শুক্রবার, ১১ এপ্রিল ২০২৫ | ২৭ চৈত্র ১৪৩১
Dhaka Prokash

ধারাবাহিক উপন্যাস: পর্ব-২৩

শরণার্থীর সুবর্ণরেখা

খালিদা প্রতিদিন আনজুমকে বর্ণমালা শেখায়। সময় ভালোই কাটে। মেয়েটি অল্প সময়ে শিখে ফেলেছে সব বর্ণমালা। পাশাপাশি শিখেছে সংখ্যা এক থেকে একশ পর্যন্ত। বর্ণমালাগুলো এমনভাবে মুখস্থ করেছে যে, গড়গড়িয়ে বলে যেতে পারে। কোনো ভুল করে না। হাতের লেখাও সুন্দর। খালিদা নিজেকে বলে, একে বর্ণমালা শিখিয়ে আনন্দ পেয়েছি। ওকে বকতে হয়নি। গায়ে হাত দিতে হয়নি। বড় হলে ও নিজের মতো করে নিজেকে যোগ্য করে তুলতে পারবে। তোজাম্মেলও পাশে বসে ওর শেখার আগ্রহ দেখে খুব খুশি হয়।

রাতে বিছানায় একান্ত হয়ে ওঠে। খালিদা বলে, বুঝে গেছি যে আমার গর্ভের সন্তান পাব না। আল্লাহ আমাদের আর একটি দিয়েছেন। ওকে এমনভাবে আপন করব যে, যেন ও মায়ের কথা মনে না করে।

– ওকে তো এখনও বলা হলো না যে ওর মা মরে গেছে।

– থাক, ও যতক্ষণ জিজ্ঞেস না করবে ততক্ষণে ওকে কিছু বলার দরকার নেই।

– ও কিন্তু এখন অঞ্জনকে বলছে না যে মাকে দেখতে হাসপাতালে যাব।

– ও নতুন জামাকাপড়, নানা রকম খেলনা পেয়ে এই বাড়িতে ওর নতুন যাত্রা শুরু করেছে। তাই পেছনের কথা ওর মনে আসছে না।

– কিন্তু মা তো ওর শুধুই পেছন না?

– যাই হোক, বাদ দাও এসব আলোচনা। দেখা যাক ও কী করে। ওকে ওর মতো থাকতে দাও।

একগাদা খেলনা পেয়ে ওর দিন অন্যরকম হয়ে গেছে। নিজের ঘুমানোর জন্য একটি ঘর আছে। ও নিজের মতো নিজের ঘরে কিংবা বৈঠকখানায় সারাদিন কাটায়। খালিদা নিজের সময়মতো ওকে নিয়ে বসে। এখন ছড়া আর গল্পের বই পড়া শিখছে। কী সুন্দর সুন্দর বই এনে দিয়েছে ওকে অঞ্জন। গল্প আর ছড়ার সঙ্গে আঁকা ছবি দেখে ও বিস্মিত হয়। পেন্সিল দিয়ে নিজের খাতায় ছবি আঁকার চেষ্টা করে। আঁকিবুঁকিতে ভরিয়ে তোলে খাতার পৃষ্ঠা। দৌড়ে গিয়ে খালিদাকে বলে, মা দেখতো কেমন হয়েছে?

– বাহ, ভালোই তো হয়েছে। তোকে রংপেন্সিল কিনে দেব, তাহলে আঁকা আরও সুন্দর হবে।

– বা-বা আমি রংপেন্সিল পাব কবে? কবে মাগো?

– দেখি অঞ্জনকে বলব। ও যেদিন আনতে পারে সেদিন নিয়ে আসবে।

– কালকেই আনতে হবে।

– অঞ্জন বাসায় আসুক বলব ওকে।

– কালকে আনার জন্য আমি ভাইয়ার পায়ে ধরব।

– যা, বাইরে বাগানে গিয়ে খেলে আয়। রাস্তায় যাবি না।

আনজুম একছুটে বেরিয়ে যায় ঘর থেকে। জারুল গাছের নিচে গিয়ে দাঁড়ায়। চারপাশে আরও ফুলগাছ আছে। সব গাছের নিচে দাঁড়িয়ে ছোট ছোট ডাল ধরে ঝাঁকায়। গানের মতো করে বলে, আয় পাখি আয় রে–ফুল নিয়ে যাই রে–। এক গাছের ডাল ঝাঁকিয়ে আর এক গাছের কাছে যায়–ফুল টেনে গন্ধ শোঁকে। ছোটাছুটি করতে থাকে বাগানে। খালি পায়ে সবুজ ঘাসের ওপর দৌড়াতে ভীষণ আনন্দ পায়। অনেকক্ষণ দৌড়াদৌড়ি করে। ক্লান্ত হয় না। আকাশে শরতের নীলাভ মেঘ স্নিগ্ধ ছায়া বিস্তার করে রেখেছে।

আনজুমের ছোটাছুটির সময় অঞ্জন এসে দাঁড়ায় গেটের সামনে। হাঁটতে হাঁটতে এসেছে। হেঁটে এসে রাস্তার দু’পাশের ছবি মনে গেঁথে যায়। আজকে অমিয়া ছাড়া মনের ভেতরে আর কিছু নেই। সব দৃশ্য অমিয়ার আড়ালে পড়ে গেছে। প্রেমের চিত্র এভাবে আচ্ছন্ন করেছে ওকে। আজ ওর কোনো ক্লান্তি নেই। হেঁটে আসার সবটুকুই ছিল প্রেমের উৎসব।

বাগানে আনজুমকে দেখে থমকে যায়। ওকে একদিন নিয়ে যেতে হবে আজিমপুর কবরস্থানে। কয়েকটি দিন যাক, এখনই বলার দরকার নেই। মেয়েটি কাঁদবে এমন দৃশ্য দেখার ইচ্ছা হয় না ওর। আনজুম নাকের সামনে লাল জবা ফুল ধরে রেখেছে। পাতার আড়ালে ঢাকা পড়েছে ওর চেহারা। ও অঞ্জনকে দেখতে পাচ্ছে না। অঞ্জন বাগানে ঢুকে চারদিক ঘুরে আসে। এভাবে ঘোরা ওর প্রবল ভালো লাগা। আজকে এই ভালো লাগায় যুক্ত হয় অমিয়ার সৌরভ। মাথার ওপর শরতের নীল মেঘ ভেসে বেড়ায়। ও মাথা পেছনে হেলে তাকিয়ে থাকে আকাশের দিকে। মনে হয় মেঘ নয়, আকাশজুড়ে ভেসে আছে অমিয়া। ও মৃদুস্বরে বলতে থাকে, ও আমার প্রেয়সী তোমার ছায়া সবখানে। শরতের রোদছায়ায় আমার নতুন জীবনের সূচনা হলো।

তখন আনজুম দৌড়ে এসে ওকে জড়িয়ে ধরে।

অঞ্জন ওর মাথায় হাত রেখে বলে, কি রে ফুলের সঙ্গে খেলা শেষ হয়েছে?

– না, শেষ হয়নি। আরও খেলব। ফুল আমার বন্ধু আমি যখন বস্তিতে ছিলাম তখন ছেলেমেয়ের সঙ্গে খেলতাম।

– তাহলে এই খেলাটা অন্যরকম না?

– হ্যাঁ, একদম অন্যরকম। গাছ আর ফুলের সঙ্গে খেলা। আগের খেলার চেয়ে এই খেলাটা অনেক আনন্দের। মাঝে মাঝে মনে হয় ঘাসের ওপর ঘুমিয়ে থাকব।

– তাই মনে হয়? ভালোই তো। কোনো কোনো দিন দুপুরবেলা গাছের ছায়ায় ঘুমিয়ে থাকবি।

– আচ্ছা, আচ্ছা।

খুশিতে লাফালাফি করে আনজুম। বাগানের চারদিকে দৌড়াতে শুরু করে।

অঞ্জন আবার আকাশের দিকে তাকায়। বলে, তোমাকে মেঘের মাঝে দেখতে পাচ্ছি। তুমি এখন কী করছ অমিয়া?

তারপর হাসতে শুরু করে। এভাবে নিজের অনুভবের টানাপোড়েন কি ঠিক হচ্ছে? পরে মনে হয় একলা থাকার সময়ে অমিয়াকে কাছে পাওয়ার তো এটাই পথ। এই অনুভব ধরে রাখতে হবে। নিজের মানসিক দিকের স্বাচ্ছন্দ্য গড়ে তোলা। প্রেমের স্বপ্নকে ফুলের বাসরঘরে শারীরিক স্পর্শ দেওয়া। অঞ্জন বাগানে আর দাঁড়ায় না। ঘরে ঢোকে। দেখতে পায় কাজরিকে। ওকে জিজ্ঞেস করে, মা কই, বাবা কই?

– শোবার ঘরে।

– কখন ঘুমাতে গেল?

– ভাত খেয়ে।

– এখন আমাকে ভাত দে, কাজরি। আনজুম খেয়েছে?

– হ্যাঁ খেয়েছে।

– ঠিক আছে ও খেলুক। আমি ভাত খাই। হাত-মুখ ধুয়ে আসি।

বাথরুম থেকে ফিরে টেবিলে এলে ও দেখতে পায় আনজুম টেবিলের সামনে দাঁড়িয়ে আছে। বলে, আমিও তোমার সঙ্গে ভাত খাব।

– তুই খাসনি?

– খেয়েছি একটু। তোমার সঙ্গে খেলে আমার পেট ভরে যায়। নইলে মনে হয় আমি সারাদিন কিছু খাইনি।

– আয়, আয়, হাত-মুখ ধুয়ে আয়। বাথরুমে যা।

আনজুম এক দৌড়ে বাথরুমে যায়।

কাজরি ভাত-তরকারি নিয়ে আসে।

– কী রান্না হয়েছে রে?

– বোয়াল মাছ, করল্লা ভাজি, ডাল, বেগুনের ভর্তা।

– ওহ্, বোয়াল আমার প্রিয় মাছ। এজন্য মা প্রায়ই বোয়াল মাছ কেনে।

– আর একটি থালা দে আনজুমের জন্য।

– ও তো খেয়েছে।

– তাতে কি, আমার সঙ্গে আবার খাবে। ছোট মানুষ একটু একটু খায়। এতক্ষণ বাগানে দৌড়াদৌড়ি করেছে তো, তাই খিদে পেয়ে গেছে।

– বাথরুম থেকে বেরিয়ে ডাইনিং টেবিলের কাছে এসে চেয়ার টেনে বসে আনজুম। কাজরি ওর সামনে একটি থালা এনে দেয়। ও উচ্ছ্বসিত হয়ে বলে, ভাইয়া কাজরি বুবু আমাকে অনেক আদর করে। একবারও বলেনি, তুই এই বাড়িতে থাকতে পারবি না, চলে যা।

– এই এইসব কথা বলবি না।

কাজরি ওর প্লেটে ভাত দেয়। অল্প ভাত খেয়ে চেয়ার ছেড়ে উঠে বাবা-মায়ের ঘরের দরজায় ধাক্কাতে থাকে আনজুম। কিন্তু ভেতর থেকে কোনো সাড়াশব্দ পায় না। তখন চিৎকার করে কেঁদে বলে, মা দরজা খোলো। কিন্তু ভেতর থেকে কেউ বের হয় না।

অঞ্জন ধমক দিয়ে বলে, এদিকে আয় কুকড়ি। থাপ্পড় খাবি। বাবা-মাকে ডিস্টার্ব করছিস কেন? খবরদার আর দরজা ধাক্কাবি না।

আনজুম টেবিলের কাছে দৌড়ায়। দু’হাতে চোখের পানি মোছে। কাঁদতে কাঁদতে বলে, আমি তোমার কাছে কুকড়ি না আনজুম?

– তুই আমার কাছে দুটোই। কখনো কুকড়ি, কখনো আনজুম।

– কেন?

– আমি যে তোকে অনেক আদর করি। বল তো তুই গান শিখবি না নাচ শিখবি?

– দুটোই শিখব। গানও গাইব, নাচও করব।

– সামনের জানুয়ারিতে তোকে স্কুলে ভর্তি করা হবে।

– কোন ক্লাসে?

– কেজিতে। আমাদের বাড়ির কাছে যে কেজি স্কুল আছে ওখানে। তুই মায়ের কাছ থেকে এ বি সি ডি শিখেছিস না?

– হ্যাঁ, সব শিখেছি। ওয়ান-টু-থ্রি-ফোরও।

– বাব্বা, তুই তো একটা পফ্ফিত মেয়ে হবি দেখছি।

– পফ্ফিত কী ভাইয়া? ভাইয়া আমার মা কেমন আছে?

– শান্তিতে আছে।

– কবে মাকে দেখতে যাব?

– আগে স্কুলে ভর্তি হবি, তারপরে। মাকে বলবি যে পড়ালেখা শিখছিস।

চলবে....

এসএ/

শরণার্থীর সুবর্ণরেখা: পর্ব ২২

শরণার্থীর সুবর্ণরেখা: পর্ব ২১

শরণার্থীর সুবর্ণরেখা: পর্ব ২০

শরণার্থীর সুবর্ণরেখা: পর্ব ১৯

শরণার্থীর সুবর্ণরেখা: পর্ব ১৮

শরণার্থীর সুবর্ণরেখা: পর্ব ১৭

শরণার্থীর সুবর্ণরেখা: পর্ব ১৬

শরণার্থীর সুবর্ণরেখা: পর্ব ১৫

শরণার্থীর সুবর্ণরেখা: পর্ব ১৪

শরণার্থীর সুবর্ণরেখা: পর্ব ১৩

শরণার্থীর সুবর্ণরেখা: পর্ব ১২

শরণার্থীর সুবর্ণরেখা: পর্ব ১১

শরণার্থীর সুবর্ণরেখা: পর্ব ১০

শরণার্থীর সুবর্ণরেখা: পর্ব ৯

শরণার্থীর সুবর্ণরেখা: পর্ব ৮

শরণার্থীর সুবর্ণরেখা: পর্ব ৭

শরণার্থীর সুবর্ণরেখা: পর্ব ৬

শরণার্থীর সুবর্ণরেখা: পর্ব ৫

শরণার্থীর সুবর্ণরেখা: পর্ব ৪

শরণার্থীর সুবর্ণরেখা: পর্ব ৩

শরণার্থীর সুবর্ণরেখা: পর্ব ২

শরণার্থীর সুবর্ণরেখা: পর্ব ১

Header Ad
Header Ad

জাতীয় নাগরিক কমিটির সদস্য দিলশাদ আফরিন বহিষ্কার

দিলশাদ আফরিন। ছবি: সংগৃহীত

জাতীয় নাগরিক কমিটির শৃঙ্খলা ও আদর্শ বিরোধী কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগে সংগঠনটির নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লা থানা শাখার সদস্য দিলশাদ আফরিনকে বহিষ্কার করা হয়েছে। সংগঠনের কেন্দ্রীয় কমিটির সিদ্ধান্ত অনুযায়ী গত মঙ্গলবার (৮ এপ্রিল) এই বহিষ্কারাদেশ জারি করা হয়।

বিষয়টি বৃহস্পতিবার (১০ এপ্রিল) গণমাধ্যমের সামনে আসে।

জাতীয় নাগরিক কমিটির সদস্য সচিব আখতার হোসেন স্বাক্ষরিত ওই বহিষ্কারাদেশে বলা হয়, ‘এই পত্রের মাধ্যমে আপনাকে জানানো যাচ্ছে যে, জাতীয় নাগরিক কমিটি-এর নিয়ম ও নীতিমালা অনুযায়ী আপনার সাম্প্রতিক কর্মকান্ড আমাদের সংগঠনের শৃঙ্খলা এবং আদর্শের পরিপন্থী বলে প্রতীয়মান হয়েছে। সমস্ত অভিযোগের ভিত্তিতে এবং সংগঠনের শৃঙ্খলা রক্ষার স্বার্থে আহ্বায়ক নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী ও সদস্য সচিব আখতার হোসেন এর অনুরোধক্রমে আপনাকে জাতীয় নাগরিক কমিটি থেকে বহিষ্কার করার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে।’

নারায়ণগঞ্জ জেলার দায়িত্বে থাকা জাতীয় নাগরিক কমিটির সাবেক যুগ্ম সদস্য সচিব আব্দুল্লাহ আল আমিন দিলশাদ আফরিনকে বহিষ্কারের বিষয়ে বলেন, ‘তার বিরুদ্ধে বেশ কিছু অভিযোগ উঠেছিল। জাতীয় নাগরিক কমিটি অভিযোগ তদন্ত করে সত্যতা পাওয়ায় গত ৮ এপ্রিল তাকে দল থেকে বহিষ্কার করে।

আফরিন জাতীয় নাগরিক কমিটির শহীদ আহত কল্যাণ সেলের কোনো দায়িত্বে ছিলেন না। তারপরেও তিনি ব্যক্তিগতভাবে শহীদ ও আহত পরিবারের আর্থিক বিষয় নিয়ে কাজ করেছেন। যা নিয়ে জাতীয় নাগরিক কমিটি অবগত ছিল না বলেও জানান তিনি।

Header Ad
Header Ad

সরকারে এলে প্রথম ১৮ মাসে ১ কোটি কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করবে বিএনপি

বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। ছবি: সংগৃহীত

জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নির্বাচিত হয়ে সরকার গঠন করতে পারলে প্রথম ১৮ মাসে বিএনপি ১ কোটি কর্মসংস্থান বা চাকরির ব্যবস্থা করবে। ২০৩৪ সালে জিডিপির লক্ষ্যমাত্রা ১ ট্রিলিয়ন ডলার নির্ধারণ করেছে বিএনপি। এ ছাড়া জনগণের ঘাড় থেকে বাড়তি করের লাগাম টেনে ধরা, মানুষের মন থেকে করের ভয় দূর করে কীভাবে কর আহরণ বাড়ানো যায়, তা নিয়েও দলটি কাজ করতে চায়।

বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (বিডা) আয়োজনে বিনিয়োগ সম্মেলন ২০২৫–এ অংশ নিয়ে বিএনপি এসব পরিকল্পনার কথা জানিয়েছে। বৃহস্পতিবার (১০ এপ্রিল) নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে এক পোস্টে এসব তথ্য জানিয়েছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

‘১ ট্রিলিয়ন ডলার ইকোনমি’ শিরোনামে দেওয়া ওই পোস্টে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর লিখেছেন, জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপি নির্বাচিত হয়ে সরকার গঠন করতে পারলে প্রথম ১৮ মাসে ১ কোটি কর্মসংস্থান বা চাকরির ব্যবস্থা করবে। প্রত্যক্ষ বিদেশি বিনিয়োগ (এফডিআই)/মোট দেশজ উৎপাদন (জিডিপি) লক্ষ্যমাত্রার শূন্য দশমিক ৪৫ শতাংশ থেকে জিডিপির ২ দশমিক ৫ শতাংশে নিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা করেছে বিএনপি। ২০৩৪ সালে জিডিপির লক্ষ্যমাত্রা ১ ট্রিলিয়ন ডলার নির্ধারণ করেছে বিএনপি। জনগণের ঘাড় থেকে বাড়তি করের লাগাম টেনে ধরা, মানুষের মন থেকে করের ভয় দূর করে কীভাবে কর আহরণ বৃদ্ধি করা যায়, তা নিয়েও কাজ করতে চায় বিএনপি।

বাংলাদেশে বিদেশি বিনিয়োগ বা এফডিআইকে জনপ্রিয় করতে বিএনপি ১১টি রেগুলেটরি পরিবর্তনের প্রস্তাব করেছে বলেও পোস্টে উল্লেখ করেন মির্জা ফখরুল। এর মধ্যে আটটি প্রস্তাবের কথা তুলে ধরেছেন তিনি। এগুলো হলো বিডাকে কার্যকর করা, ভিসা বা ওয়ার্ক পারমিট বিধির আধুনিকীকরণ, বিনিয়োগকারীদের জন্য ২৪x৭ (দিনে ২৪ ঘণ্টা ও সপ্তাহে ৭ দিন) সেবা চালু করা, স্বয়ংক্রিয় মুনাফা প্রত্যাবাসনের ব্যবস্থা, স্থানীয়ভাবে দক্ষ জনশক্তির ব্যবস্থা করা, বিনিয়োগকারীদের নিরাপত্তা আইন প্রণয়নের সঙ্গে অবকাঠামোগত উন্নয়ন, মানবসম্পদের কর্মদক্ষতা বৃদ্ধির ব্যবস্থা নেওয়া এবং প্রকৃত প্রশিক্ষণ ও প্রণোদনার ব্যবস্থা করে বৈদেশিক কর্মসংস্থানের পরিমাণ ও আওতা বৃদ্ধি।

সরকার গঠন করতে পারলে দেশের মানবসম্পদের কর্মদক্ষতা বৃদ্ধির ব্যবস্থা নেওয়া, প্রকৃত প্রশিক্ষণ ও প্রণোদনার ব্যবস্থা করে বৈদেশিক কর্মসংস্থানের পরিমাণ ও আওতা বৃদ্ধির জন্য বিএনপি অতীতের চেয়েও ব্যাপক সফলতা অর্জন করতে চায় বলে জানান মির্জা ফখরুল। পোস্টে তিনি জানান, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বিনিয়োগ সম্মেলন উপলক্ষে এক শুভেচ্ছাবার্তায় তিনটি বিষয় বলেছেন। এগুলো হলো ঐক্যই ভবিষ্যৎ জাতীয় উন্নয়নের সোপান, এফডিআই আকৃষ্ট করতে শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের সরকার আইন করেছিল এবং দেশনেত্রী খালেদা জিয়ার সরকারগুলোর বিনিয়োগবান্ধব নীতি ছিল।

Header Ad
Header Ad

চুয়াডাঙ্গা সীমান্তে বিজিবি-বিএসএফের কমান্ডার পর্যায়ের বৈঠক অনুষ্ঠিত

চুয়াডাঙ্গা সীমান্তে বিজিবি-বিএসএফের কমান্ডার পর্যায়ের বৈঠক অনুষ্ঠিত। ছবি: ঢাকাপ্রকাশ

চুয়াডাঙ্গা সীমান্তে বিজিবি-বিএসএফ ব্যাটালিয়ন কমান্ডার পর্যায়ে বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১০ এপ্রিল) বেলা ১১ টা থেকে ‍দুপুর ১২ টা ২০ মিনিট পর্যন্ত চুয়াডাঙ্গা ব্যাটালিয়ন (৬ বিজিবি) এর দায়িত্বপূর্ণ এলাকা মেহেরপুর জেলার ইছাখালি সীমান্ত এলাকার মেইন পিলার ১২৪ এর নিকট শূন্য রেখা বরাবর ভারতীয় পার্শ্বে বিএসএফ নব চন্দ্রপুর ক্যাম্পে এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।

বিজিবি সূত্র জানায়, চুয়াডাঙ্গা ব্যাটালিয়ন (৬ বিজিবি) এবং প্রতিপক্ষ ৫৬ বিএসএফ ব্যাটালিয়নের সাথে ব্যাটালিয়ন কমান্ডার পর্যায়ে বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে বিজিবি’র পক্ষে চুয়াডাঙ্গা ব্যাটালিয়ন (৬ বিজিবি) এর অধিনায়ক লে. কর্নেল মো. নাজমুল হাসান স্টাফ অফিসারসহ মোট ৯ সদস্যের প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব প্রদান করেন।

অপরদিকে বিএসএফ এর পক্ষে ৫৬ বিএসএফ ব্যাটালিয়নের কমান্ড্যান্ট শ্রী বিনয় কুমার তাঁর স্টাফ অফিসারসহ ৮ সদস্য বিশিষ্ট প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দেন।

বৈঠকের শুরুতে উভয় পক্ষ ঈদ-উল-ফিতর পরবর্তী শুভেচ্ছা বিনিময় করেন। শুভেচ্ছা বিনিময়ের পর উভয় ব্যাটালিয়ন কমান্ডার সীমান্ত এলাকায় শান্তিপূর্ণ পরিবেশ বজায় রাখার লক্ষ্যে চোরাচালান প্রতিরোধ, অবৈধ অনুপ্রবেশ রোধ, যৌথ টহল তৎপরতা জোরদারকরণ এবং গোয়েন্দা নজরদারির বিষয়সমূহে বিস্তারিত আলোচনা করেন। সীমান্তকে অধিক সুসংহত ও কার্যকরী করার লক্ষ্যে বিজিবি-বিএসএফ যৌথভাবে কার্যক্রম পরিচালনার বিষয়ে ব্যাটালিয়ন কমান্ডারগণ একমত পোষণ করেন। এছাড়াও, সীমান্তে দায়িত্ব পালনের ক্ষেত্রে উভয় দেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর মধ্যে পারস্পরিক সৌহার্দ্যপূর্ণ সম্পর্ক বজায় রাখা ও সীমান্ত সংক্রান্ত যে কোনো গুরুত্বপূর্ণ ঘটনার তাৎক্ষণিক তথ্য আদান-প্রদানের বিষয়ে উভয় ব্যাটালিয়ন কমান্ডারগণ সম্মত হন।

বৈঠক শেষে উভয় ব্যাটালিয়ন কমান্ডার মেইন পিলার ১২৪ সহ তৎসংলগ্ন সীমান্ত পিলারসমূহ যৌথভাবে পায়ে হেঁটে পরিদর্শন করেন।
দু’দেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর মধ্যে বিদ্যমান সৌহার্দ্যপূর্ণ সম্পর্ক আরও সুদৃঢ় করার প্রত্যয় ব্যক্ত করে আন্তরিক ও সদ্ভাবপূর্ণ পরিবেশে বৈঠক শেষ হয়।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

জাতীয় নাগরিক কমিটির সদস্য দিলশাদ আফরিন বহিষ্কার
সরকারে এলে প্রথম ১৮ মাসে ১ কোটি কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করবে বিএনপি
চুয়াডাঙ্গা সীমান্তে বিজিবি-বিএসএফের কমান্ডার পর্যায়ের বৈঠক অনুষ্ঠিত
আবারও চেন্নাইয়ের অধিনায়ক হলেন ধোনি
‘ক্রিম আপা’ খ্যাত কন্টেন্ট ক্রিয়েটর শারমিন শিলা গ্রেফতার
দেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চ দামে সোনা, ভরি ১ লাখ ৫৯ হাজার টাকা
ভিন্ন ধর্মের ছেলের সঙ্গে প্রেম, বাবার হাতে প্রাণ গেল মেয়ের
পোল্যান্ডের রাষ্ট্রদূত হলেন সাবেক আইজিপি ময়নুল
জেনে নিন গ্রীষ্মে সুস্বাদু আর উপকারী কাঁচা আমের ১১টি বিস্ময়কর গুণ
এসএসসি পরীক্ষা না দিয়ে প্রেমিকের বাড়িতে অনশনে কিশোরী
সাধারণ মানুষ চায় এই সরকার আরো ৫ বছর থাকুক: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
ফিলিস্তিনে গণহত্যার প্রতিবাদে টাঙ্গাইলে হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের মানববন্ধন (ভিডিও)
জিয়াউর রহমান বেঁচে থাকলে ইসরায়েল এমন অপকর্মের সাহস পেত না: মির্জা আব্বাস (ভিডিও)
নওগাঁয় গাছ কাটাকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের সংঘর্ষে নিহত ২
বাংলাদেশ রেলওয়ের দুই কর্মকর্তাকে পদায়ন ও বদলি
২০ হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে বাংলাদেশে হাসপাতাল বানাচ্ছে মার্কিন কোম্পানি
কাদের-কামালসহ ১০ জনের বিরুদ্ধে ইন্টারপোলের রেড নোটিশ জারি করতে চিঠি
সিলেটে থানায় লালগালিচা দেখে ক্ষোভ ঝাড়লেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
দিল্লিতে লিঙ্গ পরিবর্তনের চিকিৎসা নিতে এসে গ্রেপ্তার ৫ বাংলাদেশি
রবিবার ৩ জেলায় সাধারণ ছুটি, সবমিলিয়ে টানা ৪ দিনের অবকাশ