বৃহস্পতিবার, ১০ এপ্রিল ২০২৫ | ২৭ চৈত্র ১৪৩১
Dhaka Prokash

গল্প

ধোঁয়া উঠার কাল

হাবীব ঘুমানোর চেষ্টা করছিল, তখন রাত দুইটা। এর মাঝে মেসেঞ্জারে মেসেজ আসে। মেসেজ পাঠিয়েছে তার বান্ধবী দিবা। দিবা আর তার পরিচয় কলেজ জীবন থেকে। হাবীব মেসেজ নিয়ে ভাবে। এত রাতে কে মেসেজ দিল?

দিবার মেসেজ, না রে আর পারছি না। কেন এমন হয়? কেন এত সাফার করতে হবে? কল দিব, না মেসেজেই রিপ্লাই দিব। সে তো গ্রামের বাড়িতে গিয়েছিল, অথচ লোকেশন শো করছে ঢাকা। বাড়ি হলো অসুখের নিরাময়কেন্দ্র। আপনজনদের স্পর্শ আর যত্নে রোগ পালাতে বাধ্য। কিসের সাফারিংস? যেহেতু লোকেশন ঢাকা দেখাচ্ছে সেহেতু কাল সরাসরিই দেখা করি। শোনা যাবে সবই। ছোট্ট একটা মেসেজ দেওয়া যেতে পারে, চাপ নেইস না। সব ঠিক হয়ে যাবে।

দোস্ত, কি হইছে বলতো? কাল অমন মেসেজ দিলি?
হাবীব, তুই তো জানিস আমি গ্রামে ছিলাম কয়দিন।
জানি।
গিয়ে দেখি এলাকার মানুষের যায় যায় অবস্থা। ক্ষেতের পর ক্ষেত আলু আবাদ করছে। আলুর ফলন কী তার! সমস্যা একটাই, আলুর দাম নাই।’
তারপর!

আমাদের গ্রামে মাহতাব নামের একজন আছেন। বিএ পাশ। জমিজমা ভালোই। সিজন অনুযায়ী সব আবাদই করে। এই সিজেনে আবাদ করছে আলু। দাম না থাকায় তার মনের অবস্থা ভালো না। সে সকালে হাঁটতে বাইর হয় কয়দিন আগে পাকা হওয়া রাস্তায়। হাঁটলে মানুষ চিন্তা থেকে মুক্তি পায়। এই আশাতেই সে সকালের নামাজ শেষ করেই বেরিয়েছে। এক পা ফেলে আর মনে করে চিন্তার জাল ছিঁড়ে যাচ্ছে। একটু পরেই মুক্তি মিলবে। মুক্তির বদলে ওই জাল আরও শক্ত হয়। পায়ে আটকে যায়। নিজের ভেতর থাকা চিন্তার সাথে অন্যদের চিন্তাও যোগ হয়। তার প্রতিবেশি ইলিয়াস ঢুলতে ঢুলতে এসে বলে, চাচা, তোমরা না দোয়া পড়ি পড়ি অসুখ ভাল করেন। বিলাই কামড় দিলে লবণ পড়া দেন। সকাল সকাল বাসি টিরি তিন পাক ঘুইরবার কন। মুই ছয় পাক ঘুরইবার আজি আছং; তাও কন কেমন করি ধারদেনা থাকি মুক্তি পাইম।

ইলিয়াস একশো বিঘার উপর জমিতে আবাদ করেছিল। নিজের জমি না থাকায় আরেকজনের জমি বন্ধক নিয়ে আবাদ করেছে। নিজের জমানো টাকা থেকে সে এই আবাদ করে নাই। করবে কেমন করে তার তো পুঁজি নাই। ব্যাংক আর এনজিও থেকে লোন নিয়ে আবাদে নেমেছে। আলু বিক্রি করে ঋণের টাকা শোধ করবে এই ভরসাতেই চার লাখ টাকা ঋণ নেয়। তার এ পরিকল্পনা বাস্তবে কাজে দেয় না। আলুর দাম না-থাকায় সে ঋণ শোধ করতে পারে না। ঋণের টাকা নিতে আসবে জেনে সে আগে ঘর ছাড়ে। বউকে বলেছে, তুই ঘরত থাকেক, আইতত কোটে যাবু, মিইচচ্যাকনা আকাশ ফর্সা হইলে বাইর হবু। বউ সে কথাতেই রাজি থেকে ঘুমাতে যায়। চিন্তাদেশ ঘুরতে ঘুরতে ক্লান্ত হলে আকাশ ফর্সা হওয়ার ঘণ্টা খানেক আগে ঘুমিয়ে পড়ে। ঘুম ভাঙে এনজিওকর্মীর ডাকে। বলার কিছু নাই, দরজা খুলে হা করে গিলতে থাকে ওই কর্মীর কথা, শুয়োরের বাচ্চারা ঋণ নিয়া আবাদ করছে, এ্যালা টাকা দিবার নয়। তোমরা আবাদ কইরবার জন্যে ঋণ চাইছেন হামরা দিছি। এ্যালা কিস্তি দেবার সময়, কিন্তু দেবার নাম নাই। খানকির বাচ্চারা টাকা নেবার সময় হুশ আছিল না। এ্যালা মাগি মাইনষের মতো পালে বেড়ান। কর্মীরও করার কিছু নেই। সে প্রত্যেক সপ্তাহে আসে—টাকা না পেয়ে খালি হাতে ফিরতে হয়। অফিসে টাকার হিসাব দিতে পারে না। চাকরি টিকিয়ে রাখার সম্ভাবনা দেখতে না পেয়ে টাকা আদায়ে শক্ত হয়।

ইলিয়াসের বউ শুনতে শুনতে ক্লান্ত হয়ে আবার ঘুমিয়ে পড়ে এনজিওকর্মী চলে গেলে। ঘুমাতে ঘুমাতে স্বপ্ন আসে। দেখতে পায় স্বপ্নে রাতের আসমান। যেখানে কোনো তারা নাই। চাঁদ ডুবে গেছে কত বছর আগে সেকথা ভুলেই গেছে। বিয়ের আগে ইলিয়াসের সাথে জ্যোৎস্না রাতে প্রেম জমিয়েছে। কই গেল সেই জ্যোৎস্না? কই গেল সেই পূর্ণিমা? কই গেল সেই তারা? যে তারার আলোয় লুকোচুরি খেলেছে। না, সে এসব পায় না। লুকোচুরির ধরন বদলে গেছে। এখনের লুকোচুরি হলো জীবন থেকে পালিয়ে বাঁচার। পালিয়ে কেউ বাঁচতে পারে? এমন প্রশ্ন সে অনেকবার নিজেকে করেছে। উত্তর জানা নাই বলে সিদ্ধান্তে আসতে পারে না। কেবল পালিয়ে থাকতে হবে এটুকু জানে। বিয়ের আগে প্রেম জমেছে, জমেছে অনেক গল্পে। ইলিয়াস বলেছিল ক্ষেতের আইল দিয়ে হাঁটতে হাঁটতে পাকা ধানের শরীরে হাত বুলাতে বুলাতে চলে যাবে আরেকরাজ্যে। বিকালে ঘুরতে যাব তিস্তা নদী। হাঁটবে বালুতে। চলে যাব দুজনে চিকলির বিলে। দেখবে ঘাগর নদী। ভিন্নজগৎ-রাম সাগর-স্বপ্নপুরী দেখতে যাব। সে এসবের কিছুই এখনো দেখতে পায় নাই। যাওয়া হয় নাই কোথাও। জীবন খুঁড়ে খুঁড়ে দেখে, সেখানে কোনো রং নাই। তাকে ঘুরতে হবে, বসত ভিটা ছেড়ে ঠিকানা না থাকা জীবনে। ধান গাছের শরীরে হাত রাখবে কি, সেই ক্ষেতই তাদের থাকবে না।

ইলিয়াসের নিখোঁজ হওয়ার সংবাদে বাজার বেশ গরম। সবাই মেতে আছে এ টপিকেই। মাহতাব এই পথ দিয়েই যাচ্ছিল। তাকে দেখে একজন এগিয়ে আসে। বলে, চাচা, ইলিয়াস তো বাড়ি ছাড়ি পালাইছে।
ক্যা পালাইল?
মাঠত আলু। কিন্তু অয় হিসাব করি দেখছে যে ট্যাকা উইঠপার নয়। যে আলু হইছে তাতে লছ। এই কয় বছর ধরি লছ যাইতে যাইতে শ্যাষ হয়া গেইছে। বাড়ি ছাড়ি পালাইল।
দামখান একনা বাড়ালেও তো হয়।
দাম? হামরা পামো আবাদের দাম, চাচা, সেই কপাল কী হামার আছে। হামরা টিক্যার ঘাম মাটিত ফেলি আবাদ করি। আর যেইনা তুইলবার ধরি তখনে দাম নাই। একদোন মাটিত আবাদ করতে আঠারো হাজার ট্যাকা নাগছে। দাম যদি এ্যাকনা ভালো হইল হয় তারপরেও ক্যাশটা আসিল হয়। সেই ক্যাশেও এ্যালা ঘাটতি। হামরা আবাদ করছি, ফলন ফলাইছি। দুইটা ট্যাকা আয় করমো সেই আশায় তো হামরা এত শ্রম দিনো। বউ-বাচ্চাক নিয়া খাওয়ামো। এ্যাকনা সুখত থাকমো ওই জন্যে তো এত কননো। তা হইল কোটে? হামার ওষুধের দাম যাক। পরিশ্রমের দাম যাক। কিন্তু ক্যাশটা আসুক। হামার উপরের মানুষেরা কী ওইগল্যা বুঝে? এমনিতে দাম নাই ওমরা আবার হরতাল-অবরোধ নাগায়।

শোক শোক মনে কেউ কিছু ভাবতে পারে না, ভাবতে পারে না মাহতাবও। সে খেয়াল করলে বুঝতে পারে হাঁটতে হাঁটতে তার পায়ে ব্যথা ধরে গেছে। কিন্তু চিন্তা মুক্তির যে মিশনে সে নেমেছে তা ব্যর্থ হতে চলছে। আবাদে লস হওয়ায় আলুর বদলে ধান আবাদ করতে চায়। কিন্তু ধানের বেলাও সেই একই হিসাব। দাম থাকে না। যে খরচ করে ধানের পেছনে তা ওঠে না। লস, লসই থাকে। মেয়ে বিশ্ববিদ্যালয় পড়ে। গতকাল ফোন করেছে, টাকা লাগবে। টাকার হিসাব কষতে গিয়ে দেখে মেয়ের চাওয়া মেটাতে গেলে একশো বস্তা আলু বিক্রি করতে হবে। আলু পেয়েছে মাত্র সত্তর বস্তা। টাকা না দিলে মেয়ের পড়ালেখা বন্ধ থাকবে। বাবা হয়ে কী করে এ সহ্য করবে? জমি বন্ধক রেখে টাকা পাঠায়। এও হিসাব করতে থাকে যে, এভাবে কতদিনই বা চলবে? চালানো যাবে? যে দাম তার প্রত্যাশায় ছিল তা পেলে জমি বন্ধক রাখতে হত না। প্রত্যেক বছর আবাদ করবে, ফলন পাবে, দাম থাকবে না। আর জমি বন্ধক রেখে মেয়ের পড়ার খরচ যোগাবে, সংসার চালাবে। যেদিন সব জমি বন্ধক হয়ে যাবে সেদিন কি করবে? মাহতাব গণিতে বরাবরই দুর্বল ছিল বলে বিজ্ঞান ছেড়ে এইচএসসিতে আর্টস পড়েছে। কিন্তু জীবনের বিজ্ঞানে ঠিকই পাকতে হচ্ছে। ক্যালকুলেটর ছাড়াই মেলাতে পারছে হিসাব।

সে নানা চাপ আর যন্ত্রণা নিয়ে বাজার থেকে বাড়িতে ফেরার পথে শুনেছে আবাদের দাম বাড়া নিয়ে মিটিং হয়েছে। রমিজ নামের একজন তারই ডিটেইল শোনায় মাহতাবকে।
চাচা, আবাদির ঘর আস্তাত আলু ফেলি বসি আছে। সবায় দাম চাবার নাগছে। এইদোন দেখি নেতারঘর মিটিং বসাছিল। মুইও গেছনু মিটিংঅত। যায়া দেখং ওমরা হাত তুলি, গলা উঁচি উঁচি বড়ো বড়ো বক্তৃতা দেইল। সবাক একসাথে হয়া আন্দোলন কইরবার কইল। কইল আলুর ন্যায্য দাম দেবার কথা। মাঝখান থাকি যে ফড়িয়া দালাল গজায় এইগল্যার দাপট বন্ধ কইরবার কথা কইল। ভরতুকি বাড়াবার কইল। কৃষকক লোন দেবার দাবি জানাইল। সরকারি কোল্ডস্টোরেজ নির্মাণ কইরবার কইল। বাইরের দেশত অপ্তানি কইরবার কইল। আর একন্যা ছন্দ মিলি কইল—

যে কৃষকের রক্তের আবরণ
সেই কৃষকের গোলায় নাই ধান
যে শ্রমিক ঘোড়ায় গাড়ির চাকা
মাসের পনের দিন যাইতে না যাইতেই সেই শ্রমিকের
পকেট হয়ে যায় ফাঁকা।

এইদোন কথা শুননো। ভালোই কইছে। কিন্তু এইগল্যা কামত আসলে তো হইল হয়। হামার কায়ো কায়ো আলু তুলছে। কিন্তু ওমরা দাম পায় নাই বলি আর কায়ো আলু তুইলবার সাহস পায় না। ওদি গাছের বয়স নব্বই-পঁচানব্বই দিন পার হয়া গেইছে। গাছ মরি গেইছে তারপরেও আলু তুলে না। তুলি কী করবে? মুইও কিছু আলু তুলং নাই। আলু তুলি ব্যাচমো কার কাছত? নিবে কায়?
কী আর কবু? হামার পরিশ্রমে চইলবার নাগছে দেশখান। আর হামরায় পাই না জিনিস-পাতির দাম। কৃষকক মারছে বিটিশেরঘর, মারছে পাকিস্তানিরঘর, এ্যালা মাইরবার নাগছে নিজ দেশের সরকার। হামরা কার কাছত যায়া কমো দুঃখের কথা?
হয় চাচা, অবস্থা তো এইদোনে।

আমাদের গ্রামের অধিকাংশ মানুষ আবাদের উপর নির্ভর করে। ভালো খাওয়া-দাওয়া, নতুন জামা-কাপড়ের হিসাব ধান-পাট-আলু তোলাকে কেন্দ্র করে। রমিজ নামের যে মাহতাবকে মিছিল-মিটিংয়ের গল্প শুনিয়েছে সেও পুরাদমে কৃষক। আবাদের দাম না-থাকায় তার পরিবার বেকায়দায় থেকে সময় পার করছে। তার বউ আছিয়া কয়দিন থেকে ঘরের বাইরে আসতে পারে না কাপড় না-থাকায়। যে কাপড়টুকু আছে তাতে পুরো শরীর ঢাকা যায় না। মাথা ঢাকতে গেলে হাতের পেশি বেরিয়ে থাকে। পেশি ঢাকতে গেলে নাভি বেরিয়ে পড়ে। রমিজেরা অসহায়। বউকে নতুন কাপড় কিনে দেবে সেই আশাতে প্রত্যেক বছর আবাদ করে। আর আবাদ তোলার সময় হলে সেই আশা টিকিয়ে রাখতে পারে না। দাম না পেয়ে বাদ পরে যায় ঘরের মানুষের নতুন কাপড় কেনার বিবেচনা। তখন আছিয়াদের অর্ধেক কাপড় পুরা শরীর ঢাকার জন্য বরাদ্দ পায়।

মাহতাব ক্লান্ত হয়ে যায়। ব্রিজে বসে জিরাতে চায়। চুপচাপ থাকা চারপাশ তার নিশ্বাসের শব্দে জেগে ওঠে। জেগে ওঠে সেও। জাগে তার ভেতরটা। আলু আবাদে কোনো লাভ আছে? চব্বিশ শতক জমিনে আলু হয় অতিরিক্ত হলে ত্রিশ মণ। দামে সত্তর টাকা বস্তা। কোনো পুঁজিই থাকে না। স্টোরে আলু রাখতে গেলে কেমন করে রাখবে? মালিক সত্তর টাকা বস্তা আলু কিনে নিজে বিক্রি করে পঞ্চাশ-ষাইট টাকায়। ঘাটতি পোষাতে স্টোরের মালিককে লোন না দিলে আলু রাখবে কে? বাংলাদেশে অমুক দল, তমুক দল আন্দোলন করে। আন্দোলন করে চেয়ারের জন্যে। কৃষকের জন্যে না। ক্ষমতায় গেলে জনগণের কোনো খোঁজ থাকে না। মন্ত্রি ভাষণ দেয়, আমাদের আমলে একটা কামলা চল্লিশ কেজি ধান কিনতে পারে একদিন কাজ করে। সে কি জানে একদোন জমিনে কয়টা কামলা লাগে? ধানের চারা লাগানো থেকে মাচায় তোলা পর্যন্ত কয়টা কামলা যায়, তার হিসাবে নাই। পনেরো থেকে বিশটা কামলা লাগে। তাদের টাকা দিতে হলে তো গেরস্থের ফসলের দাম দিতে হবে। গেরস্থ টাকা না পেলে কামলার টাকা দেবে কোথা থেকে? বলে, দেশে শতকরা আশি ভাগ কৃষক। সেই হিসাবে বাংলাদেশে কৃষকের গুরুত্ব আছে? যে কৃষকের আবাদে চলে পুরা দেশ। সেখানে সরকারের উচিত বড়ো বাজেট রাখা। দাদার কাছে গল্প শুনেছিলাম জমিদার আর জোতদার ক্ষেত থেকে ধান কেটে নিয়ে যেত। আবাদিরা লাঠি-সোঠা নিয়ে বাইর হত। মারামারি করত। ধান নিতে দিত না। এখন, আমার আমলে আবাদিরা ধান কাটতেই চায় না দাম নাই, এইজন্যে।
তাদের চলতে হচ্ছে রহিম আর সেলিমের হিসাবে তাল মিলিয়ে; যা সে সন্ধ্যায় শুনেছিল।
দোস, এক কাপ চায়ের দাম কবার পাইস কত?
ক্যান, জানিস না মনে হয়? দাম হইল পাঁচ ট্যাকা।
আর এক কেজি আলুর দাম?
চাইর ট্যাকা।
তাইলে?
তাইলে সোয়া কেজি আলু নিয়া আসপু আর এক কাপ চা খাবু।
মিটি গেইল।

মাহতাবের মনে জমে থাকা চিন্তার শেষ নাই। চিন্তারা ভাবিয়ে তোলে, জীবন চলবে কেমন করে? আমরা না-হয় কোনো রকমে দিন পার করে কবরে গেলে বাঁচি, কিন্তু আমাদের ছেলেমেয়েরা করবেটা কী? তাদের তো এমন করে চলবে না? সবই ডিজিটাল হবে আর আমাদের মতো সন্তানেরাও কী পড়ে থাকবে অভাবে? সে এই যন্ত্রণার হিসাব থেকে মুক্তি খোঁজে। রাজকুমারীর মতো এক হাজার একটা গল্প বলে হলেও বাঁচতে চায়।

ইলিয়াস গ্রাম ছেড়েছিল ঋণের চাপ সহ্য করতে না পেরে। অনেকদিন যাওয়ার পর মনে করে গ্রামে ফেরা উচিত। ভাবনা বাস্তবে রূপ দিয়ে গ্রামে আসে। এলে শুনতে পায় তাকে নিয়ে গল্প চালু হয়েছে; গল্পটা তার বিয়ের। শহরে গিয়ে অচেনা মেয়ের সাথে রং নাম্বারে কথা বলতে বলতে প্রেম জমে। সেখান থেকে বিয়ে। বিয়ে করে সে ভুলে যায় ঋণের কথা। ভুলে যায় প্রথম বউয়ের কথা। কে কী গল্প বলে গেছে, সেই গল্প শাখা-প্রশাখা ছড়াতে ছড়াতে এতই বিস্তৃত হয় যে, মূল হারিয়ে যায়। গল্পটা ছিল, ইলিয়াস আলুর দাম না পেয়ে লসের হিসাবে ডুবতে ডুবতে আশ্রয় নেয় শহরের বস্তিতে। সারাদিন রিকশা চালিয়ে ভালোই ইনকাম করতে শিখে। চলতে থাকে। টাকা জমাতে থাকে। জমাতে জমাতে দেখে তার ‘কুঁচ’ ফুলে যাচ্ছে। যার কাছ থেকে রিকশা নিয়ে শহরে ভাড়া মারে সে তার ‘কুঁচ’ উঁচা হওয়া টের পায়। সে ইলিয়াসের পেছনে লাগিয়ে দেয় তার পা লেংড়িয়ে লেংড়িয়ে হাঁটা মেয়েটাকে। সে লাগে, লাগে তার জং ধরা রূপ ঘষে ঘষে চকচকা করে। বলে, আপনে সারাদিন ম্যালা কাম করেন। ইস! আপনার পিঠটা-ঘাড়টা কালা অইয়া গেছে। শইল্লের একটু যত্ন নিয়েন। বলতে বলতে মেয়েটার হাত ইলিয়াসের মুখ-ঠোঁট ছুঁয়ে ছুঁয়ে বুকে ঠেকে। অনেকদিন থেকেই ইলিয়াসের শুকিয়ে থাকা শরীল ঠাণ্ডা-শীতল স্পর্শ পেয়ে গলতে থাকে। গলতে গলতে দুই শরীল রূপ পায় এক শরীলে। সেখান থেকে বছর ঘুরতে না ঘুরতে জন্মে আরেকটা শরীল। মালিক এবার জেঁকে বসে। সুযোগ আসে কথা বলার। সুযোগ আসে মাতবরি ফলানোর। ইলিয়াসকে দুই-চারটা চড়-থাপ্পড় মেরে মেয়ের সাথে তার বিয়ের ব্যবস্থা করে। মুক্ত হবার বদলে ইলিয়াস আরেকটা জটে পড়ে। জট আরো বাড়তে থাকে। তার কাছে যে টাকা ছিল তা খরচ হয়ে যায় বিয়ে পার করতে। এখন যে টাকা আসে সব টাকাই চলে যায় বউয়ের হাতে। সে পাই পাই করে হিসাব নেয়। কোথায় কত টাকা যায় সবই গুণতিতে আসে। গ্রাম ছেড়েছিল ফিরে এসে ঋণ শোধ করবে, সেজন্য। সাত বছর পর গ্রামে ফিরে ইলিয়াস এই গল্প না শুনে, শুনছে আরেক গল্প।

দিবা কৃষকের হাহাকার নিয়ে ফেসবুকে পোস্ট দেয়। যেখানে থাকে নিজের কথাও।


রুমমেট, দেখতো তোর বন্ধু দিবা ফেসবুকে কীসের গল্প-টল্প নিয়ে লিখছে।
আচ্ছা। দেখতেছি। তুই টেনশন নেইস না।
হাবীব, তোকে মাহতাব নামের একজনের গল্প শুনিয়েছি কিন্তু তিনি কে? তার সম্পর্কে যে এত জানি, তার সাথে আমার সম্পর্ক কী? এ নিয়ে তোকে কিছুই বলি নাই। তুইও জানতে চাস নাই। সব মিলিয়ে বলা হয়ে উঠে নাই। তিনি হলেন আমরা বাবা। এটা হাইড রেখেছিলাম। অনেক চিন্তা করে দেখলাম এত হাইড-টাইড রেখে কী হবে? এটা তো পাবলিক গল্প। দেশের সব চাষিই এ জীবন যাপন করছে। আমার বাবাও তাই। জানুক সবাই। আমাদের দেশপ্রধান হয়তো এদিকে কখনো নজরই দেবে না। অথচ চাষিরা যদি একবার বলে এই উত্তরাঞ্চল থেকে কোনো ধান-গম-আলু দেশের অন্য কোথাও পাঠানো হবে না, তাহলে না খেয়ে মরতে হবে ক্ষমতায় থাকা মানুষদের। কিন্তু এই ঘোষণা তারা দিতে পারে না, দেয় না। রোদ-বৃষ্টিতে পুড়ে পুড়ে তাদের মন হয়েছে অকৃত্রিম। যার দ্বারা তৈরি করেছে নিজেদের ফসলের মতো সবুজ করে।


‘তাদের খুব আবেগ/ তারা ভালোবাসে মাটি/ তারা ভালোবাসে মা/ তারা ভালোবাসে সন্তান/ তারা ভালোবাসে মানুষ/ তারা ভালোবাসে স্বদেশ।’

 

Header Ad
Header Ad

এসএসসি পরীক্ষা না দিয়ে প্রেমিকের বাড়িতে অনশনে কিশোরী

ছবি: সংগৃহীত

বরগুনার আমতলীতে এসএসসি ও সমমান পরীক্ষায় অংশ না নিয়ে বিয়ের দাবিতে প্রেমিকের বাড়িতে অনশনে বসেছেন এক দাখিল পরীক্ষার্থী। আর ২৪ ঘণ্টার মধ্যে বিয়ে না করলে আত্মহত্যার হুমকি দিয়েছেন তিনি। আজ বৃহস্পতিবার উপজেলার পূর্ব চন্দ্রা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

জানা গেছে, উপজেলার মহিষকাটা এলাকার দাখিল পরীক্ষার্থী এক ছাত্রীর সঙ্গে পার্শ্ববর্তী চাওড়া ইউনিয়নের পূর্ব চন্দ্রা গ্রামের আরিফ মৃধার প্রেমের সম্পর্ক হয়।

গত তিন বছর ধরে তারা প্রেম করছে, এমন দাবি ওই পরীক্ষার্থীর।

প্রেমিক কলেজপড়ুয়া আরিফ মৃধা তাকে বিয়ে না করে কালক্ষেপণ করতে থাকেন। ৩ এপ্রিল আরিফের বাড়ি আসে ওই পরীক্ষার্থী। পরে আরিফের পরিবার বিয়ের আশ্বাস দিয়ে তাকে আমতলী থানায় পাঠায়। পুলিশ তাকে স্থানীয় মনির প্যাদার হেফাজতে দেন। কিন্তু আরিফ তাঁকে বিয়ে করেননি।

আজ তার দাখিল পরীক্ষায় অংশ নেওয়ার কথা ছিল। সে পরীক্ষায় অংশ না নিয়ে আরিফ মৃধার বাড়িতে অনশনে বসেছে। পরে সে ঘোষণা দেয়, ২৪ ঘণ্টার মধ্যে আরিফ তাকে বিয়ে না করলে আত্মহত্যা করবে। অপর দিকে আরিফ মৃধা ও তাঁর পরিবার এলাকা ছেড়ে চলে গেছে।

এ ঘটনায় এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। এলাকাবাসী ঘটনার সুষ্ঠু সমাধান দাবি করেছেন।

ওই দাখিল পরীক্ষার্থী বলে, ‘আরিফ মৃধা আমার সঙ্গে তিন বছর ধরে প্রেম করছেন। বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে আমাকে একাধিকবার ধর্ষণ করেছেন। এখন তাঁর পরিবারের কথামতো আমাকে বিয়ে করতে রাজি না। তাই আমি পরীক্ষা দেওয়া বন্ধ করে বিয়ের দাবিতে আরিফের বাড়িতে অনশনে বসেছি। ২৪ ঘণ্টার মধ্যে বিয়ে না করলে আমি আত্মহত্যা করব। আমি তো আমার সবই হারিয়েছি। এখন আর কোথাও যাওয়ার সুযোগ নেই।’

ওই পরীক্ষার্থী বলে, ‘৩ এপ্রিল আমি এ বাড়িতে আসার পর আরিফের মা আমাকে তাঁর ছেলের সঙ্গে রাতে থাকতে দিয়েছেন, এখন তাঁরা পালিয়ে গেছেন।’

স্থানীয় ইউপি সদস্য রুহুল আমিন বলেন, ‘দুই পরিবার বসে সমাধান করতে বলেছি। সমাধান হয়েছে কি না, আমি জানি না।’ এ বিষয়ে কথা বলতে আরিফ মৃধা ও তাঁর পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করে তাঁদের পাওয়া যায়নি।

আমতলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আরিফুল ইসলাম আরিফ বলেন, ‘বিষয়টি জানি। মেয়ের বিয়ের বয়স হয়নি। তাই আমি একজনের জিম্মায় দিয়েছিলাম।’

ওসি বলেন, মেয়ের পরিবারের লোকজনকে জানানো হয়েছে, কিন্তু তাঁরা মেয়েকে নিতে রাজি নন।

Header Ad
Header Ad

সাধারণ মানুষ চায় এই সরকার আরো ৫ বছর থাকুক: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা (অব.) জেনারেল জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী। ছবি: সংগৃহীত

স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা (অব.) জেনারেল জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেছেন, ‘দেশের সাধারণ মানুষ চাচ্ছে এই সরকার যেন আরো ৫ বছর রাষ্ট্র পরিচালনার দায়িত্বে থাকে।’ বৃহস্পতিবার (১০ এপ্রিল) দুপুরে সুনামগঞ্জ জেলার শান্তিগঞ্জ থানা পরিদর্শনে এসে তিনি এ কথা বলেন।

স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেন, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কর্মতৎপরতা আগের তুলনায় অনেক বেড়েছে, আরও বাড়বে। আগ্নেয়াস্ত্রের ব্যবহার যেন রোধ হয় সে বিষয়ে পুলিশ তৎপর থাকবে। যারা পরিস্থিতির অবনতি করতে চায়, আমরা তাদের আইনের আওতায় নিয়ে আসছি। পরিস্থিতি আস্তে আস্তে আরও উন্নতি হচ্ছে। সাধারণ মানুষ চাচ্ছেন এই সরকার যেন আরও অন্তত ৫ বছর রাষ্ট্র পরিচালনার দায়িত্বে থাকে।

শেখ হাসিনাকে ফেরত আনার বিষয়ের এক প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, ক্রিমিনালদের হ্যান্ডওভারের বিষয়ে ভারতের সঙ্গে আমাদের একটি চুক্তি আছে। এই চুক্তির আন্ডারে হয়তো তাকে আনার চেষ্টা করা হবে। ভারতের সঙ্গে আমাদের যুদ্ধের কোনো শঙ্কা নেই।

হাওরের কৃষির উন্নয়নে সরকারের পদক্ষেপের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘হাওরসহ সারা দেশে অনেক পতিত জমি পড়ে আছে। আমরা এই জমি চাষের আওতায় আনতে ৫০০ কোটি টাকার প্রকল্প গ্রহণ করেছি। যার মাধ্যমে পতিত জমি চাষের আওতায় আনা হবে।’

থানা পরিদর্শনের সময় উপস্থিত ছিলেন সিলেট বিভাগীয় পুলিশ কমিশনার খান মোহাম্মদ রেজাউন্নবী, সিলেট রেঞ্জের ডিআইজি মো. মুশফেকুর রহমান, সুনামগঞ্জ জেলা প্রশাসক ড. মুহাম্মদ ইলিয়াছ মিয়া, পুলিশ সুপার তোফায়েল আহম্মদ, শান্তিগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সুকান্ত সাহা, ওসি আকরাম আলী প্রমুখ।

Header Ad
Header Ad

ফিলিস্তিনে গণহত্যার প্রতিবাদে টাঙ্গাইলে হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের মানববন্ধন

টাঙ্গাইলের ভূঞাপুরে গাজায় গণহত্যার প্রতিবাদে হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের মানববন্ধন। ছবি: ঢাকাপ্রকাশ

ফিলিস্তিনের গাজা ও রাফায় ইসরায়েলি সন্ত্রাসী বাহিনীর চলমান নৃশংসতায় শিশুসহ গণহত্যা ও বর্বরোচিত হামলার প্রতিবাদে টাঙ্গাইলের ভূঞাপুরে মানববন্ধন করেছে উপজেলা সনাতন ধর্মাবলম্বী লোকজন।

বৃহস্পতিবার (১০ এপ্রিল) বিকালে ভূঞাপুর-তারাকান্দি আঞ্চলিক মহাসড়কের ভূঞাপুর মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সামনে এই মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করা হয়।

মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন- ভূঞাপুর প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি শাহ্ আলম প্রামাণিক, উপজেলা সুজনের সাধারণ সম্পাদক সন্তোষ কুমার দত্ত, উপজেলা সনাতন ধর্মাবলম্বী সংঘের সাধারণ সম্পাদক অভিজিৎ ঘোষ, অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক তাপস নারায়ণ দে সরকার প্রমুখ।

এ সময় ভূঞাপুর প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক কামাল হোসেন, শিক্ষিকা তাপসী বসাক, সাংবাদিক আব্দুর রশিদ, মাসুদ, ফরমান শেখ, তৌফিকুর রহমান, মাহমুদুল হাসান প্রমুখসহ বিভিন্ন স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থী ও হিন্দু ধর্মাবলম্বীরা ছাড়াও নানা শ্রেণি পেশার লোকজন উপস্থিত ছিলেন।



Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

এসএসসি পরীক্ষা না দিয়ে প্রেমিকের বাড়িতে অনশনে কিশোরী
সাধারণ মানুষ চায় এই সরকার আরো ৫ বছর থাকুক: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
ফিলিস্তিনে গণহত্যার প্রতিবাদে টাঙ্গাইলে হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের মানববন্ধন
জিয়াউর রহমান বেঁচে থাকলে ইসরায়েল এমন অপকর্মের সাহস পেত না: মির্জা আব্বাস (ভিডিও)
নওগাঁয় গাছ কাটাকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের সংঘর্ষে নিহত ২
বাংলাদেশ রেলওয়ের দুই কর্মকর্তাকে পদায়ন ও বদলি
২০ হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে বাংলাদেশে হাসপাতাল বানাচ্ছে মার্কিন কোম্পানি
কাদের-কামালসহ ১০ জনের বিরুদ্ধে ইন্টারপোলের রেড নোটিশ জারি করতে চিঠি
সিলেটে থানায় লালগালিচা দেখে ক্ষোভ ঝাড়লেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
দিল্লিতে লিঙ্গ পরিবর্তনের চিকিৎসা নিতে এসে গ্রেপ্তার ৫ বাংলাদেশি
রবিবার ৩ জেলায় সাধারণ ছুটি, সবমিলিয়ে টানা ৪ দিনের অবকাশ
এসএসসির ফল ৬০ দিনে প্রকাশের চেষ্টা করা হবে: শিক্ষা উপদেষ্টা
পূর্বাচলে প্লট দুর্নীতি: শেখ হাসিনা-পুতুলসহ ১৮ জনের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা
যমুনা নদী বাঁধ দিয়ে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের দায়ে ৭ জনকে কারাদন্ড
ভারত ট্রান্সশিপমেন্ট সুবিধা বাতিল করায় ৪ বাংলাদেশি পণ্যবাহী ট্রাক পেট্রাপোল বন্দর থেকে ফেরত
মেয়েকে কেন্দ্রে নেওয়ার পথে অসুস্থ হয়ে বাবার মৃত্যু, পরীক্ষার হলে মেয়ে জানে না মৃত্যুর খবর
‘গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ’ নয়, ‘বাংলাদেশ জনকল্যাণ রাষ্ট্র’ নাম চায় ইসলামী আন্দোলন
৩১৩ জনকে ডিঙিয়ে আগাম জামিন পেলেন সন্ত্রাসী সাজ্জাদকে কাঁড়ি কাঁড়ি টাকা দিয়ে ছাড়াতে চাওয়া স্ত্রী তামান্না
নিউ জার্সিতে সড়ক দুর্ঘটনায় বাংলাদেশি প্রবাসীসহ মেয়ের মৃত্যু
ভারতের মত অন্য কোনও দেশ বাংলাদেশের এতটা মঙ্গল চায় না: জয়শঙ্কর