শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪ | ৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

ধারাবাহিক উপন্যাস: পর্ব-২৩

শরণার্থীর সুবর্ণরেখা

খালিদা প্রতিদিন আনজুমকে বর্ণমালা শেখায়। সময় ভালোই কাটে। মেয়েটি অল্প সময়ে শিখে ফেলেছে সব বর্ণমালা। পাশাপাশি শিখেছে সংখ্যা এক থেকে একশ পর্যন্ত। বর্ণমালাগুলো এমনভাবে মুখস্থ করেছে যে, গড়গড়িয়ে বলে যেতে পারে। কোনো ভুল করে না। হাতের লেখাও সুন্দর। খালিদা নিজেকে বলে, একে বর্ণমালা শিখিয়ে আনন্দ পেয়েছি। ওকে বকতে হয়নি। গায়ে হাত দিতে হয়নি। বড় হলে ও নিজের মতো করে নিজেকে যোগ্য করে তুলতে পারবে। তোজাম্মেলও পাশে বসে ওর শেখার আগ্রহ দেখে খুব খুশি হয়।

রাতে বিছানায় একান্ত হয়ে ওঠে। খালিদা বলে, বুঝে গেছি যে আমার গর্ভের সন্তান পাব না। আল্লাহ আমাদের আর একটি দিয়েছেন। ওকে এমনভাবে আপন করব যে, যেন ও মায়ের কথা মনে না করে।

– ওকে তো এখনও বলা হলো না যে ওর মা মরে গেছে।

– থাক, ও যতক্ষণ জিজ্ঞেস না করবে ততক্ষণে ওকে কিছু বলার দরকার নেই।

– ও কিন্তু এখন অঞ্জনকে বলছে না যে মাকে দেখতে হাসপাতালে যাব।

– ও নতুন জামাকাপড়, নানা রকম খেলনা পেয়ে এই বাড়িতে ওর নতুন যাত্রা শুরু করেছে। তাই পেছনের কথা ওর মনে আসছে না।

– কিন্তু মা তো ওর শুধুই পেছন না?

– যাই হোক, বাদ দাও এসব আলোচনা। দেখা যাক ও কী করে। ওকে ওর মতো থাকতে দাও।

একগাদা খেলনা পেয়ে ওর দিন অন্যরকম হয়ে গেছে। নিজের ঘুমানোর জন্য একটি ঘর আছে। ও নিজের মতো নিজের ঘরে কিংবা বৈঠকখানায় সারাদিন কাটায়। খালিদা নিজের সময়মতো ওকে নিয়ে বসে। এখন ছড়া আর গল্পের বই পড়া শিখছে। কী সুন্দর সুন্দর বই এনে দিয়েছে ওকে অঞ্জন। গল্প আর ছড়ার সঙ্গে আঁকা ছবি দেখে ও বিস্মিত হয়। পেন্সিল দিয়ে নিজের খাতায় ছবি আঁকার চেষ্টা করে। আঁকিবুঁকিতে ভরিয়ে তোলে খাতার পৃষ্ঠা। দৌড়ে গিয়ে খালিদাকে বলে, মা দেখতো কেমন হয়েছে?

– বাহ, ভালোই তো হয়েছে। তোকে রংপেন্সিল কিনে দেব, তাহলে আঁকা আরও সুন্দর হবে।

– বা-বা আমি রংপেন্সিল পাব কবে? কবে মাগো?

– দেখি অঞ্জনকে বলব। ও যেদিন আনতে পারে সেদিন নিয়ে আসবে।

– কালকেই আনতে হবে।

– অঞ্জন বাসায় আসুক বলব ওকে।

– কালকে আনার জন্য আমি ভাইয়ার পায়ে ধরব।

– যা, বাইরে বাগানে গিয়ে খেলে আয়। রাস্তায় যাবি না।

আনজুম একছুটে বেরিয়ে যায় ঘর থেকে। জারুল গাছের নিচে গিয়ে দাঁড়ায়। চারপাশে আরও ফুলগাছ আছে। সব গাছের নিচে দাঁড়িয়ে ছোট ছোট ডাল ধরে ঝাঁকায়। গানের মতো করে বলে, আয় পাখি আয় রে–ফুল নিয়ে যাই রে–। এক গাছের ডাল ঝাঁকিয়ে আর এক গাছের কাছে যায়–ফুল টেনে গন্ধ শোঁকে। ছোটাছুটি করতে থাকে বাগানে। খালি পায়ে সবুজ ঘাসের ওপর দৌড়াতে ভীষণ আনন্দ পায়। অনেকক্ষণ দৌড়াদৌড়ি করে। ক্লান্ত হয় না। আকাশে শরতের নীলাভ মেঘ স্নিগ্ধ ছায়া বিস্তার করে রেখেছে।

আনজুমের ছোটাছুটির সময় অঞ্জন এসে দাঁড়ায় গেটের সামনে। হাঁটতে হাঁটতে এসেছে। হেঁটে এসে রাস্তার দু’পাশের ছবি মনে গেঁথে যায়। আজকে অমিয়া ছাড়া মনের ভেতরে আর কিছু নেই। সব দৃশ্য অমিয়ার আড়ালে পড়ে গেছে। প্রেমের চিত্র এভাবে আচ্ছন্ন করেছে ওকে। আজ ওর কোনো ক্লান্তি নেই। হেঁটে আসার সবটুকুই ছিল প্রেমের উৎসব।

বাগানে আনজুমকে দেখে থমকে যায়। ওকে একদিন নিয়ে যেতে হবে আজিমপুর কবরস্থানে। কয়েকটি দিন যাক, এখনই বলার দরকার নেই। মেয়েটি কাঁদবে এমন দৃশ্য দেখার ইচ্ছা হয় না ওর। আনজুম নাকের সামনে লাল জবা ফুল ধরে রেখেছে। পাতার আড়ালে ঢাকা পড়েছে ওর চেহারা। ও অঞ্জনকে দেখতে পাচ্ছে না। অঞ্জন বাগানে ঢুকে চারদিক ঘুরে আসে। এভাবে ঘোরা ওর প্রবল ভালো লাগা। আজকে এই ভালো লাগায় যুক্ত হয় অমিয়ার সৌরভ। মাথার ওপর শরতের নীল মেঘ ভেসে বেড়ায়। ও মাথা পেছনে হেলে তাকিয়ে থাকে আকাশের দিকে। মনে হয় মেঘ নয়, আকাশজুড়ে ভেসে আছে অমিয়া। ও মৃদুস্বরে বলতে থাকে, ও আমার প্রেয়সী তোমার ছায়া সবখানে। শরতের রোদছায়ায় আমার নতুন জীবনের সূচনা হলো।

তখন আনজুম দৌড়ে এসে ওকে জড়িয়ে ধরে।

অঞ্জন ওর মাথায় হাত রেখে বলে, কি রে ফুলের সঙ্গে খেলা শেষ হয়েছে?

– না, শেষ হয়নি। আরও খেলব। ফুল আমার বন্ধু আমি যখন বস্তিতে ছিলাম তখন ছেলেমেয়ের সঙ্গে খেলতাম।

– তাহলে এই খেলাটা অন্যরকম না?

– হ্যাঁ, একদম অন্যরকম। গাছ আর ফুলের সঙ্গে খেলা। আগের খেলার চেয়ে এই খেলাটা অনেক আনন্দের। মাঝে মাঝে মনে হয় ঘাসের ওপর ঘুমিয়ে থাকব।

– তাই মনে হয়? ভালোই তো। কোনো কোনো দিন দুপুরবেলা গাছের ছায়ায় ঘুমিয়ে থাকবি।

– আচ্ছা, আচ্ছা।

খুশিতে লাফালাফি করে আনজুম। বাগানের চারদিকে দৌড়াতে শুরু করে।

অঞ্জন আবার আকাশের দিকে তাকায়। বলে, তোমাকে মেঘের মাঝে দেখতে পাচ্ছি। তুমি এখন কী করছ অমিয়া?

তারপর হাসতে শুরু করে। এভাবে নিজের অনুভবের টানাপোড়েন কি ঠিক হচ্ছে? পরে মনে হয় একলা থাকার সময়ে অমিয়াকে কাছে পাওয়ার তো এটাই পথ। এই অনুভব ধরে রাখতে হবে। নিজের মানসিক দিকের স্বাচ্ছন্দ্য গড়ে তোলা। প্রেমের স্বপ্নকে ফুলের বাসরঘরে শারীরিক স্পর্শ দেওয়া। অঞ্জন বাগানে আর দাঁড়ায় না। ঘরে ঢোকে। দেখতে পায় কাজরিকে। ওকে জিজ্ঞেস করে, মা কই, বাবা কই?

– শোবার ঘরে।

– কখন ঘুমাতে গেল?

– ভাত খেয়ে।

– এখন আমাকে ভাত দে, কাজরি। আনজুম খেয়েছে?

– হ্যাঁ খেয়েছে।

– ঠিক আছে ও খেলুক। আমি ভাত খাই। হাত-মুখ ধুয়ে আসি।

বাথরুম থেকে ফিরে টেবিলে এলে ও দেখতে পায় আনজুম টেবিলের সামনে দাঁড়িয়ে আছে। বলে, আমিও তোমার সঙ্গে ভাত খাব।

– তুই খাসনি?

– খেয়েছি একটু। তোমার সঙ্গে খেলে আমার পেট ভরে যায়। নইলে মনে হয় আমি সারাদিন কিছু খাইনি।

– আয়, আয়, হাত-মুখ ধুয়ে আয়। বাথরুমে যা।

আনজুম এক দৌড়ে বাথরুমে যায়।

কাজরি ভাত-তরকারি নিয়ে আসে।

– কী রান্না হয়েছে রে?

– বোয়াল মাছ, করল্লা ভাজি, ডাল, বেগুনের ভর্তা।

– ওহ্, বোয়াল আমার প্রিয় মাছ। এজন্য মা প্রায়ই বোয়াল মাছ কেনে।

– আর একটি থালা দে আনজুমের জন্য।

– ও তো খেয়েছে।

– তাতে কি, আমার সঙ্গে আবার খাবে। ছোট মানুষ একটু একটু খায়। এতক্ষণ বাগানে দৌড়াদৌড়ি করেছে তো, তাই খিদে পেয়ে গেছে।

– বাথরুম থেকে বেরিয়ে ডাইনিং টেবিলের কাছে এসে চেয়ার টেনে বসে আনজুম। কাজরি ওর সামনে একটি থালা এনে দেয়। ও উচ্ছ্বসিত হয়ে বলে, ভাইয়া কাজরি বুবু আমাকে অনেক আদর করে। একবারও বলেনি, তুই এই বাড়িতে থাকতে পারবি না, চলে যা।

– এই এইসব কথা বলবি না।

কাজরি ওর প্লেটে ভাত দেয়। অল্প ভাত খেয়ে চেয়ার ছেড়ে উঠে বাবা-মায়ের ঘরের দরজায় ধাক্কাতে থাকে আনজুম। কিন্তু ভেতর থেকে কোনো সাড়াশব্দ পায় না। তখন চিৎকার করে কেঁদে বলে, মা দরজা খোলো। কিন্তু ভেতর থেকে কেউ বের হয় না।

অঞ্জন ধমক দিয়ে বলে, এদিকে আয় কুকড়ি। থাপ্পড় খাবি। বাবা-মাকে ডিস্টার্ব করছিস কেন? খবরদার আর দরজা ধাক্কাবি না।

আনজুম টেবিলের কাছে দৌড়ায়। দু’হাতে চোখের পানি মোছে। কাঁদতে কাঁদতে বলে, আমি তোমার কাছে কুকড়ি না আনজুম?

– তুই আমার কাছে দুটোই। কখনো কুকড়ি, কখনো আনজুম।

– কেন?

– আমি যে তোকে অনেক আদর করি। বল তো তুই গান শিখবি না নাচ শিখবি?

– দুটোই শিখব। গানও গাইব, নাচও করব।

– সামনের জানুয়ারিতে তোকে স্কুলে ভর্তি করা হবে।

– কোন ক্লাসে?

– কেজিতে। আমাদের বাড়ির কাছে যে কেজি স্কুল আছে ওখানে। তুই মায়ের কাছ থেকে এ বি সি ডি শিখেছিস না?

– হ্যাঁ, সব শিখেছি। ওয়ান-টু-থ্রি-ফোরও।

– বাব্বা, তুই তো একটা পফ্ফিত মেয়ে হবি দেখছি।

– পফ্ফিত কী ভাইয়া? ভাইয়া আমার মা কেমন আছে?

– শান্তিতে আছে।

– কবে মাকে দেখতে যাব?

– আগে স্কুলে ভর্তি হবি, তারপরে। মাকে বলবি যে পড়ালেখা শিখছিস।

চলবে....

এসএ/

শরণার্থীর সুবর্ণরেখা: পর্ব ২২

শরণার্থীর সুবর্ণরেখা: পর্ব ২১

শরণার্থীর সুবর্ণরেখা: পর্ব ২০

শরণার্থীর সুবর্ণরেখা: পর্ব ১৯

শরণার্থীর সুবর্ণরেখা: পর্ব ১৮

শরণার্থীর সুবর্ণরেখা: পর্ব ১৭

শরণার্থীর সুবর্ণরেখা: পর্ব ১৬

শরণার্থীর সুবর্ণরেখা: পর্ব ১৫

শরণার্থীর সুবর্ণরেখা: পর্ব ১৪

শরণার্থীর সুবর্ণরেখা: পর্ব ১৩

শরণার্থীর সুবর্ণরেখা: পর্ব ১২

শরণার্থীর সুবর্ণরেখা: পর্ব ১১

শরণার্থীর সুবর্ণরেখা: পর্ব ১০

শরণার্থীর সুবর্ণরেখা: পর্ব ৯

শরণার্থীর সুবর্ণরেখা: পর্ব ৮

শরণার্থীর সুবর্ণরেখা: পর্ব ৭

শরণার্থীর সুবর্ণরেখা: পর্ব ৬

শরণার্থীর সুবর্ণরেখা: পর্ব ৫

শরণার্থীর সুবর্ণরেখা: পর্ব ৪

শরণার্থীর সুবর্ণরেখা: পর্ব ৩

শরণার্থীর সুবর্ণরেখা: পর্ব ২

শরণার্থীর সুবর্ণরেখা: পর্ব ১

Header Ad

খালেদা জিয়ার সঙ্গে কুশল বিনিময় করলেন মাহফুজ-আসিফ-নাহিদ

ছবি: সংগৃহীত

বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার সঙ্গে দেখা করে কুশল বিনিময় করেছেন উপদেষ্টা মাহফুজ আলম, স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া এবং ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি উপদেষ্টা মো. নাহিদ ইসলাম।

বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) বিকেলে সেনাকুঞ্জে সশস্ত্র বাহিনী দিবসের অনুষ্ঠানে তাদের এ কুশল বিনিময় হয়।

সেনাকুঞ্জে খালেদা জিয়া পৌঁছালে উপস্থিত সবাই তাকে স্বাগত জানান। অনুষ্ঠানের এক পর্যায়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ৩ সমন্বয়ক ও সরকারের উপদেষ্টা তার পাশে এসে দাঁড়ান এবং শারীরিক খোঁজখবর নেন। এ সময় খালেদা জিয়া তাদের অভিনন্দন জানান এবং দেশকে এগিয়ে নিতে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার পরামর্শ দেন।

এ সময় এই ৩ উপদেষ্টা বিএনপি চেয়ারপারসনের কাছে দোয়া চান এবং সরকারের সংস্কার কাজে তার সর্বাত্মক সহযোগিতা চান।

এদিকে সেনাকুঞ্জে গেলে খালেদা জিয়ার সঙ্গে কুশল বিনিময় করেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।

প্রধান উপদেষ্টা বলেন, শহিদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের স্ত্রী খালেদা জিয়া এখানে এসেছেন। একযুগ তিনি আসার সুযোগ পাননি। আমরা গর্বিত এই সুযোগ দিতে পেরে। দীর্ঘদিনের অসুস্থতা সত্ত্বেও বিশেষ দিনে সবার সঙ্গে শরিক হওয়ার জন্য আপনাকে আবারও ধন্যবাদ। আপনার আশু রোগমুক্তি কামনা করছি।

Header Ad

দেশের বাজারে আবারও বাড়ল স্বর্ণের দাম

ছবি: সংগৃহীত

আবারও স্বর্ণের দাম বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশন (বাজুস)। এবার ভরিতে ১ হাজার ৯৯৪ টাকা বাড়িয়ে ২২ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণের দাম ১ লাখ ৩৯ হাজার ৪৪৩ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। যা আজকেও ছিল এক লাখ ৩৭ হাজার ৪৪৯ টাকা।

বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) সন্ধ্যায় এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে বাজুস। শুক্রবার (২২ নভেম্বর) থেকেই নতুন এ দাম কার্যকর হবে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, স্থানীয় বাজারে তেজাবি স্বর্ণের (পিওর গোল্ড) মূল্য বেড়েছে। ফলে সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় স্বর্ণের নতুন দাম নির্ধারণ করা হয়েছে।

নতুন দাম অনুযায়ী, প্রতি ভরি ২২ ক্যারেটের স্বর্ণের দাম পড়বে ১ লাখ ৩৯ হাজার ৪৪৩ টাকা। এ ছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ৩৩ হাজার ৯৮ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ১৪ হাজার ৮৬ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম ৯৩ হাজার ৬৭৪ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে বাজুস আরও জানায়, স্বর্ণের বিক্রয়মূল্যের সঙ্গে আবশ্যিকভাবে সরকার-নির্ধারিত ৫ শতাংশ ভ্যাট ও বাজুস-নির্ধারিত ন্যূনতম মজুরি ৬ শতাংশ যুক্ত করতে হবে। তবে গয়নার ডিজাইন ও মানভেদে মজুরির তারতম্য হতে পারে।

স্বর্ণের দাম কমানো হলেও দেশের বাজারে অপরিবর্তিত রয়েছে রুপার দাম। দেশে ২২ ক্যারেটের এক ভরি রুপা বিক্রি হচ্ছে ২ হাজার ৫৭৮ টাকায়। এ ছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ২ হাজার ৪৪৯ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ২ হাজার ১১১ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি রুপা বিক্রি হচ্ছে ১ হাজার ৫৮৬ টাকায়।

এর আগে, সবশেষ গত ১৯ নভেম্বর দেশের বাজারে স্বর্ণের দাম সমন্বয় করেছিল বাজুস। সে সময় টানা চার দফা কমার পর ভরিতে ২ হাজার ৯৪০ টাকা বাড়িয়ে ২২ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণের দাম ১ লাখ ৩৭ হাজার ৪৪৯ টাকা নির্ধারণ করেছিল সংগঠনটি।

এ ছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ৩১ হাজার ১৯৭ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ১২ হাজার ৪৫৩ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম ৯২ হাজার ২৮৬ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছিল। যা কার্যকর হয়েছে গত ২০ নভেম্বর থেকে।

এ নিয়ে চলতি বছরে এখন পর্যন্ত দেশের বাজারে ৫১ বার স্বর্ণের দাম সমন্বয় করা হয়েছে। যেখানে ৩০ বার দাম বাড়ানো হয়েছে, আর কমানো হয়েছে ২১ বার।

Header Ad

‘দেশের মানুষ এখনো কোনো রাজনৈতিক দলকেই বিশ্বাস করতে পারে না’

ছবি: সংগৃহীত

দেশের জনপ্রিয় নির্মাতা আশফাক নিপুন। কাজের পাশাপাশি সামাজিক মাধ্যমেও বেশ সরব তিনি। কথা বলেন নানা ইস্যু নিয়ে। সেই ধারাবাহিকতায় সরকার পতনের পর অন্তবর্তীকালীন সরকার গঠনেও বিভিন্ন সময় নিজের আকাঙ্ক্ষা, প্রত্যাশার কথা জানিয়েছেন। পাশাপাশি রাজনৈতিক দলগুলোর উদ্দেশ্যেও বিভিন্ন বার্তা দিয়েছেন। এবার এমনি একটি বার্তায় দেশের রাজনৈতিক দলগুলোর প্রতি জনগনের আস্থার বিষয়ে আক্ষেপ জানালেন এই নির্মাতা।

বুধবার (২০ নভেম্বর) আশফাক নিপুন তার ফেসবুকে দেওয়া এক পোস্টে লেখেন, জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে সর্বস্তরের ছাত্র এবং সাধারণ মানুষ রাস্তায় নেমে এসেছিল, বাসায় বসে বসে দোয়া করেছিল, যার যা সামর্থ্য দিয়ে সহায়তা করেছিল। কারণ, তারা দেখেছিল লড়াইটা আওয়ামী ফ্যাসিস্ট শাসক বনাম সাধারণ ছাত্র-জনতার। এটাও অস্বীকার করার কোনো উপায় নাই যে এই আন্দোলন বেগবান করতে বিরোধী সকল দলের কর্মীদের ভূমিকা অনস্বীকার্য। তাদের সংগ্রামও গত দেড় দশকের। কিন্তু এটা যদি শুধুমাত্র রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যকার লড়াই হতো তাহলে সাধারণ মানুষ এই লড়াই থেকে দূরে থাকত। সেই প্রমাণ বিগত ১৫ বছরে আছে।

‘দেশের মানুষ এখনো কোনো রাজনৈতিক দলকেই বিশ্বাস করতে পারে না’

কারণ হিসেবে তিনি বলেন, দেশের সাধারণ মানুষ এখনো দেশের কোনো রাজনৈতিক দলকেই পুরোপুরি বিশ্বাস করতে পারে না। এটাই বাস্তবতা। এই বাস্তবতা মেনে সকল রাজনৈতিক দলগুলোর উচিত কীভাবে সাধারণ জনগণের ভেতর নিজের দলের প্রতি আস্থা তৈরি করা যায় সেই বিষয়ে নিরলস কাজ করা। এই আস্থা ক্ষমতায় গিয়ে অর্জন করা সম্ভব না। কারণ, সাধারণ মানুষ আজীবন এস্টাবলিশমেন্টের বিপক্ষে। এই আস্থা অর্জন করতে হয় ক্ষমতা বলয়ের বাইরে থেকেই।

নিপুন আরও লিখেন, অরাজনৈতিক সরকার দিয়ে দীর্ঘদিন দেশ চালানো যেমন কাজের কথা না ঠিক তেমনি রাজনৈতিক সরকার হতে চাওয়া সকল রাজনৈতিক দলগুলোর বোঝা উচিত মুক্তিযুদ্ধের পরে বাংলাদেশের ইতিহাসের সবচেয়ে বড় গণঅভ্যুত্থান সংগঠিত হয়েছে সকল প্রকার পূর্বানুমান (যেমন- বর্ষাকালে আন্দোলন হয় না, নির্বাচনের আগেই কেবল জোরেশোরে আন্দোলন হয়, ঘোষণা দিয়ে বিরোধী সকল পক্ষ আন্দোলনে শামিল না হলে সফল হয় না) অগ্রাহ্য করেই। সেটা সম্ভব হয়েছে সাধারণ মানুষের ন্যায্যতার আকাঙ্ক্ষা থেকেই।

সবশেষ এই নির্মাতা লিখেছেন, ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনা সাধারণ মানুষের এই আকাঙ্ক্ষার দুই পয়সার দাম দেন নাই। সাধারণ মানুষের এই আকাঙ্ক্ষা, ইচ্ছা আর দেশপ্রেমকে পুঁজি করে অরাজনৈতিক এবং রাজনৈতিক যারাই রাজনীতি রাজনীতি খেলতে চাইবে, তাদের দশাও কোন একসময় যেন পলাতক শেখ হাসিনার মতো না হয়, সেই বিষয় নিশ্চিত করতে হবে তাদেরকেই।

Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

খালেদা জিয়ার সঙ্গে কুশল বিনিময় করলেন মাহফুজ-আসিফ-নাহিদ
দেশের বাজারে আবারও বাড়ল স্বর্ণের দাম
‘দেশের মানুষ এখনো কোনো রাজনৈতিক দলকেই বিশ্বাস করতে পারে না’
‘বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে সশস্ত্র বাহিনীর অবদান চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে’: প্রধান উপদেষ্টা
নওগাঁ শহরে শৃঙ্খলা ফেরাতে বিশেষ অভিযান শুরু
২০২৬ সালের মাঝামাঝিতে নির্বাচন হতে পারে: উপদেষ্টা সাখাওয়াত
সেনাকুঞ্জে প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে খালেদা জিয়ার শুভেচ্ছা বিনিময়
বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে আহত ৫ জনকে রোবটিক হাত উপহার
সেনাকুঞ্জের পথে খালেদা জিয়া
সুযোগ পেলে শেখ হাসিনার পক্ষে মামলায় লড়ব: জেড আই খান পান্না
নির্বাচন কমিশন গঠন, সিইসি হলেন অবসরপ্রাপ্ত সচিব নাসির উদ্দীন
ডিএনএ টেস্টের ফলাফল: ভিনিসিয়ুসের পূর্বপুরুষ ছিলেন ক্যামেরুনের
জামিন পেলেন সাংবাদিক শফিক রেহমান
বিএনপি ছেড়ে আওয়ামী লীগে আসা সেই শাহজাহান ওমর গ্রেপ্তার
মিরপুর ও মহাখালীতে অটোরিকশা চালকদের সেনাবাহিনীর ধাওয়া
‘শেখ হাসিনা এখনও বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী’, এমন কথা বলেননি ট্রাম্প
লেবাননে ৮ শতাধিক ইসরায়েলি সেনা নিহত
ভারতে সাজাভোগ শেষে দেশে ফিরল ২৪ বাংলাদেশি কিশোর-কিশোরী
ঢাকার বিভিন্ন পয়েন্টে অবরোধ করে ব্যাটারিচালিত রিকশাচালকদের বিক্ষোভ
গাজায় ইসরায়েলের হামলায় আরও ৮৮ ফিলিস্তিনি নিহত