শনিবার, ১৫ মার্চ ২০২৫ | ১ চৈত্র ১৪৩১
Dhaka Prokash

মহাদেব সাহা

বঙ্গবন্ধুকে নিবেদিত কবিতা

তোমার বাড়ি

এই বাড়িটি একলা বাড়ি কাঁপছে এখন চোখের জলে
ভালোবাসার এই বাড়িতে তুমিও নেই, তারাও নেই!
এই বাড়িটি সন্ধ্যা-সকাল তাকিয়ে আছে নগ্ন দুচোখ
একলা বাড়ি ধূসর বাড়ি তোমার স্মৃতি জড়িয়ে বুকে
অনাগত ভবিষ্যতের দিকেই কেবল তাকিয়ে থাকে,
কেউ জানে না এই বাড়িটি ঘুমায় কখন, কখন জাগে
স্তব্ধ লেকের কান্নাভেজা এই বাড়িটি রক্তমাখা!
এই বাড়িতে সময় এসে হঠাৎ কেমন থমকে আছে
এই বাড়িটি বাংলাদেশের প্রাণের ভিতর মর্মরিত,
এই বাড়িতে শহীদমিনার, এই বাড়িতে ফেব্রুয়ারি
এই বাড়িটি স্বাধীনতা, এই বাড়িটি বাংলাদেশ
এই বাড়িটি ধলেশ্বরী, এই বাড়িটি পদ্মাতীর
এই বাড়িটি শেখ মুজিবের, এই বাড়িটি বাঙালীর!

 

বিশ্বজোড়া তোমার নাম

বাংলাদেশে জন্ম তোমার, বাংলাদেশ তোমার ঘর
বাংলা তোমার তুমি বাংলার, তুমি বাংলার মুজিবর;
তোমার মতো আর কে আছে দেশের আপন প্রাণ
বাঙালির তুমি হৃদয়ে হৃদয়ে শেখ মুজিবুর রহমান,
বিশ্বজোড়া তোমার নাম, তোমার কীর্তি বিশ্বময়
তোমার নামে পদ্মা মেঘনা যমুনা সতত গাইছে জয়;

দেশের মাটিতে মিশে আছো তুমি, দেশের মাটিতে
                                              হৃদয় পাতা

তোমার কীর্তি তোমার নাম কোটি কোটি হৃদয়ে গাঁথা,
সারাবিশ্ব একনামে চেনে তুমিই বাংলার মুজিবর
তুমি বন্ধু, তুমিই পিতা, তুমি বিশ্বে চির–অমর।

 

বাঙালির পিতার নাম শেখ মুজিবর

বাংলাদেশের একটি গ্রামের নাম টুঙ্গিপাড়া
একটি নদীর নাম মধুমতি,
একটি ফুলের নাম শেখ মুজিব;

এই মুজিব আমার স্বাধীনতা
মুজিব আমার বাংলাদেশ,
মুজিব আমার লাল গোলাপ;

মুজিব আমার ভালোবাসা
মুজিব আমার প্রথম প্রেম,
মুজিব আমার বাংলা বই;

মুজিব আমার সোনার বাংলা
মুজিব আমার গীতবিতান,
মুজিব আমার ৭ই মার্চ;

বাঙালি আমার নাম
আমি লিখি বাংলা অক্ষর,
বাঙালির পিতার নাম শেখ মুজিবর।

Header Ad
Header Ad

এশিয়ার ১০টি সহ ৪৩ দেশের বিরুদ্ধে ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা দিচ্ছে ট্রাম্প

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। ছবি: সংগৃহীত

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রশাসন যুক্তরাষ্ট্রে ভ্রমণের ওপর নতুন নিষেধাজ্ঞার অংশ হিসেবে ৪৩টি দেশের নাগরিকদের লক্ষ্যবস্তু করার কথা বিবেচনা করছে। এই নিষেধাজ্ঞা ট্রাম্পের প্রথম মেয়াদে আরোপিত নিষেধাজ্ঞার চেয়ে ব্যাপক হতে পারে বলে জানিয়েছেন বিষয়টির সঙ্গে পরিচিত কর্মকর্তারা।

মার্কিন সংবাদমাধ্যম নিউইয়র্ক টাইমসের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মার্কিন কূটনীতিক ও নিরাপত্তা কর্মকর্তারা একটি লাল তালিকা প্রস্তাব করেছেন। এই তালিকায় থাকা ১১টি দেশের নাগরিকদের যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশ সম্পূর্ণভাবে নিষিদ্ধ করা হবে। এই দেশগুলো হলো—আফগানিস্তান, ভুটান, কিউবা, ইরান, লিবিয়া, উত্তর কোরিয়া, সোমালিয়া, সুদান, সিরিয়া, ভেনেজুয়েলা এবং ইয়েমেন।

মার্কিন কর্মকর্তারা জানান, এই তালিকাটি মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর কয়েক সপ্তাহ আগে তৈরি করেছিল এবং এটি হোয়াইট হাউসে পৌঁছানোর আগেই এতে পরিবর্তন আসার সম্ভাবনা রয়েছে।

মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর, বিভিন্ন দূতাবাস, আঞ্চলিক দপ্তর ও গোয়েন্দা সংস্থার নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞরা খসড়া তালিকাটি পর্যালোচনা করছেন। এ ছাড়া, একটি ‘কমলা’ তালিকাও আছে। এই তালিকায় থাকা ১০টি দেশের নাগরিকদের আংশিকভাবে যুক্তরাষ্ট্রে ভ্রমণ নিষিদ্ধ করা হবে। এ ক্ষেত্রে দেশগুলোর ধনী ব্যবসায়ীরা প্রবেশ করতে পারলেও অভিবাসী বা পর্যটন ভিসায় আসা ব্যক্তিরা পারবেন না। এই তালিকার অন্তর্ভুক্ত দেশগুলো হলো—বেলারুশ, ইরিত্রিয়া, হাইতি, লাওস, মিয়ানমার, পাকিস্তান, রাশিয়া, সিয়েরা লিওন, দক্ষিণ সুদান এবং তুর্কমিনিস্তান।

এর আগে, ডোনাল্ড ট্রাম্প ২০ জানুয়ারি দায়িত্ব গ্রহণ করেই একটি নির্বাহী আদেশ জারি করে। সেই আদেশে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরকে কোন কোন দেশের নাগরিকদের যুক্তরাষ্ট্রের নিষিদ্ধ করা প্রয়োজন বা সীমিত করা প্রয়োজন তা চিহ্নিত করতে বলা হয়। তিনি ৬০ দিনের মধ্যে হোয়াইট হাউসে প্রতিবেদন জমা দেওয়ার জন্য বলেছিলেন। অর্থাৎ, আগামী সপ্তাহেই জমা দিতে হবে এই প্রতিবেদন।

এদিকে, এসব দেশের যেসব নাগরিক যুক্তরাষ্ট্রের ভিসা পেয়েছেন কিন্তু এখনো দেশটিতে যাননি, তাদের ওপর এই নিষেধাজ্ঞা কার্যকর হবে কি না, তা এখনো জানা যায়নি। একইভাবে, প্রশাসন বর্তমান গ্রিন কার্ডধারীদের এই নিষেধাজ্ঞার আওতায় রাখবে কি না—তাও স্পষ্ট নয়।

প্রস্তাবিত লাল এবং কমলা তালিকার মধ্যে কিছু দেশ ট্রাম্প প্রথম মেয়াদের সময়ও ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞার আওতায় এসেছিল, তবে অনেক দেশ নতুন। কিন্তু অন্যান্য কয়েকটি দেশের অন্তর্ভুক্তির কারণ স্পষ্ট নয়। উদাহরণস্বরূপ, ভুটানকে পুরোপুরি নিষিদ্ধ দেশ হিসেবে তালিকাভুক্ত করার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। রাশিয়া থেকে ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা আরোপের প্রস্তাব একটি ভিন্ন বিষয় সৃষ্টি করে।

প্রস্তাবে একটি খসড়া ‘হলুদ’ তালিকাও অন্তর্ভুক্ত আছে। যেখানে ২২টি দেশকে ৬০ দিনের মধ্যে প্রাপ্ত তথ্যগত ঘাটতি দূর করার জন্য বলা হয়েছে, যদি তারা তা না করতে পারে তবে তারা অন্য কোনো তালিকায় স্থানান্তরিত হতে পারে। এই তালিকায় অন্তর্ভুক্ত দেশগুলো হলো—অ্যাঙ্গোলা, অ্যান্টিগুয়া ও বারবুডা, বেনিন, বুরকিনা ফাসো, কম্বোডিয়া, ক্যামেরুন, কেপ ভার্দে, চাদ, কঙ্গো প্রজাতন্ত্র, ডেমোক্রেটিক রিপাবলিক অব কঙ্গো, ডোমিনিকা, ইকুয়াটোরিয়াল গিনি, গাম্বিয়া, লাইবেরিয়া, মালি, মৌরিতানিয়া, সেন্ট কিটস ও নেভিস, সেন্ট লুসিয়া, সাও টোমে ও প্রিন্সিপে, ভানুয়াতু এবং জিম্বাবুয়ে।

 

Header Ad
Header Ad

আবরার ফাহাদ হত্যা মামলা: হাইকোর্টের রায় রবিবার

আবরার ফাহাদ হত্যা মামলা। ছবি: সংগৃহীত

বহুল আলোচিত বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়-বুয়েটের শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদ হত্যা মামলায় রবিবার (১৬ মার্চ) রায় ঘোষণা করবেন হাইকোর্ট। শনিবার (১৫ মার্চ) মামলাটি বিচারপতি এ কে এম আসাদুজ্জামান ও বিচারপতি সৈয়দ এনায়েত হোসেনের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চের কার্যতালিকায় রবিবার রায় ঘোষণার জন‍্য রাখা হয়েছে।

এর আগে বিচারিক আদালতে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিদের আপিল ও ডেথ রেফারেন্সের শুনানি শেষে গত ২৪ ফেব্রুয়ারি বিচারপতি এ কে এম আসাদুজ্জামান ও বিচারপতি সৈয়দ এনায়েত হোসেনের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ মামলাটি রায়ের জন্য অপেক্ষমাণ রাখেন।

আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান ও ডেপুটি অ‍্যাটর্নি জেনারেল কে বি রুমি। তাদের সঙ্গে ছিলেন সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল ব্যারিস্টার সুমাইয়া আজিজ ও জামিউল হক ফয়সাল। আসামিপক্ষে ছিলেন আইনজীবী এস এম শাহজাহান ও আইনজীবী শিশির মনির।

গত ১০ ফেব্রুয়ারি বহুল আলোচিত বুয়েট শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদ হত্যা মামলার মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিদের আপিল ও ডেথ রেফারেন্সের শুনানি শুরু হয়।

২০১৯ সালের ৬ অক্টোবর রাতে বুয়েটের শের-ই-বাংলা হলে আবরার ফাহাদকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়। এ ঘটনায় ১৯ জনকে আসামি করে পরের দিন ৭ অক্টোবর চকবাজার থানায় একটি হত্যা মামলা করেন নিহতের বাবা বরকত উল্লাহ। মাত্র ৩৭ দিনে তদন্ত শেষ করে একই বছরের ১৩ নভেম্বর চার্জশিট দাখিল করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) পরিদর্শক মো. ওয়াহিদুজ্জামান।

পরে ২০২১ সালের ৮ ডিসেম্বর বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদ হত্যা মামলায় ২০ জনের মৃত্যুদণ্ড ও ৫ জনের যাবজ্জীবনের আদেশ দেন আদালত। ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল-১ এর বিচারক আবু জাফর মো. কামরুজ্জামানের আদালত এ রায় ঘোষণা করেন।

মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলো, বুয়েট ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মেহেদী হাসান রাসেল (সিই বিভাগ, ১৩তম ব্যাচ), সাংগঠনিক সম্পাদক মেহেদী হাসান রবিন (কেমিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগ, ১৫তম ব্যাচ), তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক অনিক সরকার অপু (মেকানিক্যাল ইঞ্জনিয়ারিং, ১৫তম ব্যাচ), সাহিত্য সম্পাদক মনিরুজ্জামান মনির (ওয়াটার রিসোর্সেস ইঞ্জিনিয়ারিং, ১৬তম ব্যাচ), ক্রীড়া সম্পাদক মেফতাহুল ইসলাম জিয়ন (মেরিন ইঞ্জিনিয়ারিং, ১৫তম ব্যাচ), উপসমাজসেবা সম্পাদক ইফতি মোশাররফ সকাল (বায়োমেডিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং, ১৬তম ব্যাচ), সদস্য মুনতাসির আল জেমি (এমআই বিভাগ), সদস্য মোজাহিদুর রহমান (ইইই বিভাগ, ১৬তম ব্যাচ), সদস্য হোসেন মোহাম্মদ তোহা (এমই বিভাগ, ১৭তম ব্যাচ), সদস্য এহতেশামুল রাব্বি তানিম (সিই বিভাগ, ১৭তম ব্যাচ), শামীম বিল্লাহ (মেরিন ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগ, ১৭তম ব্যাচ), মাজেদুর রহমান মাজেদ (এমএমই বিভাগ, ১৭তম ব্যাচ), খন্দকার তাবাক্কারুল ইসলাম তানভীর (মেকানিক্যাল, ১৭তম ব্যাচ), মুহাম্মদ মোর্শেদ-উজ-জামান মণ্ডল জিসান (ইইই বিভাগ, ১৬তম ব্যাচ), এস এম নাজমুস সাদাত (এমই বিভাগ, ১৭তম ব্যাচ), মোর্শেদ অমর্ত্য ইসলাম (এমই বিভাগ, ১৭তম ব্যাচ), মিজানুর রহমান (ওয়াটার রিসোসের্স, ১৬ ব্যাচ), শামছুল আরেফিন রাফাত (মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং), উপ-দপ্তর সম্পাদক মুজতবা রাফিদ (কেমিকৌশল) এবং এসএম মাহামুদ সেতু (কেমিকৌশল)।

যাবজ্জীবন দণ্ডপ্রাপ্ত ৫ আসামি হলেন, বুয়েট ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি মুহতাসিম ফুয়াদ (১৪ তম ব্যাচ, সিই বিভাগ), গ্রন্থনা ও প্রকাশনা সম্পাদক ইসতিয়াক আহমেদ মুন্না (মেকানিক্যাল, তৃতীয় বর্ষ), আইন বিষয়ক উপ-সম্পাদক অমিত সাহা (সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং), সদস্য আকাশ হোসেন (সিই বিভাগ, ১৬তম ব্যাচ) ও মোয়াজ আবু হোরায়রা (সিএসই, ১৭ ব্যাচ)।

এরপর ২০২২ সালের ৬ জানুয়ারি বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদ হত্যা মামলায় ২০ জনের মৃত্যুদণ্ড অনুমোদনের জন্য ডেথ রেফারেন্স ও মামলার নথি হাইকোর্টে আসে। ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল-১ থেকে ৬ হাজার ৬২৭ পৃষ্ঠার ডেথ রেফারেন্স ও মামলার যাবতীয় নথি হাইকোর্টের ডেথ রেফারেন্স শাখায় পাঠানো হয়।

Header Ad
Header Ad

সুযোগ পেলেই ড. ইউনূসকে শূলে চড়াই : সারজিস আলম  

ছবিঃ সংগৃহীত

সুযোগ পেলেই আমরা অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূসকে শূলে চড়াই বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) উত্তরাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম।

শুক্রবার (১৪ মার্চ) রাতে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক প্রোফাইলে দেওয়া এক স্ট্যাটাসে তিনি এ মন্তব্য করেন।

সারজিস আলম লিখেছেন, অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে আমরা প্রশ্নবানে জর্জরিত করি। যেটা না সেটাও বলি। কিন্তু বিগত ৭ মাসে ২০০’র অধিক আন্দোলন আর হঠাৎ করে সব ক্ষেত্রে তীব্র বৈষম্য অনুভূত হওয়া জাতিকে নিয়ে তিনি যে কাজগুলো করছেন, সেগুলোর জন্য তার প্রতি কৃতজ্ঞতা জানানোটাও জরুরি।

তিনি আরও লিখেছেন, এই অন্তর্বর্তীকালীন সরকার সর্বশেষ ৬ মাসে দেশি-বিদেশি ঋণ পরিশোধ করেছে ৬২ হাজার কোটি টাকা। দেশের রেমিট্যান্স প্রবাহ বেড়ে ১৮.৪৯ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে পৌঁছেছে। যা গতবছরের এই সময়ের তুলনায় ৪ বিলিয়ন বেশি। এ ছাড়া দেশের রিজার্ভ বেড়ে হয়েছে ২ হাজার ১৪০ কোটি ডলার।

জাতীয় নাগরিক পার্টির উত্তরাঞ্চলের এই মুখ্য সংগঠক লিখেছেন, এই রমজানে খাদ্যপণ্যের দাম বাড়ার আশঙ্কাকে আশ্চর্যজনকভাবে হ্যান্ডেল করেছে ইন্টেরিম সরকার। হাসিনা ও তার পরিবারের একাউন্ট থেকেই উদ্ধার করেছে ৬৩৫ কোটি টাকা। দেশের খাদ্যপণ্যে ভর্তুকি বেড়েছে প্রায় ১২ শতাংশ। গত ২২ মাসের তুলনায় সর্বনিম্ন মুদ্রাস্ফীতি হয়েছে এই ফেব্রুয়ারিতে। 

তিনি লিখেছেন, ধর্ষণের তদন্ত ১৫ দিন এবং বিচার ৯০ দিনের মধ্যে করার সিদ্ধান্ত হয়েছে। আওয়ামী আমলে অর্থনৈতিক কেলেঙ্কারির কারণে বাফুফের ওপর ফিফা নিষেধাজ্ঞা দিয়েছিল৷ বাফুফের ওপর সেই নিষেধাজ্ঞা তুলে নিয়েছে ফিফা। সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়স ৩০ থেকে ৩২ করা হয়েছে।

স্কুলের বইগুলোতে হাসিনার উল্টাপাল্টা সিলেবাস আর পারিবারিক তোষামোদির গল্প বাদ দিয়ে সাজানো গোছানো সিলেবাস দেওয়া হচ্ছে উল্লেখ করে সারজিস আরও লিখেছেন, এখন থেকে প্রাথমিকের প্রধান শিক্ষকেরা পাবেন দ্বিতীয় শ্রেণির গেজেটেড কর্মকর্তার মর্যাদা।

তিনি আরও লিখেছেন, সর্বশেষ জাতিসংঘের মহাসচিব ৪ দিনের জন্য বাংলাদেশ সফরে এসেছেন। গুতেরেসের সফর এই সরকারের ওয়ার্ল্ডওয়াইড রিকগনিশন বাড়াবে৷ তাছাড়া জাতিসংঘ মহাসচিব বলেছেন আগামী বছর মিয়ানমারে রোহিঙ্গাদের ফিরিয়ে নিয়ে সেখানে তাদের সঙ্গে ইফতার করতে চান! 

প্রশ্ন রেখে সারজিস লিখেছেন, ভাবতে পারেন? অনেক কিছু বলা সহজ। গাইলানো সহজ৷ নির্বাচন দ্রুত চাওয়াও সহজ৷ হাসিনার রেখে যাওয়া ধ্বজভঙ্গ অর্থনীতিকে যে কারো জন্য এসে ঠিক করতে ঘাম ছুটে যেতো। পারতো কি না সেটা নিয়েও ঢের সন্দেহ আছে। উপরন্তু, অর্থনীতি, দ্রব্যমূল্য, মুদ্রাস্ফীতি ঠিক রাখতে না পারলে ক্ষমতায় আসলেও যে টিকতে মুশকিল হবে, এটা রাজনৈতিক দলগুলো ভালো করেই জানে।

এনসিপির এই কেন্দ্রীয় নেতা লিখেছেন, ইউনূস সাহেব হয়তো হিমশিম খাচ্ছে অনেক কিছু করতে। ধ্বজভঙ্গ একটা দেশ আর ব্যক্তি স্বার্থকেন্দ্রিক একটা জাতিকে ঠিক করতে। তারপরও অনেক কিছু করছে এবং করবে। প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনূস, অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা হিসেবে দায়িত্ব পালন করতে আপনি যদি সম্মত না হতেন তাহলে দ্বিতীয় অন্য কোনো ব্যক্তিকে আমরা সেই জায়গায় তখন চিন্তা করতে পারিনি। আপনার সঙ্গে তুলনা তো নয়ই। 

সবশেষে তিনি লিখেছেন, বাংলাদেশ অবশ্যই আপনার প্রতি কৃতজ্ঞ থাকবে।

 

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

এশিয়ার ১০টি সহ ৪৩ দেশের বিরুদ্ধে ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা দিচ্ছে ট্রাম্প
আবরার ফাহাদ হত্যা মামলা: হাইকোর্টের রায় রবিবার
সুযোগ পেলেই ড. ইউনূসকে শূলে চড়াই : সারজিস আলম  
শিশুকে যৌন হয়রানি, ডিম বিক্রেতাকে পুলিশে সোপর্দ
আছিয়ার ধর্ষকদের দ্রুত বিচার ও স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার পদত্যাগ দাবিতে মশাল মিছিল  
রাষ্ট্র এখনো পরিপূর্ণ স্বাধীন হয়নি, অনেক পথ বাকি আছে : মাহফুজ আলম  
শপথ নিলেন কানাডার নতুন প্রধানমন্ত্রী মার্ক কার্নি  
দুপুরে জাতিসংঘের মহাসচিব সঙ্গে বৈঠক করবেন বিএনপির  
দুই বিভাগে ঝড়ের পূর্বাভাস, নদীবন্দরে সতর্কতা  
শেখ হাসিনার চাচাতো ভাই সেখ জুয়েল এখন বিধান মল্লিক  
লাখো রোহিঙ্গার সঙ্গে ইফতার করলেন প্রধান উপদেষ্টা ও জাতিসংঘ মহাসচিব
দোল উৎসবে বন্ধ থাকছে বেনাপোলে আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম
কেউ দেশবিরোধী চক্রান্তে লিপ্ত হলে দেশের মানুষ কঠোর হস্তে দমন করবে: মামুনুল হক
সেনাবাহিনীর অভিযানে ৩৮৩ ছিনতাইকারী-চাঁদাবাজ গ্রেফতার
‘যমুনা রেল সেতু’ উদ্বোধন  ১৮ মার্চ, প্রধান অতিথি রেলপথ সচিব
বিশ্বে প্রথমবার স্বর্ণের দাম আউন্সপ্রতি ৩ হাজার ডলার
আমরা যথেষ্ট ভাগ্যবান, কারণ আমাদের সমুদ্র আছে : প্রধান উপদেষ্টা
রোহিঙ্গারা মিয়ানমারে ফিরে যেতে চায়: জাতিসংঘ মহাসচিব
আওয়ামী লীগ নেত্রী রূপালি গ্রেফতার
অনলাইনে ট্রেনের টিকিট পেতে আধা ঘণ্টায় ২০ লাখ হিট