শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪ | ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

ধারাবাহিক উপন্যাস: পর্ব-২৭

শরণার্থীর সুবর্ণরেখা

কেউ কেউ চেঁচিয়ে বলে, আমরা সবাই মুক্তিযোদ্ধা।

– না, সবাই মুক্তিযোদ্ধা না। আমরা সবাই শরণার্থী। আমাদেরকে যুদ্ধ করে যোদ্ধা হতে হবে।

– ঠিক, ঠিক। আমরা সবাই যোদ্ধা হব। আমাদের হাতে স্বাধীনতার ফুল ফুটবে।

আমি চেঁচিয়ে বলি, চল চল আমরা এখন যে যার তাঁবুতে যাই। একদিন কেউ কেউ আমরা যশোর রোডে যাব।

– ঠিক বলেছিস। ওখানে গেলে স্বাধীনতার পক্ষে অনেক শিক্ষা পাব।

আমি আর কথা বলিনা। বুকের ভেতর কথা আটকে যায়। স্বাধীনতা লাভের শিক্ষাতো আমাদেরকে প্রতি মুহূর্তে শিখতে হবে। নিজেদের জমিন নিজেদের তৈরি করতে হবে। মনে মনে ভাবি, আমিও যশোর রোডে যাব। তবে কাউকে বলবনা। একা চলে যাব। এখান থেকে অনেকে চলে গেলে এলাকা শূন্য হয়ে যাবে। এটা হতে পারে না। যুদ্ধ করার জন্য সীমান্তের সব এলাকায় যোদ্ধাদের থাকতে হবে। সবার আত্মদানে স্বাধীনতার পতাকা উড়বে।

কয়েকটি দিন যায়। আমি তাকিয়ে থাকি আকাশের দিকে। রাস্তার ধারে দাঁড়িয়ে লোক চলাচল দেখি। আমার সামনে পাহাড়ভরা মাতৃভূমির সবুজ সৌন্দর্যকে বলি, মাগো তোমাকে ভালোবাসা আমার স্বপ্ন। এই ভালোবাসায় খুঁজে নেব মাতৃভূমির স্বাধীনতা। এমন সব ভাবনা বুকের ভেতর জমাট হয়ে থাকে। একদিন পাহাড়ের গাছের মাথায় পতাকা উড়িয়ে আসি। দূর থেকে দেখবে সবাই। বাঙালিরা যেমন দেখবে, পাঞ্জাবি সেনারাও দেখবে। দেখে ওদের চোখ পুড়ে যাবে। আর বাঙালির মাথার ওপর দিয়ে বয়ে যাবে স্বাধীনতার বসন্ত বাতাস। প্রত্যেকে বড় করে শ্বাস টেনে ছড়িয়ে দেবে বাতাসে।

আমার ভাবনায় আনন্দধ্বনি বাজতে থাকে। তিন-চার দিন পর মাকে বলে যশোর রোডে চলে আসি। দেখতে পাই সেদিন ওখানে একজন বিদেশি কবি ঘুরে বেড়াচ্ছে। বিভিন্নজনের সঙ্গে কথা বলার চেষ্টা করছে। যারা ইংরেজি বলতে পারেনা তারা হেসে মুখ ঘুরিয়ে আশেপাশে তাকায়। হাসতে হাসতে হাততালি দেয়। আমি সবার পেছনে গিয়ে দাঁড়াই। শরণার্থী মানুষদের নিয়ে কবিতা লিখবেন তিনি। আমেরিকা থেকে এসেছেন। গর্বে-অহংকারে আমার বুক ভরে যায়। ভাবি, কবির পাশে গিয়ে দাঁড়িয়ে তাকে জড়িয়ে ধরব। পাশের একজনকে একথা বললে ও রেগে ধমক দিয়ে বলে, খবরদার না। এমন কিছু করলে আমাদের কাছে পিটুনি খাবি। তুই কোথায় থেকে এসেছিস? তোকে তো এখানে দেখিনি?

– আমি এখানে থাকিনা। দেখতে এসেছি। আপনারা আমার সঙ্গে এমন আচরণ করছেন কেন? আমিতো আপনাদের মতো শরণার্থী।

– তাতো বুঝতেই পারি। এখনতো এখানে বেড়াতে আসার সময় না।

– আমি কোথায় থাকব?

– আজকে গাছতলায় থাকতে হবে। পরে ইন্ডিয়ান ভাইয়েরা ব্যবস্থা করে দেবে।

– আচ্ছা, ঠিক আছে। আমি ওই বড় গাছটার নিচে থাকব।

– যা, চলে যা। খাবি কি?

– জানিনা। বাতাস খাব।

– হা-হা করে হাসে সবাই। হাসতে হাসতে ইউনুস বলে, বাতাস খেয়ে বাঁচবি?

– বাতাস আমার মুক্তিযুদ্ধ। খেয়ে পেট ভরলে হবে স্বাধীনতা।

– বাব্বা, কথাতো না, কবিতা।

– চল, আমার বাড়িতে চল। তোকে কিছু খাওয়াব। তারপরে গাছতলায় যাবি। একটা মাদুর দেব। পেতে শুয়ে থাকবি।

দুজনে রাস্তা থেকে নেমে যশোর রোডের পাশে গড়ে ওঠা শরণার্থী শিবিরের ভেতর দিয়ে হাঁটতে থাকে। অল্পক্ষণেই দুজনে পৌঁছে যায় তাঁবুর সামনে। ইউসুফ ভেতরে ঢোকে। মুরশিদ বাইরে দাঁড়িয়ে থাকে। চারদিকে শরণার্থী শিবির নিজের বুকে ধারণ করে। যশোর রোড ওর সামনে বিশাল হয়ে ওঠে। নিজেকে বলে, শরণার্থীর ভিড়ে যশোর রোড ভরে গেছে। যুদ্ধ! যুদ্ধ! তখন ইউসুফ বেরিয়ে ওকে তাঁবুর ভেতর নিয়ে বসায়। ওর বউ আমিনা সুজির হালুয়া বানিয়েছে। ওকে খেতে দেয়। মুরশিদ বাটি হাতে নিয়ে আমিনার পায়ে হাত দিয়ে সালাম করে বলে, শরণার্থী জীবনে সুজির হালুয়া খেতে পারব ভাবি নাই।

স্বামী-স্ত্রী দুজনে আনন্দে হাসতে থাকে। মুরশিদ ওদের দিকে তাকিয়ে বলে, এ হাসি স্বাধীনতার। তারপর নিজেও হাসতে শুরু করে।

যশোর রোডে ঘুরে অঞ্জন এখন নিজেকেও শরণার্থী বলে। এখানে আসার আগে পর্যন্ত এমন ধারণা ওর ছিলনা। ভেবেছিল, কলকাতায় চলে যাবে। কলকাতার সল্ট লেকে শরণার্থীদের জন্য আস্তানা হয়েছে। এটা ও কারো কারো কাছে শুনেছে। ওখানে গিয়ে শরণার্থী হবেনা। সাধারণ মানুষের মতো জীবন কাটাবে। বলবে, আমি দেশের স্বাধীনতার জন্য জীবন দেব। আমার কোনো পিছুটান নাই। এখন যশোর রোডে হেঁটে চলে – মানুষের সঙ্গে কথা বলে শরণার্থীর জীবনে নিজেকে ঢোকায়। বলে, এটাই মুক্তিযুদ্ধের সত্য। এই সত্যের বাইরে যাওয়া উচিত না। নিজেকে প্রবলভাবে ধমকায়। বলে, এমন ভাবনা ভাবার কোনো যুক্তি নাই। বদমাইশি করার জায়গা পাস না তুই। এসব ভাবনার মাঝে কপালে হাত দিয়ে বলে, আর ভুল করবনা। আমার সামনে এখন যুদ্ধ ছাড়া আর কোনো সত্য নাই। এটাইতো শরণার্থী জীবন কাটিয়ে ওঠার বড় দিক। দেশ স্বাধীন হলে বীরদর্পে স্বাধীন দেশে ফিরে যাবে।

যশোর রোডে হাঁটতে হাঁটতে একজন ভারতীয় ক্যামেরাম্যান দেখতে পায়। তিনি শরণার্থী শিবিরের বিভিন্ন ছবি তুলছেন। অঞ্জন তার সঙ্গে কথা বলার জন্য তাড়া অনুভব করে। নিজেকে বলে, এইসব ছবি হবে মুক্তিযুদ্ধের সময়ের ডকুমেন্ট। এইসব ডকুমেন্ট স্মৃতির নিঃশ্বাস। ক্যামেরাম্যানের কাছে গিয়ে বলে, ভাই আপনার নাম কি?

– আমার নাম রঘু রাই। আপনার নাম কি?

– অঞ্জন।

– কোথায় থেকে এসেছেন?

– ঢাকা থেকে।

– আপনার বাড়ি কোথায়? আপনিতো বাংলা ভাষায় কথা বলছেন না?

– আমার বাড়ি পাঞ্জাবে। আমি দিল্লিতে থাকি। স্টেটম্যান পত্রিকার ক্যামেরাম্যান। অনেক ছবি তুলেছি। ছাপা হবে পত্রিকায়।

– ও আচ্ছা। আপনার সঙ্গে পরিচিত হয়ে খুশি হলাম।

রঘু রাই ঘাড় নেড়ে নিজের খুশির কথা বলে।

– আপনি এখানে দাঁড়ান একটা ছবি তুলি।

অঞ্জন খুশি হয়ে দাঁড়িয়ে যায়। রঘু রাইয়ের দিকে তাকিয়ে হাসে। রঘু রাই ক্যামেরা তাক করে বলে, হাসবেন না।

অঞ্জন হাসতে হাসতে বলে, শরণার্থী শিবির কি শুধু চোখের জলের তাঁবু? নাকি বেঁচে থাকার আনন্দের জোয়ার? নাকি যুদ্ধের সাহসের বসন্ত-দিন?

চলবে....

এসএ/

শরণার্থীর সুবর্ণরেখা: পর্ব ২৬

শরণার্থীর সুবর্ণরেখা: পর্ব ২৫

শরণার্থীর সুবর্ণরেখা: পর্ব ২৪

শরণার্থীর সুবর্ণরেখা: পর্ব ২৩

শরণার্থীর সুবর্ণরেখা: পর্ব ২২

শরণার্থীর সুবর্ণরেখা: পর্ব ২১

শরণার্থীর সুবর্ণরেখা: পর্ব ২০

শরণার্থীর সুবর্ণরেখা: পর্ব ১৯

শরণার্থীর সুবর্ণরেখা: পর্ব ১৮

শরণার্থীর সুবর্ণরেখা: পর্ব ১৭

শরণার্থীর সুবর্ণরেখা: পর্ব ১৬

শরণার্থীর সুবর্ণরেখা: পর্ব ১৫

শরণার্থীর সুবর্ণরেখা: পর্ব ১৪

শরণার্থীর সুবর্ণরেখা: পর্ব ১৩

শরণার্থীর সুবর্ণরেখা: পর্ব ১২

শরণার্থীর সুবর্ণরেখা: পর্ব ১১

শরণার্থীর সুবর্ণরেখা: পর্ব ১০

শরণার্থীর সুবর্ণরেখা: পর্ব ৯

শরণার্থীর সুবর্ণরেখা: পর্ব ৮

শরণার্থীর সুবর্ণরেখা: পর্ব ৭

শরণার্থীর সুবর্ণরেখা: পর্ব ৬

শরণার্থীর সুবর্ণরেখা: পর্ব ৫

শরণার্থীর সুবর্ণরেখা: পর্ব ৪

শরণার্থীর সুবর্ণরেখা: পর্ব ৩

শরণার্থীর সুবর্ণরেখা: পর্ব ২

শরণার্থীর সুবর্ণরেখা: পর্ব ১

Header Ad

কবে বিয়ে করবেন জানালেন তামান্না ভাটিয়া

ছবি: সংগৃহীত

মিল্ক বিউটিখ্যাত দক্ষিনি অভিনেত্রী তামান্না ভাটিয়া নতুন বছরে তার জীবনের একটি বিশেষ অধ্যায়ে পা রাখতে যাচ্ছেন। খলচরিত্র করে আলোড়ন তোলা অভিনেতা বিজয় ভার্মার সঙ্গে তার প্রেমের গুঞ্জন চলছিল অনেক দিন ধরেই। তবে এ নিয়ে কেউই মুখ খোলেননি। এবার তাদের সম্পর্ক নিয়ে খোলামেলা কথা বলেছেন তামান্না। এমনকি ২০২৫ সালে সাতপাকে বাঁধা পড়ার সম্ভাবনা আছে বলেও ইঙ্গিত দিয়েছেন।

সম্প্রতি ভারতীয় গণমাধ্যমের এক প্রোমোশনাল ইন্টারভিউতে তামান্না তার ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে জানান, প্রেমের সম্পর্কের জন্য জীবনে দুবার হৃদয় ভেঙেছে তার। সেই সময়টা তামান্নার জন্য খুবই ভয়াবহ ছিল।

তিনি আরও জানান, তিনি খুব কম বয়সে একজন ছেলের সঙ্গে প্রথম ভালোবাসায় জড়িয়েছিলেন এবং তার দ্বিতীয় সম্পর্কটি ছিল তার অভিনয় ক্যারিয়ারের শিখরে থাকা অবস্থায়। তবে সে সময় তিনি অনুভব করেন যে, সেই ছেলে তার সঙ্গে দীর্ঘস্থায়ী সম্পর্কের জন্য সঠিক ব্যক্তি নয়।

তবে এত কিছুর পরও বাহুবলিখ্যাত তামান্না প্রেমিকের নাম প্রকাশ করেননি। এর আগে গুঞ্জন ছিল যে, তিনি ভারতীয় অভিনেতা বিজয় ভার্মার সঙ্গে ডেট করছেন। পাপারাজ্জিদের ক্যামেরায় বহুবার ফ্রেমবন্দি হয়েছেন তারা। যদিও নিজেদের এ সম্পর্ক আড়ালে রাখতে বদ্ধপরিকর দুজনই। এখন দেখার অপেক্ষা তামান্না জীবনসঙ্গী হিসেবে কাকে বেছে নেন।

সবশেষ তামান্না ভাটিয়াকে আইটেম গার্ল হিসেবে দেখা যায় অমর কৌশিক পরিচালিত ‘স্ত্রী ২’ সিনেমায়। এ সিনেমায় আরও অভিনয় করেন রাজকুমার রাও, শ্রদ্ধা কাপুর, পঙ্ক ত্রিপাঠিসহ আরও অনেকে।

Header Ad

পঞ্চগড়ে ৫০০ টাকায় সন্তান বিক্রি, অতঃপর যা ঘটল...

ছবি: সংগৃহীত

পঞ্চগড়ে ৫০০ টাকার বিনিময়ে নয় মাসের শিশু সন্তানকে দত্তক দেন শরীফা খাতুন নামে মানসিক ভারস্যমহীন এক মা। বিষয়টি জানতে পেরে গতকাল শুক্রবার (২২ নভেম্বর) সন্ধ্যায় ওই নবজাতককে উদ্ধার করে তার মায়ের কোলে ফিরিয়ে দিয়েছেন সদর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা।

সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জাকির হোসেন বিষয়টি জানতে পেরে পুলিশের সহায়তায় ওই শিশুটিকে তার মায়ের কোলে ফেরত দেন।
মানসিক ভারসাম্যহীন নারী শরীফা খাতুন বোদা উপজেলার ময়দানদিঘী ইউনিয়নের জেমজুট মুসলিমবাগ এলাকায় তিন সন্তানকে নিয়ে ভাড়া বাড়িতে থাকেন। তিনি ভিক্ষাবৃত্তি করে সংসার চালান।

প্রতিবেশী ও পরিবারের সদস্যরা জানান, গত এক বছর আগে স্বামীর সঙ্গে বিচ্ছেদ হয় শরীফা খাতুনের। এর পর সন্তানদের নিয়ে ভিক্ষাবৃত্তি করে চলত তার পরিবার।

গত মঙ্গলবার নিজের ৯ মাসের কন্যা সন্তানকে পঞ্চগড় পৌরসভার দক্ষিণ তেলিপাড়া এলাকায় একটি হলুদ খেতে রেখে ভিক্ষা করতে যান শরীফা খাতুন। এ সময় শিশুটিকে দেখতে পেয়ে উদ্ধার করে স্থানীয় রুনা আক্তার নামে এক নারী; একইসঙ্গে শরীফাকেও নিজ বাড়িতে নেন তিনি। রুনা নামে ওই নারীর নিজ সন্তান না থাকায় শিশুটিকে দত্তক নিতে চাইলে, ৫০০ টাকার বিনিময়ে রেখে চলে যান শরীফা।

এরপর চার দিন পর অবশেষে পুলিশ প্রশাসনের সহায়তায় নিজ পরিবারের কাছে ফিরেছে শিশুটি। বর্তমানে শিশুটিকে দেখভাল করছেন মানসিক ভারসামহীন শরীফার ১৬ বছরের বড় ছেলে নয়ন।

এ বিষয়ে শরীফার ছেলে নয়ন ইসলাম বলেন, গত চার দিন আগে মা বোনকে নিয়ে হঠাৎ পঞ্চগড়ে যান। পরে একসময় বাড়িতে একাই এসে ঘরে তালা লাগিয়ে বন্দি অবস্থায় থাকতে শুরু করেন। বোন কোথায় তা জানতে চাইলে কোনো কিছুই জানাচ্ছিলেন না।

পরে অনেক কৈশলে বোনের অবস্থান জানতে পারি। এরপর সেই বাড়িতে গিয়ে বোনকে ফেরত চাইলে তারা দিতে অস্বীকার করেন। আরও জানতে পারি মা বোনকে নেবেন না বললে তারা ৫০০ টাকা মাকে খেতে দিয়ে একটা কাগজে স্বাক্ষর করে নেন। শুক্রবার সাংবাদিক ও পুলিশ এসে তদন্ত করে আমার বোনকে আনতে নির্দেশ দিলে মাকে সঙ্গে নিয়ে বোনকে বাড়িতে নিয়ে আসি।

স্থানীয় মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, অনেক আগে থেকে ওই নারীকে দেখছি। তিনি ভিক্ষাবৃত্তি করে পরিবার চালান। তবে কয়েকদিন আগে নিজের সন্তানকে মানুষের কাছে দিয়ে প্রায় পাগল হয়ে বেড়াচ্ছিলেন।

কাজলা নামে স্থানীয় এক নারী বলেন, সকালে শরিফা আমার কাছে এসে আমার পা জড়িয়ে ধরেছেন আর বলেছেন আপু যেভাবেই পারো আমার মেয়েকে এনে দাও।

প্রতিবেশীরা বলেন, স্বামী না থাকায় পরিবারটা চালাতে শরীফা খাতুন ভিক্ষা করতেন। এর মাঝে এমন কাণ্ড ঘটে তিনি পাগল হয়ে গেছেন। তার তিনটা সন্তান। একটা ছেলে ও দুটি মেয়ে। এদের কি হবে আমরা জানি না। তবে সরকারি সহায়তা পেলে তাদের গতি হতো।

এ বিষয়ে পঞ্চগড় সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জাকির হোসেন বলেন, আগের বিষয়টি আমাদের কেউ জানায়নি। খবর পাওয়ার পর পঞ্চগড় সদর থানার ওসিকে জানানো হয়। বিষয়টি পুলিশের হস্তক্ষেপে সুষ্ঠু সমাধান করে ভারসাম্যহীন নারীর কাছে তার বাচ্চা ফেরত দেওয়া হয়েছে।

তিনি আরও জানান, যেহেতু ওই নারীর বাড়ি বোদা উপজেলায়, সেখানকার ইউএনওকে জানিয়ে সরকারি সহায়তার ব্যবস্থা করা হবে।

Header Ad

অ্যান্টিগায় প্রথম দিন শেষে স্বস্তিতে টাইগাররা

ছবি: সংগৃহীত

অ্যন্টিগার পেস সহায়ক উইকেটে নতুন বলের বাড়তি সুবিধা বেশ ভালোভাবেই কাজে লাগিয়েছিল বাংলাদেশ। দিনের প্রথম সেশনে দ্রুত দুই উইকেট নিয়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে চাপে ফেলেছিল বাংলাদেশ। কিন্তু সময় গড়াতেই বাংলাদেশের মাথাব্যথার কারণ হয়ে দাঁড়ায় দুই ক্যারিবিয়ান ব্যাটার মিকাইল লুইস ও আলিক অ্যাথানেজকে। জুটি গড়ে দুজনের ছুটতে থাকেন শতকের পথে। কিন্তু দুজনের কারও প্রত্যাশা পূরণ হতে দেয়নি বাংলাদেশ। দিনের শেষভাগে নার্ভাস নাইন্টিতে দুজনকে মাঠ ছাড়া করে প্রথম দিনের ইতি টানে বাংলাদেশ।

টস হেরে শুরুতে ব্যাট করতে নেমে প্রথম দিন শেষে নিজেদের প্রথম ইনিংসে ৫ উইকেট হারিয়ে ২৫০ রান করেছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। শেষ দিকে বৃষ্টি হানা দেয় ম্যাচে। বৃষ্টি থামার পর আলোক স্বল্পতায় ৮৪ ওভার হওয়ার পরই দিনের খেলা শেষ করেন আম্পায়াররা।

টস জিতে বোলিংয়ে নেমে মেডেন ওভারে শুরুটা ভালো করেন হাসান মাহমুদ। অন্যপ্রান্তে আরেক পেসার শরিফুল ইসলামও মেডেন ওভার নেন। উইকেটের দেখা না পেলেও ওয়েস্ট ইন্ডিজের দুই ওপেনার কার্লোস ব্রাথওয়েট ও লুইসকে বেশ কয়েকবার পরাস্ত করেন বাংলাদেশের দুই পেসার।

ইনিংসের অষ্টম ওভারে প্রথমবারের মতো বোলিংয়ে আনা হয় তাসকিন আহমেদকে। এই পেসারই প্রথম ব্রেকথ্রু দেন দলকে। ১৪তম ওভারে তাসকিনের অফ স্টাম্পে পড়ে একটু ভেতরে ঢোকা ডেলিভারিতে ডিফেন্স করেছিলেন ব্রাথওয়েট। তবে ওয়েস্ট ইন্ডিজের অধিনায়কের ব্যাটকে ফাঁকি দিয়ে বল আঘাত হানে পায়ে। বাংলাদেশের ফিল্ডারদের আবেদনে আম্পায়ার সাড়া দেন। যদিও তৎক্ষণাৎ রিভিউ নেন ব্রাথওয়েট। তবে সিদ্ধান্তের পরিবর্তন হয়নি।

তিনে নেমে টিকতে পারেননি কেসি কার্টি। ডানহাতি ব্যাটারকেও ফিরিয়েছেন তাসকিন। উইকেটে আসার পর থেকেই তাড়াহুড়ো করছিলেন তিনি। তাসকিনের মিডল এবং লেগ স্টাম্পের লেংথ ডেলিভারিতে ফ্লিক করার চেষ্টায় লিডিং এজ হয়ে মিড অনে থাকা তাইজুল ইসলামকে ক্যাচ দিয়েছেন কার্টি।

২৫ রানে দুই উইকেট হারানোর পর তৃতীয় উইকেট জুটিতে দলকে পথ দেখান লুইস ও কেভম হজ। তবে হজ ২৫ রান করে রান আউট হয়ে সাজঘরে ফিরলে ভাঙে ৫৯ রানের তৃতীয় উইকেট জুটি।

এরপর বাংলাদেশকে বেশ ভুগিয়েছে লুইস ও আথানজে জুটি। দুজনেই সেঞ্চুরির পথে ছিলেন। তবে সম্ভাবনা জাগিয়েও কেউই মাইলফলক ছুঁতে পারেননি।

ইনিংসের ৭৫তম ওভারে মিরাজের বলে বেরিয়ে এসে ছক্কা মারতে গিয়ে টাইমিংয়ে ভুল করেন লুইস। ব্যাটের কানায় লেগে বল যায় স্লিপে। ক্যাচ নিতে ভুল করেননি শাহাদাত হোসেন দিপু। নব্বইয়ের ঘরে ২৬ বল আটকে থেকে আউট হন লুইস। ফলে ভেঙে যায় ২২১ বলে ১৪০ রানের জুটি। ২১৮ বলে এক ছক্কা ও নয় চারে ৯৭ রান করেন এই ওপেনার।

এর কিছুক্ষণ পরই ফিরেছেন আথানজেও। তাইজুলের অফ স্টাম্পের বাইরের ডেলিভারি স্কুপের মতো খেলেছিলেন আথানজে। যদিও তেমন গতি না থাকায় তার ব্যাটে লেগে বল উপরে উঠে যায়। সহজ ক্যাচ নেন উইকেটরক্ষক লিটন। দশটি চার ও একটি ছক্কায় ১৩০ বলে ৯০ রান আসে বাঁহাতি এই ব্যাটারের ব্যাটে। তিন রানের মধ্যে দুই সেট ব্যাটারকে ফিরিয়ে লড়াইয়ে ফেরার সম্ভাবনা জাগায় বাংলাদেশ।

Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

কবে বিয়ে করবেন জানালেন তামান্না ভাটিয়া
পঞ্চগড়ে ৫০০ টাকায় সন্তান বিক্রি, অতঃপর যা ঘটল...
অ্যান্টিগায় প্রথম দিন শেষে স্বস্তিতে টাইগাররা
সড়ক দুর্ঘটনায় প্রাণ হারালেন পরীমণির প্রথম স্বামী
বিচারের আগে আ.লীগের মাঠে থাকার সুযোগ নেই: উপদেষ্টা নাহিদ
মাকে হত্যার পর থানায় হাজির ছেলে
৮ ক্রিকেটারসহ ৯ জনকে নিষিদ্ধ করলো বিসিবি
উপদেষ্টাদের যাচ্ছেতাই কর্মকাণ্ড মেনে নেওয়া হবে না: রিজভী
ভিসা কবে উন্মুক্ত করবে সেটা ভারতের নিজস্ব ব্যাপার: হাসান আরিফ
জুরাইন রেলক্রসিং ছাড়লেন রিকশাচালকরা, ৪ ঘণ্টা পর ট্রেন চলাচল শুরু
পাঁচ দেশে যাওয়ার ব্যাপারে বাংলাদেশিদের জন্য সতর্কতা
সাফজয়ী নারী ফুটবলার আইরিনকে নওগাঁয় সংবর্ধনা
বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের স্কলারশিপ দেবে পাকিস্তান
বেনাপোলে সীমান্ত থেকে বিপুল পরিমাণ ফেনসিডিল উদ্ধার
পুলিশ-অটোরিকশা চালক সংঘর্ষ, ঢাকা-পদ্মা সেতু ট্রেন চলাচল বন্ধ
ভারতীয় সাবমেরিনের সঙ্গে মাছ ধরা নৌকার সংঘর্ষ, নিখোঁজ ২
সংসার ভাঙার দুদিন পরই সুখবর দিলেন এ আর রহমান
ঢাকায় পৌঁছেছেন বাইডেনের বিশেষ প্রতিনিধি
আ.লীগকে নির্বাচনের সুযোগ দেওয়ার বিষয়ে যা বললেন হাসনাত আব্দুল্লাহ
যুদ্ধবিধ্বস্ত লেবানন থেকে ফিরলেন আরও ৮২ বাংলাদেশি