ্টা করেন। আরেফিনের সঙ্গে সত্যিই কিছু হয়েছে কিনা তা বুঝতে চান তিনি। বিয়ের সময়ই তিনি আপত্তি করেছিলেন। মোহিনীর বাবাও চাননি আরেফিনের সঙ্গে ওর বিয়ে হোক। মোহিনী জোর করে তাদেরকে রাজি করিয়েছেন। তিনি তার মা বাবাকে বলেছেন, তোমরা আমাকে নীতি নৈতিকতা শিখিয়েছ। মানবিকতা শিখিয়েছ। মনুষ্যত্ববোধ, কৃতজ্ঞতাবোধ আমার ভেতরে ঢুকিয়েছ। আমি তার বাইরে যাই কি করে বলো! আমি আরেফিনের পরিবার দেখিনি। ওর কি আছে না আছে সেদিকে নজর দিই না। আমার প্রতি আমার যে অন্ধ ভালোবাসা; তাও নয়। আমি শুধু কৃতজ্ঞতাবোধ থেকে ওকে বিয়ে করতে রাজি হয়েছি।

মোহিনীকে কিছুতেই বোঝানো যায়নি যে, অশিক্ষিত, নীচু পরিবার থেকে উঠে আসা কোনো ছেলে মেয়ে, যতই শিক্ষিত হোক, তার চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য পাল্টাবে না। মানসিকতা পাল্টাতে পারবে না। কথায় বলে না, গোবরে পদ্ম ফুল। মেধার গুণে গোবরে পদ্মফুল ফুটতেই পারে। কিন্তু তার মানসিকতা পদ্মফুলের মতো হবে না।

মোহিনী দাম্পত্য জীবনের দূঢ় বাস্তবতার মুখোমুখি হয়ে হারে হারে উপলব্ধি করছেন যে, তিনি কতবড় ভুল করেছেন! দাম্পত্য জীবনের জটিল অংক মেলাতে গিয়ে সবকিছু এলোমেলো হয়ে যাচ্ছে। নিজের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান সুন্দরভাগে এগিয়ে গিয়েও হঠাৎ যেন থমকে গেছে। মনটা কেমন যেন অস্থির হয়ে উঠছে। কখনো কখনো মানসিক চাপ অনেক বেশি হয়ে যাচ্ছে। সেই চাপ তিনি আর নিতে পারছেন না।

মোহিনী তার মা’র কাছে অকপটে তার ভুলের কথা স্বীকার করেছেন। তিনি বলেছেন, এমন ভুল তিনি করেছে যা শোধরাবার নয়। তবে ভুল থেকে শিক্ষা নেয়ার আছে। জীবনকে তিনি থমকে দিতে রাজি নন। জীবন চলমান নদীর মতো। নদী যেমন সব ধরনের ঝড়ঝঞ্জা মারিয়ে এগিয়ে চলে, মোহিনীও তেমনি করে এগিয়ে চলতে চান। তিনি তার ব্যবসার হালটাকে শক্তভাবে ধরতে চান।
মোহিনীর কথায় আনোয়ারা বেগম ভীষণভাবে আপ্লুত হন। তিনি মনে মনে বলেন, এই না হলে আমাদের মেয়ে!

আনোয়ারা বেগম চুপ করে আছেন দেখে মোহিনী বলেন, মা তুমি চুপ করে আছো যে! কিছু বলছ না যে! আমি থাকলে তোমাদের কোনো অসুবিধা হবে? অসুবিধাবোধ করলে আমি চলে যাবো।
মোহিনী, তুই এমনভাবে বললে আমি খুব কষ্ট লাগে। তুই আমার একমাত্র মেয়ে। তুই ছাড়া আমাদের আর কে আছে? আমাদেরকে আল্লাহ তায়ালা এতো সম্পদ দিয়েছেন, এসব কে খাবে? কে দেখবে? তোকেই তো সব দেখতে হবে!

ধন্যবাদ মা। আমি এখন অফিসে যাবো। আমার রুমটা ঠিকঠাক করিয়ে রেখো।
ঠিক আছে। তুই অফিসে যা।

চলবে....

 

আরও পড়ুন

 

বিষাদ বসুধা: পর্ব-৫

বিষাদ বসুধা: পর্ব-৪

বিষাদ বসুধা: পর্ব-৩

বিষাদ বসুধা: পর্ব-২

বিষাদ বসুধা: পর্ব-১

 

Header Ad

জুটি বাধলেন মিঠুন চক্রবর্তী-আফসানা মিমি

ছবি: সংগৃহীত

ওপার বাংলার জনপ্রিয় অভিনেতা মিঠুন চক্রবর্তীর সাথে এবার জুটি বাধলেন বাংলাদেশের তারকা অভিনেত্রী আফসানা মিমি। বিপ্লবী দীনেশ গুপ্তর জীবনকাহিনি নিয়ে এই সিনেমা নির্মাণ করতে যাচ্ছেন ভারতের জাতীয় পুরস্কারপ্রাপ্ত নির্মাতা মানসমুকুল পাল।

জানা গেছে, হুমায়ূন আহমেদের একটি উপন্যাসকে কেন্দ্র করে সিনেমা বানাবেন নির্মাতা মানসমুকুল পাল। আগামীতে সেই সিনেমাতেই দেখা যাবে মিঠুনকে। শোনা যাচ্ছে, অভিনেতার বিপরীতে দেখা যেতে পারে বাংলাদেশি অভিনেত্রী আফসানা মিমিকে। যদিও নিশ্চিত করে কিছু জানাননি নির্মাতা। তবে ভারতের জাতীয় পুরস্কারজয়ী এই পরিচালক চিত্রনাট্য লেখার আগে বাংলাদেশ ভ্রমণ করবেন।

মূলত সিনেমার চিত্রনাট্য লেখার আগে হুমায়ূন আহমেদের উপন্যাসে থাকা জায়গাগুলো নিজে ঘুরে দেখতে চান মানসমুকুল। ভারতীয় গণমাধ্যমে এ প্রসঙ্গে নির্মাতা বলেন, হুমায়ূন আহমেদের যে উপন্যাস অবলম্বনে চিত্রনাট্য লেখা শুরু করছি তাতে বাংলাদেশের একাধিক জায়গার উল্লেখ রয়েছে।

তাই ঢাকা, কিশোরগঞ্জসহ অন্যান্য জায়গায় যাওয়ার কথা আছে। সেই জায়গাগুলো নিজে দেখলে উপলব্ধি থাকবে, আর তাতে চিত্রনাট্য লেখার কাজও সহজ হবে।

শুধু জায়গা পরিদর্শন নয়, বাংলাদেশে এসে অভিনেত্রী আফসানা মিমির সঙ্গেও দেখা করবেন মানসমুকুল। তিনি এ-ও জানান, সিনেমার অধিকাংশ শুটিং বাংলাদেশে হবে। কিন্তু এখনই নয়। বর্তমানে মানসমুকুলের হাতে ৩টি সিনেমার কাজ রয়েছে। সেসব চলচ্চিত্র শেষ করে তবেই তিনি এই সিনেমার কাজ শুরু করবেন।

Header Ad

দেশ ও মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠায় দ্রুত নির্বাচনের কোনো বিকল্প নেই : তারেক রহমান

ছবি: সংগৃহীত

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান জানিয়েছেন, দেশ ও মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠায় দ্রুত নির্বাচনের কোনো বিকল্প নেই।

শনিবার (২৩ নভেম্বর) দুপুরে চুয়াডাঙ্গা টাউন ফুটবল মাঠে জেলা বিএনপির সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

এসময় তারেক রহমান বলেন, সব রাজনৈতিক দল মিলে আমরা এই অন্তর্বর্তী সরকারকে সমর্থন দিয়ে যাচ্ছি। দেশের মানুষের হাতে ক্ষমতা ফিরে যেতে নির্বাচন প্রয়োজন।

তিনি বলেন, দেশের উন্নয়নের জন্য আরও ২ বছর আগে সংস্কারের প্রস্তাব ৩১ দফা দিয়েছি আমরা। সংস্কার একটি চলমান প্রক্রিয়া। একজন শুরু করবে, আরেকজন টেনে নিয়ে যাবে। অন্তর্বর্তী সরকার নিরপেক্ষ ও সত্যিকারের নির্বাচন আয়োজন করতে পারলে, জনগণ তবেই জনপ্রতিনিধি বাছাই করতে তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারবে।

নির্বাচন সম্পর্কে তিনি বলেন, অনেকের মনে প্রশ্ন আমরা কেন বারবার নির্বাচনের কথা বলছি। আমরা বিশ্বাস করি, অন্তর্বর্তী সরকার একটি নির্বাচন আয়োজন করতে পারবে। এর ফলে সংসদের যারা জনপ্রতিনিধি বাছাই হয়ে আসবে, তারা সংসদে বসে আলোচনার মাধ্যমে সিদ্ধান্ত নিতে পারবে, কীভাবে দেশের প্রত্যেকটি সেক্টরের সমস্যা সমাধান করা যায়। সকল সংস্কার বাস্তবায়ন সম্ভব প্রকৃত ও সত্যিকারের একটি নির্বাচনের মাধ্যমে।

নেতা-কর্মীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, দায়িত্ব নিতে হলে দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করতে হবে। দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করতে আশপাশের মানুষের প্রত্যাশা পূরণ করতে হবে। যদি এই প্রত্যাশা পূরণ করতে পারা যায়, তবেই মানুষ আপনাদের দায়িত্ব দিবে, অন্যথায় দ্বিতীয়বার ভাববে।

এর আগে শনিবার সকাল সাড়ে ১০টায় সম্মেলনের উদ্বোধন করেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। চুয়াডাঙ্গা জেলা বিএনপির আহ্বায়ক মাহমুদ হাসান খান বাবুর সভাপতিত্বে সম্মেলনে বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু, বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির ভাইস চেয়ারম্যান নিতাই রায় চৌধুরী, বিএনপির খুলনা বিভাগের ভারপ্রাপ্ত সাংগঠনিক সম্পাদক অনিন্দ্য ইসলাম অমিত, বিএনপি খুলনা বিভাগের সহসাংগঠনিক সম্পাদক জয়ন্ত কুমার কুন্ডু, চুয়াডাঙ্গা জেলা বিএনপির সদস্যসচিব মো. শরীফুজ্জামান শরীফ, বিএনপি জাতীয় নির্বাহী কমিটির তথ্য বিষয়ক সম্পাদক আজিজুল বারী হেলাল প্রমুখ।

Header Ad

২৪ ঘণ্টার মধ্যে বঙ্গোপসাগরে লঘুচাপের আশঙ্কা

ফাইল ছবি

আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে বঙ্গোপসাগরে লঘুচাপ সৃষ্টি হতে পারে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তর। দক্ষিণপূর্ব বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় লঘুচাপ সৃষ্টি হবে বলে জানিয়েছে সংস্থাটি।

শনিবার (২৩ নভেম্বর) বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদ ড. মো. বজলুর রশিদের দেওয়া পূর্বাভাসে এ তথ্য জানানো হয়।

আবহাওয়া অফিস জানায়, আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ সারাদেশের আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে। শেষরাত থেকে ভোর পর্যন্ত দেশের উত্তরাঞ্চলের কোথাও কোথাও মাঝারি থেকে ঘন কুয়াশা এবং দেশের অন্যত্র হালকা থেকে মাঝারি ধরনের কুয়াশা পড়তে পারে। সারাদেশে রাতের এবং দিনের তাপমাত্রা সামান্য হ্রাস পেতে পারে

রোববার (২৪ নভেম্বর) সকাল ৯টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টায় অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ সারাদেশের আবহাওয়া শুষ্ক থাকতে পারে। শেষরাত থেকে ভোর পর্যন্ত সারাদেশের কোথাও কোথাও হালকা থেকে মাঝারি ধরনের কুয়াশা পড়তে পারে। এছাড়া সারাদেশে রাতের এবং দিনের তাপমাত্রা সামান্য হ্রাস পেতে পারে।

সোমবার (২৫ নভেম্বর) সকাল ৯টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টায় অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ সারাদেশের আবহাওয়া শুষ্ক থাকতে পারে। শেষরাত থেকে ভোর পর্যন্ত সারাদেশের কোথাও কোথাও হালকা থেকে মাঝারি ধরনের কুয়াশা পড়তে পারে। সারাদেশে রাতের এবং দিনের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে। এছাড়া আগামী পাঁচদিনে আবহাওয়া পরিস্থিতি উল্লেখযোগ্য পরিবর্তনের সম্ভাবনা নেই।

Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

জুটি বাধলেন মিঠুন চক্রবর্তী-আফসানা মিমি
দেশ ও মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠায় দ্রুত নির্বাচনের কোনো বিকল্প নেই : তারেক রহমান
২৪ ঘণ্টার মধ্যে বঙ্গোপসাগরে লঘুচাপের আশঙ্কা
অক্টোবরে সড়কে প্রাণ গেছে ৪৭৫ জনের
গায়ানায় দলের সঙ্গে যোগ দিলেন সাকিব
আইপিএল নিলামের আগেই নিষিদ্ধ হলেন ভারতের ২ ক্রিকেটার
গাজীপুরে পিকনিকের বাসে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে ৩ শিক্ষার্থীর মৃত্যু
কবে বিয়ে করবেন জানালেন তামান্না ভাটিয়া
পঞ্চগড়ে ৫০০ টাকায় সন্তান বিক্রি, অতঃপর যা ঘটল...
অ্যান্টিগায় প্রথম দিন শেষে স্বস্তিতে টাইগাররা
সড়ক দুর্ঘটনায় প্রাণ হারালেন পরীমণির প্রথম স্বামী
বিচারের আগে আ.লীগের মাঠে থাকার সুযোগ নেই: উপদেষ্টা নাহিদ
মাকে হত্যার পর থানায় হাজির ছেলে
৮ ক্রিকেটারসহ ৯ জনকে নিষিদ্ধ করলো বিসিবি
উপদেষ্টাদের যাচ্ছেতাই কর্মকাণ্ড মেনে নেওয়া হবে না: রিজভী
ভিসা কবে উন্মুক্ত করবে সেটা ভারতের নিজস্ব ব্যাপার: হাসান আরিফ
জুরাইন রেলক্রসিং ছাড়লেন রিকশাচালকরা, ৪ ঘণ্টা পর ট্রেন চলাচল শুরু
পাঁচ দেশে যাওয়ার ব্যাপারে বাংলাদেশিদের জন্য সতর্কতা
সাফজয়ী নারী ফুটবলার আইরিনকে নওগাঁয় সংবর্ধনা
বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের স্কলারশিপ দেবে পাকিস্তান