বৃহস্পতিবার, ১৯ ডিসেম্বর ২০২৪ | ৪ পৌষ ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

প্রবন্ধ / বাঙালি সংস্কৃতির বাড়ন্ত প্রতিপক্ষ

বাঙালির জীবনে উৎসব-পার্বণের কমতি ছিলোনা আগেও, বেশির ভাগই ছিল নানা ধর্মসম্প্রদায়ের আবাহন থেকে। ভাগ্যাহত বাঙালি জীবনের কঠিন সংগ্রামের ফাঁকে উৎসবের আয়োজন করেছে। এরপরেও ঈদ, পুজা ইত্যাদি উৎসবগুলি সার্বজনীন সামাজিক উৎসবে পরিণত হয়েছে। সময়ের পালাবদলে দেশ ভাগ হয়েছে, বঙ্গের একাংশকে নিয়ে স্বাধীন রাষ্ট্র গঠিত হয়েছে। উনিশশ’ ষাটের দশকে রাষ্ট্রযন্ত্রের রবীন্দ্র বিরোধীতার প্রতিবাদের পথ ধরে বাঙালি শেকড়ের সন্ধানে নেমেছে। ঢাকার রমনা উদ্যানের সেই সংগ্রাম ছোট থেকে বড় হয়েছে। ক্রমান্বয়ে পহেলা বৈশাখ ধর্মবর্ণ মিলে বাঙালির প্রাণের উৎসবে পরিণত হয়েছে।

প্রথম দিকে শহর-কেন্দ্রিক হলেও ক্রমান্বয়ে নববর্ষের আমেজ গ্রামগঞ্জে ছাড়িয়ে, ধনাট্যের চৌকাঠ পেরিয়ে মধ্যবিত্ত, এমন কি নিম্নবিত্তের দুয়ারে পৌছেছে। এই উপলক্ষ্যে এখন বাঙালির অবিভাজ্য সাংস্কৃতিক চেতনা অন্বেষণের গুরুত্বপূর্ণ পর্ব। যে বাংলা সন মোঘল আমলের কৃষিপণ্যের খাজনা আদায়ের সুবিধার্থে প্রবর্তন করা হয়েছিল, তা আজ পরিবর্তিত রূপে আবির্ভূত হয়েছে। পুরনো দিন বদলেছে; সমাজ ও রাষ্ট্র কাঠামো বদলেছে। অর্ধ শতাব্দিরও বেশি সময় ধরে বাংলাদেশ নববর্ষকে কেবল নিজস্ব সংস্কৃতির অংশ করেই নেয়নি, সময়ের পড়তে তা সমাজ-সংস্কৃতিরও অঙ্গ হয়েছে। সময় ও পরিবর্তণের যা দাপট, অন্যথায় বাংলার লোকসংস্কৃতি কিংবা বাংলা ঋতুর কথা বাঙালির নতুন প্রজন্ম হয়তো ভুলেই যেত!

নানা অনুসঙ্গ এসেছে বাংলা নববর্ষ উদযাপনে; যুক্ত হয়েছে জাতীয় মুক্তিযুদ্ধের চেতনার ডালি, স্বৈরশাসন ও ধর্মান্ধতার কুলষতা বিরোধী চেতনার নতুন সংযোজন এসেছে মঙ্গল শোভাযাত্রায়। এই শোভাযাত্রা, অশুভের বিনাশ কামনায়, সত্য ও সুন্দরের প্রার্থণায় শামিল হয়েছেন ধর্ম, বর্ণ, জাতি, লিঙ্গ নির্বিশেষে সব পেশার, সব শ্রেণীর মানুষ। নানা রংয়ের শাড়ি, মুখে আলপনা, বাহারি পাঞ্জাবি, ফুলের বিচিত্র শোভা, এসবের সঙ্গে তরুণদের হাতে জাতীয় পতাকা দেখে আমাদের প্রজন্মের কষ্ট ভুলিয়ে দেয়। তারুণ্যের এ প্রত্যয় মানব ধর্মের পক্ষে, অসাম্প্রদায়িকতা পক্ষে, ধর্মান্ধতার বিরুদ্ধে, অশুভের বিরুদ্ধে; এ যেন অন্ধকার থেকে আলোতে এগিয়ে যাওয়া।

রমনার বটমূলে সাহসী বাঙালিদের নেতৃত্বে নবজাগরণের যে ডঙ্কা বেজেছিল, আজ অর্ধশতাব্দিরও বেশি সময় পরে সে ডঙ্কার দোলা চারদিকে ছড়িয়ে পড়েছে। এর মাঝ দিয়ে বাঙালির শাশ্বত সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য দেশের গন্ডির বাইরে বেরিয়ে বিশ্বের দুয়ারে পৌঁছেছে। আরও আনন্দের বিষয় যে, বোমা মেরে, ধর্মান্ধতার শিকল পরিয়ে কিংবা ভয়ভীতিতে এ উৎসব বন্ধ করা যায়নি; ধর্মীয় অপব্যাখ্যার আঘাতেও ঠেকানো যায়নি।

কিন্তু প্রশ্ন হচ্ছে-এতেই কী তুষ্ট থাকবে বাঙালি? সে সুযোগ কি আছে? একবারে নেই। কারণ অসাম্প্রদায়িক জাতিসত্তার বিরোধীতা আজও আত্মসমর্পন করেনি। মুক্তিযুদ্ধ শেষে রমনার উদ্যানে ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর আত্মসমর্পন করেছিল কেবল পরাজিত পাকিস্তানি সৈন্যরা, তাদের এদেশীয় অনুচরেরা নয়। সময়ের ব্যবধান এবং মুক্তিযুদ্ধপন্থি প্রগতিশীলদের আত্মতুষ্টির সুযোগে পুরনো প্রতিক্রিয়াশীলরা নতুন করে সুগঠিত হয়েছে, সংস্কৃতির জগতে পরাস্থদের ব্যাপক অনুপ্রবেশ ঘটেছে। ফলে নতুন আদলে ধর্মীয় উগ্রতা আবারও মানুষকে বিভাজিত করে চলেছে; আক্রান্ত হচ্ছে এক বাঙালি আরেক বাঙালির অসহিষ্ণুতায়।

১৯৪৭ সালে পাকিস্তান সৃষ্টির পরপরই পূর্ববঙ্গের বাঙালিরে ভাষাভিত্তিক জাতীয়তা জেগে ওঠে। রমনা বটমূলে ছায়ানটের বর্ষবরণ সেই চেতনাকে বেগবান করে। ক্রমান্বয়ে লোকজ সংস্কৃতির সঙ্গে নাগরিক জীবনের সেতুবন্ধ ঘটে। ১৯৭১এর সশস্ত্র-মুক্তিযুদ্ধসহ পালাক্রমিক জনসংগ্রাম সেই উপলব্ধিকে অপ্রতিরুদ্ধ করে। সাহিত্য ও শিল্পকলায় সে দ্যোতনা ছড়িয়ে পড়ে; নৃ-তাত্ত্বিক, সামাজিক ও ঐতিহাসিক বৈশিষ্ট্য মিলে পহেলা বৈশাখ প্রাণের উৎসবে পরিণত হয়। তবে অনুধাবন করা সঙ্গত যে, ব্যাপক সংখ্যাগরিষ্টতা নিয়েও বাঙালি আমাদের রাষ্ট্রীয় ভূখন্ডে একক নয়; আমাদের আছে আদীবাসী, নানা নৃতাত্বিক জনগোষ্ঠি, যাদের নিজস্ব ভাষা-সংস্কৃতি আছে, আছে বৈশাবিসহ নিজস্ব সাংস্কৃতির আবাহন। অতএব বাঙালির নববর্ষ তখনোই পূর্ণতা পাবে যখন সকলের নববর্ষকে আমরা সম্মান জানাতে শিখবো।

অনস্বীকার্য, পূর্ণ মনে হলেও বাংলাদেশে আমরা বাঙালি সংস্কৃতির খণ্ডিত অংশ ধারণ করি। বাংলাদেশ, ভারতের পশ্চিমবঙ্গ, ত্রিপরা, আসাম, এমন কি ইউরোপ, আমেরিকাসহ বিশ্বের নানা প্রান্তে ৩০ কোটিরও বেশি বাঙালি পহেলা বৈশাখ উদযাপন করে। পূর্ববঙ্গ-পূর্ব পাকিস্তান থেকে বাংলাদেশের জন্ম প্রাসঙ্গিকতায় আমাদের পহেলা বৈশাখ ভিন্ন মাত্রা পেয়েছে নিশ্চয়ই, কিন্তু এর শ্বাশত আবেদন এপার-ওপারে সমান। দূর্ভাগ্য যে, পঞ্জিকার হেরফের ঘটিয়ে বাঙালির সর্বজনীন উৎসবটিকেও খন্ডিত করা হয়েছে! এমনকি ভাগ হয়ে গেছে রবীন্দ্র-নজরুলের জন্ম ও মৃত্যুতিথি। ভাগ হয়েছে ব্যবসায়ী মহলের হালখাতা, সন গণনা! এই বিভাজন দূর্ভাগ্যজনক।

প্রশ্ন হচ্ছে, আমরা ঢাকঢোল বাজিয়ে, নৃত্যগানে মেতে পহেলা বৈশাখ গ্রহণ করি বটে, কিন্তু বাঙালির শ্বাশত সংস্কৃতি কতটা লালন করি? বাংলাভাষা,এর সন-তারিখকে কতটা সমাদর করি আমরা? এককালে বাঙালির জীবনজীবিকা বাংলা পঞ্জিকা অনুযায়ী সম্পন্ন হতো; আজ তা নেই। এককালে বাঙালির পারিবারিক ও সামাজিক কাজকর্ম, বিবাহ, জন্ম-মৃত্যুসহ জীবনের সব প্রয়োজনে বাংলা সনতারিখ ছিল অনস্বীকার্য; আজ নেই! দূর্ভাগ্য যে, যে নবীনেরা পহেলা বৈশাখের উৎসবে মাতেন তাদের কাছেও বাংলা সনতারিখ অপ্রয়োজনীয় হয়েছে! ইংরেজির বিশ্ব আধিপত্ত অনস্বীকার্য, পরিবর্তন মেনে নিতে হবে, কিন্তু আপন ভাষা-সংস্কৃতির বিনিময়েও কি?

শুধু তাই নয়, বাঙালি সংস্কৃতির বিরুদ্ধে বিজাতীয় আগ্রাসন আজ নতুন মাত্রা পেতে শুরু করেছে। শিক্ষাব্যবস্থায় এ আগ্রাসন বহুল দৃশ্যমান। ধর্মান্ধ এবং সাম্প্রদায়িক সংস্কৃতির এই পূনরাভিযান শিক্ষার্থীদের তাৎপর্যময় অংশে প্রভাব বিস্তার করে চলেছে। অথচ এই দুষ্ট প্রবনতাকে প্রতিরোধ করা হয়েছিল মুক্তিযুদ্ধের মধ্য দিয়ে। ভুললে চলবেনা দেশের পাঠ্যপুস্তকে রবীন্দ্রনাথ, জীবনান্দকে নির্বাসন দেওয়ার চেষ্টাও কম নেই! অতএব শিক্ষা ব্যবস্থায় এই আগ্রাসন ছোট করে দেখার অবকাশ নেই।

শুধু শিক্ষাক্ষেত্রে নয়, বহু শাখাতেই আজকাল দৃশ্যমান হচ্ছে বাঙালির সংস্কৃতি বিরোধী আগ্রাসন। সমাজের স্তরগুলিতে উগ্রবাদ ও ধর্মান্ধতা নতুন মাত্রা লাভ করার দ্বারপ্রান্তে এসেছে।

স্বাধীনতাবিরোধী প্রতিক্রিয়াশীল গোষ্ঠী গোপনে, কিছু ক্ষেত্রে প্রকাশ্যেও, তৎপরতা অব্যাহত রেখেছে। এসবের বিপরীতে দরকার রাষ্ট্র ও সরকারের পক্ষ থেকে সুনির্দিষ্ট বা কার্যকর উদ্যোগ, যার অনপস্থিতি আতংকজনক। মোটকথা, বাঙালির সাংস্কৃতিক শক্তি ক্রমান্বয়ে বিপন্ন হচ্ছে। দেশে মাটিতে প্রভূত অর্থনৈতিক অগ্রগতির আলো জ্বাললেও ধর্মান্ধ সংস্কৃতির অন্ধকার ঠেকানো যাচ্ছে না। অথচ এ অন্ধকার রোধ করা না গেলে প্রগতির সব আলো নিভে যাবে।

লক্ষ্য করার মতো যে, রাজনৈতিক অঙ্গনে ধরাশায়ী হলেও ধর্মীয় উগ্রবাদ ও ধর্মান্ধতা নিত্য নতুন চেহারায় অগ্রসরমান। যে সাম্প্রদায়িকতার বীজ উপড়ানো হয়েছে বলে অর্ধশতক আগে প্রশান্তি লাভ করা গেছে, সেই সাম্প্রদায়িকতা নানা কৌশলে আজ বিস্তৃত হচ্ছে। রাজনৈতিক ধর্মবাদীরা সাধারণ মানুষের আবেগ কাজে লাগিয়ে তৃণমূলে প্রভাব বিস্তার করে চলেছে। ‘ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাতের’ কথা বলে সামাজিক অস্থিরতা তৈরি করা হচ্ছে। এ যেন এক নি:শব্দ গ্রাস-যা ঠেকাতে না পারলে সমূহ দুর্গতি ঠেকানো যাবে না। মনে রাখা দরকার, যে সমাজে উগ্রবাদী ও ধর্মান্ধরা মাইক্রোফোনের নিয়ন্ত্রন হাতে নিতে সক্ষম হয়, সে সমাজে ধর্মের পবিত্রতা যেমন খর্ব হয়, তেমনি তৈরি হয় উন্মাদনার অশূভ ও সম্প্রসারিত ক্ষেত্র, যার কুফল দৃশ্যমান হয় সকল ক্ষেত্রে।

শুধু এই নয়, উগ্রবাদী গোষ্ঠীগুলো বাঙালির উদার অসাম্প্রদায়িক সংস্কৃতিকে আঘাত হানছে, কখনো সরাসরি। যাত্রাপালার গ্রামীণ সংস্কৃতি প্রায় বিলুপ্ত হবার পথে। লোক ঐতিহ্যের উৎসবগুলিতে প্রতিবন্ধক তৈরির অযুহাত সৃষ্টি করা হচ্ছে। ওরা বাংলাদেশের জন্মের ইতিহাস, আইন, সংবিধানকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখাবারও উদাহরণ তৈরি করছে। কিছু কিছু ক্ষেত্রে ধর্মান্ধরা প্রশাসনের আশকারা পাচ্ছে বলেও অভিযোগ উঠছে। মাঠ প্রশাসনের উদাসীনতায় সমাজে মৌলবাদ ভীতি বাড়িয়ে দিয়েছে অনেক ক্ষেত্রে। বাউলরা আজ ধর্মব্যবসায়ীদের ভয়ে তটস্থ। এমনকি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসেও অপতৎপরতা চালানোর অভিযোগ মিলছে। বলা বাহুল্য, হাজার বছরের বাঙালি সংস্কৃতিকে ‘বিধর্মীদের সংস্কৃতি’ বলে মিথ্যাচার করে রাজাকার-আদবদরের অনুসারীরা নিত্যনতুন উদ্যোগে সফল হতে চাইছে। সব মিলিয়ে ফুলে ফেঁপে উঠছে নি:শব্দ মৌলবাদ।

ইত্যকার অশুভ দৃষ্টান্ত নিয়ে নাগরিক সমাজের উদ্বেগের শেষ নেই। আরও উদ্বেগের বিষয় যে, মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের শক্তির ব্যাপক উন্নয়ন কর্মকাণ্ডের পরেও রাষ্ট্রকে সামাজিক অন্ধকারের রাহুগ্রাস থেকে মুক্ত করা যায়নি। অথচ রাষ্ট্রকাঠামোর মধ্যে মুক্তিযুদ্ধের চেতনাবিরোধী ধর্মান্ধ বা মৌলবাদী গোষ্ঠি অবস্থান পাকাপোক্ত করতে সক্ষম হলে বড় ক্ষতির কারণ হবে। অতএব বাঙালির সংস্কৃতিক সংগ্রামকে, মানবিক সংস্কৃতির ধারাকে বেগবান করতে হবে, শিক্ষাধারায় পাঠ্যসূচি থেকে ঘৃণা সঞ্চারি রচনা বাদ দিতে হবে, বিজ্ঞানভিত্তিক সমতার সমাজ গড়তে হবে।

দৃশ্যতই ধর্মান্ধ এবং রাজনৈতিক ধর্মবাদীরা রাষ্ট্রক্ষমতার অভ্যন্তরে শিকড় বিস্তার করতে ব্যস্ত, কারণ তারা মনোজাগতিক বৈকল্য চায়। সে কারণে এ প্রবণতার শিকড় উৎপাটন অত্যাবশ্যকীয় জাতীয় দায়িত্ব। কারণ এ বিপর্যয় সমাজকে ধ্বংসের দিকে ঠেলে দেবে। প্রার্থণা করি, বাঙালি মানুষ হোক, বাঙালির দেশপ্রেম জাগ্রত হোক, বাংলা ভাষা ও সংস্কৃতি মাথা উঁচু করে দাঁড়াক।

 

 

 

Header Ad
Header Ad

২৩৮ পদে জনবল নিচ্ছে ভূমি মন্ত্রণালয়, আবেদন অনলাইনে

ছবি: সংগৃহীত

ভূমি মন্ত্রণালয় পুন:সংশোধিত নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে। প্রতিষ্ঠানটির আওতাধীন সার্ভেয়ার পদে ২৩৮ জনকে ১৪তম গ্রেডে নিয়োগের জন্য এ বিজ্ঞপ্তি দিয়েছে।

আগ্রহী প্রার্থীরা অনলাইনে আবেদন করতে পারবেন। সারাসরি/ডাকযোগে কোনো আবেদনপত্র গ্রহণ করা হবে না। সরাসরি বা ডাকযোগে প্রেরিত সকল আবেদনপত্র বাতিল বলে গণ্য হবে।

প্রতিষ্ঠানের নাম: ভূমি মন্ত্রণালয়
পদসংখ্যা: ০১টি
লোকবল নিয়োগ: ২৩৮ জন

পদের নাম: সার্ভেয়ার
পদসংখ্যা: ২৩৮টি
বেতন: ১০,২০০-২৪,৬৮০ টাকা (গ্রেড-১৪)
শিক্ষাগত যোগ্যতা: ৪ বছরের ডিপ্লোমা ইন ইঞ্জিনিয়ারিং (সার্ভেয়িং)

আবেদন ফি: পরীক্ষার ফি বাবদ টেলিটক সার্ভিস চার্জসহ ২২৩ টাকা এসএমএসের মাধ্যমে জমা দিতে হবে।
বয়সসীমা: ১৮ থেকে ৩২ বছর

আবেদন যেভাবে: আগ্রহী প্রার্থীরা আবেদন করতে ও বিস্তারিত বিজ্ঞপ্তিটি দেখতে এখানে ক্লিক করুন
আবেদনের শেষ সময়: ০১ মে ২০২৫

Header Ad
Header Ad

শেখ হাসিনার নির্দেশেই ইন্টারনেট বন্ধ করা হয়েছিল, পলকের স্বীকারোক্তি

সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও সাবেক ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক। ছবি: সংগৃহীত

গত জুলাই-আগস্টে ইন্টারনেট বন্ধ কোনো দুর্ঘটনা ছিল না, বরং তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে ইন্টারনেট বন্ধ করা হয় বলে জানিয়েছেন সাবেক ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক।

বৃহস্পতিবার (১৯ নভেম্বর) জিজ্ঞাসাবাদে পলক এ তথ্য দিয়েছেন বলে সাংবাদিকদের জানিয়েছেন চিফ প্রসিকিউটর তাজুল ইসলাম।

তিনি বলেন, ইন্টারনেট বন্ধ করে গত জুলাই-আগস্টে সংঘটিত গণহত্যা ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করা হয়েছিল। ইন্টারনেট বন্ধের এ নির্দেশ দিয়েছিলেন শেখ হাসিনা।

এছাড়া ট্রাইব্যুনালকে বিতর্কিত করার জন্যই বিচারের বৈধতা নিয়ে সাবেক সেনাকর্মকর্তা জিয়াউল আহসান প্রশ্ন তুলেছেন বলেও জানান চিফ প্রসিকিউটর।

এর আগে হত ১৩ আগস্ট ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের তদন্ত কমিটির প্রাথমিক প্রতিবেদনে বলা হয়, কোটা সংস্কার আন্দোলনের সময়ে পুরো দেশ ইন্টারনেটবিহীন করে রেখেছিল বিগত সরকার। ওই সরকারের তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহ্‌মেদ পলক ইন্টারনেট বন্ধ নিয়ে ডেটা সেন্টার পুড়ে যাওয়াসহ নানা গল্প ফেঁদেছিলেন। আদতে তেমন কোনো ঘটনাই ঘটেনি। তিনি নিজে, বিটিআরসি ও এনটিএমসি ইন্টারনেট বন্ধে জড়িত। পলক ডেটা সেন্টারের ঘটনা প্রচার করে জাতির সঙ্গে মিথ্যাচার করেছেন।

Header Ad
Header Ad

এক বছর লিভ টুগেদারের পর পার্টনার পছন্দ করেছি: স্বাগতা

অভিনেত্রী জিনাত সানু স্বাগতা। ছবি: সংগৃহীত

চলতি বছরের শুরুতে অভিনেত্রী জিনাত সানু স্বাগতা বিয়ের বন্ধনে আবদ্ধ হন। সে সময় তিনি জানিয়েছিলেন, স্বামী ড. হাসান আজাদের সঙ্গে প্রায় এক বছরের বন্ধুত্ব ও প্রেমের পর তারা বিয়ের সিদ্ধান্ত নেন। তবে এবার স্বাগতা শেয়ার করলেন নতুন একটি তথ্য।

সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে স্বাগতা জানান, আমি আর হাসান এক বছর লিভ টুগেদার করেছি। তারপর দু’জন দু’জনকে পার্টনার হিসেবে পছন্দ করেছি।

অভিনেত্রী জিনাত সানু স্বাগতা। ছবি: সংগৃহীত

অভিনেত্রী জানান, তাদের লিভ টুগেদারের সিদ্ধান্তে পরিবারের কোনো সমস্যা ছিল না। তিনি বলেন, আমরা যখন লিভ টুগেদার করেছি, আমাদের দু’জনের বাবা-মায়ের পক্ষ থেকে কোনো সমস্যা ছিল না। এমনকি আমার ভাই-বোনও বলেছে, কেউ যুক্তরাজ্যে থেকে আসলো, তুমি বিয়ে করে ফেললা, এরপর জীবনটা শেষ হয়ে গেল...তার চেয়ে ভালো একসঙ্গে থেকে দেখো, সারাজীবন থাকতে পারবে নাকি। তারপর সিদ্ধান্ত নেও।

স্বাগতা আরও বলেন, ‘সমাজও আমাদের বিষয়টা মেনে নিয়েছে। প্রথমে একটু সময় নিয়েছে কিন্তু পরে বিষয়টা স্বাভাবিক হয়ে গেছে। আমি মনে করি, আমাদের সমাজও পরিবর্তন হচ্ছে। ডিভোর্স নরমালাইজ হচ্ছে, লিভ টুগেদারও নরমালাইজ হবে।’

 স্বামী ড. হাসান আজাদের সঙ্গে স্বাগতা। ছবি: সংগৃহীত

স্বাগতার স্বামী একজন লন্ডন প্রবাসী। তার জন্ম ও পড়াশোনা সবই যুক্তরাজ্যে। সংগীত জগতের সঙ্গে জড়িত তিনি। ড. হাসান একাধারে গান লেখেন, সুর ও মিউজিক কম্পোজ করেন। কলম্বিয়া ইউনিভার্সিটি থেকে পিএইচডি করা হাসান পেশায় একজন ব্যবসায়ী।

স্বাগতা জানান, গত বছরের আগস্ট-সেপ্টেম্বরের দিকে একদিন এক বান্ধবীর সঙ্গে রাজধানীর একটি ক্লাবে যান তিনি। সেখানেই হাসান আজাদের সঙ্গে পরিচয় হয় তার। পরিচয়ের পর অনেক দিন দেখা হয়নি তাদের। তবে নভেম্বরে আবার তাদের দেখা হয়। সেই সময় হাসান আজাদ আমাকে বিভিন্নভাবে বোঝানোর চেষ্টা করেছেন তিনি আমাকে পছন্দ করেন। এর পরেই কথা বলে আমরা সিদ্ধান্ত নিই একসঙ্গে হওয়ার।

এর আগে দীর্ঘ ৭ বছর প্রেমের পর চিত্রগ্রাহক রাশেদ জামানকে বিয়ে করেন স্বাগতা। ছয় বছর সংসারের পর ২০২১ সালের ১৬ ডিসেম্বর বিচ্ছেদ হয় তাদের।

উল্লেখ্য, ‘নতুন কুঁড়ি’ প্রতিযোগিতায় ছড়া গান বিভাগে দ্বিতীয় হয়েছিলেন স্বাগতা। এছাড়া ‘মহাকাল’ নামে একটি ব্যান্ড দল করেন তিনি। ‘ভালোবাসি তোমাকে’, ‘মহাকাল’, ‘স্বপ্নচূড়া’সহ কয়েকটি অ্যালবাম প্রকাশ করেছেন অভিনেত্রী। এছাড়া ওয়েব সিরিজ ‘কাইজার’-এ অভিনয় করে আলোচনায় আসেন তিনি।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

২৩৮ পদে জনবল নিচ্ছে ভূমি মন্ত্রণালয়, আবেদন অনলাইনে
শেখ হাসিনার নির্দেশেই ইন্টারনেট বন্ধ করা হয়েছিল, পলকের স্বীকারোক্তি
এক বছর লিভ টুগেদারের পর পার্টনার পছন্দ করেছি: স্বাগতা
নির্বাচন নিয়ে প্রধান উপদেষ্টার বক্তব্যে হতাশ বিএনপি
সাবেক সংসদ সদস্য রাগিবুল হাসান রিপু গ্রেপ্তার
মুম্বাইয়ে যাত্রীবাহী লঞ্চে নৌবাহিনীর স্পিডবোটের ধাক্কায় নিহত ১৩
ঢাকা-টাঙ্গাইল-যমুনা সেতু মহাসড়কে ৯ ঘণ্টা পর যান চলাচল স্বাভাবিক
গুমকাণ্ডে শেখ হাসিনার সম্পৃক্ততা, যা বলল যুক্তরাষ্ট্র
কক্সবাজারে ট্রাক-অটোরিকশা সংঘর্ষ, শিশুসহ নিহত ৫
মাদককাণ্ডে ফেঁসে যাচ্ছেন তিন শীর্ষ নাট্যাভিনেত্রী!
গুম-খুনে জড়িত ২০ কর্মকর্তার পাসপোর্ট স্থগিত, দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা
ভাইরাল ভিডিওটি ছিল ‘যেমন খুশি তেমন সাজো’, ব্যবহৃত হয়েছে ডামি অস্ত্র
শেখ হাসিনা ও তার পরিবারের দুর্নীতি অনুসন্ধানে ৫ কর্মকর্তা নিয়োগ
৫ বছর পর চালু হচ্ছে রংপুর চিনিকল, এলাকায় খুশির বন্যা
মোদির বিতর্কিত পোস্ট: যে বার্তা দিলো পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়
ভারত থেকে ৫০ হাজার টন চাল কিনবে সরকার
তনুর গ্রাফিতির ওপর পোস্টার সাঁটালেন মেহজাবীন, সমালোচনার ঝড়
ফ্যাসিস্ট সরকার দেশটাকে ধ্বংস করে দিয়েছে: তারেক রহমান
আবারও বাড়ল স্বর্ণের দাম, ভরিতে কত?
তাবলিগ ইস্যুতে যা বললেন মিজানুর রহমান আজহারী