রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪ | ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

প্যাপিরাসের পুরোনো পাতা, পর্ব: ১০

একদিন একরাত আসোয়ানে নীল নদের উপরে ভেসে থাকলেও ফিলাই এবং আবু সিম্বেলের পুরাকীর্তি এবং শহরের প্রধান সড়ক ছাড়া তেমন কিছুই দেখা হয়নি। আসোয়ান ছেড়ে যাবার পরেই প্রথম দেখলাম নীলের তীরে বহুতল ভবন, সুদৃশ্য মসজিদ এবং সবুজ গাছপালার ওপারে শহরের সীমানা ছাড়িয়ে  দূরে ধূসর পাহাড়ের সারি। আসোয়ান থেকে জলপথে লাক্সরের দূরত্ব দুশ কিলোমিটারের কিছু বেশি। 

ছবি: নীলনদ থেকে আসোয়ান

নীলের উৎপত্তি নিয়ে বিভ্রান্তি আছে। লেক ভিক্টোরিয়া নাকি লেক অ্যালবার্ট, কোথায় থেকে মূলধারা প্রবাহিত হয়েছে, তা খুঁজে বের করতে পণ্ডিতেরা কয়েক শতক থেকেই বিস্তর ঘোরাঘুরি এবং গবেষণা করে চলেছেন। এতোসব খোঁজ খবর না নিয়ে সোজাসুজি বলতে পারি আমরা এখন যাচ্ছি দক্ষিণ থেকে উত্তরে ভূমধ্য সাগরের দিকে, সেখানেই শেষ পর্যন্ত নীল নদের বয়ে চলার পরিসমাপ্তির ঘটেছে। সারা জীবন পদ্মা মেঘনা যমুনাসহ দেশের সকল ছোট বড় নদীকে উত্তর থেকে দক্ষিণে বয়ে যেতে দেখেছি। অন্য অনেক দেশেই দানিয়ুব, ভ্লাতাভা, রাইন কিংবা হাংগাং কোনো দিকে প্রবাহিত হচ্ছে ভেবে দেখিনি, ফলে আমার ধারণা ছিল পৃথিবীর সব নদীই বোধয় দক্ষিণে বয়ে যায়। কিন্তু এই প্রথম উত্তরে ভাটির দিকে ভেসে যাচ্ছি। 

ডাইনিং হলে টেবিলে বসে খেতেই দেখছিলাম নদীপারের দৃশ্য। শহর থেকে দূরে সরে যেতেই খেজুর গাছের সারি, ফসলের ক্ষেত এবং অনেক দূর পর্যন্ত বিস্তৃত ঝোপঝাড় লতাগুল্মের জঙ্গল নীল নদের দুই পাড় সবুজে ছেয়ে রেখেছে। আমাদের দেশের নদীর মতো পাড়ভাঙা ঢেউ নেই, ফলে পাড়ে কোনো ভাঙনের চিহ্ন নেই। নদী তীরে ধু ধু বালুর চর চোখে পড়ে না। তবে কোথাও কোথাও চারিদিকে জল পরিবেষ্টিত চরভূমি জেগে আছে, সেখানেও লক্ষ করা যায় সবুজের সমারোহ। নদীর কূল ঘেষে ঘাস জাতীয় উদ্ভিদের ডগায় অজ্র ফুল ফুটে আছে। কাশফুলের মতো দীর্ঘ সারিতে সবুজের ডগায় ফোটা ফুল আকারে ছোট হলেও সুন্দর এই পুষ্পসম্ভার নদীর দিকে ঝুঁকে পড়েছে। কোথাও ঘন বন বিস্তুত হয়ে বহুদূর চলে গেছে আবার কোথাও ঘাসে ভরা মাঠে গরু ছাগল, এমন কি গোটাকয়েক ঘোড়া মনের সুখে কচি ঘাস চিবিয়ে পেট ভরাচ্ছে। পাশ দিয়ে ভেসে যাওয়া জাহাজের দিকে তাদের কোনো ভ্রুক্ষেপ নেই। ছোট জলযান ফালুকার যাত্রীরাও হয়তো ঈর্ষাবশত আমাদের বড় জাহাজের যাত্রীদের দিকে ফিরে তাকায় না। তবে বড় কোনো জাহাজ পাশ দিয়ে যাবার সময় যাত্রীরা হাত নাড়ে, তাদের হৈ চৈ শোনা যায়।

ছবি: কোম ওম্বো মন্দির

প্রায় সোয়া দুই ঘণ্টা ভেসে চলার পরে হঠাৎ করেই চোখের সামনে দেখা দিল কোম-ওম্বো মন্দির। ফারাও রাজত্বকালের অন্যান্য মন্দিরের তুলনায় কোম-ওম্বোর তফাৎ হলো এটি সম্রাট  বা সম্রাজ্ঞীর উদ্দেশ্যে নয় বরং উৎসর্গ করা হয়েছিল কুমির দেবতার উদ্দেশ্যে। কোম-ওম্বো কথাটির আভিধানিক অর্থ ‘সোনার পাহাড়’। টলেমির রাজত্বকালে আসোয়ান ও এডফুর মাঝখানে কোম ওম্বো নগরী অর্থনৈতিক দিক থেকে বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছিল। তবে পরবর্তী সময়ে বন্দরটি তার সেই অবস্থান ধরে রাখতে পারেনি। ঘাটের সাথেই পুরাকীর্তি কোম-ওম্বো মন্দির। কাজেই টুইয়া ঘাটে ভেড়ার পরপরই নেমে পড়েছিলাম। আমাদের নতুন গাইড মোস্তফা যখন শিক্ষার্থীদের ইতিহাসের পাঠ দিচ্ছেন, তখন কয়েক ধাপ সিঁড়ি বেয়ে উপরে উঠে দেখলাম জাহাজের অনেকেই লাইন ধরে প্রত্ম এলাকায় ঢুকে পড়ছে। আমি ঢুকতে গিয়ে বাধা পেলাম, টিকেট প্লিজ! আগে খেয়াল করিনি, সবার হাতেই ভেতরে যাবার ছাড়পত্র। এখানে ঢুকতেও টিকেট কিনতে হবে নিশ্চয়ই। আবার কয়েক ধাপ নেমে টিকেট ঘরের সামনে দাঁড়িয়ে ভাবছি, টিকেট কিনে ঢুকে পড়বো, নাকি গাইডের জন্যে অপেক্ষা করবো, এই সময় মোস্তফা তার দলবলসহ হাজির। মোস্তফা নিজেই আমাদের হয়ে প্রবেশপত্র সংগ্রহ করার পরে বুঝলাম, এটির আমাদের প্যাকেজের অন্তর্ভূক্ত, অর্থাৎ কুমিরের মন্দির দেখতে এসে একশ চল্লিশ পাউন্ড দিয়ে টিকেট কিনে ফেলাটা নেহায়েতই নির্বোধের কাজ হতো।  

ছবি:পিলারের ফাঁকে চাঁদ

কোম-ওম্বো মন্দির চত্বরে সন্ধ্যাবাতি জ্বলে উঠেছে। বিভিন্ন কোন থেকে সুপরিকল্পিতভাবে আলো ফেলে দর্শকের কাছে আকর্ষণীয় করে উপস্থাপন করা হয়েছে পুরো প্রত্ম-এলাকা। মোস্তফা তার আরবি ভাষাভাষিদের পর্যটকদের উদ্দেশ্যে বয়ান দিতে শুরু করে আমরা ডান দিকের বিপুল স্তম্ভগুলোকে পাশ কাটিয়ে সামনে এগোতে শুরু করলাম। কোম-ওম্বোর বর্তমান মন্দিরটি  যিশুখ্রিস্ট জন্মের ২০৫ থেকে ১৮০ বছর আগে সম্রাট পঞ্চম টলেমির সময়কালের। রোমানদের রাজত্বকাছে কিছু সংস্কারও করা হয়েছে। এরও অন্তত হাজারখানেক বছর আগে রাজা তৃতীয় তুথমোসিস এবং রাণী হাতসেপসুর শাসনামলে এই জায়গাতেই আরো একটি মন্দির ছিল বলে জানা গেছে। তবে ধ্বংসাবশেষের অস্তিত্ব থাকলেও আজকাল গবেষকরা ছাড়া কেউ আর তার খোঁজ করে না। কোম-ওম্বোর দ্বৈত মন্দিরের সবচেয়ে আকর্ষণীয় বিষয় হলো এর দুপাশে বিস্তৃত পুরোপুরি সিমেস্ট্রিক্যাল ডিজাইন। প্রাচীন মিশরিয় স্থাপত্যের বৈশিষ্ট্য অনুসারে কেন্দ্রীয় অক্ষের দুপাশে একই ধরনের হলঘর এবং কক্ষের অবস্থান। এর কারণ হলো মন্দিরটি ব্যবহার হতো দুটি দেবতার উপসানায়। একদিকে কুমির মাথাওয়ালা দেবতা সোবেক আর অন্য দিকে রাজ্যের প্রথম আরাধ্য দেবতা বাজপাখির মাথাওয়ালা হোরাস দ্য এলডার। এ ছাড়া চাঁদের দেবতা খনসু এবং দেবী হাথরও জায়গা করে নিয়েছেন মন্দিরে, তবে তাদের অবস্থান সম্ভবত গৌণ! 

ছবি: সুদৃশ্য ম্যূরাল 

আমরা মূল হলঘরের ডাইনের পথ ধরে চিত্রিত দেয়ালগুলো ধরে সামনে এগিয়ে যাই। এক জায়গায় ছোট্ট প্রকোষ্ঠ লোহার শিক দিয়ে ঘেরা, তবে ভেতরে দৃশ্যমান কিছু নেই। হয়তো কখনো কোনো দেবতা বা দেবী মূর্তি ছিল। সেখান থেকে বাঁ দিকে ঘুরে আরো দু-তিনটি একই ধরনের ছোট ছোট কক্ষ দেখে হলঘরের পেছন দিক থেকে ভেতরে ঢুকে পড়ি। চমৎকার আলোক বিন্যাসের কারণে সব জায়গা থেকেই পুরো ভবন, বিশাল স্তম্ভের সারি এবং বিশেষ করে দেয়ালে ও পিলারে সুক্ষ্ম সুদৃশ্য রিলিফের কাজ খুব ভালো দেখা যায়। ভবনের ভেতরটা আলোকিত থাকলেও উপরের দিকে তাকালে চোখে পড়ে পিলারের ফাঁকে গাঢ় নীল আকাশে আলো ছড়াচ্ছে সপ্তমীর চাঁদ। 

ছবি: চিত্রিত পিলার ও দেয়াল

মন্দিরের মাঝখানের অংশ দশটি সুদৃশ্য চিত্রিত স্তম্ভ দিয়ে ঘেরা একটি চত্বর। এখানে দেয়ালগুলোতে সংরক্ষিত রিলিফ এবং ম্যূরালে  সে যুগের ইতিহাস, নানা অকথিত কথা এবং দৃশ্য উৎকীর্ণ করা। রিলিফের কাজে প্রধান বিষয়বস্তু হিসাবে তুলে ধরা হয়েছে দেবতাদের উদ্দেশ্যে টলেমিক সম্রাটদের নৈবেদ্য উপহার। দৃশ্য সজ্জায় সিলিংগুলোও বাদ যায়নি। স্তম্ভ শীর্ষে চোখে পড়ে ফুলের পাপড়ি কিংবা পাতার কারুকাজ এবং সিলিংয়ে উড়ন্ত শকুনির পেইন্টিং। রাজকীয় প্রবেশ পথের পাশে বাহান্ন লাইনে দীর্ঘ ইতিকথা লেখা আছে হাইরোগ্লিফিক লিপিতে। সে ভাষা পড়ে কার সাধ্য! অতএব আমরা ইতিহাসের পাঠ বাদ দিয়ে ডান দিকের দেয়ালে বাজপাখির মাথাওয়ালা হোরাস এবং বাঁ দিকের দেয়ালে কুমিরের মাথাওয়ালা সোবেকের নানা রূপ দেখে সামনে এগেয়ে যাই। এক সুন্দরী তরুণী চত্বরের মাঝখানে বর্গাকার বেদীর চারিদিকে ঘুরে ঘুরে দেখছিল। আসলে দেখছিল নাকি কোনো মন্ত্র উচ্চারণ করছিল জানি না। এইসময় মোস্তফা কোথাও থেকে তার দুই দুবাই এবং দুই মরোক্কো সঙ্গে করে এসে হাজির। একটি দেয়ালে লম্বা সারিতে উৎকীর্ণ করা ফারাও যুগের ক্যালেন্ডার দেখিয়ে সে তার ইতিবৃত্ত বর্ণনা করছিল। কিন্তু মোস্তফার আরবি উচ্চারণের ইংরেজি আর কিছুটা অতিকথনের জন্য তার বেশিরভাগ কথাই আমার মাথায় ঢোকেনি। 

ছবি: নিলোমিটার

প্রফেশনাল গাইড হলেও মোস্তফার কথায় আস্থা রাখা কঠিন। মন্দিরের বাইরে পূর্ব দিকের চত্বরে চৌবাচ্চার মতো একটি বাধানো জলাধারের কাছে দাঁড়িয়ে সে জানালো, ‘এই যে এটাই হচ্ছে ক্লিপেট্রার সুইমিংপুল। কোম-ওম্বোতে থাকাকালীন এখানেই সাঁতার কাটতেন সম্রাজ্ঞী ক্লিওপেট্রা।’ সে এতোটাই নিশ্চয়তার সাথে কথাটা বলছিল যেনো ক্লিওপেট্রার জলকেলির সময় মোস্তফা স্বয়ং সেখানে উপস্থিত ছিল। তার কথিত সুইমিংপুলের দৈর্ঘ্য-প্রস্থ দেখে এটাকে বড়জোর বাথটাব বলা যেতে পারে। রানাভাই বিস্তর পড়াশোনা করা মানুষ। তিনি ধরে বসলেন, ‘ক্লিওপেট্রা কি তার জীবদ্দশায় কখনো কোম-ওম্বোতে এসেছিলেন? কবে কোন রাজত্বের আমলে?’ আসলে ক্লিওপেট্রা দ্য সেভেন্থ টলেমি রাজবংশের কন্যা হয়েও কখনো তাঁর আদি পিতৃভূমিতে এসেছিলেন কিনা সে সম্পর্কে কোনো নিশ্চিত তথ্য পাওয়া যায় না। তবে জনপ্রিয় মিথ হিসাবে স্থানীয় গাইডেরা ক্লিওপেট্রার কাহিনি বলতে উৎসাহিত বোধ করে আর পর্যটকেরাও আনন্দ পান। ফলে মোস্তফার কাছে কোনো স্বদুত্তর পাবার আশা না করে আমরা মন্দিরের উত্তর পশ্চিম কোনার দিকে এগিয়ে গেলাম।     উত্তর পশ্চিম কোণে রয়েছে একটি বৃত্তাকার কুয়া যা নীল নদের জওর স্তর পরিমাপের জন্য নিলোমিটার হিসাবে ব্যবহার করা হতো। নীলের বন্যার সময় এই প্রযুক্তি প্রাচীন মিশরে ফসল উৎপাদন ও সেচ ব্যবস্থানার ক্ষেত্রে সাফল্যের সাথে কাজে লাগানো হয়েছে। সে যুগে নীল নদের পানির স্তর দেখে বন্যা খরার সময় ফসলের উৎপাদন অনুমান করে কৃষকদের উপর কম বা বেশি ট্যাক্স আরোপ করা হতো। রানাভাইয়ের তথ্য থেকে বোঝা গেল নিলোমিটার সম্পর্কে তিনি আগে থেকেই পড়াশোনা করে এসেছেন। কাজেই মোস্তফার বিবরণ শোনার চেয়ে কূপের চারিদিকে ঘুরে এবং ভেতরে উঁকি দিয়ে দেখে এর কর্মপদ্ধতি বোঝার বৃথা চেষ্টা করে কিছুক্ষণের মধ্যে আমরা বাইরের পথে পা বাড়ালাম।

মন্দির চত্বরের বাইরে পূর্ব ও পশ্চিম উভয় দিকের চলাচলের পথে দেয়ালেও রয়েছে মিশরীয় এবং রোমান দেবতাদের রিলিফের কাজ। এ সব কাজ ভেতরের সুক্ষ্ম ও শৈল্পিক কাজের তুলনায় অনেকটা সাদামাটা, তাছাড়া অনেক কাজই মনে হয় অসমাপ্ত। বাইরের উত্তর পশ্চিম দেয়ালে দেবতার চরণতলে হাঁটুগেড়ে বসা এক রোমক সম্রাটের অর্ঘ্য নিবেদনের স্বাভাবিক চিত্রের পাশাপাশি কিছু চিকিৎসা সরঞ্জামের দৃশ্য বিস্ময় সৃষ্টি করে। এইসব দৃশ্যচিত্র থেকে খ্রিষ্ট জন্মের কয়েক শত বছর আগের চিকিৎসা ব্যবস্থা কতোটা উন্নত ছিল এবং এই উৎকর্ষ স্থায়ীভাবে সংরক্ষণের গুরুত্ব অর্জন করেছিল তা ধারণা করা যায়। 

ছবি: কুমিরের জাদুঘরে 

 

মূল কোম ওম্বো টেম্পল থেকে বেরিয়ে যাবার মুখেই হাতের ডাইনে মিউজিয়াম অফ ক্রোকোডাইলস। পশু-পাখির চিড়িয়াখানা বা মমি করা জীবজন্তু দেখার ব্যাপারে আমার তেমন আগ্রহ নেই। তারপরেও কুমিরের জাদুঘরের কুমির তো আর যে সে কুমির নয়, কুমির দেবতা, তাও আবার আড়াই থেকে তিন হাজার বছরের পুরোনো! জাদুঘরে ঢুকতে ভিন্ন করে টিকেটও কিনতে হবে না, অতএব ঢুকেই পড়লাম ক্রোকোডাইল মিউজিয়ামে। এতোদিন পবিত্র উট এমন কি মহাপবিত্র উটের কাফেলার কখা শুনেছি। এখানে এসে প্রথমবারের মতো পবিত্র কুমিরের দর্শন পেলাম। পরম পূজনীয় কুমির দেবতা  সোবেক মানুষের মনে ভীতি এবং সম্ভ্রম ছড়ানো  অন্যসব দেবতার মতোই ফারাওদের ক্ষমতার প্রতীক। কুমিরের জাদুঘরে পাথর বা ধাতব পদার্থে তৈরি বিভিন্ন নানা আকার আকৃতির কুমিরের সমাবেশ ঘটেছে। কুমির দেবতার সমাধিতে অথবা দেবতার উদ্দেশ্যে নির্মিত মন্দিরের অলঙ্কৃত প্রস্তরফলকে সোবেকের প্রতিকৃতি এবং নিবেদনকারী ভক্ত আশেকানের নামসহ সংক্ষিপ্ত প্রার্থনা খোদাই করে লেখার রীতিও চালু ছিল। কোম-ওম্বোর মন্দির এবং আশেপাশের এলাকা থেকে উদ্ধার করা শতিনেক কুমিরের মমির মধ্যে থেকে বেশ কয়েকটা এই কুমিরের মিউজিয়ামে ঠাঁই পেয়েছে। 

কুম্ভীর দর্শন শেষ করে আমরা যখন বাইরের চত্বরে এসে দাঁড়ালাম তখন আমাদের নির্ধারিত সময় শেষ, তারপরেও রানাভাইয়ের দেখা নেই। মোস্তফা তাড়া দিচ্ছিল, জাহাজ ছেড়ে যাবার নির্ধারিত সময় পার হয়ে গেছে। আগের অভিজ্ঞতা থেকে জানি, আমরা ফিরে না যাওয়া পর্যন্ত টুইয়া অপেক্ষা করবে। অবশেষে কুমিরের জাদুঘর থেকে রানাভাই যখন বেরিয়ে এলেন তখন টি-শার্ট, স্কার্ফ এবং চিত্রিত প্যাপিরাসের বিক্রেতারা ‘ইন্ডিয়া ইন্ডিয়া’ বলে আমাদের ঘিরে ধরলো। আমরাও ‘নো ইন্ডিয়া নো ইন্ডিয়া’ বলে তার পাশ কাটিয়ে জাহাজে উঠে পড়লাম। জাহাজ ছাড়লো আরো অনেক পরে, তখন আমাদের নৈশ্যভোজের সময় হয়ে গেছে। 

 


চলবে...     

প্যাপিরাসের পুরোনো পাতা, পর্ব: ৯

প্যাপিরাসের পুরোনো পাতা, পর্ব: ৮

প্যাপিরাসের পুরোনো পাতা, পর্ব: ৭

প্যাপিরাসের পুরোনো পাতা, পর্ব: ৬

প্যাপিরাসের পুরোনো পাতা, পর্ব: ৫

প্যাপিরাসের পুরোনো পাতা, পর্ব: ৪

প্যাপিরাসের পুরোনো পাতা, পর্ব: ৩

প্যাপিরাসের পুরোনো পাতা, পর্ব: ২

প্যাপিরাসের পুরোনো পাতা, পর্ব: ১

Header Ad

গোপনে দুইজনকে বিয়ে, কাউকেই অধিকার বঞ্চিত করেননি জান্নাতুল

ছবি: সংগৃহীত

একইসঙ্গে দুই স্বামীর সঙ্গেই সংসার করছেন জান্নাতুল ফেরদৌস নামের এক নারী। স্ত্রীর অধিকার থেকে বঞ্চিত করেননি দুই স্বামীর কাউকেই। গোপনে মন জয় করে চলছিলেন দুই স্বামীর। প্রায় দুই বছর দুই স্বামীর সংসার করার পর অবশেষে বিষয়টি জানাজানি হলে এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।

চার বছরের প্রেমের সম্পর্কের পর ২০২২ সালের ২৭ অক্টোবর নোটারি পাবলিকের কার্যালয়ে হলফনামার মাধ্যমে গোপনে বিয়ে করেন রাজবাড়ী সদরের আলীপুর ইউনিয়নের ইন্দ্রনারায়ণপুর গ্রামের আবু হানিফ শেখের ছেলে ইউটিউবার সাগর শেখ ও আলীপুর গ্রামের নুরুল ইসলাম ভূঁইয়ার মেয়ে জান্নাতুল ফেরদৌস।

বাবা, মা ও ভাই প্রবাসে থাকায় বাবার বাড়িতে একাই বসবাস করতেন জান্নাতুল। সেখানে যাতায়াত করতেন স্বামী সাগর শেখ। সংসার জীবন ভালোই চলছিল এ দম্পতির। হঠাৎ জান্নাতুলের বাবা প্রবাস থেকে দেশে ফেরায় শ্বশুরবাড়ি যাতায়াত বন্ধ হয়ে যায় সাগরের। এরই মধ্যে প্রথম বিয়ের কথা গোপন রেখে পরিবারের সিদ্ধান্তে অন্য এক যুবককে দ্বিতীয় বিয়ে করেন জান্নাতুল।

এদিকে স্ত্রীকে আনুষ্ঠানিকভাবে নিজের বাড়িতে তুলে না নেয়ায় শ্বশুরবাড়ি গিয়ে স্ত্রীর সঙ্গে নিয়মিত সময় কাটান জান্নাতুলের দ্বিতীয় স্বামী। প্রথম স্বামী সাগরের দাবি, প্রায় দুই বছর ধরে তার সঙ্গেও স্বামী-স্ত্রীর সম্পর্ক ঠিক রেখে চলছিলেন জান্নাতুল।

স্ত্রীর পরিবার তাকে মেনে না নেয়ায় তার বোনের বাসাসহ বিভিন্ন স্থানে একান্তে সময় কাটাতেন স্বামী-স্ত্রী। চলতি মাসের ২ নভেম্বর তারা একসঙ্গে নিজেদের দ্বিতীয় বিবাহবার্ষিকী পালন করেছেন বলেও দাবি করেন সাগর।

তবে দুই সপ্তাহ আগে স্ত্রীর সঙ্গে দ্বিতীয় স্বামীর ঘনিষ্ঠতার বিষয়ে জানতে পারেন সাগর। আর এতেই বাঁধে বিপত্তি। তার সঙ্গে যোগাযোগ বন্ধ করে দেন জান্নাতুল। এখন দ্বিতীয় স্বামী নিয়েই সংসার করতে আগ্রহী তিনি। বাধ্য হয়ে স্ত্রীকে ফিরে পেতে স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদে অভিযোগ দায়েরের পাশাপাশি আদালতে মামলা করেছেন সাগর।

সাগর শেখ বলেন, জান্নাতুল ও আমার বিয়ের বিষয়টি জান্নাতুলের মা ও বোন জানতো। বিয়ের পর আমাদের সংসার জীবন ভালোই কাটছিল। তবে হঠাৎ করে জান্নাতুলের বাবা প্রবাস থেকে দেশে ফেরায় তাদের বাড়িতে আমার যাতায়াত বন্ধ হয়ে যায়। আমাদের বিয়ের চার মাসের মাথায় আমি ভিডিও কন্টেন্ট তৈরির কাজে কয়েকদিনের জন্য রাজবাড়ীর বাইরে যাই।

কাজ থেকে এসে শুনি আমার স্ত্রী জান্নাতুল অন্য এক ছেলেকে বিয়ে করেছে। আমি আমার স্ত্রীকে প্রশ্ন করলে সে বলে, ‘পরিবারের চাপে বিয়ে করেছি। ওই ছেলের সঙ্গে আমার কোন সম্পর্ক হয়নি। আমি তোমার স্ত্রী আছি, তোমারই থাকবো। আমার আম্মু দেশে আসলে আমি তোমার কাছে চলে আসবো।’

সাগর বলেন, ‘আমি জান্নাতুলদের বাড়ি যাতায়াত করতে না পারার কারণে বিভিন্ন সময় আমরা রাজবাড়ী শহরে আমার বোনের বাসায় ঘনিষ্ঠ সময় কাটাতাম। ওর কলেজে আনা-নেয়াসহ সবকিছু আমিই করতাম। এমনকি গত ২ নভেম্বরও আমরা আমার বোনের বাসায় আমাদের দ্বিতীয় বিবাহ বার্ষিকী পালন করেছি।

তবে বিবাহ বার্ষিকী পালনের দুদিন পরে আমি জানতে পারি জান্নাতুলের সঙ্গে ওই ছেলের (দ্বিতীয় স্বামীর) ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক চলছে। ওই ছেলে নিয়মিত জান্নাতুলের বাবার বাড়িতে এসে তার সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সময় কাটাচ্ছে। এ বিষয়ে আমি জান্নাতুলকে প্রশ্ন করলে সে আমাকে গালাগালি করে যোগাযোগ বন্ধ করে দেয়। এক পর্যায়ে সে আমার সঙ্গে সংসার করবে না বলেও জানায়।’

তিনি বলেন, ‘সম্প্রতি জান্নাতুলের মা প্রবাস থেকে দেশে ফিরেছে। তিনিও এখন আমাকে মেয়ের জামাই হিসেবে অস্বীকার করছেন। অথচ তার মেয়ের সঙ্গে আমার প্রেম থেকে শুরু করে বিয়ে পর্যন্ত সবকিছুই তিনি জানতেন।

এখন বাধ্য হয়ে আমি আমার স্ত্রীকে ফিরে পেতে আলীপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানের কাছে গত ১১ নভেম্বর লিখিত অভিযোগ করেছি। এছাড়া ১৭ নভেম্বর রাজবাড়ীর বিজ্ঞ ১নং আমলি আদালতে মামলা করেছি।’

সাগর আরও বলেন, ‘আমাকে ডিভোর্স না দিয়ে আমার স্ত্রী অন্য আরেকজনকে বিয়ে করে আমার সঙ্গে প্রতারণা করেছে। সে আমাকেও ম্যানেজ করে চলেছে, একইভাবে তার দ্বিতীয় স্বামীকেও ম্যানেজ করে চলেছে।

এটা আইন ও ধর্মীয় দুই দিক থেকেই অপরাধ। এছাড়া আমি এ পর্যন্ত আমার স্ত্রীর পেছনে ২৫ থেকে ৩০ লাখ টাকা ব্যয় করেছি। তারপরও আমি আমার স্ত্রীকে ফেরত চাই। তাকে আমি আমার জীবনের চেয়েও বেশি ভালোবাসি।’

এদিকে, বিষয়টি নিয়ে ক্যামেরার সামনে কথা বলতে রাজী হননি জান্নাতুলের দ্বিতীয় স্বামী। তবে তার দাবি, জান্নাতুলের সঙ্গে সাগরের প্রেমের সম্পর্ক ছিল বলে তিনি জানতেন। সাগরের সঙ্গে বিয়ের বিষয়টি তিনি জানতেন না।

জান্নতুলের দ্বিতীয় স্বামীর বাবা বলেন, ‘কোন এক সূত্রে আমার শ্বশুর জান্নাতুলদের বাড়িতে বেড়াতে গিয়ে তাকে পছন্দ করে। পরে আমি গিয়ে তার বাবার কাছে বিয়ের প্রস্তাব দিলে বিয়ের দিন ধার্য হয়। বিয়ের আগের দিন সাগর নামে এক ছেলে আমার ছেলেকে ফোন করে বলে জান্নাতুলের সঙ্গে তার প্রেমের সম্পর্ক আছে।

সে জান্নাতুলের সঙ্গে নিজের একটি ছবিও আমার ছেলেকে পাঠায়। এরপর আমি ওই এলাকায় আমার আত্মীয়দের কাছে খোঁজ নিয়ে জানতে পারি জান্নাতুলের সঙ্গে সাগরের কোন সম্পর্ক ছিল না। এছাড়া জান্নাতুলকেও আমি সরাসরি প্রশ্ন করলে সেও সম্পর্কের বিষয়টি অস্বীকার করে।

পরে ঘরোয়া আয়োজনে জান্নাতুলের সঙ্গে আমার ছেলের বিয়ে হয়। এখন সাগর নামে ছেলেটি জান্নাতুলকে তার স্ত্রী হিসেবে দাবি করছে। আমি যতদূর জেনেছি সাগরের স্ত্রী ও সন্তান আছে। এখন বিষয়টি আইনগতভাবেই সমাধান হবে।

আর জান্নাতুল ফেরদৌসের সঙ্গে কথা বলতে তার বাবার বাড়িতে গেলে ভেতরে ঢোকার অনুমতি মেলেনি।’

বাইরে দাঁড় করিয়ে রেখে তার মা হাচিনা বেগম বলেন, ‘সাগরের সঙ্গে আমার মেয়ের বিয়ে হয়েছিল৷ তবে বিয়ের দুই মাসের মাথায় তাদের ডিভোর্স হয়ে যায়। আমার মেয়ে তো ছোট বুঝে নাই, যে কারণে সেসময় ওরা ডিভোর্সের কাগজ ছিঁড়ে ফেলেছে। এর ৪/৫ মাস পরে আমার মেয়ের আবার বিয়ে হয়েছে। সাগর আমার মেয়েকে চাপে ফেলে এতোদিন তার সঙ্গে সময় কাটাতে বাধ্য করেছে।’

আলীপুর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান আবু বকর সিদ্দিক জানান, ‘সাগর ও জান্নাতুলের বিবাহ বিচ্ছেদ হলে তার নোটিশের একটি কপি ইউনিয়ন পরিষদে আসার কথা। এরকম কোন কপি কখনো পাননি তারা।’

তিনি বলেন, ‘সাগর আমার ইউনিয়ন পরিষদে অভিযোগ করেছে। আমিও খোঁজ নিয়ে জানতে পেরেছি সাগর জান্নাতুলের প্রথম স্বামী। সে সাগরকে তালাক না দিয়েই বিয়ের চার মাসের মাথায় অন্য এক ছেলেকে বিয়ে করে। প্রায় দুই বছর সে চালাকি করে দুই স্বামীর সঙ্গেই সংসার করেছে। সাগরের কাছ থেকে জান্নাতুল অনেক টাকা-পয়সা খেয়েছে বলেও আমি জানতে পেরেছি।’

আবু বক্কার বলেন, ‘সাগরের অভিযোগের ভিত্তিতে আমি জান্নাতুলের বাবাকে নোটিশের মাধ্যমে ইউনিয়ন পরিষদে ডাকি। তবে নোটিশ পেয়ে তিনি তার ছোটভাই ও তাদের এলাকার ইউপি সদস্য আবুল কালামকে সঙ্গে নিয়ে আমার বাড়িতে এসে বলেন, আমি যেন পরিষদে বসে বিষয়টি সমাধান করে দেই। তবে এর ১/২ দিন পরে তিনি জানান, এ বিষয়ে তারা বসতে চান না।

আইনগতভাবে তারা বিষয়টি সমাধান করতে চান। পরে আবার তারা বসতে সম্মত হলে জান্নাতুল ও তার বাবা এবং তাদের এলাকার ইউপি সদস্য আবুল কালামসহ পরিষদের অন্য সদস্যদের নিয়ে বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) সন্ধ্যায় ইউনিয়ন পরিষদে বসেছিলাম। সাগরও সেখানে ছিল। তবে সেখানে জান্নাতুল বলে দিয়েছে সে কোনভাবেই সাগরের সঙ্গে ঘর সংসার করবে না।’

তিনি আরও বলেন, ‘আমাদের পুরুষ শাসিত সমাজে নারীরা নির্যাতিত হয়। কিন্তু ছেলেরা যে কতোটুকু নির্যাতিত হয় তা এই সম্পর্কের জের দেখলে বোঝা যায়। আমাদের সমাজে ছেলেরা আরও বেশি নির্যাতিত হচ্ছে। সেটা নীরবে নিভৃতে ছেলেরা সহ্য করে যাচ্ছে। আমি আশা করবো আপনারা সাংবাদিক ভাইয়েরা বিষয়টি তুলে ধরবেন।

আপনাদের সংবাদের মাধ্যমে মানুষ যাতে সচেতন হতে পারে। আজকে আমার ইউনিয়নে এমন ঘটনা ঘটেছে। আর কোন ইউনিয়নে যেন এমন ঘটনা কোনদিন না ঘটে।’

Header Ad

শহীদ আব্দুল্লাহর বাড়িতে জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় নির্বাহী সদস্য মোবারক হোসেন

ছবি: ঢাকাপ্রকাশ

২৪ এর গনঅভূ্থানে ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম যোদ্ধা, সরকারি শহীদ সোহরাওয়ার্দী কলেজের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের তৃতীয় বর্ষের মেধাবী শিক্ষার্থী, শহীদ আব্দুল্লাহর বাড়িতে যান বাংলাদেশ জামায়াত ইসলামের কেন্দ্রীয় নির্বাহী সদস্য মোবারক হোসেন।

এ সময় মোবাইল ফোনে লাউডস্পিকারে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা.শফিকুর রহমান বলেন, আব্দুল্লাহ দেশের জন্য মানুষের জন্য মানবতার কল্যাণের জন্য জীবনকে উৎস্বর্গ করে আল্লাহর দরবারে চলে গেছেন, আল্লাহ তাকে শহীদ হিসাবে কবুল করুন। শহীদরা মরে না। তারা আল্লাহর জীম্মায় জীবন্ত থাকে। এ সময় শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি সমবেদনা জ্ঞাপন করেন তিনি।

শনিবার (২৩ নভেম্বর) দুপুর ১২ টার দিকে যশোরের বেনাপোল পোর্ট থানার বড় আঁচড়া গ্রামে বাংলাদেশ জামায়াত ইসলামের কেন্দ্রীয় নির্বাহী সদস্য মোবারক হোসেন আব্দুল্লাহর বাড়িতে গিয়ে শোকসন্তপ্ত পরিবারের খোঁজ খবর নেন,কবর জিয়ারত করেন এবং তার রুহের মাগফেরাত কামনা করে দোয়া ও মোনাজাত করেন।

এর আগে তিনি নাভারণ দারুল আমান ট্রাষ্টে ওলামা সম্মেলনে যোগদান করেন। পরে ২০১৬ সালে গুম হওয়া ইসলামি ছাত্র শিবিরে নেতা রেজোয়ানের বাড়িতে যান এবং খোঁজ খবর ও সমবেদনা জানান।

এসময় তিনি জানান, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে মৃত্যু বরনকারী সকলে ন্যায় বিচার পাবেন বলে পরিবারের সদস্যদের সান্তনা দেন। এবং গনঅভূ্থানে নিহত সকল পরিবারের সাথে বাংলাদেশ জামায়াত ইসলাম আছে থাকবে।

এসময় উপস্থিত ছিলেন, কেন্দ্রীয় কর্ম পরিষদ সদস্য মাওলানা আজিজুর রহমান, যশোরের জেলা আমীর অধ্যক্ষ মাওলানা গোলাম রসূল, সাবেক জেলা আমীর মাওলানা হাবীবুর রহমান, জেলা জামায়াতের নেতা মাওলানা আবু জাফর, মাওঃ শিহাব উদ্দিন শার্শা থানা আমীর রেজাউল ইসলাম, সেক্রেটারী মাওলানা ইউসুফ আলী ও ঝিকরগাছা থানা আমীর মাওলানা আসাদুল আলম প্রমূখ।

Header Ad

বিরামপুরে আদিবাসী নারীর লাশ উদ্ধার

ছবি: ঢাকাপ্রকাশ

দিনাজপুরের বিরামপুরে বিশনি পাহান (৫৫) নামের এক আদিবাসী নারীর লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ।

শনিবার (২৩ নভেম্বর) বেলা সাড়ে ১১টায় উপজেলার কাটলা ইউনিয়নের ময়না মোড় এলাকার ধানক্ষেত থেকে ওই নারীর হাতবাঁধা লাশ উদ্ধার করা হয়। নিহত বিশনি পাহান উপজেলার কাটলা ইউনিয়নের বেণুপুর গ্রামের সাধন পাহানের মেয়ে।

নিহতের ভাই চরকা পাহান বলেন, আমার ছোট বোনের স্বামী বিশনি পাহানকে ছেড়ে চলে গেছেন। সে প্রতিরাতেই নেশা করতো। বাবা মারা যাওয়ার পর থেকেই আমার বাড়িতে থাকতো আমার বোন। আমার বোন এলাকায় মানুষের জমিতে কৃষি কাজ করে জীবিকা নির্বাহ করতো। শুক্রবার বিকেলে এলাকার এক ব্যক্তির জমিতে ধান কাটার কাজ শেষ করে আর বাড়িতে ফেরেননি। রাতে অনেক খোঁজাখুঁজির পরও তাকে কোথাও পাওয়া যায়নি। শনিবার সকালে ধানক্ষেতে হাতবাঁধা অবস্থায় তার লাশ পাওয়া যায়।

বিরামপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মমতাজুল হক জানান, এলাকাবাসীর দেওয়া খবরে ঘটনাস্থল থেকে আদিবাসী এক নারীর মরদেহ উদ্ধার করা হয়। তবে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা যাচ্ছে তাকে কে বা কাহারা হত্যা করেছে। তদন্ত করলেই প্রকৃত ঘটনা বেরিয়ে আসবে।

Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

গোপনে দুইজনকে বিয়ে, কাউকেই অধিকার বঞ্চিত করেননি জান্নাতুল
শহীদ আব্দুল্লাহর বাড়িতে জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় নির্বাহী সদস্য মোবারক হোসেন
বিরামপুরে আদিবাসী নারীর লাশ উদ্ধার
বিএনপির কাঁধে অনেক দ্বায়িত্ব: তারেক রহমান
'জাতীয় নির্বাচনের আগে স্থানীয় নির্বাচন হওয়া উচিত'- তোফায়েল আহমেদ
৩ মাসে জ্বালানি খাতে সাশ্রয় হয়েছে ৩৭০ কোটি টাকা : জ্বালানি উপদেষ্টা
জুটি বাধলেন মিঠুন চক্রবর্তী-আফসানা মিমি
দেশ ও মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠায় দ্রুত নির্বাচনের কোনো বিকল্প নেই : তারেক রহমান
২৪ ঘণ্টার মধ্যে বঙ্গোপসাগরে লঘুচাপের আশঙ্কা
অক্টোবরে সড়কে প্রাণ গেছে ৪৭৫ জনের
গায়ানায় দলের সঙ্গে যোগ দিলেন সাকিব
আইপিএল নিলামের আগেই নিষিদ্ধ হলেন ভারতের ২ ক্রিকেটার
গাজীপুরে পিকনিকের বাসে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে ৩ শিক্ষার্থীর মৃত্যু
কবে বিয়ে করবেন জানালেন তামান্না ভাটিয়া
পঞ্চগড়ে ৫০০ টাকায় সন্তান বিক্রি, অতঃপর যা ঘটল...
অ্যান্টিগায় প্রথম দিন শেষে স্বস্তিতে টাইগাররা
সড়ক দুর্ঘটনায় প্রাণ হারালেন পরীমণির প্রথম স্বামী
বিচারের আগে আ.লীগের মাঠে থাকার সুযোগ নেই: উপদেষ্টা নাহিদ
মাকে হত্যার পর থানায় হাজির ছেলে
৮ ক্রিকেটারসহ ৯ জনকে নিষিদ্ধ করলো বিসিবি