বুধবার, ৫ মার্চ ২০২৫ | ১৯ ফাল্গুন ১৪৩১
Dhaka Prokash

গল্প

ধোঁয়া উঠার কাল

হাবীব ঘুমানোর চেষ্টা করছিল, তখন রাত দুইটা। এর মাঝে মেসেঞ্জারে মেসেজ আসে। মেসেজ পাঠিয়েছে তার বান্ধবী দিবা। দিবা আর তার পরিচয় কলেজ জীবন থেকে। হাবীব মেসেজ নিয়ে ভাবে। এত রাতে কে মেসেজ দিল?

দিবার মেসেজ, না রে আর পারছি না। কেন এমন হয়? কেন এত সাফার করতে হবে? কল দিব, না মেসেজেই রিপ্লাই দিব। সে তো গ্রামের বাড়িতে গিয়েছিল, অথচ লোকেশন শো করছে ঢাকা। বাড়ি হলো অসুখের নিরাময়কেন্দ্র। আপনজনদের স্পর্শ আর যত্নে রোগ পালাতে বাধ্য। কিসের সাফারিংস? যেহেতু লোকেশন ঢাকা দেখাচ্ছে সেহেতু কাল সরাসরিই দেখা করি। শোনা যাবে সবই। ছোট্ট একটা মেসেজ দেওয়া যেতে পারে, চাপ নেইস না। সব ঠিক হয়ে যাবে।

দোস্ত, কি হইছে বলতো? কাল অমন মেসেজ দিলি?
হাবীব, তুই তো জানিস আমি গ্রামে ছিলাম কয়দিন।
জানি।
গিয়ে দেখি এলাকার মানুষের যায় যায় অবস্থা। ক্ষেতের পর ক্ষেত আলু আবাদ করছে। আলুর ফলন কী তার! সমস্যা একটাই, আলুর দাম নাই।’
তারপর!

আমাদের গ্রামে মাহতাব নামের একজন আছেন। বিএ পাশ। জমিজমা ভালোই। সিজন অনুযায়ী সব আবাদই করে। এই সিজেনে আবাদ করছে আলু। দাম না থাকায় তার মনের অবস্থা ভালো না। সে সকালে হাঁটতে বাইর হয় কয়দিন আগে পাকা হওয়া রাস্তায়। হাঁটলে মানুষ চিন্তা থেকে মুক্তি পায়। এই আশাতেই সে সকালের নামাজ শেষ করেই বেরিয়েছে। এক পা ফেলে আর মনে করে চিন্তার জাল ছিঁড়ে যাচ্ছে। একটু পরেই মুক্তি মিলবে। মুক্তির বদলে ওই জাল আরও শক্ত হয়। পায়ে আটকে যায়। নিজের ভেতর থাকা চিন্তার সাথে অন্যদের চিন্তাও যোগ হয়। তার প্রতিবেশি ইলিয়াস ঢুলতে ঢুলতে এসে বলে, চাচা, তোমরা না দোয়া পড়ি পড়ি অসুখ ভাল করেন। বিলাই কামড় দিলে লবণ পড়া দেন। সকাল সকাল বাসি টিরি তিন পাক ঘুইরবার কন। মুই ছয় পাক ঘুরইবার আজি আছং; তাও কন কেমন করি ধারদেনা থাকি মুক্তি পাইম।

ইলিয়াস একশো বিঘার উপর জমিতে আবাদ করেছিল। নিজের জমি না থাকায় আরেকজনের জমি বন্ধক নিয়ে আবাদ করেছে। নিজের জমানো টাকা থেকে সে এই আবাদ করে নাই। করবে কেমন করে তার তো পুঁজি নাই। ব্যাংক আর এনজিও থেকে লোন নিয়ে আবাদে নেমেছে। আলু বিক্রি করে ঋণের টাকা শোধ করবে এই ভরসাতেই চার লাখ টাকা ঋণ নেয়। তার এ পরিকল্পনা বাস্তবে কাজে দেয় না। আলুর দাম না-থাকায় সে ঋণ শোধ করতে পারে না। ঋণের টাকা নিতে আসবে জেনে সে আগে ঘর ছাড়ে। বউকে বলেছে, তুই ঘরত থাকেক, আইতত কোটে যাবু, মিইচচ্যাকনা আকাশ ফর্সা হইলে বাইর হবু। বউ সে কথাতেই রাজি থেকে ঘুমাতে যায়। চিন্তাদেশ ঘুরতে ঘুরতে ক্লান্ত হলে আকাশ ফর্সা হওয়ার ঘণ্টা খানেক আগে ঘুমিয়ে পড়ে। ঘুম ভাঙে এনজিওকর্মীর ডাকে। বলার কিছু নাই, দরজা খুলে হা করে গিলতে থাকে ওই কর্মীর কথা, শুয়োরের বাচ্চারা ঋণ নিয়া আবাদ করছে, এ্যালা টাকা দিবার নয়। তোমরা আবাদ কইরবার জন্যে ঋণ চাইছেন হামরা দিছি। এ্যালা কিস্তি দেবার সময়, কিন্তু দেবার নাম নাই। খানকির বাচ্চারা টাকা নেবার সময় হুশ আছিল না। এ্যালা মাগি মাইনষের মতো পালে বেড়ান। কর্মীরও করার কিছু নেই। সে প্রত্যেক সপ্তাহে আসে—টাকা না পেয়ে খালি হাতে ফিরতে হয়। অফিসে টাকার হিসাব দিতে পারে না। চাকরি টিকিয়ে রাখার সম্ভাবনা দেখতে না পেয়ে টাকা আদায়ে শক্ত হয়।

ইলিয়াসের বউ শুনতে শুনতে ক্লান্ত হয়ে আবার ঘুমিয়ে পড়ে এনজিওকর্মী চলে গেলে। ঘুমাতে ঘুমাতে স্বপ্ন আসে। দেখতে পায় স্বপ্নে রাতের আসমান। যেখানে কোনো তারা নাই। চাঁদ ডুবে গেছে কত বছর আগে সেকথা ভুলেই গেছে। বিয়ের আগে ইলিয়াসের সাথে জ্যোৎস্না রাতে প্রেম জমিয়েছে। কই গেল সেই জ্যোৎস্না? কই গেল সেই পূর্ণিমা? কই গেল সেই তারা? যে তারার আলোয় লুকোচুরি খেলেছে। না, সে এসব পায় না। লুকোচুরির ধরন বদলে গেছে। এখনের লুকোচুরি হলো জীবন থেকে পালিয়ে বাঁচার। পালিয়ে কেউ বাঁচতে পারে? এমন প্রশ্ন সে অনেকবার নিজেকে করেছে। উত্তর জানা নাই বলে সিদ্ধান্তে আসতে পারে না। কেবল পালিয়ে থাকতে হবে এটুকু জানে। বিয়ের আগে প্রেম জমেছে, জমেছে অনেক গল্পে। ইলিয়াস বলেছিল ক্ষেতের আইল দিয়ে হাঁটতে হাঁটতে পাকা ধানের শরীরে হাত বুলাতে বুলাতে চলে যাবে আরেকরাজ্যে। বিকালে ঘুরতে যাব তিস্তা নদী। হাঁটবে বালুতে। চলে যাব দুজনে চিকলির বিলে। দেখবে ঘাগর নদী। ভিন্নজগৎ-রাম সাগর-স্বপ্নপুরী দেখতে যাব। সে এসবের কিছুই এখনো দেখতে পায় নাই। যাওয়া হয় নাই কোথাও। জীবন খুঁড়ে খুঁড়ে দেখে, সেখানে কোনো রং নাই। তাকে ঘুরতে হবে, বসত ভিটা ছেড়ে ঠিকানা না থাকা জীবনে। ধান গাছের শরীরে হাত রাখবে কি, সেই ক্ষেতই তাদের থাকবে না।

ইলিয়াসের নিখোঁজ হওয়ার সংবাদে বাজার বেশ গরম। সবাই মেতে আছে এ টপিকেই। মাহতাব এই পথ দিয়েই যাচ্ছিল। তাকে দেখে একজন এগিয়ে আসে। বলে, চাচা, ইলিয়াস তো বাড়ি ছাড়ি পালাইছে।
ক্যা পালাইল?
মাঠত আলু। কিন্তু অয় হিসাব করি দেখছে যে ট্যাকা উইঠপার নয়। যে আলু হইছে তাতে লছ। এই কয় বছর ধরি লছ যাইতে যাইতে শ্যাষ হয়া গেইছে। বাড়ি ছাড়ি পালাইল।
দামখান একনা বাড়ালেও তো হয়।
দাম? হামরা পামো আবাদের দাম, চাচা, সেই কপাল কী হামার আছে। হামরা টিক্যার ঘাম মাটিত ফেলি আবাদ করি। আর যেইনা তুইলবার ধরি তখনে দাম নাই। একদোন মাটিত আবাদ করতে আঠারো হাজার ট্যাকা নাগছে। দাম যদি এ্যাকনা ভালো হইল হয় তারপরেও ক্যাশটা আসিল হয়। সেই ক্যাশেও এ্যালা ঘাটতি। হামরা আবাদ করছি, ফলন ফলাইছি। দুইটা ট্যাকা আয় করমো সেই আশায় তো হামরা এত শ্রম দিনো। বউ-বাচ্চাক নিয়া খাওয়ামো। এ্যাকনা সুখত থাকমো ওই জন্যে তো এত কননো। তা হইল কোটে? হামার ওষুধের দাম যাক। পরিশ্রমের দাম যাক। কিন্তু ক্যাশটা আসুক। হামার উপরের মানুষেরা কী ওইগল্যা বুঝে? এমনিতে দাম নাই ওমরা আবার হরতাল-অবরোধ নাগায়।

শোক শোক মনে কেউ কিছু ভাবতে পারে না, ভাবতে পারে না মাহতাবও। সে খেয়াল করলে বুঝতে পারে হাঁটতে হাঁটতে তার পায়ে ব্যথা ধরে গেছে। কিন্তু চিন্তা মুক্তির যে মিশনে সে নেমেছে তা ব্যর্থ হতে চলছে। আবাদে লস হওয়ায় আলুর বদলে ধান আবাদ করতে চায়। কিন্তু ধানের বেলাও সেই একই হিসাব। দাম থাকে না। যে খরচ করে ধানের পেছনে তা ওঠে না। লস, লসই থাকে। মেয়ে বিশ্ববিদ্যালয় পড়ে। গতকাল ফোন করেছে, টাকা লাগবে। টাকার হিসাব কষতে গিয়ে দেখে মেয়ের চাওয়া মেটাতে গেলে একশো বস্তা আলু বিক্রি করতে হবে। আলু পেয়েছে মাত্র সত্তর বস্তা। টাকা না দিলে মেয়ের পড়ালেখা বন্ধ থাকবে। বাবা হয়ে কী করে এ সহ্য করবে? জমি বন্ধক রেখে টাকা পাঠায়। এও হিসাব করতে থাকে যে, এভাবে কতদিনই বা চলবে? চালানো যাবে? যে দাম তার প্রত্যাশায় ছিল তা পেলে জমি বন্ধক রাখতে হত না। প্রত্যেক বছর আবাদ করবে, ফলন পাবে, দাম থাকবে না। আর জমি বন্ধক রেখে মেয়ের পড়ার খরচ যোগাবে, সংসার চালাবে। যেদিন সব জমি বন্ধক হয়ে যাবে সেদিন কি করবে? মাহতাব গণিতে বরাবরই দুর্বল ছিল বলে বিজ্ঞান ছেড়ে এইচএসসিতে আর্টস পড়েছে। কিন্তু জীবনের বিজ্ঞানে ঠিকই পাকতে হচ্ছে। ক্যালকুলেটর ছাড়াই মেলাতে পারছে হিসাব।

সে নানা চাপ আর যন্ত্রণা নিয়ে বাজার থেকে বাড়িতে ফেরার পথে শুনেছে আবাদের দাম বাড়া নিয়ে মিটিং হয়েছে। রমিজ নামের একজন তারই ডিটেইল শোনায় মাহতাবকে।
চাচা, আবাদির ঘর আস্তাত আলু ফেলি বসি আছে। সবায় দাম চাবার নাগছে। এইদোন দেখি নেতারঘর মিটিং বসাছিল। মুইও গেছনু মিটিংঅত। যায়া দেখং ওমরা হাত তুলি, গলা উঁচি উঁচি বড়ো বড়ো বক্তৃতা দেইল। সবাক একসাথে হয়া আন্দোলন কইরবার কইল। কইল আলুর ন্যায্য দাম দেবার কথা। মাঝখান থাকি যে ফড়িয়া দালাল গজায় এইগল্যার দাপট বন্ধ কইরবার কথা কইল। ভরতুকি বাড়াবার কইল। কৃষকক লোন দেবার দাবি জানাইল। সরকারি কোল্ডস্টোরেজ নির্মাণ কইরবার কইল। বাইরের দেশত অপ্তানি কইরবার কইল। আর একন্যা ছন্দ মিলি কইল—

যে কৃষকের রক্তের আবরণ
সেই কৃষকের গোলায় নাই ধান
যে শ্রমিক ঘোড়ায় গাড়ির চাকা
মাসের পনের দিন যাইতে না যাইতেই সেই শ্রমিকের
পকেট হয়ে যায় ফাঁকা।

এইদোন কথা শুননো। ভালোই কইছে। কিন্তু এইগল্যা কামত আসলে তো হইল হয়। হামার কায়ো কায়ো আলু তুলছে। কিন্তু ওমরা দাম পায় নাই বলি আর কায়ো আলু তুইলবার সাহস পায় না। ওদি গাছের বয়স নব্বই-পঁচানব্বই দিন পার হয়া গেইছে। গাছ মরি গেইছে তারপরেও আলু তুলে না। তুলি কী করবে? মুইও কিছু আলু তুলং নাই। আলু তুলি ব্যাচমো কার কাছত? নিবে কায়?
কী আর কবু? হামার পরিশ্রমে চইলবার নাগছে দেশখান। আর হামরায় পাই না জিনিস-পাতির দাম। কৃষকক মারছে বিটিশেরঘর, মারছে পাকিস্তানিরঘর, এ্যালা মাইরবার নাগছে নিজ দেশের সরকার। হামরা কার কাছত যায়া কমো দুঃখের কথা?
হয় চাচা, অবস্থা তো এইদোনে।

আমাদের গ্রামের অধিকাংশ মানুষ আবাদের উপর নির্ভর করে। ভালো খাওয়া-দাওয়া, নতুন জামা-কাপড়ের হিসাব ধান-পাট-আলু তোলাকে কেন্দ্র করে। রমিজ নামের যে মাহতাবকে মিছিল-মিটিংয়ের গল্প শুনিয়েছে সেও পুরাদমে কৃষক। আবাদের দাম না-থাকায় তার পরিবার বেকায়দায় থেকে সময় পার করছে। তার বউ আছিয়া কয়দিন থেকে ঘরের বাইরে আসতে পারে না কাপড় না-থাকায়। যে কাপড়টুকু আছে তাতে পুরো শরীর ঢাকা যায় না। মাথা ঢাকতে গেলে হাতের পেশি বেরিয়ে থাকে। পেশি ঢাকতে গেলে নাভি বেরিয়ে পড়ে। রমিজেরা অসহায়। বউকে নতুন কাপড় কিনে দেবে সেই আশাতে প্রত্যেক বছর আবাদ করে। আর আবাদ তোলার সময় হলে সেই আশা টিকিয়ে রাখতে পারে না। দাম না পেয়ে বাদ পরে যায় ঘরের মানুষের নতুন কাপড় কেনার বিবেচনা। তখন আছিয়াদের অর্ধেক কাপড় পুরা শরীর ঢাকার জন্য বরাদ্দ পায়।

মাহতাব ক্লান্ত হয়ে যায়। ব্রিজে বসে জিরাতে চায়। চুপচাপ থাকা চারপাশ তার নিশ্বাসের শব্দে জেগে ওঠে। জেগে ওঠে সেও। জাগে তার ভেতরটা। আলু আবাদে কোনো লাভ আছে? চব্বিশ শতক জমিনে আলু হয় অতিরিক্ত হলে ত্রিশ মণ। দামে সত্তর টাকা বস্তা। কোনো পুঁজিই থাকে না। স্টোরে আলু রাখতে গেলে কেমন করে রাখবে? মালিক সত্তর টাকা বস্তা আলু কিনে নিজে বিক্রি করে পঞ্চাশ-ষাইট টাকায়। ঘাটতি পোষাতে স্টোরের মালিককে লোন না দিলে আলু রাখবে কে? বাংলাদেশে অমুক দল, তমুক দল আন্দোলন করে। আন্দোলন করে চেয়ারের জন্যে। কৃষকের জন্যে না। ক্ষমতায় গেলে জনগণের কোনো খোঁজ থাকে না। মন্ত্রি ভাষণ দেয়, আমাদের আমলে একটা কামলা চল্লিশ কেজি ধান কিনতে পারে একদিন কাজ করে। সে কি জানে একদোন জমিনে কয়টা কামলা লাগে? ধানের চারা লাগানো থেকে মাচায় তোলা পর্যন্ত কয়টা কামলা যায়, তার হিসাবে নাই। পনেরো থেকে বিশটা কামলা লাগে। তাদের টাকা দিতে হলে তো গেরস্থের ফসলের দাম দিতে হবে। গেরস্থ টাকা না পেলে কামলার টাকা দেবে কোথা থেকে? বলে, দেশে শতকরা আশি ভাগ কৃষক। সেই হিসাবে বাংলাদেশে কৃষকের গুরুত্ব আছে? যে কৃষকের আবাদে চলে পুরা দেশ। সেখানে সরকারের উচিত বড়ো বাজেট রাখা। দাদার কাছে গল্প শুনেছিলাম জমিদার আর জোতদার ক্ষেত থেকে ধান কেটে নিয়ে যেত। আবাদিরা লাঠি-সোঠা নিয়ে বাইর হত। মারামারি করত। ধান নিতে দিত না। এখন, আমার আমলে আবাদিরা ধান কাটতেই চায় না দাম নাই, এইজন্যে।
তাদের চলতে হচ্ছে রহিম আর সেলিমের হিসাবে তাল মিলিয়ে; যা সে সন্ধ্যায় শুনেছিল।
দোস, এক কাপ চায়ের দাম কবার পাইস কত?
ক্যান, জানিস না মনে হয়? দাম হইল পাঁচ ট্যাকা।
আর এক কেজি আলুর দাম?
চাইর ট্যাকা।
তাইলে?
তাইলে সোয়া কেজি আলু নিয়া আসপু আর এক কাপ চা খাবু।
মিটি গেইল।

মাহতাবের মনে জমে থাকা চিন্তার শেষ নাই। চিন্তারা ভাবিয়ে তোলে, জীবন চলবে কেমন করে? আমরা না-হয় কোনো রকমে দিন পার করে কবরে গেলে বাঁচি, কিন্তু আমাদের ছেলেমেয়েরা করবেটা কী? তাদের তো এমন করে চলবে না? সবই ডিজিটাল হবে আর আমাদের মতো সন্তানেরাও কী পড়ে থাকবে অভাবে? সে এই যন্ত্রণার হিসাব থেকে মুক্তি খোঁজে। রাজকুমারীর মতো এক হাজার একটা গল্প বলে হলেও বাঁচতে চায়।

ইলিয়াস গ্রাম ছেড়েছিল ঋণের চাপ সহ্য করতে না পেরে। অনেকদিন যাওয়ার পর মনে করে গ্রামে ফেরা উচিত। ভাবনা বাস্তবে রূপ দিয়ে গ্রামে আসে। এলে শুনতে পায় তাকে নিয়ে গল্প চালু হয়েছে; গল্পটা তার বিয়ের। শহরে গিয়ে অচেনা মেয়ের সাথে রং নাম্বারে কথা বলতে বলতে প্রেম জমে। সেখান থেকে বিয়ে। বিয়ে করে সে ভুলে যায় ঋণের কথা। ভুলে যায় প্রথম বউয়ের কথা। কে কী গল্প বলে গেছে, সেই গল্প শাখা-প্রশাখা ছড়াতে ছড়াতে এতই বিস্তৃত হয় যে, মূল হারিয়ে যায়। গল্পটা ছিল, ইলিয়াস আলুর দাম না পেয়ে লসের হিসাবে ডুবতে ডুবতে আশ্রয় নেয় শহরের বস্তিতে। সারাদিন রিকশা চালিয়ে ভালোই ইনকাম করতে শিখে। চলতে থাকে। টাকা জমাতে থাকে। জমাতে জমাতে দেখে তার ‘কুঁচ’ ফুলে যাচ্ছে। যার কাছ থেকে রিকশা নিয়ে শহরে ভাড়া মারে সে তার ‘কুঁচ’ উঁচা হওয়া টের পায়। সে ইলিয়াসের পেছনে লাগিয়ে দেয় তার পা লেংড়িয়ে লেংড়িয়ে হাঁটা মেয়েটাকে। সে লাগে, লাগে তার জং ধরা রূপ ঘষে ঘষে চকচকা করে। বলে, আপনে সারাদিন ম্যালা কাম করেন। ইস! আপনার পিঠটা-ঘাড়টা কালা অইয়া গেছে। শইল্লের একটু যত্ন নিয়েন। বলতে বলতে মেয়েটার হাত ইলিয়াসের মুখ-ঠোঁট ছুঁয়ে ছুঁয়ে বুকে ঠেকে। অনেকদিন থেকেই ইলিয়াসের শুকিয়ে থাকা শরীল ঠাণ্ডা-শীতল স্পর্শ পেয়ে গলতে থাকে। গলতে গলতে দুই শরীল রূপ পায় এক শরীলে। সেখান থেকে বছর ঘুরতে না ঘুরতে জন্মে আরেকটা শরীল। মালিক এবার জেঁকে বসে। সুযোগ আসে কথা বলার। সুযোগ আসে মাতবরি ফলানোর। ইলিয়াসকে দুই-চারটা চড়-থাপ্পড় মেরে মেয়ের সাথে তার বিয়ের ব্যবস্থা করে। মুক্ত হবার বদলে ইলিয়াস আরেকটা জটে পড়ে। জট আরো বাড়তে থাকে। তার কাছে যে টাকা ছিল তা খরচ হয়ে যায় বিয়ে পার করতে। এখন যে টাকা আসে সব টাকাই চলে যায় বউয়ের হাতে। সে পাই পাই করে হিসাব নেয়। কোথায় কত টাকা যায় সবই গুণতিতে আসে। গ্রাম ছেড়েছিল ফিরে এসে ঋণ শোধ করবে, সেজন্য। সাত বছর পর গ্রামে ফিরে ইলিয়াস এই গল্প না শুনে, শুনছে আরেক গল্প।

দিবা কৃষকের হাহাকার নিয়ে ফেসবুকে পোস্ট দেয়। যেখানে থাকে নিজের কথাও।


রুমমেট, দেখতো তোর বন্ধু দিবা ফেসবুকে কীসের গল্প-টল্প নিয়ে লিখছে।
আচ্ছা। দেখতেছি। তুই টেনশন নেইস না।
হাবীব, তোকে মাহতাব নামের একজনের গল্প শুনিয়েছি কিন্তু তিনি কে? তার সম্পর্কে যে এত জানি, তার সাথে আমার সম্পর্ক কী? এ নিয়ে তোকে কিছুই বলি নাই। তুইও জানতে চাস নাই। সব মিলিয়ে বলা হয়ে উঠে নাই। তিনি হলেন আমরা বাবা। এটা হাইড রেখেছিলাম। অনেক চিন্তা করে দেখলাম এত হাইড-টাইড রেখে কী হবে? এটা তো পাবলিক গল্প। দেশের সব চাষিই এ জীবন যাপন করছে। আমার বাবাও তাই। জানুক সবাই। আমাদের দেশপ্রধান হয়তো এদিকে কখনো নজরই দেবে না। অথচ চাষিরা যদি একবার বলে এই উত্তরাঞ্চল থেকে কোনো ধান-গম-আলু দেশের অন্য কোথাও পাঠানো হবে না, তাহলে না খেয়ে মরতে হবে ক্ষমতায় থাকা মানুষদের। কিন্তু এই ঘোষণা তারা দিতে পারে না, দেয় না। রোদ-বৃষ্টিতে পুড়ে পুড়ে তাদের মন হয়েছে অকৃত্রিম। যার দ্বারা তৈরি করেছে নিজেদের ফসলের মতো সবুজ করে।


‘তাদের খুব আবেগ/ তারা ভালোবাসে মাটি/ তারা ভালোবাসে মা/ তারা ভালোবাসে সন্তান/ তারা ভালোবাসে মানুষ/ তারা ভালোবাসে স্বদেশ।’

 

Header Ad
Header Ad

সিআইডি প্রধানসহ ১৮ কর্মকর্তাকে বদলি ও ৪ পুলিশ সুপার ওএসডি

ছবি: সংগৃহীত

বাংলাদেশ পুলিশের ১৮ পুলিশ কর্মকর্তাকে বদলি ও পদায়ন করা হয়েছে। এই তালিকায় সিআইডি প্রধান মো. মতিউর রহমান শেখসহ সারদা পুলিশ একাডেমির প্রিন্সিপাল, অ্যান্টি টেরোরিজম, হাইওয়ে ও শিল্পাঞ্চল পুলিশের প্রধানও রয়েছেন।

মঙ্গলবার (৪ মার্চ) স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের উপ-সচিব মাহবুবর রহমান শেখ স্বাক্ষরিত প্রজ্ঞাপনে এই বদলি পদায়ন করা হয়।

প্রজ্ঞাপনে সিআইডির বর্তমান প্রধান ও অতিরিক্ত আইজিপি মো. মতিউর রহমান শেখকে পুলিশ সদর দফতরে, পুলিশ একাডেমি সারদার প্রিন্সিপাল (অতিরিক্ত আইজিপি) মো. মাসুদুর রহমান ভূঞাকে পুলিশ সদর দফতরে, অ্যান্টি টেররিজম ইউনিটের প্রধান (অতিরিক্ত আইজিপি) খন্দকার রফিকুল ইসলামকে পুলিশ সদর দফতরে, হাইওয়ে পুলিশের ডিআইজি রেজাউল করিমকে পুলিশ সদর দফতরে, পুলিশ সদর দফতরের ডিআইজি ড. শোয়েব রিয়াজ আলমকে সারদা পুলিশ একাডেমিতে, ময়মনসিংহ রেঞ্জের ডিআইজি আশরাফুর রহমানকে পুলিশ সদর দফতরে, পুলিশ সদর দফতরের ডিআইজি আতাউল কিবরিয়াকে ময়মনসিংহ রেঞ্জে, শিল্পাঞ্চল পুলিশের ডিআইজি আশরাফুজ্জামানকে রংপুর পিটিসিতে, সিআইডির ডিআইজি হারুন উর রশীদ হাজারীকে শিল্পাঞ্চল পুলিশে, সারদা পুলিশ একাডেমির ডিআইজি রখফার সুলতানা খানমকে হাইওয়ে পুলিশে, রাজশাহী মহানগরীর উপ-কমিশনার সাইফুদ্দীন শাহীনকে কক্সবাজারের পুলিশ সুপার, খুলনার রেঞ্জ কার্যালয়ের পুলিশ সুপার তোফায়েল আহমদকে সুনামগঞ্জের পুলিশ সুপার, ডিএমপির উত্তরা বিভাগের ডিসি রওনক জাহানকে যশোর জেলা পুলিশ সুপার, রাজশাহী মহানগর পুলিশের সদ্য ডিসি পদে পদোন্নতিপ্রাপ্ত আবুল ফজল মহম্মদ তারিক হোসেন খানকে নীলফামারী জেলা পুলিশ সুপার ও বর্তমানে পুলিশ সদর দফতরের পুলিশ সুপার জিয়া উদ্দিন আহমদকে পুলিশ অধিদফতরে সংযুক্ত করা হয়েছে।

এছাড়াও সুনামগঞ্জের সাবেক পুলিশ সুপার বর্তমানে পুলিশ সদর দফতরে রিপোর্টকৃত আ ফ ম আনোয়ার হোসেন খানকে পুলিশ অধিদফতরে সংযুক্ত ও কক্সবাজারের সাবেক পুলিশ সুপার বর্তমানে পুলিশ অধিদফতরে রিপোর্টকৃত মুহাম্মদ রহমত উল্লাহকে পুলিশ অধিদফতরে ও নীলফামারী জেলার সাবেক পুলিশ সুপার বর্তমানে পুলিশ সদর দফতরে রিপোর্টকৃত মোহাম্মদ মোর্শেদ আলমকে পুলিশ অধিদফতরে সংযুক্ত করা হয়েছে।

এই প্রজ্ঞাপনে কক্সবাজার, নীলফামারী, যশোর ও সুনামগঞ্জ জেলায় নতুন পুলিশ সুপার ও ময়মনসিংহ রেঞ্জে নতুন ডিআইজি পদায়ন করা হয়েছে। একই সঙ্গে কক্সবাজার, নীলফামারী, যশোর ও সুনামঞ্জের সাবেক পুলিশ সুপারদেরকে (পুলিশ সদর দফতরে রিপোর্টকৃত) ওএসডি করা হয়েছে।

Header Ad
Header Ad

নির্বাচন পেছানোর কোনো অজুহাত জনগণ গ্রহণ করবে না: মির্জা আব্বাস

বক্তব্য রাখছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস। ছবি: সংগৃহীত

‘শেখ হাসিনার বিচারের আগে কোনো নির্বাচন নয়’ জাতীয় নাগরিক পার্টির নেতা সারজিস আলমের এমন মন্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস বলেছেন, ফ্যাসিস্টদের বিচার সবাই চাই। কিন্তু নির্বাচন প্রক্রিয়া পেছানোর কোনো অজুহাত জনগণ গ্রহণ করবে না।

মঙ্গলবার (৪ মার্চ) রাজধানীর ইউনাইটেড হাসপাতালে চিকিৎসাধীন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের শারীরিক অবস্থার খোঁজ দেওয়ার পর বাইরে এসে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন।

মির্জা আব্বাস বলেন, একজনের চিন্তা চেতনা মতামত আরেকজনের ঘাড়ে চাপিয়ে দেওয়া হবে, তা হয় না। কিছু কিছু লোক ফ্যাসিস্টের মতো আচরণ করছে।

শেখ হাসিনা সম্পর্কে বলতে গিয়ে বিএনপির এই নেতা বলেন, শেখ হাসিনার বিচার হতেই হবে। আদালত তার আইনের নিয়মে চলে। তার দ্রুত বিচার হতে হবে। আগে কখনো কোটা আন্দোলন বা বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন দল গঠন করবে বলে আমরা শুনি নাই। নির্বাচনকে পিছিয়ে দেওয়ার অজুহাতকে জনগণ পছন্দ করছে না আমরা তা স্মরণ করিয়ে দিতে চাই।

এর আগে দুপুরে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী মহাসচিব মির্জা ফখরুলকে দেখতে ইউনাইটেড হাসপাতালে যান। তিনি হাসপাতালে গিয়ে ফখরুলের স্বাস্থ্যের খোঁজখবর নেন।

উল্লেখ্য, গত রোববার সকালে হঠাৎ অসুস্থ হয়ে ইউনাইটেড হাসপাতালে ভর্তি হন মির্জা ফখরুল।

Header Ad
Header Ad

অস্ট্রেলিয়াকে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির ফাইনালে ভারত

ছবি: সংগৃহীত

চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির আজকের সেমিফাইনাল ম্যাচে অস্ট্রেলিয়াকে হারিয়ে ফাইনালের টিকিট নিশ্চিত করেছে ভারত। গত বছর ঘরের মাঠে বিশ্বকাপের ফাইনালে অস্ট্রেলিয়ার কাছে হেরে শিরোপা হারানোর পর এবার সেই প্রতিশোধ নিতে সফল হলো রোহিত শর্মার দল।

দুবাই আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত এই ম্যাচে টসে জিতে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন অস্ট্রেলিয়ার অধিনায়ক স্টিভ স্মিথ। তার ৭৩ রানের ইনিংস এবং অ্যালেক্স ক্যারির ৬১ রানের সুবাদে ৪৯.৩ ওভারে ২৬৪ রানের সংগ্রহ দাঁড় করায় অস্ট্রেলিয়া।

ভারতীয় ইনিংস শুরুতে কিছুটা চাপে পড়লেও, বিরাট কোহলির ৮৪ রানের অনবদ্য ইনিংসে দলকে জয় এনে দেয়। কোহলি এবং শ্রেয়াস আইয়ারের মধ্যে তৃতীয় উইকেটে ৯১ রানের পার্টনারশিপ ভারতকে স্বস্তি দেয়। আইয়ার ৪৫ রান করে আউট হলেও কোহলি এক প্রান্তে দৃঢ়তার সাথে খেলে যান।

অক্ষর প্যাটেলও ২৭ রান করে ফিরে যাওয়ার পর, কোহলি কেএল রাহুলের সঙ্গে ৪৭ রানের একটি গুরুত্বপূর্ণ জুটি গড়েন। কোহলি সেঞ্চুরির পথে থাকলেও ৮৪ রান করে আউট হন। এরপর হার্দিক পান্ডিয়া ২৪ বলে ২৮ রান করে আউট হলেও, রাহুল ৪২ রানে অপরাজিত থাকেন এবং ভারতের জয় নিশ্চিত করেন।

অস্ট্রেলিয়ার জন্য এই ম্যাচে ব্যাটিং ছিল বেশ কঠিন। তাদের ওপেনার কুপার কনোলি ৯ বলে ০ রান করে আউট হন। ট্রাভিস হেডও ৩৩ বলে ৩৯ রান করে আউট হন। স্মিথ কিছুটা লড়াই করলেও, তার আউট হওয়ার পর অস্ট্রেলিয়া কোনঠাসা হয়ে পড়ে। শেষ পর্যন্ত, ক্যারি ৫৭ বলে ৬১ রান করে অস্ট্রেলিয়াকে ২৬৪ রানের সংগ্রহে পৌঁছে দেন।

ভারতের হয়ে বোলিংয়ে শামি তিনটি উইকেট নেন, যা দলের জয়কে সহজ করে দেয়। এভাবে, ভারত প্রথম দল হিসেবে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির ফাইনালে জায়গা করে নিয়েছে।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

সিআইডি প্রধানসহ ১৮ কর্মকর্তাকে বদলি ও ৪ পুলিশ সুপার ওএসডি
নির্বাচন পেছানোর কোনো অজুহাত জনগণ গ্রহণ করবে না: মির্জা আব্বাস
অস্ট্রেলিয়াকে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির ফাইনালে ভারত
বিরামপুরে ট্রেন থেকে পড়ে যুবকের মৃত্যু
রাশেদকে সমন্বয়ক হিসেবে নয়, যোগ্যতা বিবেচনায় নেওয়া হয়েছে: রাবি উপাচার্য
স্ত্রী ও সন্তানসহ ১৭ মার্চ বাংলাদেশে আসছেন ফুটবলার হামজা চৌধুরী
অ্যাটলির ৬০০ কোটি বাজেটের সিনেমায় সালমানের পরিবর্তে আল্লু অর্জুন!
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান আন্তর্জাতিক শান্তি পদক নীতিমালা বাতিল
‘জয় বাংলা’ শ্লোগান দিয়ে ভাইরাল হওয়া যুবদল নেতা বহিষ্কার
চোরাচালান ও জালিয়াতি করে ১৩৩ কোটি টাকা আয় করেছেন সাদিক অ্যাগ্রোর ইমরান: সিআইডি
সারা দেশে ৫ হাজার ৪৯৩ চিকিৎসক নিয়োগ দেবে সরকার
নারী হাজতখানায় শ্রমিক লীগ নেতা তুফান, স্ত্রী-শাশুড়িসহ গ্রেফতার ৫
চুয়াডাঙ্গায় পূর্বাশা পরিবহনের বাসে তল্লাশি, ৩ কোটি টাকার স্বর্ণসহ দুই পাচারকারী আটক
যুবলীগ নেতা সাদ্দাম অস্ত্রসহ গ্রেপ্তার
গাজায় স্থায়ী যুদ্ধবিরতিতে যেতে প্রস্তুত ইসরায়েল, শর্ত জিম্মি মুক্তি ও নিরস্ত্রীকরণ
'গে অ্যাক্টিভিস্ট' অভিযোগের বিষয়ে যা বললেন তাসনিম জারা  
বিএনপি ক্ষমতায় গেলে সবাই মিলে দেশ পরিচালনা করা হবে: এ্যানী
টাঙ্গাইলে বাসের ধাক্কায় প্রাণ হারালেন সিএনজি চালক
স্কুল ভর্তিতে ৫ শতাংশ কোটা বাতিল করলো শিক্ষা মন্ত্রণালয়
সংসদ নির্বাচনের পর অনুষ্ঠিত হবে স্থানীয় নির্বাচন!