রবিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৫ | ৭ বৈশাখ ১৪৩২
Dhaka Prokash

ধারাবাহিক উপন্যাস: পর্ব-২

বিষাদ বসুধা

 

সোহওয়ার্দী উদ্যানের ঠিক মাঝখানে দাঁড়িয়ে আছেন আরেফিন। তিনি ছাড়া উদ্যানে আর দ্বিতীয় মানুষ নেই। ভরদুপুরে উদ্যানে আরো মানুষ থাকার কথা। অনেকেই গরমের উত্তাপ সইতে না পেরে উদ্যানে গাছের ছায়ায় জিরিয়ে নেয়। তরুণ ছেলেমেয়েরাও প্রেম করতে যায় উদ্যানে। আজ কেন নেই তা তিনি বুঝতে পারছেন না। তিনি চোখ বন্ধ করে স্থির হয়ে দাঁড়িয়ে আছেন। তিনি তার নিজের জীবন, তার স্ত্রীর জীবন এবং সংসার জীবন নিয়ে ভাবেন।

দাম্পত্য জীবনে পা দেয়ার পর তার মনে হয়, জীবনটা একেবারে শেকলে বাঁধা। বাধাধরা জীবন। এই জীবন তার জন্য নয়। কেন তিনি শুধু শুধু একটা মেয়েকে ভালোবাসলেন; তাকে বিয়ে করলেন! বিয়ের আগেও যদি কোনোভাবে বুঝতে পারতেন তাহলে তিনি বিয়েই করতেন না।

আরেফিন ভাবেন, তিনি একটা ছোট পরিবারের সন্তান। তার বাবা প্রকৃত অর্থেই চাষা। তার মা পড়ালেখা না জানা এক গৃহিনী। তিনি ছাড়া পরিবারের আর কারো অক্ষরজ্ঞান নেই। গণ্ডমুর্খ বললেও ভুল বলা হবে না। আরেফিন গোবরে পদ্মফুলের মতো। স্রেফ মেধার গুণে উতরে গেছেন। তার উচিত ছিল, ছোট পরিবারের একটা মেয়েকে বিয়ে করা। তা না করে তিনি বিয়ে করেছেন বড় ঘরের মেয়েকে। শুধু বড় ঘরে বললে ভুল হবে, দুই পরিবারের মধ্যে ব্যবধান আকাশ আর পাতাল।

মোহিনীর বাবা মোহসীন আহমেদ ধর্নাঢ্য ব্যবসায়ী। ঢাকা শহরের তার তিনচারটা বাড়ি। বেশ কয়েকটা ফ্ল্যাট। গ্রুপ অব কোম্পানির মালিক। তবে পরিবারটাকে দেখলে বোঝা যায় না। ঢাকা বিশ্ব বিদ্যালয়ে পড়ার সুবাদে মোহিনীর সঙ্গে তার পরিচয়। মোহিনী কেন জানি আরেফিনকে ভালোবেসে ফেলে। আরেফিনের আপত্তি সত্ত্বেও তিনি তাকে বিয়ে করেন। মোহিনীকে বার বার তার পারিবারিক অবস্থা সম্পর্কে বলতে চেয়েছেন। কিন্তু মোহিনী কোনো কথা শুনতে চাননি। তিনি বলেছেন, আমি তো তোমাকে বিয়ে করব। তোমার পরিবারকে নয়। পরিবার দেখে কি লাভ?

আরেফিন বিয়ের পর থেকে অস্বস্তিবোধ করতে থাকে। বিয়ের পর মোহিনীকে নিয়ে যে গ্রামে যাবে তা হয়ে ওঠেনি। কারণ আরেফিনের মা-বাবা কিংবা ওর ঘরবাড়ি দেখলে মোহিনীর কি প্রতিক্রিয়া হবে তা চিন্তা করেই তার অস্থির সময় কাটে। নিজেকে বড় ছোট মনে হয় আরেফিনের। মোহিনীর পাশে তাকে বড়ই বেমানান মনে হয়। তাছাড়া সে যে চাকরি করে সেটাও মোহিনীদের স্ট্যাটাসের সঙ্গে যায় না।

মোহিনী আরেফিনকে কয়েকবারই বলেছিলেন, তাদের সু ফ্যাক্টরিতে তাকে যোগ দিতে। কিন্তু মোহিনী যে প্রতিষ্ঠানের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সে প্রতিষ্ঠানে তিনি সাধারণ একজন কর্মকর্তা হয়ে কি করবেন? তাই তিনি যোগ দেননি। যদিও মোহিনী বলেছিলেন, তোমাকে প্রথমে কাজটা শিখতে হবে। ব্যবসাটা বুঝতে হবে। আত্মস্থ করতে হবে। নিজের আয়ত্তে নিতে হবে। ব্যবসাটাকে নিজের মনে করতে হবে। তারপর তোমাকে এই প্রতিষ্ঠানের পরিচালক হিসেবে আমরা নিয়োগ দিতে পারি। তার আগে নয়।

মোহিনীর এই প্রস্তাবে রাজি হননি আরেফিন। তিনি বলেছেন, আমি আসলে ব্যবসা বুঝি না। ব্যবসায় মন বসাতে পারব না। লাভক্ষতির হিসাব আমার ভালো লাগে না। আমি আমার নিজের মতো করেই কাজ করি। দেখি আমি কতটা কি করতে পারি।

আরেফিনের অগ্রগতি মন্থর। তিনি আগাচ্ছেন খুব ধীরে। এতে তার ভেতরে হতাশা তৈরি হয়। তিনি হীনমন্নতায় ভোগেন। নিজেকে বড় ছোট মনে হয় তার। আরেফিন যে ফ্ল্যাটটিতে থাকেন সেটি মোহিনীর কেনা। বনানীতে আড়াই হাজার বর্গফুটের ফ্ল্যাটটি দুজনের জন্য বেশ বড়ই বলা চলে। তাদের একটি গাড়ি আছে। সেটিও মোহিনীর কেনা। বাসার বাজার আসে মোহিনীদের বাসা থেকে।
মোহিনীর বাবা মোহসীন আহমেদ প্রতি মাসে নিজের এবং মেয়ের জন্য বাজার করেন। ফলে বাসার ব্যাপারে আরেফিনকে মোটেই ভাবতে হয় না। এটাই যেন আরেফিনের কাল হয়েছে। কথায় বলে না, অধিক সুখ সবার কপালে সয় না। আরেফিনও অধিক সুখে কেমন যেন হয়ে গেছে। ছোট পরিবার থেকে উঠে এলে মনটাও বুঝি ছোটই থাকে। ছোটলকিপনা থেকেই যায়।

আরেফিন নীচু মানসিকতার গণ্ডি থেকে বের হতে পারছেন না। চেষ্টা করেও তিনি ব্যর্থ হয়েছেন। তিনি চেয়েছিলেন, সবকিছু ভুলে মোহিনীকে মনেপ্রাণে ভালোবাসবেন। তাকে গভীর ভালোবাসায় আগলে রাখবেন। কিন্তু যতই দিন যাচ্ছে ততই যেন দূরত্ব বাড়ছে। এটা আরেফিনের ইচ্ছাকৃত না নয়। মানসিক দূরত্ব থেকে শারীরিক দূরত্ব তৈরি হচ্ছে। বেশ কিছুদিন ধরে তারা কেউ কাউকে আদর করেন না। গভীর আবেগ জড়িয়ে ধরেন না। ঠোটে ঠোট, শরীরে শরীর মেলান না। অথচ তাদের এখন ভরা যৌবন।

আরেফিন হাত পা ছড়িয়ে মাঠের মধ্যে বসেছেন। সিগারেট ধরিয়ে কয়েকটা টান দিয়ে আকাশের দিকে কুন্ডলী পাকিয়ে ধোঁয়া ছাড়ছেন। তারপর আবার চুপচাপ বসে আছেন। সিগারেট দুই আঙুলের ফাঁকে চেপে ধরে আছেন। ধীরে ধীরে সিগারেট জ্বলছে। হঠাৎ এক পাগলা ধরনের লোক এসে তার সামনে দাঁড়িয়েছে। তার মাথায় দুটি বিশালাকারের জট। মুখভর্তি দাড়ি। জীবনে কখনো সেভ করেছে কি না কে জানে। দেখে মনে হয় না। গায়ে কাপড় খুব একটা নেই। হয়তো কখনো গোসলও ঠিকমতো করে না।

লোকটা আরেফিনের সামনে কিছুক্ষণ দাঁড়িয়ে থাকার পর বলল, কিরে তোর সিগারেট তো পুড়ছে। মনটাকেও ওভাবে পোড়াচ্ছিস? এমন করে মন পুড়ে কি হবে? যা যা! বাড়ি যা। মনটাকে শান্ত কর।
আরেফিন বিস্ময়ের দৃষ্টিতে লোকটার দিকে তাকিয়ে আছেন। তার মনে প্রশ্ন, লোকটা তার মনের খবর জানে কিভাবে? তা কি সত্যিই কোনো ঐশ্বরিক ক্ষমতা আছে।

আরেফিন কি মনে করে যেন লোকটার দিকে হাতের সিগারেটটা এগিয়ে দেয়। ততক্ষণে লোকটা ওর সামনে থেকে উধাও। চারদিকে তাকায় সে। কোথাও নেই। নেই তো নেই। কোথায় গেলো লোকটা? চোখের সামনে এতোক্ষণ দাঁড়িয়ে ছিল! আর এখন নেই!

আরেফিন মনে মনে ভাবেন, আমি কি ভুল দেখলাম! না তো!

আরেফিন আবার সিগারেট টানে। একটার পর একটা সিগারেট শেষ করে। কিন্তু মন কিছুতেই স্থির হয় না। ভেতরে ভেতরে কেমন যেন ছটফটানি। হঠাৎ হঠাৎ সবকিছু কেমন খালি খালি লাগে। মাথাটা শূন্য হয়ে যায়।

কিছু সময় পর আরেকজন লোক আরেফিনের সামনে এসে দাঁড়ায়। তার ভাবসাব দেখে মনে হয় কিছু বলতে চায়। কিন্তু আরেফিন তার কথা শুনতে চান না। তিনি আরেকদিকে তাকিয়ে থাকেন। আরেফিন যেদিকে তাকান লোকটা সেদিকে গিয়ে দাঁড়ায়। এক পর্যায়ে বলে, ভাই পকেটে টাকা হবে?

আরেফিন এবার বিস্ময়ের দৃষ্টিতে লোকটার দিকে তাকান। লোকটা তখন তাকে বিনয়ের সঙ্গে বলে, আমি চাইলে আপনার কাছ থেকে মানিব্যাগ ছিনিয়ে নিতে পারি। কিন্তু আমি তা করতে চাই না। কারণ, আপনাকে দেখে বড় অসহায় লাগছে।

আরেফিনের চোখেমুখে আরো বিস্ময়। তার বিস্ময় দেখে লোকটা আবার বলে, আমার ভীষণ ক্ষুধা লাগছে। টানা তিনদিন পেটে কোনো দানাপানি পড়েনি। আর চলতে পারছি না। আমাকে কিছু টাকা দেবেন। ভাত খাবো।
আরেফিন কোনো বাক্য ব্যয় না করে মানিব্যা
গ থেকে পাঁচশ’ টাকার একটি নোট বের করে লোকটার সামনে এগিয়ে দিলেন। লোকটা টাকা হাতে নিয়ে মুচকি হেসে বলল, ধন্যবাদ।

টাকা হাতে পেয়ে লোকটা টিএসসির দিকে চলে গেলো। আরেফিনও আর সেখানে থাকলেন না। তিনি ধীরে ধীরে শাহবাগের দিকে রওয়ানা হলেন। পাগলা লোকটার কথা তার বার বার মনে পড়ছে। লোকটা হঠাৎ এলো আবার চোখের পলকে চলে গেলো। কিন্তু সে যা বলে গেলো তা সত্যিই বিস্ময়কর। আগে কোনোদিন এ ধরনের লোক চোখে পড়েনি।

আরেফিন মনে মনে ভাবেন, ইশ! লোকটাকে যদি পেতাম! যে মনের খবর জানে তার কাছে নিশ্চয়ই মন ভালো করার ওষুধও আছে। আমি যাকে বিয়ে করেছি তার সঙ্গে কি আমার সংসারটা টিকবে? কি জানি। না টিকলে আর কী করা! জোড়াতালি দিয়ে তো আর সংসার টিকানো যায় না।

আরেফিন দীর্ঘ নিশ্বাস ছেড়ে আবার হাঁটতে থাকেন।

আরেফিনের এক বন্ধু সওগাত আলী ঢাকা ক্লাবের সদস্য। তার মোবাইলে ফোন দিয়ে বললেন, সওগাত, তুই আছিস তো! আমি কিন্তু আসছি।

সওগাত আলীর সঙ্গে কথা শেষ করে মোবাইল বন্ধ করলেন। পরপর পকেটে ঢুকিয়ে ঢাকা ক্লাবের দিকে এগিয়ে গেলেন। এর আগেও বেশ কয়েকবার তিনি ঢাকা ক্লাবে গিয়েছেন। কিন্তু সেগুলো ছিল লাঞ্চ কিংবা ডিনার পার্টি। আজ যাচ্ছেন মদ খেতে। সওগাতকে আগে থেকেই তিনি বলে রেখেছেন। সওগাত আলীও প্রস্তুতি নিয়েই এসেছেন।

সওগাত আলী আরেফিনের বিশ্ববিদ্যালয়ের বন্ধু। লেখাপড়া শেষ করে তিনি ব্যবসা শুরু করেন। এখন বেশ কয়েকটা গার্মেন্টসের মালিক। ঢাকা ক্লাব, গুলশান ক্লাবসহ বেশ কয়েকটি ক্লাবের সদস্য। টাকা পয়সা প্রচুর। প্রতিদিন সন্ধ্যায় কোনো না কোনো ক্লাবে তিনি আড্ডায় বসেন। সেই বন্ধু অনেকবার আরেফিনকে ক্লাবে দাওয়াত দিয়েছেন। তিনি যাননি। আজ নিজেই তিনি বন্ধুর কাছে ক্লাবে আসার ব্যাপারে আগ্রহ প্রকাশ করেছেন।

সওসাত আলী ক্লাবে আরেফিনের জন্য অপেক্ষা করছেন। এরমধ্যে কয়েকবার ফোনে তাদের যোগাযোগ হয়েছেন। ক্লাবে গিয়ে অভ্যর্থনার সামনে দাঁড়াতেই সওগাত আলী তার কাছে এগিয়ে যান। তাকে হাসিমুখে অভ্যর্থনা জানান। দুজন করমর্দন ও কোলাকুলি দুই-ই করেন। তারপর ক্লাবে ঢোকেন। দুই বন্ধু গল্প করেন আর মদ গেলেন। আরেফিন একে বলে পাগলা পানি। সেই পাগলা পানি উদরে পড়তে না পড়তেই অল্প কথা বলার মানুষ আরেফিনের মুখে যেন খই ফোটে। অবাক বিস্ময়ে সওগাত আলী আরেফিনকে দেখেন। আর মনে মনে বলেন, আমার বন্ধু হঠাৎ এতো কথা বলছে! হুম! বুঝেছি, পেটে মদ পড়লে বন্ধুর হুঁশ থাকে না। মুখ দিয়ে শুধু কথা বের হয়।

সওগাত আলী বন্ধুর কাছে জানতে চান মোহিনী সম্পর্কে। কেমন চলছে মোহিনী আর আরেফিনের সংসারজীবন। তারা সুখে আছে নাকি দুঃখে। এরমধ্যেই দুজনের অবস্থা ঢুলু ঢুলু। পাগলা পানির প্রভাব শুরু হয়ে গেছে। মাথাটা কেমন ঘুরতে শুরু করে। পেটের কথা কী আর পেটে থাকে! মোহিনীর সঙ্গে তার খারাপ সম্পর্কের কথা জানায় বন্ধুকে। শুরু থেকেই যে তাদের বনিবনা হচ্ছে না তা সবিস্তারে বলতে থাকেন। সওগাত আলী নিজের স্ত্রীর বিষয়ে নানা কথা বলে। উভয়েই উভয়ের স্ত্রীর বিষয়ে বলে যেন সীমাহীন আনন্দ উপভোগ করেন।

অন্যের কাছে স্ত্রীর বদনাম করে যে এতো আনন্দ পাওয়া যায় তা আরেফিন আজ প্রথম টের পেলেন।

 

চলবে...

 

আরও পড়ুন:

বিষাদ বসুধা: পর্ব-১

 

 

Header Ad
Header Ad

একনেকে ২৪ হাজার কোটি টাকার ১৬ প্রকল্প অনুমোদন

ছবি: সংগৃহীত

জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটি (একনেক) ২৪ হাজার ২৪৭ কোটি ২৪ লাখ টাকা ব্যয়ে ১৬টি উন্নয়ন প্রকল্প অনুমোদন দিয়েছে। রোববার (২০ এপ্রিল) পরিকল্পনা কমিশনের এনইসি সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত একনেক সভায় এ অনুমোদন দেওয়া হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন প্রধান উপদেষ্টা ও একনেক চেয়ারপারসন অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস।

সভা-পরবর্তী সংবাদ সম্মেলনে পরিকল্পনা উপদেষ্টা ড. ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ জানান, চট্টগ্রাম বন্দরের সক্ষমতা বৃদ্ধির জন্য সাড়ে ১৩ হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে বে টার্মিনাল নির্মাণ প্রকল্পসহ মোট ১৬টি প্রকল্প অনুমোদন পেয়েছে। এসব প্রকল্প বাস্তবায়নে মোট ব্যয় হবে ২৪ হাজার ২৪৭ কোটি ২৪ লাখ টাকা। এর মধ্যে সরকারি অর্থায়ন ৩ হাজার ১ কোটি ৩৪ লাখ টাকা, প্রকল্প ঋণ ১৬ হাজার ৭১৯ কোটি ৭৩ লাখ টাকা এবং সংশ্লিষ্ট সংস্থার নিজস্ব অর্থায়ন ৪ হাজার ৪২৬ কোটি ১৭ লাখ টাকা।

এ সময় উপদেষ্টা ড. ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ বলেন, পায়রা সমুদ্র বন্দর প্রকল্পে সঠিকভাবে অগ্রগতি না থাকায় এটি “সমুদ্র বন্দরও হবে না, খালের বন্দরও হবে না” - এমন মন্তব্য করেছেন তিনি।

সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন আইন উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল, পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন, স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী, শিল্প ও গৃহায়ন উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খান, বিদ্যুৎ উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান, নৌ ও শ্রম উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) ড. এম সাখাওয়াত হোসেন, সমাজকল্যাণ উপদেষ্টা শারমীন এস মুরশিদ, পরিবেশ উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান এবং শিক্ষা উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. চৌধুরী রফিকুল আবরার। এছাড়া বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা সভায় অংশগ্রহণ করেন।

Header Ad
Header Ad

বিগত ৩ নির্বাচনের সঙ্গে জড়িতদের বিচার চায় এনসিপি

ছবি: সংগৃহীত

আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকাকালীন অনুষ্ঠিত বিগত তিনটি জাতীয় সংসদ নির্বাচনের সঙ্গে জড়িতদের বিচার দাবি করেছে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)। দলটির মুখ্য সমন্বয়ক নাসীরউদ্দীন পাটওয়ারী বলেন, গত ১৫ বছরে জনগণের ভোটাধিকার হরণ করা হয়েছে। এজন্য নির্বাচনের সঙ্গে জড়িত প্রার্থীদের, নির্বাচন কমিশনের কর্মকর্তাদের এবং যারা অনিয়মে যুক্ত ছিল, তাদের তদন্ত করে বিচার করতে হবে।

রোববার প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দিনের সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ দাবি জানান। তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ দেশকে ফ্যাসিস্ট কাঠামোয় নিয়ে গেছে এবং মানুষের ভোটাধিকার হরণ করেছে, যার দায় নির্বাচন কমিশনেরও রয়েছে।

বৈঠকে এনসিপির পক্ষ থেকে আরো কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ প্রস্তাব তুলে ধরা হয়। এর মধ্যে রয়েছে—মনোনয়নপত্র জমা দিতে সশরীরে আসার বিধান প্রবর্তন, প্রার্থীদের হলফনামা যাচাই-বাছাই করে সত্যতা নিরূপণ, নির্বাচনে সহিংসতা রোধে আচরণবিধি সংস্কার, ঋণখেলাপিদের প্রার্থিতা বাতিল, প্রবাসীদের ভোটাধিকার নিশ্চিত করা এবং রাজনৈতিক দলের অভ্যন্তরীণ গণতন্ত্র মনিটরিং করা।

এছাড়া একই নামে একাধিক দলের নিবন্ধন, অফিসবিহীন দলকে বৈধতা দেওয়া এবং এসব বিষয়ে সংস্কার কমিশনের সুপারিশ বাস্তবায়নের দাবি জানানো হয়। এনসিপি মনে করে, এসব বাস্তবায়ন না হলে অবাধ, সুষ্ঠু ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন সম্ভব নয়।

প্রধান নির্বাচন কমিশনারের সঙ্গে অনুষ্ঠিত বৈঠকে এনসিপির মুখ্য সমন্বয়ক নাসীরউদ্দীন পাটওয়ারীর নেতৃত্বে পাঁচ সদস্যের প্রতিনিধি দল অংশ নেয়। প্রতিনিধি দলে ছিলেন যুগ্ম আহ্বায়ক অনিক রায়, খালেদ সাইফুল্লাহ, মুজাহিদুল ইসলাম শাহিন ও তাজনুভা জাবীন।

Header Ad
Header Ad

এপ্রিলে ১৯ দিনেই প্রবাসীদের পাঠানো রেমিট্যান্স ২১ হাজার কোটি টাকা ছাড়াল

ছবি: সংগৃহীত

চলতি এপ্রিল মাসের প্রথম ১৯ দিনেই দেশে রেকর্ড পরিমাণ রেমিট্যান্স পাঠিয়েছেন প্রবাসীরা। বাংলাদেশ ব্যাংকের সর্বশেষ হালনাগাদ প্রতিবেদনে জানা গেছে, ১৯ এপ্রিল পর্যন্ত প্রবাসীরা ১৭১ কোটি ৮৭ লাখ মার্কিন ডলার দেশে পাঠিয়েছেন। ডলারপ্রতি ১২২ টাকা ধরে যার পরিমাণ প্রায় ২০ হাজার ৯৬৮ কোটি ১৪ লাখ টাকা।

রেমিট্যান্সের বড় একটি অংশ এসেছে বেসরকারি ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে—৯৮ কোটি ৫৪ লাখ ২০ হাজার ডলার। এছাড়া রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন ব্যাংকের মাধ্যমে এসেছে ৬৩ কোটি ৯৭ লাখ ডলার, বিশেষায়িত ব্যাংকগুলো দিয়ে ৯ কোটি ২ লাখ ৬০ হাজার ডলার এবং বিদেশি ব্যাংকের মাধ্যমে এসেছে ৩৩ লাখ ৫০ হাজার ডলার।

এর আগেও চলতি বছরের মার্চ মাসে দেশে এক মাসে ইতিহাসের সর্বোচ্চ রেমিট্যান্স আসে—৩২৮ কোটি ৯৯ লাখ ৮০ হাজার ডলার। জানুয়ারি ও ফেব্রুয়ারিতেও যথাক্রমে ২১৯ কোটি ও ২৫২ কোটি ৮০ লাখ ডলার রেমিট্যান্স পাঠিয়েছেন প্রবাসীরা।

বিশেষজ্ঞদের মতে, সরকার ঘোষিত প্রণোদনা, ডলারের ভালো বিনিময় হার এবং রমজান ও ঈদ উপলক্ষ্যে প্রবাসীদের বাড়তি পাঠানোর প্রবণতা—এসব কারণে রেমিট্যান্স প্রবাহ বেড়েছে। বাংলাদেশ ব্যাংক আশা করছে, এপ্রিল শেষে এই প্রবাহ ৩৫০ কোটি ডলারের বেশি হতে পারে, যা নতুন একটি রেকর্ড হবে।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

একনেকে ২৪ হাজার কোটি টাকার ১৬ প্রকল্প অনুমোদন
বিগত ৩ নির্বাচনের সঙ্গে জড়িতদের বিচার চায় এনসিপি
এপ্রিলে ১৯ দিনেই প্রবাসীদের পাঠানো রেমিট্যান্স ২১ হাজার কোটি টাকা ছাড়াল
দুইবারের বেশি প্রধানমন্ত্রী না হওয়া নিয়ে বিএনপির অভিমত
ফাইয়াজের মামলায় আইন মন্ত্রণালয়ের এখতিয়ার নেই: আসিফ নজরুল
ভারতের উত্তরপ্রদেশে এক ছাত্রীকে ৭ দিন ধরে আটকে ২৩ জন মিলে ধর্ষণ!
বিরামপুরে পিকআপের ধাক্কায় এসএসসি পরীক্ষার্থীর মর্মান্তিক মৃত্যু
টাঙ্গাইলের ভূঞাপুরে যুবলীগ কর্মী মিঠু গ্রেফতার
ওয়াকফ সংশোধনী আইন নিয়ে উত্তাল মুসলিম সমাজ, হায়দ্রাবাদে গণবিক্ষোভ
ফকিরাপুলে গ্যাস লিকেজ থেকে বিস্ফোরণে একই পরিবারের ৩ জন দগ্ধ
আল-আকসা ভেঙে মন্দির স্থাপনের পরিকল্পনা ফাঁস, ফিলিস্তিনের সতর্কবার্তা
শেখ হাসিনা-কাদেরসহ ৪৫ জনের বিরুদ্ধে গণহত্যার প্রমাণ মিলেছে: চিফ প্রসিকিউটর
স্বাস্থ্যখাতের উন্নয়নে ১৩৮ মিলিয়ন ডলার দেবে চীন : স্বাস্থ্য উপদেষ্টা
আইপিএলে অভিষেক ম্যাচেই তিন রেকর্ড গড়লেন ১৪ বছরের বৈভব সূর্যবংশী
৩ মে ঢাকায় মহাসমাবেশের ডাক হেফাজতে ইসলামের
আজ স্বামীর প্রশংসা করার দিন
ইসরায়েলি অভিনেত্রী থাকায় নিষিদ্ধ হলো সিনেমা
রাজধানীর ডেমরা ও মিরপুরে আওয়ামী লীগের ঝটিকা মিছিল
জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে দ্বিতীয় দফায় বৈঠকে বিএনপি
যশোরের শার্শায় অস্ত্রসহ দুই ছিনতাইকারী আটক